JustPaste.it

পদে পদে আল্লাহর নুসরাত

 

জম্মু- কাশ্মির ফ্রন্টে কমান্ডার শামশীর খানের

ঈমান-দীপ্ত দাস্তান

=====================================================================

 

        ইন্ডিয়ান সেনার গুহা থেকে ঠিকঠাক মত ফিরে আসলে গাইডের ভয় দূর হয় । এই প্রথমবার কোন ইন্ডিয়ান সেনার সাথে আমার নিরস্ত্র হাতে কথা বলার অভিজ্ঞতা হলো । গাইড আমার সৌভাগ্যকে অভিনন্দন জানিয়ে বললো, সে আপনাকে গুলি করলেও কেউ তাকে প্রশ্ন করবেনা । এমনই বেপরোয়া এদের তৎপরতা । আমিও মহান আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলাম, যিনি আমাদেরকে এমন কঠিন পরিস্থিতি থেকে নিরাপদে পার করেছেন ।

 

        সন্ধ্যা নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছলাম । মাগরিবের পর দায়িত্বশীল মুজাহিদদের সাথে রুদ্ধদার বৈঠক শুরু হল । আমার ছদ্মবেশী চেহারা দেখে তারা বিস্মিত হয় । তাই  নিজের পরিচয় এবং মিশন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রথমে তাদের বিস্ময় দূর করলাম । এরপর তারা আমাকে গোটা এলাকার মুজাহিদদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত করায় ইন্ডিয়ান সেনাদের তৎপরতা সম্পর্কেও ব্যাপক আলোচনা হলো । এ এলাকায় মুজাহিদদের সংখ্যা যথেষ্ট দেখে আমি নিশ্চিত হলাম যে,মুজাহিদরা এ অঞ্চলে সেনাদের বিরুদ্ধে সফল অপারেশন চালাতে পারবে ।

 

        দায়িত্বশীল মুজাহিদদের বললাম, সম্ভব হলে সমস্ত ট্রেনিং প্রাপ্ত সাথীদের সাথে আমার সাক্ষাতের ব্যবস্থা করুন । তারা বললেন,সম্মিলিত ভাবে সবার সাথে সাক্ষাৎ করাটা ঝুকিপূর্ণ । তবে পৃথক পৃথক ভাবে সাক্ষাৎ করা যেতে পারে । সে মতে পরদিনই সাক্ষাৎ শুরু হল ।

 

        মুজাহিদদের সাথে সাক্ষাতের সময় আমার শীরায় রক্ত প্রবাহ উষ্ণ হয়ে উঠে । সবাই যেন এক একটা বিজলীর ঝলক । তাদের আবেগ দেখে আমি হতবাক হলাম । প্রত্যক মুজাহিদই পাহাড় সম হিম্মত আর ট্রেনিংয়ে খুবই দক্ষ । সবার একটাই প্রশ্ন, 'ক'দিন আর আমাদের এভাবে বসিয়ে রাখবেন । জিহাদ শুরু করার অনুমতি কবে পাবো? পূর্বেই বলেছি,বিশেষ কারণে এখনো জম্মুতে সশস্ত্র জিহাদ শুরু করা হয় নি । তাদের বললাম,আমি তো এসেছি আপনাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে, এখন আপনাদের সামনে অগ্রসর হওয়ার পালা । আপনাদের আর বসিয়ে রাখা হবে না । তথাপি এজন্য আমাদেরকে সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে । যাতে আমরা অল্প ঝুঁকি নিয়েই দুশমনের বিরাট ক্ষতি সাধন করতে পারি । চার দিন যাবত সকলের সাথে সাক্ষাৎ করলাম । পরিকল্পনা তৈরি হল । মুজাহিদদের অতি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জেনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানানোর ব্যবস্থা করলাম । আমার কাজ শেষ করে এ ব্যাপারে এখানের অন্যান্যদের অনুমতি নিলাম ।

 

        পরবর্তী মঞ্জিল 'ঢুঢাশহর' । আমার গাইড হিসেবে এক শিক্ষিত যুবককে দেয়া হয় । আমরা একটা টাটা গাড়িতে চড়ে ঢুঢা রওয়ানা হলাম । ঢুঢা শহরের অল্প দূরে গাইড কানে কানে আমাকে বললো,'ঢুঢা পুলে আমরা সমস্যায় পড়তে পারি । এখানে সি,আর,পি সদস্যরা কঠোর চেক করে । কাউকে সন্দেহ করলে পরিচয় পত্র দেখাতে হয় । আমি বললাম, তখন দেখা যাবে । যে সত্ত্বা এ পর্যন্ত আমাকে রক্ষা করেছেন তখন তিনিই একটা উপায় বের করে দিবেন ।

