JustPaste.it

নবীন মুজাহিদদের পাতা

===================================================================

 

খোলা চিঠি

একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশায়

মোহাঃ ওলিউল্লাহ

লালমাটিয়া মাদ্রাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

----------------------------------------------------------------

        একটি সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন সদা ঘুরে বেড়ায় আমাদের কল্পনার আকাশে, আর আমাদের তামান্নারা দেখতে চায় সে সোনালী স্বপ্রের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। তবে সুন্দর পৃথিবী গড়তে প্রয়োজন বহু সাধনা ও কষ্ট-ক্রেশ, প্রয়োজন একদল আদর্শ মানুষ ও সুন্দর সমাজ। কেননা মানুষ নিয়েই সমাজ, আর সমাজের সমষ্টিই হল পৃথিবী। তাই সুন্দর পৃথিবী গড়তে হলে প্রথমে মানুষের মনের কালিমা, সরান বিশ্বাস বিদূরীত করে সেখানে জ্বালাতে হবে জমান, তাওহীদ ও তাওয়াক্কুল-এর আলো, বাধতে হবে সবার হৃদয়কে মঙ্গলকামিতা আর সহমর্মিতার অটুট বন্ধনে। মানুষের চরিত্রকে সংশোধন করে সবাইকে আমলে সালেহার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

 

        সাথী বন্ধুরা! আজ হতে চৌদ্দশ বছর পূর্বে মহানবী ﷺ এমনই এক সুন্দর সমাজ উপহার দিয়েছিলেন বিশ্বমানবতাকে। কেমন ছিল-সে সমাজটি জান তোমরা, আর কাদের নিয়ে সে সমাজটি গড়ে উঠেছিল? হ্যাঁ! আবু বকর, উসমান, তালহা, উসামা, আসমা ও যয়নব (রাঃ)দের মত একদল শুভ্র-হদয় মানুষ নবীজি (সাঃ)-এর দক্ষ তারবিয়্যাত ও অক্লান্ত সাধনায় এ সমাজটি উন্নীত হল আদর্শের সােপানে। আমার মনে চায়, এরূপ সমাজ নিয়ে গড়া এক সুন্দর পৃথিবীর অধিবাসী হতে, যেখানে থাকবে না আত্মঘাতী যুদ্ধের বিষাক্ত ছােবল, যে পৃথিবীর মিনারে মিনারে ধ্বনিত হয় আযানের মন মাতানাে সূর, যেখানে মানুষ শীর ঝুকায় শুধু এক আল্লাহর দরবারে, যেখানে গরীব-ধনীর মাঝে নেই কোন বাঁধার বিন্ধ্যাচল।

 

        আমি চাই এমন এক পৃথিবীর বিমল হাওয়ায় শ্বাস নিতে, তােমাদের মনেও এ তামান্নারা মিছিল করে, তাইনা সাথীরা? তাহলে আসাে, মায়া’জ, মুআ’জের আদর্শ নিয়ে আমরা শরীক হই সুন্দর সমাজ গড়ার শহীদী মিছিলে। আর শপথ নেই এ কথার, নিজেকে গড়ে তুলব কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে, সদা সৎকাজেই আমার সময় ব্যয় করব। তৎসঙ্গে আমার প্রতিবেশী বন্ধু-বান্ধব ও ছােট ভাই বােনেেক নামায, সত্য ও উত্তম চরিত্রের প্রতি উদ্বুদ্ধ করব এবং অসৎকাজে বাঁধা প্রদান করব। দেখবে, আমাদের কচি হাতের এ ক্ষুদ্র সাধনা, কচি হৃদয়ের এ স্বপ্নিল বাসনা প্রস্ফুটিত কুসুমের ন্যায় ইসলামী খিলাফত ও সুন্দর পৃথিবীর রূপ ধরে একদিন প্রকাশ পাবে।

 

