বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের তৎপরতা
============================================
পুলিশের গুলীতে ৩ জন ইসলামপন্থী নিহত
কায়রো জনসংখ্যা সম্মেলনের প্রাক্কালে
মিসরে শত শত ইসলামপন্থী গ্রেফতার
--------------------------------
কায়রোতে জাতিসংঘ বিশ্ব জনসংখ্যা সম্মেলনের প্রতি ইসলামপন্থীদের হুমকির প্রেক্ষিতে মিসরীয় পুলিশ শত শত লোককে গ্রেফতার করেছে। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ মিসরে সন্দেহভাজন ইসলামপন্থীরা দু'জন পুলিশকে হত্যা করার পর গতকাল পুলিশ তিনজন সন্দেহভাজন মুসলিম চরমপন্থীকে গুলী করে হত্যা করেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, এরা গত সপ্তাহে ১৩ বছর বয়স্ক একজন স্পেনিশ বালককে হত্যা করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক মুসলিম দেশগুলোকে বলেছেন, তারা যদি জনসংখ্যা সম্মেলনে যোগদান না করে, তাহলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে। সম্মেলনে যোগদান করে তারা খসড়া দলিলের আপত্তিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধে সমস্বরে প্রতিবাদ জানাতে সক্ষম হবে। তিনি-বলেন, এর কতিপয় ধারা ইসলামবিরোধী এবং সেগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।
পাকিস্তানে ইসলামপন্থীদের প্রবল আপত্তির মুখেও প্রধানমন্ত্রী বে-নজীর ভুট্রো আগামী সোমবার থেকে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জনসংখ্যা সম্মেলনে যোগদান করবেন। এছাড়া নরওয়ের মহিলা প্রধানমন্ত্রী গ্রো হারলেম ব্রান্টল্যান্ড-ও সম্মেলনে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম "খালেদা জিয়া এবং তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী তানসু সিলার আগেই সম্মেলনে অংশগ্রহণ না করার কথা ঘোষণা করেছেন। সউদী আরব. লেবানন ও সুদান সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমগ্র মুসলিম বিশ্বে সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির গৃহীত খসড়া প্রস্তাবে বর্ণিত কতিপয় ধারার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে খসড়া প্রস্তাবে গর্ভপাত, সমকামিতা এবং বিবাহ-পূর্ব যৌনাচারের ধারা যোগ করা হয়েছে।
মুসলিম বিশ্বের সাথে খ্রীষ্টান জগতেও এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
মিসরীয় কর্তৃপক্ষ ১৭০টি দেশ থেকে আগমনকারী প্রায় বিশ হাজার প্রতিনিধির নিরাপত্তার জন্য ১৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে। ২৫ তারিখে দক্ষিণ মিসরে স্পেনীয় পর্যটক বালক এবং একজন পুলিশ নিহত হবার পর পুলিশ চরমপন্থী মুসলমানদের গ্রেফতার শুরু করে। এ পর্যন্ত ৬৩৮ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মিসরের বেআইনী ঘোষিত জামিয়া ইসলামিয়া গ্রুপ গত শনিবার বিদেশীদের বিশ্ব জনসংখ্যা সম্মেলনে যোগদান না করার জন্য হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে
কাশ্মীরে সংঘর্ষঃ নিহত ১১
ভারত বলেছে, পাকিস্তানকে কাশ্মীরে তার দখল ছেড়ে যেতে হবে এবং তার অধিকৃত এলাকাটি নয়াদিল্লীর কাছে অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে। ভারত পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামী মুজাহিদদের প্রতি ইসলামাবাদের সমর্থন নস্যাৎ করার পদক্ষেপ গ্রহণে সে প্রস্তুত রয়েছে। ভারতের ৪৭ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অষ্টাদশ শতকের লালকেল্লায় লক্ষাধিক লোকের সমাবেশে এক ঘন্টাব্যাপী ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও একথা বলেন। তার ভাষণ চলাকালে কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচী নস্যাৎ করার জন্য গতকাল মুসলিম মুজাহিদরা রকেটচালিত গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং ভারতীয় দৈন্যদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ১১ ব্যক্তি নিহত হয়। এছাড়া কর্নাটক রাজ্যেও দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়।
