JustPaste.it

ধারাবাহিক উপন্যাস

 

মরণজয়ী মুজাহিদ

মল্লিক আহমাদ সরওয়ার

=======================================================================

 

        দুপুরের দিকে আলী ও তার সাথীরা কমান্ডার ওমরের মারকাজে পৌছে গেল। প্রবেশ পথে দাড়ানাে পাহারাদারকে নিজেদের পরিচয় প্রদান করার পর পাহারাদার তাদেরকে কমান্ডার ওমরের খ্রিমায় পৌছিয়ে দেয়। কমান্ডার ওমর আফগান সরকারী সেনা বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ছিলেন। রুশ সেনাদের অবৈধভাবে আফগানিস্তানে দখলদারীর পর তিনি সেনা অফিসারের পদ ত্যাগ করে মুজাহিদদের সাথে যােগ দেন। প্রথম থেকেই তিনি এই মারকাজের দায়িত্বশীল। এই মারকাজের অধীনে অনেক গুলি ছােট ছােট মারকাজ রয়েছে। কমান্ডার ওমর আলীকে নিজের কাছে বসিয়ে তার খবরা খবর নেন। তিনি বলেন, “তােমার আগমনের খবর আমি ওয়ারলেসে পেয়েছি। সে অনুযায়ী আরাে দু'দিন পূর্বে তােমার এখানে পৌছার কথা। এই দুদিন পর্যন্ত আমি পথে তােমার কোন অসুবিধা হয়েছে কিনা ভেবে চিন্তিত ছিলাম”

 

        আলী পথিমধ্যে সংগঠিত সকল ঘটনা তাঁকে খুলে বললাে। যার কারণে তার পৌছতে দু'দিন দেরী হয়েছে। সব কথা শুনে কমান্ডার বললেন, এটা ঠিক যে,তুমি পথিমধ্যে অনেক ভালাে কাজ করে এসেছে। কিন্তু চীফ কমান্ডারের হুকুম তালিম করা তােমার একান্ত কর্তব্য ছিল।যা হােক, তুমি এখানে দু'দিন বিশ্রাম করার সুযােগ পেতে । কিন্তু পথিমধ্যে সে দু'দিন অতিবাহিত হওয়ায় তােমাকে কালই মারকাজে হায়দারে পৌছিয়ে দেয়া হবে। সেখানে থেকে তুমি তােমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। ওখানে তােমাকে জানানাে হবে, কি ভাবে শহরে প্রবেশ করবে এবং কোন বেশ ধারণ করবে। আলী কমান্ডার ওমরের কথায় সম্মতি জানিয়ে রাতের বিশ্রামের জন্য এক খিমায় প্রবেশ করে।

 

        রাত তিনটার সময় আলীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। হঠাৎ শােরগােল শুনে খিমার বাইরে এসে দেখে, সকল মুজাহিদ তড়িঘড়ি বুট, কোট পরে তৈরী হচ্ছে, মনে হচ্ছিল তারা কোন আক্রমণে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।আলী তাড়াতাড়ি বুট পরে হাতে ক্লাসিকভ নিয়ে প্রথমে ম্যাগজিন চেক করলাে। এর পর কমাণ্ডার ওমরের কাছে এসে তাকে মুজাহিদদের প্রস্তুতির কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কয়েক মিনিট পূর্বে ওয়ার্লেসের মাধ্যমে অন্য এক গ্রপের মুজাহিদরা খবর পাঠিয়েছে যে, রুশ সৈন্যরা তাদের মারকাজে আক্রমণ চালিয়েছে। ওরা চারিদিক থেকে তাদের মারকাজ ঘিরে ফেলেছে। জরুরী ভাবে তারা আমাদের সাহায্য চেয়েছে। আমরা তাড়াতাড়ি তাদের সাহায্যে এগিয়ে না গেলে দুশমনরা মারকাজ দখল করে ফেলবে। ওরা সকল মুজাহিদকে শহীদ করে দিবে। মারকাজ থেকে তাদের একজনেরও বের হওয়ার কোন রাস্তা খােলা নেই। আলী এই যুদ্ধে কমান্ডারের সাথে যাবার অনুমতি চাইলে তিনি তাকে বললেন, তুমি ক্লান্ত,উপরন্তু মেহমান।

 

        আজ বিশ্রাম নাও আলী এর পরও তাকে সাথে নেবার জন্য অনুরোধ জানাতে থাকলে অগত্যা তিনি তাকে সাথে নিতে রাজী হন।

 