        চলরে চলরে চল।

                মানবতার মুক্তি কামীদল,

        তােদের এ বাসনা তােদের এ কামনা

                একদিন হবেরে স্বার্থক সফল।

 

═──────────────═

 

 

 

গল্পনয়

জ্যোতির্ময় আদর্শ

আকবর আলী

কামরাঙ্গির চর, ঢাকা

-----------------------------------------------------------------

        রােগ শৰ্য্যায় শায়ীত সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাঃ)। কয়েকদিন যাবত খাওয়া নেই, দাওয়া নেই সব কিছুই বিস্বাদ লাগে। কিছুই মুখে রুচে না তাঁর। অনাহারে অনাহারে তার শরীরের লাবণ্য আর পুষ্টতা মিলিয়ে গেছে। তবুও খাদ্যের প্রতি অনিহা ভাব কাটেনি। এদিকে স্বামীর রােগে আব্দুল্লাহ বিন উমরের স্ত্রী ভীষণ চিন্তিত। সারাক্ষণ নানা দুশ্চিন্তা তাকে ভাবিয়ে তােলে। কারণ কখন যে কি হয়ে যায় তাতাে বলা যায় না। অদৃশ্যের খেলা কেউ জানেনা। বিধাতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারাে হাত নেই। তবুও শেষ চেষ্টাটুকু তিনি করে যাচ্ছেন। রাত-দিন স্বামীর সেবা শুশ্রুষায় নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন। এরই মাঝে একদিন আব্দুল্লাহ বিন উমর মাছ খেতে চাইলেন। স্বামীর খাওয়ার বাসনা স্ত্রীর মনে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে দেয়। কিন্তু মরু বিয়াবানের দেশে মাছ পাওয়া যে এক দুঙ্কর ব্যাপার। যেখানে বালিয়াড়ির পর বালিয়াড়ি, ধু ধু মরু সীমানা চলে গেছে দিক চক্রবাল ছাড়িয়ে এখানে মাছ পাওয়ার আশাই বৃথা। তাঁর আশার প্রদীপ যেন স্থিমিত হয়ে যাচ্ছিল। এদিকে আব্দুল্লাহ বিন উমরের বন্ধু মহল ও শুভাকাংখীরাও কম চিন্তিত নন। তারা বিভিন্ন জায়গায় খোজা খুঁজি করতে লাগলেন।

 

        অবশেষে বহু চেষ্টা তদবীরের পর একটি মাত্র মাছ মিললাে। আব্দুল্লাহ বিন উমরের স্ত্রী মাছটি আনন্দের সাথে গ্রহণ করলেন। মনের সকল মাধুরী, অভিজ্ঞতা আর দক্ষতা দিয়ে মাছটি পাকালেন। খুসবুতে সারা বাড়ী মৌ মৌ করতে লাগলাে, গৃহ সুবাসিত হয়ে উঠলাে। সে কি সৌরভ। আব্দুল্লাহ বিন উমরকে আজ বেশ হাসি খুসি মনে হচ্ছে। তিনি সবিনয়ে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মাছটি তুলে মুখে নিচ্ছিলেন। অমনি তার কানে ভেসে এলাে এক আতধ্বনি। মা! বড্ড ক্ষিধে পেয়েছে। খাওয়ার আছে কিছু? ভিক্ষুকের করুণ কণ্ঠস্বর তার মনে এক ভাবান্তরের ঝড় বইয়ে দিলাে।

 