নরসীমা রাওয়ের বিবৃতিতে হতাশা ব্যক্ত করে পাকিস্তান বলেছে, কাশ্মীরে নিজস্ব ব্যর্থতা ঢাকা দেয়ার জন্য ভারত অন্যদের দোষারোপ করছে। কাশ্মীরীদের জিহাদের সমর্থন দানের অঙ্গীকার পাকিস্তান আবার ব্যক্ত করেছে। মিঃ রাও বলেন, ভারত তার আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষার জন্য তার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন করবে। তিনি আরো বলেনঃ পাকিস্তানের এখন যে দায়িত্বটা বাকী আছে, সেটি হচ্ছে পাকিস্তানকে কাশ্মীর থেকে তার দখলের অবসান করতে হবে। তিনি বলেন, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
গত রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বে-নজীর ভুট্টো বলেছিলেন, ইসলামাবাদ ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে জিহদরত কাশ্মীরীদের সমর্থন দিয়ে যাবে।
মিঃ রাও তার ভাষণে বলেন, পাকিস্তানেযর মতামতের জবাবে তিনি পাকিস্তানকে হুমকি দিচ্ছেন না, তবে তিনি সমস্যাটির সমাধানের জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পক্ষপাতী। অবশ্য ইসলামাবাদ বলেছে, সে কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে জাতিসংঘের উদ্যোগে গণভোট চাইছে। কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পাকিস্তান ভারতের সাথে অর্থপূর্ণ সিরিয়াস আলোচনার .জন্য প্রস্তুত। মিঃ রাও বলেন, পাকিস্তান কাশ্মীরের ব্যাপারে নাক গলানো বন্ধ না করলে ভারত কাশ্মীরে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র গতকাল বলেন, ভারত কাশ্মীরি জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রাম দমনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি কাশ্মীরী মুজাহিদদের পাকিস্তান কর্তৃক অস্ত্র সরবরাহের ভারতীয় দাবী প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সমগ্র সীমান্ত এলাকা বরাবর লাখ লাখ ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন রয়েছে. কাঁটাতারের বেড়া ও মাইন পাতা রয়েছে।
এদিকে শ্রীনগরে কাশ্মীরের গভর্নর কৃষ্ণ রাওয়ের স্বাধীনতা দিরসের ভাষণ দেয়ার সময় মুজাহিদরা দু'টি রকেট বর্ষণ করে। এতে দু'জন নিহত হয়। মুজাহিদ ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে গুলী বিনিময়ে একজন বেসামরিক লোক নিহত হয়। বারমূলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ৮ জন মুজাহিদ নিহত হয়।
কর্নাটক রাজ্যে পাঁচ সহস্রাধিক সৈন্য ও পুলিশ হিন্দুদের আক্রমণের আশঙ্কায় মুসলমানদের এক প্রাচীন মসজিদ পাহারা দিচ্ছে। এক সময় পুলিশ মসজিদ অভিমুখে গমনে উদ্যত ৫০০ হিন্দুর উপর গুলীবর্ষণ করে। এতে এক ব্যক্তি নিহত হয়।
আলজেরিয়ায় '৯২ সাল থেকে
১০ হাজার লোক নিহত
আলজেরিয়ায় সরকারী বাহিনী এবং ইসলামী চরমপন্থীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে ১৯৯২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশের সাবেক ক্ষমতাসীন পার্টি মঙ্গলবার একথা ঘোষণা করেছে। খবর আলজিয়ার্স থেকে এএফপি'র । নিহতদের এই সংখ্যার তথ্য দেন আলজেরিয়ার জাতীয় মুক্তি ফ্রন্টের (এফএলএন) সাধারণ সম্পাদক আবদেল হামিদ মেহরি।
১৯৯২ সালের জানুয়ারী মাসে বিধানসভার নির্বাচন বাতিল করে দেয়ার পর পরই দেশটিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ নির্বাচনে ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট নিশ্চিত বিজয় লাভ করেছে বলে ধারণা করা হয়। সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার এ নির্বাচনের দু'মাস পরেই স্যালভেশন ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এএফপি মেহরির লেখা একটি নিবন্ধ সংগ্রহ করেছে, যেটি জাতীয় মুক্তি ফ্রন্টসহ আলজেরিয়ার পাঁচটি রাজনৈতিক দলের নিকট কর্তৃপক্ষ এই তথ্য প্রদান করে। বর্তমানে এ ক'টি দল সামরিক সরকারের সাথে সংলাপে রয়েছে। গত ২১ আগষ্ট থেকে এই সংলাপ শুরু হয়েছে। এ নিবন্ধে মেহরি বৈঠকের কোন অগ্রগতি সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। গত সোমবার এই সংলাপের তৃতীয় রাউন্ড শুরু হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক মেহরি তাঁর নিবন্ধে উল্লেখ করেন, এই সংলাপ আলজেরিয়াকে যে সংকট থেকে মুক্ত করবে, তা এখনো প্রকৃতপক্ষে শুরু হয়নি। কেউ বলতে পারে না, কখন তা শুরু হবে। মেহরি তার নিবন্ধে বলেন, এই সংলাপের সফলতার জন্য একটি বিশেষ শর্ত হচ্ছে সকল প্রধান দলগুলোর এই আলোচনায় অংশগ্রহণ। বিশেষ করে ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্টের। কিন্তু প্রেসিডেন্ট লিয়ামাইল –জেরুয়াল ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্টকে এই সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাননি।
