JustPaste.it

প্রশ্নোত্তর

=================================================

 

  • মোঃ মাহবুবুর রহমান,

সায়েস্তাবাদ ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা,

সায়েস্তাবাদ, বরিশাল।

-----------------------------------------------------------------

       প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম পবিত্র কুরআনের বাংলা তরজমা করেছেন নাকি ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন। কথাটি কি সত্য?

 

       উত্তরঃ না, কথাটি সত্য নয়। সর্বপ্রথম পবিত্র কুরআনের আংশিক তথা আমপারার বাংলা কবিতানুবাদ করেন রংপুরের আমিরুদ্দীন বসুনিয়া। যার প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৮০৮ খৃঃ। এর দীর্ঘ তেহাত্তর বছর পর কুরআনের বাংলা অনুবাদ করেন ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন।

 

       যা প্রকাশিত হয় ১৮৮১ খৃঃ। তিনিই সর্বপ্রথম পবিত্র কুরআনের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ প্রকাশ করেন বটে। তবে তাঁর মাত্র দু’ বছর পর টীকাসহ পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন মাওঃ মুহাম্মদ নঈমুদ্দীন। যার প্রকাশক মীর আতাহার আলী এবং ১৮৮৭ খৃঃ করটিয়ার মাহমুদিয়া প্রেস থেকে যেটি মুদ্রিত হয়। এটিই মুসলমানদের হাতে করা পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ। ভাই গিরিশ চন্দ্র যদিও নামে কুরআনের অনুবাদ করেছেন কিন্তু তাতে কুরআনের নিজস্ব সাবলিলতা ও প্রঞ্জলতা রক্ষা পায়নি এবং ইসলামী পরিভাষা বাদে হিন্দু পৌরানিক পরিভাষায় তিনি অনুবাদ করেছেন। তাই তা মুসলমানদের জন্য মোটেই সুখপাঠ্য নয়।

 

*****

 

 

 

  • মোঃ মুজাহিদ খান,

ইমামবাড়ী জামেয়া, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।

-----------------------------------------------------------------

       প্রশ্নঃ মৌলবাদ কাকে বলে? বর্তমানে মৌলবাদী বলতে কোন সম্প্রদায়কে বুজানো হয়?

 

       উত্তরঃ একটা মূলনীতি বা আদর্শিক ভিত্তির উপর যে দল বা সম্প্রদায় পরিচালিত হয় তাকে মৌলবাদী বলে। নীতি আদর্শ বা পদ্ধতিকে অপরিবর্তিত রূপে আকড়ে রাখার নাম মৌলবাদ। ইউরোপ আমেরিকায় এ মতবাদটির উদ্ভব হয়েছে ‘ফান্ডামেন্টালিজম’ নামে। এক সময় সমাজতান্ত্রিক বিশ্বকে মৌলবাদী ‘কমিউনিস্ট জগৎ’ বলা হতো। এখন ওরা আর আগের অবস্থানে নেই। সুতরাং পশ্চিমা জগত এখন দ্বীনদার মুসলমানদের মৌলবাদী বলে গালি দেয়া আরম্ভ করেছে। যে কোন ধর্ম, মতাদর্শ বা ইজমের উপর অনড় থাকার নাম মৌলবাদ হলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদী ধর্মনিরপেক্ষবাদী বা নাস্তিক্যবাদী এরা সবাই সহজ অর্থে মৌলবাদীই হয়।

 

        কিন্তু ‘প্রগতিশীল’ মুক্তচিন্তার লাগামহীন মানুষেরা তাদের সকল নীতি-নৈতিকতা, আদর্শ ও পদ্ধতিগত কেন্দ্রিকতা বিসর্জন দিয়ে শীতের ঝরাপাতার মতো ঘুরে ফিরে স্বার্থ হাসিল করা আর পশুর মতো জীবনকে উপভোগ করার পন্থা বেছে নিয়ে অমৌলবাদী হতে আগ্রহী। যাকে শিকরবিহীন,  “আগাছা”, বলা চলে। অতএব বুঝা গেলো, মৌলবাদ শব্দটি গালি হিসেবে প্রয়োগ করা হলেও এর মূল দাবীটি সম্পূর্ণ সঠিক এবং একজন মানুষের জন্য মৌলবাদী হওয়াটাই শোভনীয়। বিশেষ করে মুসলমানের পক্ষে দ্বীন ও ঈমানের, কুরআন ও সুন্নাহর মূলনীতির উপর অকম্পিত দৃঢ়তা ও অপরিসীম মজবুতি ছাড়া তার মুক্তি ও কামিয়াবীর কোন পথ নেই। অতএব, প্রত্যেক মুসলমানকে অবশ্যই মৌলবাদী হতে হবে।

