প্রশ্নোত্তরে
প্রিয়নবীর পবিত্র জীবন- ১৪
প্রশ্নঃ প্রিয়নবী (সাঃ) আনসার ও মুহাজিরদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের ধারা কখন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ প্রথম হিজরীর প্রথমাংশের কোনো একদিন।
প্রশ্নঃ যে বৈঠকে প্রিয়নবী (সাঃ) আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের ধারা শুরু করেন, সে বৈঠকটি কার ঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তরঃ হযরত আনাস (রাঃ) এর ঘরে।
প্রশ্নঃ মদীনায় হযরত আনাস (রাঃ) এর ঘরে প্রিয়নবী (সাঃ)-এর আনসার ও মুহাজিরদের মাঝে। ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বৈঠকে কতজন লোক উপস্থিত ছিল?
উত্তরঃ ৯০ জন। তন্মধ্যে আনসার ও মুহাজিরের সংখ্যা প্রায় সমান সমান ছিল।
প্রশ্নঃ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত প্রিয়নবী (সাঃ) ‘মদীনা সনদ’ কখন লিপিবদ্ধ করিয়েছিলেন?
উত্তরঃ প্রথম হিজরীর মধ্যভাগে।
প্রশ্নঃ প্রিয়নবী (সাঃ) সশন্ত্র সেনা অভিযান পরিচালনার ধারা কখন শুরু করেছিলেন?
উত্তরঃ প্রথম হিজরীর রজব মাসের শুরু থেকে।
প্রশ্নঃ প্রিয়নবী (সাঃ) সর্বপ্রথম কোন তিনটি মুজাহিদ দলকে পর্যায়ক্রমে অভিযানে প্রেরণ করেছিলেন?
উত্তরঃ (১) প্রথম হিজরীর রজব মাসে ৩০ জনের একটি বাহিনী হযরত হামযা (রাঃ) এর নেতৃত্বে সাইফুল বাহ্র অভিমুখে।
(২) প্রথম হিজরীর শাবান মাসে ৪০ থেকে ৮০ জনের একটি বাহিনী হযরত উবায়দা ইবনে হারিস এর নেতৃত্বে রাবিগ অভিমুখে এবং
(৩) প্রথম হিজরীর রমযান মাসে ২৩০ জনের একটি বাহিনী হযরত সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) এর নেতৃত্বে হাররার অভিমুখে প্রেরিত হয়। এরপর নবীজি (সাঃ) স্বয়ং একদল মুজাহিদ নিয়ে ওয়াদ্দান অভিমুখে রওয়ানা হয়ে যান।
প্রশ্নঃ প্রিয়নবী (সাঃ) এর সর্বপ্রথম সামরিক ও রাজনৈতিক সফর কোনটি?
উত্তরঃ ওয়াদ্দান অভিযান প্রিয়নবী (সাঃ) এর সর্বপ্রথম সামরিক ও রাজনৈতিক সফর, যা প্রথম হিজরীর সফর মাসে সংঘটিত হয়েছিল।
প্রশ্নঃ প্রিয়নবী (সাঃ) কোন বছর কখন যুদ্ধের উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে রওয়ানা হয়েছিলেন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় হিজরীর ৮ই রমযান মতান্তরে ১২ই রমযান, রোজ বুধবার মতান্তরে রোববার।
প্রশ্নঃ বদর যুদ্ধ কোন তারিখে সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তরঃ দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ ই রমযান শুক্রবার।
প্রশ্নঃ বদর যুদ্ধের পর প্রিয়নবী (সাঃ) বিজয় বেশে কখন মদীনায় প্রবেশ করেছিলেন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় হিজরীর ২০ রমযান সোমবার।
প্রশ্নঃ প্রিয় নবী (সাঃ) প্রথম সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচীতে কার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন?
উত্তরঃ বিনু জামরা ইবনে আবদুল মানাফের সঙ্গে, যাতে মুখশী ইবনে আমর স্বাক্ষর করেছিল।
প্রশ্নঃ সাওর গুহায় হযরত আবু বকর (রাঃ) খানিকটা অস্থির চিত্তে বলেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! একটু উকি মারলেই তো ওরা আমাদের দেখে ফেলবে!” বলতে পারো এর জবাবে নবীজি কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ হযরত আবু বকর (রাঃ) এর উক্ত উক্তির জবাবে নবীজি বলেছিলন! আবু বকর! সেই দুই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার ধারণা কী, যাদের তৃতীয়জন হলেন স্বয়ং আল্লাহ?
প্রশ্নঃ কুবায় প্রিয়নবী (সাঃ) অবস্থান তো কুলসূম ইবনে হিদ্ম এর ঘরে করেছিলেন; বলতে পারো দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে বৈঠকের জন্য কার ঘর ব্যবহার করেছিলেন?
উত্তরঃ হযরত সাদ ইবনে খুশায়মা (রাঃ) এর ঘর। সাদ ইবনে খুশায়মা (রাঃ) তখনও বিয়ে করেছিলেন না। ঘরে তিনি একাই বসবাস করতেন।
প্রশ্নঃ ইয়াসরিব প্রবেশ কালে আনসারগণ একের পর এক নবী কারীম (সাঃ) কে মেহমান হিসেবে বরণ করার আবেদন করতে থাকলে তিনি কী জবাব দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ প্রিয়নবী (সাঃ) তখন বলছিলেন, ‘তোমরা আমার উষ্ট্রীর পথ ছেড়ে দাও, ও আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত।’ (অর্থাৎ আমার বাহন নিজ ইচ্ছায় যেখানে গিয়ে বসে পড়বে, সেখানকার লোকদের-ই আমি মেহমান হবো)
প্রশ্নঃ মদীনা আগমনের পর আনসারদের কিশোরীরা কিভাবে প্রিয়নবী (সাঃ) কে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল?
উত্তরঃ তারানা গেয়ে তারা প্রিয়নবী (সাঃ) কে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল।
প্রশ্নঃ আনসারদের কিশোরীদের তারানা শুনে নবীজি (সাঃ) তাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, “তোমরা কি আমাকে পেতে চাও?” জবাবে তারা বলেছিল হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আপনাকে পেতে চাই। বলতে পারো, এ কথার জবাবে প্রিয়নবী (সাঃ) কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ প্রিয়নবী তার জবাবে বলেছিলেন, “আমিও তোমদের পেতে চাই।”
প্রশ্নঃ হিজরতের পর কুবার নিকটে পৌঁছে যখন প্রিয়নবী (সাঃ) একস্থানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন এবং বনু আমর ইবনে আউফ এর এলাকার লোক এবং মুহাজির ও আনসারগণ তার অভ্যর্থনার জন্য সেখানে পৌঁছুলে রোদের তাপ থেকে রক্ষা করার জন্য কে নবীজি (সাঃ) কে ছায়া দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ হযরত আবু বকর (রাঃ)। তিনি নিজের গায়ের চাদর দ্বারা প্রিয়নবী (সাঃ) কে রোদের তাপ থেকে আড়াল করে দাঁড়িয়েছিলেন, যাতে আগন্তুকদের একথা বুঝতে কষ্ট না হয় যে, কে মনিব আর কে খাদেম।
প্রশ্নঃ হিজরতের পর যখন প্রিয়নবী (সাঃ) কুবায় প্রবেশ করেন, তখন যারা তাকে অভ্যর্থনা জানান, তাদের সংখ্যা কত ছিল?
উত্তরঃ প্রায় পাঁচ শত জন।