JustPaste.it

পাঠকের কলাম

=====================================================================

 

সাচ্চা মানুষ চাই

        আপনাদেরকে সর্বকালের বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গকারী ইতিহাস শোনাতে চাই । একটা কওম, যার মান-সম্মান,প্রতিপত্তি কিছুই নেই কিন্তু তার পাশাপাশি এক ব্যাপক জনগোষ্ঠী, যাদের মান-সম্মান,প্রতিপত্তি সবকিছুই রয়েছে । ওরা নিঃস্ব কওমকে দেখে খিল খিল করে হাসে এবং বলে, "আহাম্মক কোথাকার, মুসাফিরের দল, কিছুই নেই । হা-হা-হা,আর আমাদের সবই আছে । " আর ওই নিঃস্ব কওমকে বড় অসহায় ও করুণার পাত্র মনে করে । পরস্পরের আলোচনায় ঐ নিঃস্ব কওমের অসহায়ত্বের কথা ভেবে ওরা শান্তি আনতে চায়, কিন্তু কোনোকালেও তা পেরে উঠে না । অর্থ, মান-সম্মান, প্রতিপত্তির অহমিকায় কেমন যেন প্রলুব্ধ হয়ে উঠতে চায় । কিন্তু তাও হতে পারে না । কোথাও যেন ফাঁক থেকে যায় । আশ্চর্য! সবকিছুই আছে কিন্তু তবুও যেন কিছু নেই মনে হয় । কারণটা কী?শুধুই কারণ খোঁজে কিন্তু তাকেও খুঁজে পায় না কস্মিনকালে ।  এ আহম্মকের দল নতুন নতুন কল্পিক তথ্য উদ্ভাবন করে আর সবাই নতুন তথ্যে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে । কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই তথ্যের অসাড়তা প্রমাণিত হয়ে যায় । এবং সেই তথ্যসহ উদ্ভাবককে নিক্ষেপ করে আস্তাকুঁড়ে । সবারই সবকিছু আছে কিন্তু সবাই কি যেন খুঁজে কিন্তু সেই কি যেন কোনো দিনও কেউ পায় না । পরে হতাশ হয়ে উচ্চারণ করে-"But that peace, that is controlled by nature, you cannot get inorder to hard labour".

 

        আর ঐ অসহায় নিঃস্ব কওম যাদের কিছুই নেই তবুও যেন মনে হয় তাদের সবই আছে । কারণ মন যা চায় তা কোথা হতে যেন পেয়েই যায় । মনে একটুও অশান্তি নেই । হ্যাঁ, একটু অশান্তি আছে আর তা হলো এক জনকে হারানোর ভয় । পাছে কোন অপরাধে সেই মহাসত্তা দূরে সরে যায় কি না এতটুকু শঙ্কা সর্বদা তার মনে । আর সেই মহান মহিমান্বিত সত্তা যেন নিজেই বলেন, "না, আমি তোমার কাছ হতে যাবো না কোনো দিনও, তুমি শুধু আমার হুকুম নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাও" । আর আপনারা কি জানেন কে সেই মহামহিমান্বিত একক সত্তা?সেই মহামহিমান্বিত একক সত্তা হচ্ছেন " মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল্লাহ জাল্লা শানহু" । আর সেই কওমটি কে তা কি জানেন?সেই কওমটি হচ্ছে "হযরত সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লহু আনহুমদের জামাআত" । যাদের দাপটে সারা পৃথিবী প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল । দাপটে নয়, দাপটে নয়, ঈমানী তেজোদিপ্তীতে ।

 