 

*****

 

 

  • মোঃ হোজাইফা আল হিজাযী,

ইমামবাড়ী জামেয়া, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।

-----------------------------------------------------------------

       প্রশ্নঃ তসলিমা নাসরিনের বর্তমান অবস্থানের ঠিকানা এবং তার ‘লজ্জা’ উপন্যাসের বিসয়বস্তু বিস্তারিত জানালে খুশী হবো।

 

       উত্তরঃ তসলিমা নাসরিন ঢাকায় থাকেন। ১১৯/২ শান্তিবাগ তার বাসা। বর্তমানে বাসার আশেপাশে জোর পুলিশী টহলের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ‘লজ্জা’ উপন্যাসটির বিষয়বস্তু বাংলাদেশে কল্পিত হিন্দু নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। এ দেশের মুসলামনরা বাবরী মসজিদ ভাঙার পর নাকি হিন্দুদের ঘর-বাড়ী লুট করেছে। মন্দির ও পূজা মণ্ডপ চুরমার করে দিয়েছে। হিন্দু রমণীদের গণধর্ষণ করা হয়েছে ইত্যাদি কথা অত্যন্ত খেদ ও ক্ষোভের সাথে উপন্যাসের নায়ক নায়িকাদের মাধ্যমে বাঙময় রূপে তুলে ধরা হয়েছে তার ‘লজ্জায়’। বইটি বাংলাদেশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছেন। কিন্তু কলিকাতায় এটি শীতের গরম পিঠার মতো চলছে। বিশ্বহিন্দুপরিষদের সাম্প্রদায়িক পত্রিকা “পাঞ্চজন্য” -এর হিন্দী অনুবাদ প্রকাশ করছে। বালঠাকরে ও আদভানী এ বিইটির লাখ লাখ কপি ভারতীয় ভাষাসমূহে অনুবাদ করে ভারতের প্রতিটি হিন্দুর ঘরে পৌছে দেয়ার প্রয়াস নিবেন বলে জানা গেছে। এই বই কলিকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে পারে বলে ভারতীয় সাপ্তাহিক ‘কলম’ এক প্রতিবেদনে আশংকা ব্যক্ত করেছে। গোটা ভারতে মুসলমানের জান মাল হিন্দু পাশবিকতার শিকার হতে পারে এই লজ্জার কারণে। সত্যিই ‘তসলিমা’ দেশ জাতি ও মানবতার লজ্জা। মুসলিম নামের কলংক।

 

 

*****

 

  • মোঃ ফখরুল ইসলাম,

মাদ্রাসা দারুল উলুম মদনীনগর, সারুলিয়া, ঢাকা।

-----------------------------------------------------------------

        প্রশ্নঃ আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “তিনি শিরকের গুনাহ ব্যতীত অন্য সমস্ত গুনাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করবেন।” কিন্তু কেউ বলেন, তওবা করলে নাকি শিরকের গুনাহও মাফ হয়ে যায়। কথাটি কি ঠিক?

 

       উত্তরঃ আপনি আয়াতটির ভাবার্থ করেছেন। মূল অর্থ এরূপ নয়। এটি সূরা নেসার ৪৮ নং আয়াত। যাতে বলা হয়েছে, “ নিসন্দে আল্লাহ পাক ক্ষমা করবেন না, যে লােক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লােক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে সে যেন অপবাদ আরোপ করল।”

 

       আল্লাহ্ তা'আলার সত্তা ও গুণাবলী সম্পর্কে যেসব বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে, তেমন কোন বিশ্বাস কোন সৃষ্ট বস্তুর ব্যাপারে পোষণ করাই হল শেরক। যার দ্বারা ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। নতুনভাবে ঈমান আনা ব্যতীত যার সংশোধনের দ্বিতীয় কোন পথ নেই। তাই এই ধরণের শিরকের পাপ সাধারণ তওবা দ্বারা মাফ হয় না। এ ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা নিম্নে তুলে ধরা হলােঃ

 

        (১) কোন বুযুর্গ বা পীরের ব্যাপারে এমন বিশ্বাস পোষণ করা যে, আমাদের যাবতীয় অবস্থা সম্পর্কে তিনি সর্বদা অবহিত।