        দেড় ঘন্টা চলার পর মুজাহিদরা একটা পাহাড়ের পাদদেশে এসে একত্রিত হয়। এখান থেকে কমান্ডার ওমর যুদ্ধরত মারকাজের সাথে ওয়ালেসের মাধ্যমে যােগাযােগ স্থাপনের চেষ্টা করলেন। কিন্তু যােগাযােগ করা সম্ভব হল না। তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। অথচ ভােরের আলাে ফোটার পূর্বেই শত্রু বেষ্টনিতে আটকে পড়া মুজাহিদদেরকে উদ্ধার করতে হবে। দেরী হলে তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। তিনি আলীর হাতে ওয়ারলেস দিয়ে বললেন, তুমি চেষ্টা করে দেখাে, যােগাযােগ করতে পারে কিনা। অতপর সবাইকে লক্ষ করে তিনি বলেন, এই মুজাহিদরা প্রথম বারের মত আমাদের সাহায্য চেয়েছে, যদি আমরা তাদের উদ্ধার না করতে পারি তবে মুখ দেখানাের জায়গা থাকবে না। ইতিমধ্যে আলী ওয়ারলেসে যােগাযােগ কায়েম করে, সেটটি কমান্ডার ওমরের হাতে দিল । কমান্ডার ওমর প্রথমে তাদের অবস্থা এবং দুশমনদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করলেন। তিনি তথ্যগুলি একটুকরাে কাগজে টুকে নেন।

 

        কথা শেষ করে একটি বাগানের ওপর টর্চের আলাের সাহায্যে নকশা একে কয়েকজন মুজাহিদদের সাথে কিভাবে আক্রমণ চালানাে যায় সে ব্যাপারে পরামর্শে বসেন। আলী ও আলােচনায় যােগ দেয়। কমান্ডার ওমর বললেন, এ মারকাজের দশজন মুজাহিদ ইতিমধ্যে শহীদ হয়েছে এবং পনেরজন আহত অবস্থায় আছে। বাদবাকী আঠারােজন মুজাহিদ জীবন বাজি রেখে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সীমিত গােলাবারুদও শেষ হওয়ার পথে। বড় জোর আর এক ঘন্টা তারা লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে। মারকাজের দক্ষিণ দিকে দুশমনের সৈন্যসংখ্যা সব চেয়ে বেশী এবং তারা ট্যাঙ্ক বহরের সাহায্যও পাচ্ছে। দুমশনদের ধারণা, মুজাহিদরা কেবল দক্ষিণ দিক থেকে সাহায্য পেতে পারে, এজন্যই তারা সে দিকে বেশী সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে। আর তাদের ধারণাও ঠিক। মুজাহিদদের নিকট পূর্ব দিক থেকে কোন সাহায্য পৌছানাে সহজ নয়। কেননা, ওদিকে সারি সারি মরিচায় সৈন্যরা পজিশন নিয়ে আছে। অন্য দিকে দক্ষিণ দিকের তুলনায় কম সৈন্য থাকা সত্ত্বেও সে দিকে মুজাহিদদের কোন মারকাজ না থাকায় সেদিক থেকে সাহায্য পাবার সম্ভাবনা নেই। দুশমনরা এসব ভেবেই আক্রমণ করেছে। উত্তর দিক হতে দুশমনরাও কোন আক্রমণ চালায়নি। তবে ঐ দিক দিয়ে আমাদের আক্রমণ করা আত্মঘাতি কাজ হবে। কেননা উত্তরে চার মাইল দূরে রুশ সৈন্যদের ছাওনী। ঐদিক থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যে তারা সাহায্য পাবে।

 

        আর দুশমনদেরও পরিকল্পনা হলাে দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ চালানাে। ফলে মুজাহিদরা উত্তর দিকে পালাবে, আর সেদিক থেকে অতি সহজে তাদেরকে গ্রেফতার করা যাবে। বাকী থাকে পশ্চিম দিক। প্রথমত পশ্চিম দিক উত্তর ও দক্ষিণ দিকের সৈন্যদের গুলীর পাল্লার মধ্যে। দ্বিতীয়তঃ ঐ দিকের পাহাড় একদম পরিষ্কার। আড়াল নেয়ার মত কোন ঝােপ ঝাড় বা বড় পাথরও নেই। উপরন্তু ঐ দিকে দুশমনরা আলাের গােলা নিক্ষেপ করছে। যদি ওদিক থেকে মুজাহিদরা পালাবার চেষ্টা করে তবে তাদের ওপর তােমার সাথে সাথে গুলীও বর্ষণ করা হবে। অতএব এদিক থেকে হামলা করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এদিকটা বাদ দিয়েই আমাদেরকে চিন্তা করা উচিত। কেননা, এদিকের পাহাড়গুলােও খাড়া। আমরা সংখ্যায় মাত্র ষাট জন । অপর পক্ষে কেবল, দক্ষিণ দিকেই দুশমনের সংখ্যা পাঁচ থেকে সাত শ'র মত। এখন আপনারা বলুন, কিভাবে আক্রমণ চালানাে যায়? এক একজন এক এক রকমের পরামর্শ দিল। অবশেষে আলী বল্লো,আপনাদের চেয়ে এ ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা খুবই কম, তা সত্ত্বেও আমার মনে হয়, আমরা সবাই এক দিকে হামলা না করে চল্লিশজন মুজাহিদ দক্ষিণ দিক থেকে আক্রমণ চালালে ভালাে হয়। বাকী বিশজন উত্তর দিকের পােস্টের ওপর আক্রমণ করলে আটকে পড়া মুজাহিদদের বের হয়ে আসার রাস্তা তৈরী করতে সক্ষম হবে।