 

        ঢুঢা ব্রিজ পৌঁছে দেখি,গাড়ির দীর্ঘ লাইন । কঠোর চেকিং চলছে । আমি চিন্তা করতে লাগলাম, তাৎক্ষণিক কি করা যায়?দেখলাম,তারা শুধু আন্তঃনগর বাসগুলো চেক করছে । কিন্তু লোকাল গাড়ির যাত্রী নামানো হয় না । আমি ঠিক করলাম, এ গাড়ি ছেড়ে লোকাল গাড়িতে উঠবো । আমাদের বাসের পাশেই একটা ওয়াগান এসে থামলো । এক ভারতীয় সৈন্য আমাকে উঁকি মেরে অন্যটায় উঠে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে অন গাড়ির দিকে ফিরলো ।

 

        ওয়াগনের দু'তিন সিট খালি । চোখের পলকে আমরা টাটা গাড়ি ছেড়ে ওয়াগনে উঠে বসলাম । সাথে সাথে গাড়ি ছেড়ে দিল । এভাবে আমরা কঠোর চেকিংয়ের ফাঁক গলিয়ে কেটে পরলাম ।

 

        ঢুঢা পৌঁছে এক দায়িত্বশীল মুজাহিদের ঘরে উঠলাম । তাকে বললাম,এক্ষুনি  আমি এখানের অন্যান্য দায়িত্বশীল মুজাহিদদের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাই । তিনি আমাকে নিয়ে এক ঘরে পৌঁছোলেন । স্থানীয় অধিকাংশ মুজাহিদ কোন প্রোগ্রামে সেখানে সমবেত হয়েছিল ।

 

        এত অল্প সময়ে সবাইকে এক জায়গায় পেয়ে সীমাহীন আনন্দিত হলাম । এদের অধিকাংশ আমার আফগানিস্তানের সাথী এবং এরা আমার নিকটই ট্রেনিং প্রাপ্ত । আমাকে দেখে তারা আনন্দে আত্মহারা । সবাই একে একে আমাকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করে । এ ভালোবাসাই মুজাহিদদের ঐক্যের অবিচ্ছেদ্ধ বন্ধন । জিহাদরত মুজাহিদরা ঐকান্তিকতভাবে পরস্পরে সাক্ষাতের জন্য এমনই ব্যাকুল থাকেন । এমন ভালোবাসা সহোদর আর প্রেমিক-প্রেমিকাদের মাঝেও খুঁজে পাওয়া ভার ।

 

        ঢুঢা শহরে মুজাহিদদের উপদেষ্টা আহসান ডার ও দু'জন পাকিস্তানি মুজাহিদ এজায ভাই ও খালিদ ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ হল । তাদের সাথে দুপুরে রওয়ানা হলাম একটা পিক আপে করে । গাড়িতে উঠে কাশ্মিরী অন্যান্য মুজাহিদরা টহলরত সৈন্যদের মত চারিদিকে ক্লাশিনকভ তাক করে চলতে থাকে । ক্ষণিক পর আমাদের গাড়ি এক পুলিশ ফাঁড়ি অতিক্রম করে ।

 

        কিন্তু আমাদের দিকে তারা তাকালোও না । আহসান জার কে জিজ্ঞেস করলাম,ব্যাপার কি? বলেন- ভাই এরা আমাদেরই সাথী, কাশ্মীরী পুলিশ সর্বোতভাবে মুজাহিদদের সহযোগী ।

 

সুপুর পৌঁছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে শরীক হলাম । বৈঠক শেষে আবার রওয়ানা দিলাম । গন্তব্য 'পিটন' । এবার আমাদের সাথে অন্যতম মুজাহিদ নেতা শামসুল হকও রয়েছেন ।

 

        পথে কয়েক স্থানে সেনা ছাউনীর পাশ কেটে যেতে হয়েছে । রাত হয়ে যায় । তাই সুপুরের ছরী গ্রামে আহসান ডারের ঘরে উঠলাম । সকালে উঠে । আমরা আবার রওয়ানা হলাম । পথে আমার এক বন্ধু আশরাফ ডারের বাড়ি । আশরাফ ডার একজন অকুতোভয় মুজাহিদ । আজ দু'বছর ধরে তিনি ঘর ছেড়েছেন- জিহাদের উদ্দেশ্যে । তার সাথে আমার পরিচয় আজাদ কাশ্মীরে । যাক,আশরাফ ভাইয়ের ঘরেই উঠলাম,তার আম্মা-আব্বার সাথে সাক্ষাৎ করব এই ইচ্ছা নিয়ে ।

 