পশ্চিমের প্রতি গাদ্দাফির হুঁশিয়ারী
লিবিয়ায় হামলা হলে উঃ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বলবে
লিবীয় নেতা মোয়াম্মের গাদ্দাফি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, তার বিরুদ্ধে যে কোন হামলার জন্য পশ্চিমা বিশ্বকে চড়া মূল্য দিতে হবে। েএ ধরনের হামলা হলে তিনি উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ারও হুমকি দেন। লিবীয় নেতা তাঁর ক্ষমতা গ্রহনের ২৫তম বার্ষিকী পালনকালে বৃহস্পতিবার একথা বলেন।
স্কটল্যান্ডের লকারবি বিমান হামলায় জড়িত সন্দেহে দু'জন লিবীয়কে বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রিটেন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরে অস্বীকার করায় ১৯৯২ সাল থেকে লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা বলবত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে লিবীয় নেতা বৃহস্পতিবার বলেন, এ দু'জন লিবীয়কে তিনি কখনই যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রিটেনের কাছে হস্তান্তর করবেন না। ত্রিপোলিতে এক সামরিক কুচকাওয়াজে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেন, 'আমি পশ্চিমা বিশ্বকে জানাতে চাই যে, আমাদের শক্তিশালী বিমান ও স্থলবাহিনী রয়েছে। প্রায় ১ হাজার সোভিয়েত নির্মিত ট্যাঙ্ক এবং জঙ্গী বিমান এই কুচকাওয়াজে অংশ নেয়।
ত্রিপোলিতে এক জনসমাবেশে প্রদত্ত তাঁর ৭০ মিনিট স্থায়ী এক বক্তব্যে গাদ্দাফি আরও বলেন, ‘লিবিয়ার বিরুদ্ধে যে কোন আক্রমণের পরিমাণ হবে ভয়াবহ এবং এর জন্যে হামলাকারীকে চড়া মূল্য দিতে হবে। "তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, ২০ লাখ লোক লড়াইয়ে যেতে প্রস্তুত'৷ প্রয়োজনে লিবিয়া সমগ্র উত্তর আফ্রিকা ধ্বংস করে দেবে। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে উপসাগর পর্যন্ত সীমান্ত খুলে দিয়ে লিবিয়া যারাই অস্ত্র সরবরাহ করবে। এভাবে সমগ্র এলাকাকে নরকে পরিনত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গাদ্দাফি তাঁর বিপ্লব বার্ষিকীতে যোগদানের জনা বহুসংখ্যক আরৰ এবং আফ্রিকান সরকার প্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, কিন্তু এদের অধিকাংশই তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া না দেয়ায় তাঁকে খুবই ভারাক্রান্ত মনে হয়েছে।
শুধুমাত্র আলজিরিয়া, শাদ, সুদান, মালি এবং কমোরস দ্বীপপুঞ্জের সরকার প্রধানরা তাঁর অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অবশিষ্ট প্রায় ৭০টির বেশি আমন্ত্রিত দেশ নিম্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠায়।
গাদ্দাফি বলেন, এমন অনেকে আছে যারা মার্কিন দুতাবাসের অনুমতি ছাড়া লিবিয়ায় আসতে পারে না। যাদের হিম্মত আছে তারাই শুধু লিবিয়ায় আসে।
চেচনিয়ায় সংঘর্ষ ।।
নিহত১০
রাশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া চেচনিয়ায় বৃহস্পতিবার সরকারী বাহিনী এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এলাকা থেকে প্রাপ্ত খবরে একথা বলা হয়েছে। খবর মক্কো থেকে রয়টারের।
বার্তা সংস্থা চেচেন প্রেসের একজন সংবাদদাতা রাজধানী গ্রোজনি থেকে টেলিফোনে ৪ ব্যক্তি নিহত এবং ৬ জন আহত হওয়ার খবর দেয়। কিন্তু রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স নিহতের সংখ্যা ১০ বলে জানায়।
চেচেন প্রেস সংবাদদাতা জানান, 'পরিস্থিতি ঘন্টায় ঘন্টায় ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সরকার বিরোধীরা গত মাসে চেচেন নেতা জওহার দাউদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা ঘোষণার পর থেকেই এই সংঘর্ষ শুরু হয়। গ্রোজনির সাবেক মেয়র বেস্লান গ্বাস্তেমিরভের নেতৃতে বিরোধী গ্রুপ ইউরাস-মারতান এলাকায় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে।