 

        কিন্তু বিশজন মুজাহিদ নিয়ে উত্তর দিক থেকে আক্রমণ করাতাে আত্মহত্যার সামিল। কম করে হলেও দুশমনের একশত সৈনিক সেখানে অবস্থান নিয়েছে। একথা বলেন কমান্ডার ওমর। আলী এর জবাবে বল্লো, দুশমনরা অবশ্যই ধারণা করছে, উভয়দিক থেকে মুজাহিদরা কোন অবস্থাই আক্রমণ করার ঝুকি নেবে না। আর এদিক থেকে এবং দক্ষিণ দিক থেকে এক যােগে আক্রমণ চালালে শক্ত সৈন্যরা দিশেহারা হয়ে পড়বে। তারা আমাদের সীমিত শক্তি সম্পর্কে তৎক্ষণাৎ কোন ধারণ করতে পারবে না। এবং ওরা অবশ্যই হতবাক হয়ে পড়বে। এই সুযােগে আমরা দ্রুত মারকাজের মুজাহিদদের বের করে আনতে সক্ষম হব বলে আশা করি।  আলীর পরামর্শের ব্যাপারে কমান্ডার সাহেব কিছুক্ষণ চিন্তা করার পর বলেন, আলীর পরামর্শ মত আক্রমণ রচনা করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও আত্মঘাতি হলেও এছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নেই। তবে মুজাহিদরা ফিরে আসার পথে যদি পূর্ব দিক থেকে দুশমনরা গুলী বর্ষণ করে তখন কি অবস্থা দাড়াবে!

 

        আলী বল্লো, “ফেরার সময় রুশ সৈন্যরা পূর্ব দিক থেকে গুলী চালাবে না। কেননা আমরা আক্রমণ চালালে উত্তরের সৈন্যরা পূর্বদিকে পালাবে। এ সময় যদি রুশ সৈন্যরা ফায়ার করে তবে এতে তাদের লােকই বেশী মারা যাবে।” কমান্ডার আলীর কথা শুনে বললেন, “তুমি যদিও এখনও ছােট কিন্তু আল্লাহ তােমার মাথায় অনেক বুদ্ধি দিয়েছেন। সেনা অফিসার হওয়া সত্ত্বেও আমার মাথায় এ বুদ্ধি আসেনি। আমি আশা করি, যেহেতু এই পরিকল্পনা তােমার তাই তুমিই সবচেয়ে উত্তম রূপে তা বাস্তবায়িত করতে পারবে। আমি বিশ জনের বদলে ত্রিশ জন মুজাহিদ তােমার সাথে দিচ্ছি।

 

        বাকী ত্রিশ জন নিয়ে আমি দক্ষিণ দিকের সৈন্যদের ব্যস্ত রাখব। তবে খেয়াল রেখ, নিজেদেরকে বেশী বিপদের মধ্যে ফেলে দিও না।” আলী জবাবে বল্লো, “আমার ওপর এই দায়িত্ব ন্যাস্ত করায় খুশী হলাম। আমার জন্য দোওয়া করুন। ইনশাআল্লাহ আমি সকল মুজাহিদকে সহি সালামতে উদ্ধার করবই। আমাকে একটি ওয়ারলেস সেট দিন, যাতে করে মারকাজে আটকে পড়া মুজাহিদদের সাথে যােগাযােগ রক্ষা করতে পারি ।

 

 কমান্ডার তাকে ওয়ারলেস দিয়ে বললেন,

 