        আহসান ডার আশরাফ ভাইয়ের আব্বার সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন এই বলে যে,ও আশরাফের বন্ধু । একথা শুনে তিনি আমাকে স্বস্নেহে এমনভাবে জড়িয়ে ধরলেন যেন আমিই আশরাফ ডার । আশরাফ ভাইয়ের আব্বার আমার নিকট ছেলের খবরাখবর নিলেন । বললাম,তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন । আপনারা ঘাবড়াবেন না । ইদানিং একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে তাকে আজাদ কাশ্মীর থাকতে হচ্ছে ।

 

        এরপর গেলাম কমান্ডার শামছুল হক সাহেবের বাড়িতে । তার বড় ছেলে মুজাহিদ । বাকি দু'জন ছোট, পড়ালেখা করছে । তারা বললো,আমরাও মুজাহিদ । আমি বললাম, মুজাহিদ হলে তোমাদের রাইফেল কোথায়? বললো,'রাইফেল তো আব্বুর কাছে । ওটা আব্বুর কাছে রেখে দিয়েছি । বললাম, রাইফেল ছাড়া জিহাদ কিভাবে করবে? আব্বুর কাছ থেকে রাইফেলটা নিয়ে নাও । তারা বলে, আব্বুর কাছে রাইফেল চাই কিন্তু দেননা...... কি করবো আর' । তারা মুখ ভার করে একথা বললো । আমরা সবাই হেসে উঠি । মুজাহিদ বাপের ছেলেও প্রত্যায়ী মুজাহিদ । এর পর দৃঢ় কণ্ঠে বললো আমরা তো এখনও  ছোট । একটু বড় হলে ঠিকই আব্বুর থেকে রাইফেল নিয়ে নিবো । আমার বড় ভাইয়ার  নিকট যেমন রাইফেল আছে আমার নিকট ও থাকবে । তখন আমরাও জিহাদ করব, দুশমন মারব ।

 

        অল্পক্ষণেই তাদের সাথে হৃদ্যতা হয়ে উঠে,কিন্তু বেশীক্ষণ এ ঘরে অবস্থান অনুচিত এবং নিরাপদ নয় বলে আবার পথ ধরলাম । এবারের গন্তব্য 'আরী পন্থন' গ্রাম ।

 

আক্রমণের সূচনা

        আরী পন্থন পৌছে এখনো সুস্থীর হতে পারিনি, এরমধ্যে গ্রামের ক'জন মহিলা দৌড়ে এসে বিষাদ মুখে আমাদের নিকট দাঁড়ায় । আমার সাথী এক কাশ্মীরী মুজাহিদ তাদেরকে কি ব্যাপার জিজ্ঞেস করলেন । তারা জানালো,বোরো রোডের উপর সৈন্যরা বাস থামিয়ে যাত্রীদের হয়রানী করছে । মহিলাদের উত্যক্ত করছে ।

 

        এখবর শুনেই আমাদের মাথায় রক্ত চড়ে গেল । সংখ্যায় আমরা অল্প হওয়া সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত নিলাম,এ মহিলাদের মনে মুজাহিদদের ব্যাপারে এ প্রীতি জন্মাতে হবে যে,আমাদের শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত এ মাটিতে ভারত সেনার যথেচ্ছাচারিতা চলবে না । আহসান ভাই এক কাজ এ গেছেন । বাকী আমরা ছ'জন মুজাহিদ । তিনজন পাকিস্তানি, তিনজন কাশ্মিরী । তাদের মধ্যে আমার প্রিয় বন্ধু শওকত ভাইও একজন ।

 

        ক্লাশিনকোভ এবং অতিরিক্ত ম্যাগাজিন নিয়ে রোডের উপর আর্মিদের অবস্থানের দিকে অগ্রসর হলাম । দূর থেকেই তাদের দেখা যাচ্ছে । দেখতে পেলাম,এখনও যাত্রীদের উপর তাদের হয়রানি বন্ধ হয়নি ।

 

        মনে প্রচন্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হলো । দুয়া পড়তে পড়তে ক্ষেতের উপর দিয়ে ক্রলিং করে এগুচ্ছি । আমাদের ইচ্ছা, সৈন্যদের পিঠের উপর উঠে ওদের নাকানি চুবানি দিব । একদম তাদের নাকের ডগায় গিয়ে পৌঁছলাম । পূর্বেই তিন সদস্যের এক ক্রোলিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছিল । গেরিলা যুদ্ধের নীতি হল, যোদ্ধাদের দুই গ্রুপে বিভক্ত করে এক গ্রুপকে হামলায় ও অপর গ্রুপকে পর্যবেক্ষণে নিয়োগ করা ।

 