ইরাকী টেলিভিশনে কাটা হাত প্রদর্শন
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারী প্রচারভিযান জোরদার করার অংশ হিসাবে ইরাকী টেলিভিশন সম্প্রতি চুরির দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির কর্তিত হাত সংবলিত দৃশ্য প্রচার করেছে। ইরাকী এবং কুয়েতী সংবাদপত্রে প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের সরকার দলত্যাগী সৈন্য এবং দলিল পাচারকারীদের কান কেটে দিচ্ছে এ মর্মে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর শুক্রবার রাতে ইরাকের সরকারী টেলিভিশনে এ দৃশ্য দেখান হয়। টেলিভিশনে একজন দাড়িওয়ালা লোককে হাসপাতালের বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়। লোকটির ডানহাত কাটা এবং কপালে গরম ছ্যাকার ছাপ দেয়া ছিল। শাস্তি দেয়ার পরপরই তার ছুবি প্রচার করা হয়। একটি নীল রংয়ের কাপড়ের ওপর একটি কাটা হাতও টেলিভিশনে প্রদর্শিত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইরাকী কর্তৃক এ দৃশ্যের একটি ভিডিও টেপ শনিবার এপি'কে আম্মানে দেখানো হয়। ঘোষক শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম আলি ওবায়েদ আবেদ আলি (৩৭) বলে উল্লেখ করে বলেন. যারা অপরের অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করবে তাদের সবার জন্যেই এ ব্যক্তি একটি দৃষ্টান্ত।
ঘোষক জানান আলিকে তার চাচাততো ভাইয়ের টেলিভিশন এবং আড়াই শ' ইরাকী দিনার (৮২৫ ডলার) চুরির দায়ে এ সাজা দেয়া হয়েছে। অলির ভাই গত মাসে এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে তার বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ করেছিল। ঘোষক আরও জানান, আলি দিয়ালামা ফৌজদারী আদালতে দোষ স্বীকার করলে আদালত তাকে এ সাজা দেয়।
সাদ্দামের সরকার এ গ্রীষ্মের গোড়ার দিকে অঙ্গণ কর্তনের শাস্তি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পর্যটকদের কাছে যে সমস্ত খবর পাওয়া গিয়েছিল এতে তারই সত্যতা প্রমাণিত হলো। গত ৫ জুন সাদ্দাম এক ডিক্রীতে ডাকাতি এবং গাড়ি চুরির দায়ে অভিযুক্তদের ডান হাত কাটার বিধান জারি করেন। দ্বিতীয় কাজের জন্যে দোষীদের এক পা কাটা হবে এবং চুরির সময় অস্ত্রসহ ধরা পড়লে অথবা এ সময় তাদের হাতে কেউ নিহত হলে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে সাদ্দামের কুয়েত অভিযানের পর দেশটির বিরুদ্ধে জতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়ায় ইরাকে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসলামের অবমাননার জন্য বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরীনকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা উচিত
-শেখ আহমদ দীদাত
ইসলামের অবমাননার জন্য বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরীনকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা উচিত।
সম্প্রতিক বিশ্বের সর্বাপেক্ষা আলোচিত এবং পাশ্চাত্যে ইসলামী আন্দোলনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারী ইসলামী পন্ডিত ও গবেষক শেখ আহমদ দীদাত একথা বলেন।
কানাডায় পক্ষকালব্যাপী বক্তৃতা ও বিতর্ক সফর শুরু উপলক্ষে গত ৬ জুলাই টরন্টোতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে জনাব দীদাত বলেন, এ মহিলা গোলযোগ ডেকে আনছে। তিনি বলেন, সে বিভ্রান্ত। ইতোমধ্যেই সে ৩ টি স্বামীকে ত্যাগ করেছে। সে অতৃপ্ত।
জনাব আহমদ দীদাতকে তার তেজস্বী বিতর্ক রীতির জন্য একাই এক প্যাট্রিয়ট ক্ষেপনাস্ত্র বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ৭৬ বছর বয়স্ক এই দক্ষিণ আফ্রিকাবাসী পন্ডিত-গবেষক কানাডার মুসলমানদের কাছে জনপ্রিয় ও অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন।
তিনি বলেন যে. ১৯৮৫ সালে জিমি 'সোয়াগাটের ন্যায় খৃষ্টান নেতাদের সাথে প্রকাশ্যে বিতর্কের কৌশলে খুব সফল হয়েছে। কারণ এর ফলে খৃষ্টান ও মুসলমানরা উভয়ই উভয়ের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে পারে।
গত ৭ জুলাই টরন্টো সান পত্রিকায় জনাব আহমদ দীদাতের এ সংবাদ সম্মেলনের খবর প্রকাশিত হয়।
গ্রন্থনায়ঃ আসাদুল্লাহ