        “আল্লাহ তােমাকে কামিয়াব করুন। আলী আল্লাহর নাম নিয়ে অগ্রসর হল। পথ অত্যন্ত বিপদসংকুল। পদে পদে বিপদ। দু'জন মুজাহিদ প্রথমে সামনে অগ্রসর হয়ে পথ পরিষ্কার কিনা তা জানানাের জন্য বিশেষ আওয়াজ দিলে অন্যরা অগ্রসর হয়। সামনে অগ্রসর হয়ে তারা একটি পাহাড়ী শুষ্ক নালার পাশে এসে দাড়ায়। সেখানে প্রচুর ঝােপ ঝাড় থাকায় আলী সবাইকে তার আড়ালে বসিয়ে মাত্র তিনজন মুজাহিদ সাথে নিয়ে পােস্টের দিকে অগ্রসর হয়। একটু অগ্রসর হওয়ার পর পােস্টের তাবু দেখতে পায়। একটি তাবুর মধ্যে মিটমিট করে আলাে জ্বলছে। এবার আলী সাথীদেরকে বল্লো, “তােমরা ক্রোলিং করে সামনে অগ্রসর হয়ে দুশমনদের কাছে গিয়ে তাদের পজিশন সম্পর্কে অবহিত হয়ে এসাে। সে নিজেও ক্রোলিং করে তাবুর দিকে অগ্রসর হল। একটু অগ্রসর হয়ে দেখলাে, যে তাবু থেকে আলাে আসছে তার পিছনে আরও অনেক তাবু । ঐ তাবুর সামনে একজন সশস্ত্র রুশী পাহারা দিচ্ছে। যার অর্থ দাড়ায় ঐ তাবুতে অবশ্যই কোন অফিসার আছে।

 

        আলী ভাবলাে, যদি ঐ রক্ষীকে অপহরণ করা যায় তবে দুমশমনদের সকল প্লান জানা যাবে। কিন্তু অপহরণ করা তাে সহজ নয়। যদি তখন হৈ চৈ পড়ে যায়, তবে সব প্ল্যান বানচাল হয়ে যাবে। এরপর তার মাথায় নতুন চিন্তা আসে, সারা রাত পাহাড়া দেওয়ায় রক্ষী অত্যন্ত ক্লান্ত। তাবুর ভিতরে অফিসার মদের নেশায় বেহুশ হয়ে শুয়ে আছে। রক্ষীর আশে পাশে অন্য কোন পাহারাদার নেই। বিষয়টা ঝকিপূর্ণ হলেও আলী প্রথমে রক্ষীকে অপহরণ করার সিদ্ধান্ত নিল।

 

        ক্রোলিং করে সে রক্ষীর খুব কাছে এসে দাড়ায়। রক্ষী আধাে ঘুমে দুলছে। আলী পিছন থেকে এসে এক হাত তার মুখের ওপর রেখে অন্য হাতে ধরা পিস্তলের বাট দিয়ে রক্ষীর মাথায় সজোরে আঘাত করলো। আঘাত খেয়েই রক্ষী বেহুশ । আলী তাকে টেনে নালার মধ্যে নিয়ে আসে। ইতিমধ্যে অপর মুজাহিদরাও অনুসন্ধান শেষে ফিরে এসেছে। আলী রক্ষীর হুশ ফিরিয়ে আনার জন্য মথায় চোখে পানির ছিটা দেয়। অল্পতেই তার হুশ ফিরে আসে। হুশ হতেই সে নিজেকে মুজাহিদের মধ্যে দেখে ঘাবড়ে যায়। আলী তাকে অভয় দিয়ে বললাে, “যদি তুমি আমাদেরকে তােমাদের পরিকল্পনার কথা খুলে বল তবে তােমাকে কিছুই বলা হবে না। আর যদি তুমি সামান্য গাদ্দারী কর তবে সাথে সাথে তােমাকে জানে মেরে ফেলা হবে।” রক্ষী বল্লো, “যদি আপনারা আমাকে প্রাণে না মারেন তবে আমি সর্বতভাবে আপনাদের সহযােগিতা করব। রুশ সৈন্যদের প্রতি আমার মনেও প্রচণ্ড ঘৃণা জন্মেছে।”

 

        সে রুশ ও আফগান সৈন্যদের সকল পজিশন বলে দেয়। আলীর পাঠানাে অনুসন্ধান গ্রুপও প্রায় একই রূপ তথ্য জানালো। যাতে বুঝা গেল, রক্ষী ধােকা দেয়নি। যতদূর তার জানা ছিল ঠিক ঠিক বলেছে। আলী রক্ষীকে আরাে প্রশ্ন করে জানতে পারলাে, এই দিক থেকে আক্রমণ করার কোন আশংকাই তারা করেনি। এপাশে সেনা সংখ্যা একশরও কম। একজন আফগান অফিসার এদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। কোন আক্রমণের আশংকা থাকায় সৈন্যদের মাের্চায় বসিয়ে অফিসার খামায় ঘুমাচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল দক্ষিণ দিক থেকে আক্রমনের পর মুজাহিদরা উত্তর দিকে চলে আসবে এবং ভাের হলেই তারা মুজাহিদদের গ্রেফতার করবে।

(চলবে)  - অনুবাদঃ ফারুক হাসান

 

*****