 

        (২) কোন জ্যোতিষ পণ্ডিতের কাছে গায়েবের সংবাদ জিজ্ঞেস করা কিংবা

 

        (৩) কোন বুযুর্গের বাক্যে মঙ্গল দেখে তাকে অনিবার্য মনে করে নেয়া অথবা

 

        (৪) আল্লাহর মত কাউকে দূর থেকে ডাকা এবং সাথে সাথে এ কথা বিশ্বাস করা যে, সে আমার ডাক শুনে নিয়েছে। অথবা

 

        (৫) কারো নামে রোযা রাখা।

 

ক্ষমতার ক্ষেত্রে শরীক করা অর্থাৎ কাউকে হিত কিংবা অহিত তথা ক্ষতি বৃদ্ধি সাধনের অধিকারী মনে করা। কারো কাছে উদ্দেশ্য যাঞ্চা করা। কারো কাছে রুযী রোযগার বা সন্তান-সন্ততি প্রার্থনা করা।

        এবাদতে শরীক সাব্যস্ত করাঃ কাউকে সেজদা করা, কারো নামে কোন পশু মুক্ত করা। কারো নামে মানত করা, কারো কবর কিংবা বাড়ী ঘরের তওয়াফ করা, আল্লাহ তা'আলার কোন হুকুমের তুলনায় অপর কারো কথা কিংবা কোন প্রথাকে প্রাধান্য দেয়া, কারো সামনে রুকু করার মত অবনত হওয়া, কারো নামে জীব কোরবানী করা, পার্থিব কাজ কারবার কিংবা বিবর্তনকে নক্ষত্রের প্রভাব বলে বিশ্বাস করা এবং কোন কোন মাসকে অশুভ মনে করা ইত্যাদি।

 

*****

 

 

  • আ, জা, মুশররাফ হুছাইন আখন্দ,

দেওভোগ মাদ্রাসা, নারায়ণগঞ্জ।

-----------------------------------------------------------------

        প্রশ্নঃ পেশাব করার পর শুধু পানি ব্যবহার করলে পুরোপুরি পবিত্রতা লাভ হবেকি?

 

       উত্তরঃ হ্যা, মহিলাদের জন্য পেশাব করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পানি ব্যবহার করলেই চলে। কিন্তু পুরুষের বেলায় কুলুখ ব্যবহার করা আবশ্যক। পুরুষের জন্য যতক্ষণ না পেশাবের কাত্রা বন্ধ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কুলুখ ব্যবহার করে মনের সম্পূর্ণ এতমিনান হাছেল করা ওয়াজিব। সাধারণত পুরুষের জন্য পেশাবের ডিলার দ্বারা কুলুখ লওয়া সুন্নত এবং পানি ব্যবহার করা মোস্তাহাব। আর পেশাব যদি পেশাবের রাস্তা অতিক্রম করে এবং তা যদি এক দেরহাম থেকে বেশী না হয়, তবে পানির দ্বারা ধৌত করা ওয়াজিব। এক দেরহাম থেকে কিঞ্চিৎ বেশী অতিক্রম করলে পানি দ্বারা ধৌত করা ফরয। পেশাব থেকে উত্তমরূপে পবিত্রতা লাভ না করা গুনাহে কবীরা। এর জন্য কবর আযাব হয়। পেশাবের কাত্রা বন্ধ হওয়ার পূর্বে ওযু করলে ওযুও হবে না এবং নামায হবে না।

 

*****

 

 

  • মোঃ ফয়জুল্লাহ বরিশালী,

মদীনাতুল উলুম টেকেরহাট, উত্তরপাড়, গোপালগঞ্জ।

-----------------------------------------------------------------

        প্রশ্নঃ আলেম ব্যক্তিকে ‘মাওলানা’ বলা হয়। মাওলানা শব্দের অর্থ কি? মাওলানা অর্থ যদি প্রভু হয় তাহলে আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে মাওলানা বা‘ আমাদের মাওলা’ বলা কি উচিত কি?