        আক্রমণ কারী গ্রুপও তার কাজ শেষে ফিরে আসার সময় ক্রোলিং গ্রুপ শত্রুর উপর ফায়ার করে তাদের ভীত করে তুলবে । আমি ছিলাম আক্রমণকারী গ্রুপে ।

 

        ওখানে পৌঁছতে যাত্রী বাস ছেড়ে গেছে । রাস্তা সম্পূর্ণ খালি । শুধু চারটি সেনা ট্রাক ও ওই সৈন্যরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে । তারা নিশ্চিন্তে গল্প করছে । .....আমরা আকাশ ফাটিয়ে 'আল্লাহু আকবার' নারা তুলে ক্লাশিনকোভের ফায়ার খুলে দিলাম । ব্রাশ ফায়ার । প্রথম ব্রাশ ফায়ারেই টহলরত ক'জন সৈন্য মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খেতে থাকে । আমরা যেন তাদের অদৃশ্য মৃত্যুদূত । তারা চিল্লাচিল্লি করে আকাশ মাথায় তুললো । আর বাকিরা এদিক ওদিক ভাগতে ভাগতে হায় রাম, হায় রাম বলে হাহাকার জুড়ে দেয় । যারা পালাবার চেষ্টা করছে তারা গুলির আঘাতে পাকা ফলের মত টুপ টুপ করে ঝরে পড়তে থাকে । একজন দৌড়ে গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দেয় । কজন সৈন্য সেটাতে উঠে পড়ে । গাড়ির উপর ফায়ার করলেও তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ।

 

        রোডের চারিদিকে শুধু সৈন্যদের ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত লাশ পড়েছিল । কিছু সৈন্য পালিয়ে যায় আর কিছু সড়কের ওধারে পজিশন নিয়ে আমাদের উপর ফায়ার শুরু করে দেয় কিন্তু ততক্ষণে আমরাও অবস্থান পরিবর্তন করে ফেলি ।

 

        নিকটেই আর্মীদের এক বড় ক্যাম্প । সত্বর তারা সংবাদ পায় যে,সড়কে টহলরত সৈন্য ও মুজাহিদদের মাঝে সংঘর্ষ চলছে । তাও ক্যাম্পের দিক থেকেও প্রচন্ড ফায়ারের শব্দ ভেসে আসে । তারা আমাদের ভয় দেখাচ্ছিলো, কিন্তু আমরা তো বাজিমাৎ করে দিয়েছি । ৬ মিনিট ফায়ার করার পর প্রোগ্রাম অনুযায়ী আমরা পিছু হটতে থাকি । ও দিকে পজিশনরত কিছু সৈন্য আমাদের দেখতে পেয়ে আবার ফায়ার শুরু করে ।

 

        এবার তিন সদস্যের ক্রোলিং গ্রুপও সৈন্যদের উপর ফায়ার শুরু করে । আমরা এ সুযোগে নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছে গেলাম । ক্ষণিক পূর্বে মহিলাদের বিষাদক্লিষ্ট মুখগুলিতে এখন আনন্দের ঢেউ খেলছিল । শিশুরা আমাদের বিজয় দেখে খুশীতে লাফাচ্ছিল ।

 

        সৈন্যরা আমাদের পিছু নেয়ার সাহস করে নি । তথাপি এ গ্রামে অবস্থান করা আমাদের জন্য বিপদমুক্ত নয় । তাই সিদ্ধান্ত নিলাম,পুশকর গ্রামে রাত কাটাবো । এ গ্রামটি মুজাহিদদের গোপন ঘাটী । কয়েক ঘন্টা পায়ে হেঁটে আমরা 'পুশকর' পৌঁছালাম । আমাদের সঙ্গী এক মুজাহিদের বাড়ি এ গ্রামেই । আমরা তার ঘরেই উঠলাম । মুজাহিদের মা আমাদেরকে আপন ছেলের মতই আপ্যায়ন করালেন ।

 

        আত্মার সম্পর্ক সত্যিই আশ্চর্য ও বিস্ময়কর । এ অচেনা মহিলা আমাদের পায়ের ক্ষত দেখে কেঁদে ফেলেন । এরপর গরম পানি ও বাটা মেন্দী পাতা আমাদের নিকট পাঠিয়ে দেন । মেন্দী বাটা লাগানোতে ক্ষতের ব্যথা কমে আসে ।

 

        পরদিন ফেরত আরিপন্থন পৌছে জানতে পেলাম,আহসান ভাই এজায ভাইকে নিয়ে ইসলামাবাদ (অনন্তনাগ) রওয়ানা হয়ে গেছেন । আমাকেও সত্বর ইসলামাবাদ পৌঁছার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । তখনই আবার ইসলামাবাদ পথ ধরলাম । (ক্রমশ)

অনুবাদঃ আসাদ মাহমুদ

 

 

═──────────────═