        তারা ঐ কাফির মুশরিকদের চোখে ছিল নিঃস্ব,অসহায় । কিন্তু আসলে তারা ছিলেন মহাধনী, মহাশাহেনশাহ । ময়লা আবর্জনাযুক্ত পৃথিবীর ভোগ সামগ্রী তাঁরা স্বইচ্ছায় ত্যাগ করেছিলেন কারণ তাদের হৃদয়ে ছিল তাজা খুনের মতো টকটকে ঈমান । আর ছিল আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর প্রতি অকৃত্রিম, অতুলনীয় ভালোবাসা ও পূর্ণ আনুগত্যশীলতা । যার বদৌলতে নদী, বাতাস,আগ্নেয়গিরি, ভূমিকম্প পর্যন্ত তাদের কথা মানতে বাধ্য হত । আনুমানিক পৃথিবীর তিনশত কোটি লোকের মধ্যে তাদের সংখ্যা ছিল মাত্র সোয়ালক্ষ । আর সেই সোয়ালক্ষ ঈমানদারদের ভয়েই সারা দুনিয়ার সিংহের দল শাবকসহ লেজ গুটাতে বাধ্য হয়েছিল । কারণটা কি তা কি জানেন? তা হচ্ছে ঈমানের মতো মহান দৌলতের পরিপূর্ণতা । আর ঐ ঈমানের বদৌলতেই তারা তামাম দুনিয়াকে হাতের খেলনার মতো বশ করেছিলেন ।

 

        আর আমরা তাদের উত্তরসূরীরা রাস্তায় হাঁটতে গেলে  শাহী পোশাক পরে বেড়াই । লজ্জায় টুপি খুলে ফেলি, সালোয়ারকে টাখনুর নিচে নামিয়ে দেই, বুক ফুলিয়ে হাঁটি, চোখে তুলি সানগ্লাস, মনে হয় ঐ ইহুদী নাছারা খৃষ্টানদের সাথে আমরাও ফ্যাশনের প্রতিযোগিতায় নেমেছি ।

আব্দুল্লাহ

চর কমলাপুর, ফরিদপুর ।

 

═──────────────═

 

 

 

শহীদ আরমান

রাজ পথের কৃষ্ণ পিচে যার রাঙ্গা রক্তে লিখিত হয়েছে, জেগে উঠো আবার

----------------------------------------------------------------------------------------------------------

        প্রতিদিনের ন্যায় রাজপথে হেঁটে চলছি । হযরত উমার (রাঃ) কন্ঠে কারা যেন ঘোষণা করছে, "কুখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ও ডক্টর আহমেদ শরীফসহ সকল মুরতাদদের ফাঁসি কার্যকর, পবিত্র কুরআনের অর্থ বিকৃতকারী ও অপব্যাখ্যাকারী পত্রিকা 'দৈনিক জনকণ্ঠ' এর প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা, সর্বগ্রাসী এনজিওদের অপতৎপরতা বন্ধ, ব্লাসফেমী আইন প্রণয়ন এবং 'কাদিয়ানী' ও 'বাহায়ী' সম্প্রদায়কে সরকারিভাবে  অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে আগামী ৩০ শে জুন '৯৪ ইং সারা দেশে  পূর্ণ দিবস হরতাল আহ্বান করা হয়েছে । অতএব, সর্বস্তরের মুসলমানদেরকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানসহ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালনের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে ।

 

        ৩০ শে জুনের তখনও বেশ কয়েকদিন বাকি । চারিদিকে শুধু মুরতাদ বিরোধী প্রচারণা চলছে । এই প্রচারণার কাছে নির্বাচনী প্রচারণাও যেন রীতিমতো হার মানছে । পত্র-পত্রিকার প্রায় সবকটি কলামই এখন তাদের বিরুদ্ধে বরাদ্দ । দেশের সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের নাঙ্গা কলম তাদের প্রতিবাদে সোচ্চার । দেশব্যাপী এ অবিরাম প্রচারণায় মনে হল, ৩০ শে জুন সত্যিই এক চূড়ান্ত হরতাল পালিত

হবে ।

 

        দিন যায়, রাত আসে । প্রকৃতির চক্ররথে একদিন আমাদের সামনে এসে হাজির হল মহা প্রতীক্ষিত ৩০ শে জুন । আজ সারা বাংলায় মুরতাদ বিরোধী হরতাল ।