 

       উত্তরঃ আবরী ভাষায় ‘মাওলা’ শব্দটির অর্থ অনেক। মাওলা অর্থ একই সাথে প্রভু, মান্যবর, গোলাম, অভিভাবক ও সহচর ইত্যাদি। আল্লাহ তা'আলার উদ্দেশ্যে যখন ‘মাওলা’ বলা হবে তখন এর অর্থ হবে প্রভু। হযরত নবী করীম ﷺ কে যখন ‘মাওলা’ বলা হবে তখন এর অর্থ হবে মান্যবর বা অভিভাবক, হাদীস শরীফে 'মাওলা’ শব্দটি ক্রীতদাস বা গোলামের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন, সালেম মাওলা আবি হোসায়দা (রাঃ)।

বাংলাদেশ সহ উপমহাদেশে উলামা সমাজের নামে জনগণের পক্ষ হতে শ্রদ্ধা ও সম্মানসূচক যে উপাধিটি সংযুক্ত করা হয় তা হলো ‘মাওলানা’। এর অর্থ মুসলিম জনসাধারণের ধর্মীয় অভিভাবক। অতএব, তাদেরকে ‘মাওলানা’ বলাটা কোন দোষের বিষয় নয়।

 

 

*****

  • মোঃ মিজানুর রহমান,

জামেয়া ইসলামিয়া জুড়ী, মৌলভী বাজার।

-----------------------------------------------------------------

        প্রশ্নঃ ফাহিকের সংজ্ঞা কি? দলিল সহকারে জানতে চাই এবং ফাসেকের পিছনে নামায পড়া কি?

 

       উত্তরঃ শরীয়তের পরিভাষায় ওয়াজিব তরককারীকে ফাছিক বলা হয়। কুরআন ও হাদীসে এই শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এর শাব্দিক অর্থ, পাপি, পাষণ্ড ও নীতিচ্যুত। ফাসিক ব্যক্তির পিন্ধনে নামায আদায় করা মাকরূহ।

 

*****

 

 

 

  • আমান উল্লাহ ভূইয়া (আমান),

গ্রাম ও পোঃ মাশিকাড়া, ভুইয়া বাড়ী, দেবিদ্বার, কুমিল্লা

-----------------------------------------------------------------

        প্রশ্নঃ আমি একটি মেয়েকি বিয়ে করার জন্য ‘কসম’ করি। কিন্তু অল্পদিন আগে অন্য একটি ছেলের সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। আমার এই ‘কসম’ ভঙ্গ হওয়ার জন্য কোন গুনাহ হবে কি?

 

       উত্তরঃ আল্লাহর জাত ও গুনবাচক কোন একটি নাম সহ ভবিষ্যতের কোন কাজ বা বিষয়ের ব্যাপারে যদি কসম খায় অথবা যদি শুধু ‘কসম’ শব্দ উচ্চারণ করে বলে ‘কসম’ করে বলছি, করবই বা করবই না। তবে কসম পতিত হয়ে যাবে। তার জন্য তা করা বা না করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। ইচ্ছাকৃতভাবে কসমের খেলাফ করা কবিরা গুনাহ। ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কসম ভঙ্গ হলে কাফফারা দিতে হয়। কাফফারা হলাে, দশজন মিসকীনকে দু'বেলা পেট ভরে খাওয়ান। অথবা প্রত্যেক মিসকীনকে ৮০ তোলা সেরের এক সের বার ছটাক গম বা তার মূল্য দেওয়া। চাউল বা ধান দিলে গম বা যবের মূল্য হিসাবে দিবে। না হয় দশজন মিসকনিকে লুঙ্গি ও জামা দিবে। আর মেয়ে লােককে এখখানা শাড়ী দিলে চলে। আপনার কসম ভঙ্গ হওয়ার জন্য এই নিয়মে কাফফারা দিতে হবে। নতুবা এর জন্য আপনাকে খোদার কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

 

 

*****

 

 

 

  • আবু আব্দুল্লাহ,

চাটখিল বাজার,  নোয়াখালী।

-----------------------------------------------------------------

        প্রশ্নঃ বই বিক্রেতা এবং সংবাদপত্র এজেন্ট হিসেবে বিক্রয়ের জন্য আনীত বই-পুস্তক বা পত্র-পত্রিকা বিক্রয়ের পূর্বে পড়া জায়িয কি?

 

       উত্তরঃ বিক্রয়ের জন্য যা দোকানে তুলেছেন আপনি যদি সে সবের মালিক হন তবে বিক্রয়ের পূর্বেও এর দ্বারা উপকৃত হওয়া যাবে। মালিক বিক্রয়ের জন্য আনীত বই ও পত্র-পত্রিকা বিক্রি করার পূর্বে পড়তে পারবে।

 

*****

 

 

  • মুহাঃ সায়ীদ আহমেদ,
  • দারুল আমান (৩ য় তলা) রুম নং ২৫,
  • দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

-----------------------------------------------------------------

       প্রশ্নঃ সেন্ট ব্যবহারে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন বাঁধা আছে কি?