        সারা শরীর রােমাঞ্চিত হয়ে ওঠলো। অশ্রু ছল ছল নয়নে আস্ত মাছটি তিনি। ভিখারীর হাতে তুলে দিলেন। স্ত্রী স্বামীর এ কাণ্ড দেখে তাে অবাক। বিস্ময়ের বিমুঢ়তায় থ মেরে রইলেন ক্ষণকাল। যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে তার মাথায়। রাগে ক্রোধে আর ক্ষোভের প্রচণ্ডতায় অধৈর্য হয়ে পড়ছিলেন। কিন্তু পরম শ্রদ্ধেয় স্বামীকে কি আর কটু কথা বলা যায়? তাই নিজেই নিজেকে সামলে নিয়ে কোমলতার আদ্রতা দিয়ে স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন, একি করলেন আপনি? মিসকিনকে দান করার মত তাে ঘরে আরাে অনেক কিছুই ছিল। এতাে কষ্ট এতাে তালাশের পর অর্জিত মাছটি দিয়ে দিলেন? ও থেকে একটু খেলেও তাে মনকে প্রবােধ দিতে পারতাম। কত দিন হলাে কিছুই মুখে দিচ্ছেন না। ভাবছিলাম, আজ একটু খাবেন। কিন্তু হায়.......। এতােক্ষণে আব্দুল্লাহ বিন উমর মুখ খুললেন। স্ত্রীর কাছ থেকে এ রকম কিছু আগেই তিনি আঁচ করতে পেরেছিলেন বৈকি। তিনি বললেন, ছিঃ একি বলছাে তুমি? প্রিয় হাবীব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের হাদীসের বাণী কি তুমি শােননি? তিনি বলেছেন, “এমন ব্যক্তি কখনাে মােমেন হতে পারে না যে পর্যন্ত সে নিজের জন্য যা ভাল বাসে ঠিক তাই অপর মুসলিম ভাইয়ের জন্য ভাল না বাসে।”

 

        এখন তুমিই বল! নিজের জন্য যা কামনা করি ঠিক তাই অপর মুসলিম ভাইয়ের জন্য যদি কামনা না করি তাহলে মুসলমান হতে পারব? সুতরাং এতে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে? আমি তাে প্রিয় হাবীব রাসূল (সাঃ) এর হাজারাে বাণীর একটির অনুসরণের চেষ্টা করলাম মাত্র।

 

═──────────────═

 

 

 

তােমাদের কবিতা

সুখ সন্ধান

মাহবুবুল হক লােকমান

---------------------------------

মানুষের সুখ নাহি শেষ হয়ে যায়,

                                যতই সে পায় ততই সে চায়।

 

ছােট হউক চাই সে, নয় খুব বড়,

                      সবাইতাে চায় শুধু ধন-মান আরাে!

 

দুনিয়াটা গড়ে শুধু সুখে-দুঃখে মিলিয়া 

                                তাই! দুঃখ বিনা সুখ নাহি পাব মােরা খুঁজিয়া।

 

তবু যেন সুখ নাহি জগৎ জুড়িয়া,

                                আমরা যে আছি ভাই আধারেতে পড়িয়া।

 

হে বন্ধু! সুখ সন্ধানে যদি সফল হতে চাও,

                                তবে শােন! প্রিয় মাওলার বন্ধু বনে যাও।

 

═──────────────═

 

 

আল্লাহর হুকুম

মােঃ আবুল হাসানাত খান

------------------------------

আসুন আমরা স্মরণ করি

                               সবাই মিলে নামাজ পড়ি

ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত নিয়ে

                               মুসলমানীর ভিত্তি করি।

 

আল্লাহর হুকুম মানবে যারা

                               পূর্ণ মুসলিম হবে তারা,

নামাজ পড়া খােদার হুকুম

                               মানবে যারা পাইবে গুণ।

 

অলসতা করছে যারা

                               দুঃখেতে পড়ছে তারা।

 

১৪ ফরজ স্মরণ করে

                               নামাজ ধরাে শক্ত করে।

 

শরীর পাক, কাপড় পাক

                               জায়গা নিবে পাক সাফ।

 

কেবলা মুখী নিয়ত করি

                               সময় মত নামাজ পড়ি।

 

কিয়াম করে তাকবির বলি

                               কেরাত পরে রুকু করি।

 

সিজদা করে বৈঠক করি।

                               সালাম দিয়ে শেষ করি।

 

═──────────────═