 

        ঘড়িতে তখন ভোর ৬ টা । চারিদিকে মাজলুম মুসলমানদের হুংকার শোনা যাচ্ছে । আমরাও সবান্ধব বেরিয়ে এলাম । স্বতঃস্ফূর্তভাবে সারাদিন হরতাল পালন করলাম । কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা আমাদের এ হরতালকে প্রতিহত করতে পারে নি ।

 

        সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল । হরতাল শেষে আমরা ঘরে ফিরলাম । চারিদিক থেকে হরতাল পালনের সংবাদ আসতে লাগল । একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানাল, "সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন হলেও কিশোরগঞ্জ ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া শহরদ্বয়ে তা হয় নি । সরকারী আমলারা হরতাল প্রতিহত করার লক্ষ্যে এ শহরদ্বয়ে প্রাণপণে চেষ্টা করেছে । পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে হরতাল পালনকারীদের প্রতি । সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তার নামে রাজপথে নেমে পরপর কয়েকবার হরতাল পালনকারীদেরকে ধাওয়া করে । জাগ্রত  তাওহীদি জনতা পুলিশের এ বাধা বিপত্তি মানে নি । তথাকথিত নিরাপত্তা বাহিনীর পায়তারা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে তারা আপন লক্ষ্য পানে ছুটে চললেন । শত ব্যর্থতার পরও ক্ষান্ত হলো না বর্বর পুলিশ বাহিনী । হরতাল পালনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন  সড়ক প্রদক্ষিণ করে । মিছিলকারীদের 'নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার' ধ্বনিতে তখন প্রকম্পিত হয়ে উঠে শহরের অলি-গলি । মিছিলটি তখন কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে গৌরাঙ্গ বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করছিল । ঠিক সেই মূহুর্তে স্বার্থান্ধ পুলিশ বাহিনী মিছিলকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় । পুলিশের গুলি বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই শাহাদাতের অমৃত সুধা পান করলেন কিশোর আরমান । ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জ শহর সেদিন তাঁর পবিত্র শোণিত ধারায় কারবালা প্রান্তরে রূপান্তরিত হয়েছিল । তিনি ছিলেন কিশোর গঞ্জস্থ 'আজিমুদ্দিন হাই স্কুলের একজন মেধাবী ছাত্র । সত্যের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে চলমান মহান আন্দোলনের ডাকে  সাড়া দেয়ার অপরাধে  নির্মম পুলিশ বাহিনী তার বুকের তাজা রক্ত প্রবাহিত করল এদেশের রাজপথে ।

 

        বাতিলের বিরুদ্ধে শহীদ আরমানের এই স্বতঃস্ফূর্ত 'রক্তস্নান' কে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখার মহতোদ্দেশ্যেই কিশোরগঞ্জবাসী গৌরাঙ্গ বাজার কে 'শহীদ আরমান বাজার' এবং ঘটনাস্থল ও তৎপাশ্ববর্তী এলাকাকে 'শহীদ আরমান রোড' নামকরণ করলো । তার এই শাহাদাতকে চিরস্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যেই ঘটনাস্থলে 'শহীদ আরমান মসজিদ' নামে বিজয়ের সোপান সৃষ্টিকারী একখানা মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাবও সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে ।

 

        পরদিন স্থানীয় "শোয়ালখিয়া ঈদগাহ ময়দানে" তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় । এতে ইমামতি করেন হযরত আতহার আলী (রঃ) এর সুযোগ্য পুত্র প্রিন্সিপাল মাওঃ আজহার আলী আনোয়ার শাহ । অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের নামাজে জানাযার পর স্থানীয় নূরানী গোরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয় ।

 