 

       উত্তরঃ সেন্ট যদি পবিত্র হয় তবে তো তা ব্যবহারে অসুবিধা থাকার কথা নয়। তবে সাধারণত সেন্ট তৈরীতে বিড়ালের ঘাম ব্যবহার হয় বলে জানি। যা অবশ্যই পবিত্র নয়। তাই সেন্ট ব্যবহার করা উচিত নয় বলেই মনে করি।

 

*****

 

 

  • ইমরুল কায়েস মোঃ মঈনুদ্দীন ইবনে আবুল কাসেম,

নাছির মোহম্মাদ বাড়ী, জাহানপুর।

-----------------------------------------------------------------

       প্রশ্নঃ ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সঃ) -এবং সীরাতুন্নবীর ﷺ -এর মধ্যে পার্থক্য কি? মিলাদুন্নবীর আগে ঈদ শব্দ ব্যবহার করা দোষের কি?

 

       উত্তরঃ মিলাদুন্নবীর অর্থ হলো রাসূলের জন্ম দিবস। এর সাথে ‘ঈদ’যোগ হলে অর্থ দাড়ায় তাঁর জন্মদিবসের ঈদ বা আনন্দঘন জন্ম উৎসব। এটা দোষের তেমন কিছু নয়। তবে প্রশ্ন হলাে, নির্দিষ্ট একটি দিনকে (১২ ই রবিউল আউয়াল) ঈদে মিলাদুন্নবী বলা হয়। ১২ ই রবিউল আউয়ালকে ঈদে মিলাদুন্নবী মানাহলে ওই দিনকে তো রাসূলের ইন্তেকালের শোক দিবসও মানা উচিত। কেননা তার আবির্ভাব ও তিরোধান তো একই তারিখে হয়েছে, তা মানা হয় না কেন? ওই দিনটি ঈদ হলে শোক দিবসও তো হওয়ার দাবী রাখে। অথচ তা করা হয় না। তা বলাও হয় না। অতএব ঈদে মিলাদুন্নবী শব্দটি একপেশে ও অসম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে। তাই এ ব্যাপারে সীরাতুন্নবী শব্দটিই অধিক প্রযোজ্য। যার দ্বারা রাসূলের আবির্ভাব-তিরোধানসহ তাঁর জীবনের সব কিছু বুঝায়। তাছাড়া নির্দিষ্ট দিনে অমুসলিমদের নিয়মে কারও জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করা ঠিক নয়। সাহাবীগণ তাদের সময় রাসূল ﷺ -এর জন্ম ও মুত্যু দিবস পালন করছেন বলে কোন প্রমাণ নেই। তাই কোন ক্ষেত্রে এটা বেদায়াতের পর্যায়ে এসে দাড়ায়। এরূপ রুসুম রেওয়াজ থেকে বেঁচে থাকা চাই।

 

*****

 

 

  • মোঃ ওমর আলী,

সাং- আলগাদিয়া, নগরকান্দা, ফরিদপুর।

-----------------------------------------------------------------

       প্রশ্নঃ তাবলীগ জামাতের জনৈক মোবাল্লেগ সাহেব বলেছেন, হুযূর ﷺ -এর সাথে যে শয়তান ছিলাে সে নাকি মুসলমান হয়ে গিয়েছিলাে। কথাটি কি ঠিক?

 

       উত্তরঃ কথাটা তা নয়। কথাটা হলাে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক মানুষের সাথে একজন ফেরেশতা ও একজন শয়তান নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ফেরেশতা তাকে নেক কাজের পরামর্শ দেয় এবং শয়তান তাকে অপকর্মে উদ্বুদ্ধ করে।” এই কথার প্রেক্ষিতে সাহাবীগণ রাসূল ﷺ -কে জিজ্ঞাসা করেন, “আপনার জন্যও কি?” এর উত্তরে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমার বেলায়ও, তবে আমার সাথে লেগে থাকা শয়তানটা আমার অনুগত হয়ে গেছে, সেও আমাকে ভালাে কাজের পরামর্শ দেয়।” মুসলিম শরীফে বর্ণিত এই হাদীসটিতে ব্যবহৃত “আল্লামা” শব্দের অর্থ ইসলাম কবুল করা নয় বরং অর্থ হলাে, অনুগত হয়ে যাওয়া।

 

*****