আপনি জাঁনেন কি?
দাড়ি রাখলে মুখে ক্যান্সার হয় না
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, দাড়ি রাখল মুখন্ডলের দু'গালে তীব্র সূর্যালোক পড়তে পারে না। ফলে মুখমন্ডল সূর্যালোক জনিত ক্যান্সার হওয়ার আশংকা প্রায় থাকে না।
মৌমাছির অত্যাচার
পানামায় এ বছরের প্রথম চার মাসে আফ্রিকান মৌমাছির দংশনে ১শ' ৩০ জনেরও বেশি লোককে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়েছে: একই সময়ে মৌমাছির দংশনে প্রায় ১ হাজার গৃহপালিত প্রাণী মারা গেছে। পানামায় ১৩শ' কোটি আফ্রিকান মৌমাছি আছে। এগুলো পানামার জন্য মারাত্বক বিপদের কারণ। এদের দমন করার জন্য জরুরি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ১৯৮২ সালে এগুলো পানামায় আসে। এদের কামড়ে এ পর্যন্ত ৫ জন লোক মারা যায়। কয়েক হাজার হাসপাতালে ভর্তি হ়য়। গরু, ঘোড়া, কুকুর ও মুরগির মতো অনেক প্রাণী এদের দংশনে মারা যাচ্ছে।
শিশু অর্চিনের বাসস্থান
ক্যাঙ্গারুর গর্ভস্থ বাচ্চা মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে এসে মায়ের দুধ খেয়ে গর্ভে ফিরে যায়। প্রসবের আগ পর্যন্ত তারা এ কান্ডটি চালিয়ে যায়।
এমনি ধরনের আরেকটি আজগুবি কান্ড ঘটে সামুদ্রিক প্রাণী অর্চিনের বেলায়। স্ত্রী অর্চিন পাঁচটা পর্যন্ত বড় ডিম উৎপাদন করে। গর্ত থেকে ডিমগুলো স্থানান্তরিত হয় তার শরীরের আরেকটি অঙ্গ-ব্রন্ড পাউচ বা লালন থলিতে। এখানে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয়। এ লালন থলিও অনেকটা গর্ভসদৃশ জায়গা। বাচচাগুলো ৪ মিলিমিটার দীর্ঘ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে গর্ভের দ্বিতীয় স্থান থেকে বেরুতে দেয়া হয় না। বাচ্চাদের মাঝে চলে ফিরে খাওয়ার যোগ্যতা তৈরী হলে গায়ে দীর্ঘ কাটা দেখা দেয়। এ সময় ক্ষুদ্র জন্মনালী দিয়ে বের হয়ে আসে শিশু অর্চিনগুলো। গর্ভ থেকে জন্মনালী দিয়ে বের হয়ে আসার কাজে শিশুর গায়ের কাটাগুলো ব্যবহার কৰে।
পূর্ব এশিয়ায় এইডস্ রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ
পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক-এর বিভিন্ন অঞ্চলে কম-বেশী পৌনে তিন লাখ মানুষ মরণব্যাধি এইড্স-এ আক্রান্ত। সময়মত সাবধানতা অবলম্বন না করলে শতাব্দীর শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ৫ লাখে পৌঁছে যাবে বলে আশংকা ব্যক্ত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ সংস্থার পক্ষ থেকে প্রচারিত এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। রিপোর্ট মোতাবেক এইডস আক্রান্ত পৌনে তিন লাখ মানুষ ব্যতীত আরো ৭ হাজার লোক এমন আছে, অচীরেই যারা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে, এ পরিসংখ্যানে থাইল্যান্ড, বার্মা ও ভারতের এইডস রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিশ্বে আবশ্যক ও অনাবশ্যক কাজে ব্যয়ের হিসাব
ইউনিসেফ এর অবজেক্টিভ ডাইরেক্টর করোল বিলামী বলেছেন, সমগ্র বিশ্বে শিশুদের স্বাস্থ্য ও লালন-পালনে বছরে মাত্র ২৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়। এর মধ্যে খাদ্যের জন্য ১৫ বিলিয়ন ডলার, প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ৬ ডলার এবং পানি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়। অপরদিকে অনাবশ্যক কাজে ব্যয়ের তালিকা নিন্মরূপঃ
* গলফ-এ ৪০ বিলিয়ন ডলার * মদপানে ২৪৫ বিলিয়ন ডলার * বিড়ি-সিগারেটে ৪০০ বিলিয়ন ডলার * প্রচার-প্রোপাগান্ডায় ২৫০ বিলিয়ন ডলার এবং * সামরিক খাতে ৮০০ বিলিয়ন ডলার।
এই ১৭৩৫ বিলিয়ন ডলার অনাবশ্যক ব্যয়ের মোকাবেলায় শিশুদের স্বাস্থ সংরক্ষণ,লালন-পালন ও শিক্ষা খাতে যে অর্থ ব্যয় করা হয়, তার পরিমাণ দাড়ায় মাত্র ১,৬ শতাংশ। অথচ প্রতি বছর ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যায়।
জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, অনাহার,অর্ধাহার ও দারিদ্রের কারণে প্রতি বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১৩ থেকে ১৮ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এভাবে দৈনিক ৫০ হাজার এবং ঘন্টায় দুই হাজার মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে, সমগ্র বিশ্বের মোট বসতির ২০ শতাংশ মানুষ সীমাহীন অর্থাভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পাঁচ বছর পর্যন্ত বয়সের ৫০ কোটি শিশুর ওজন নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অনেক কম। জাতিসংঘের রিপোর্ট মোতাবেক ক্রমবর্ধমান এই দরিদ্রের হার ২০২৫ সাল নাগাদ ১.৫ বিলিয়নে পৌঁছে যাবে। বর্তমানে এর হার ১.২ বিলিয়ন।
সংগ্রহঃ মুহিউদ্দীন