        পুলিশ কর্তৃক শহীদ আরমানের এই মর্মান্তিক হত্যার প্রতিবাদে এগিয়ে এলো মসজিদ-মাদ্রাসা ও স্কুল কলেজ হতে তার প্রাণ প্রিয়  অধ্যয়ন সহচররা । এগিয়ে এল তথাকার জাগ্রত তাওহীদি জনতা । বর্তমান সরকার এ প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য ধারাবাহিক অপপ্রয়াস চালিয়ে যায় এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য গোটা কিশোরগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা আইন জারি করে ।

 

        এদিকে ফখরে বাঙ্গাল হযরত মাওঃ তাজুল ইসলাম (রঃ) সাহেবের জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরেও সেদিন শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল চলছিল । হঠাৎ উস্কানীমূলক ভাবে পুলিশ বিনা অপরাধে হরতাল পালনকারীদের ওপর লাঠি চার্জ শুরু করে, তাদের প্রতি নির্বিচারে গুলি চালায় । নরাধম পুলিশের গুলি বিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে আহত হয় জনাব বিল্লাল । তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনিও শাহাদাতের পরম সৌভাগ্য অর্জন করে একথা প্রমাণ করলেন, এদেশের মানুষ মরতে চায় তবু ব্লাসফেমী আইনের বিকল্প চায় না । আর এটাই ছিল ৩০ শে জুন '৯৪ এর গণরায় ।

 

        আমার দৃঢ় বিশ্বাস শহীদ আরমান ও বিল্লালের বুকের তাজা রক্তে রচিত মুরতাদ বিরোধী আন্দোলনের এ ভিতকে কেন্দ্র করেই একদিন এ দেশে সবুজ পতাকা উড়বে, ইসলামী হুকুমত কায়েম হবে । তখন এদেশে মুরতাদদের কোন ঠাঁই থাকবে না । ধর্মের বিরুদ্ধে কোনো কটূক্তি চলবে না । এদেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বাস করবে ।

 

রফিকুল ইসলাম সরাইলী ।

 

═──────────────═

 

 

 

রক্তে ভাসছে নওজোয়ানের লাশ

-----------------------------------------------------------------

        তোমরা মনে করছ দুশমনের সামনে বুক পেতে দেয়ার চেয়ে অযোগ্য শাসককে গালাগালি করা অনেক সহজ । তাই রাজপথ প্রকম্পিত করছ সেই অপদার্থের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে,স্লোগান তুলতে তোমাদের বারণ করছি না । সময় এলে তোমাদের চেয়ে বুলন্দ আওয়াজে নারা তুলবো আমরা । কিন্তু সে সময় এখন নয় । সময় এখন সময় কাজে লাগাবার । চারিদিকে তাকাও, দেখবে হক্ব বাতিলের লড়াইয়ে খুন দেয়া নেয়ার খেলা চলছে । বহু রক্ত ঝরেছে এ জাতির, এবার সে রক্তের বদলা নেবার সময় এসেছে । তোমাদের নির্লিপ্ততার জন্য বিদ্রুপ করছে সেই সব লড়াকু শহীদদের আত্মা, তীর আর নেজার প্রাচীর ভেদ করে তরবারীর ছায়ায় বিজয় ডংকা বাজিয়েছিল যারা । তোমরাই তো এই অযোগ্য সরকারকে মেনে নিয়েছিলে,প্রধান বুঝদীল শয়তান ভীতির ভূত সাওয়ার হয়েছে তার কাঁধে । তোমাদের নীতি হীনতার জন্য  জাতি আজ বিধ্বস্ত । মনে রেখ,আগামী দিনের ঐতিহাসিকগণ যখন একটি জাতির পতনের ইতিহাস লিখবে তখন তারা তোমাদের আত্মকলহের কথাও লিখবে । তোমরা ভাবছ দুশমনের কেল্লার দুয়ার ভাঙ্গার চেয়ে যথেষ্ট আসান শাহী প্রাসাদের ফটক ভেঙ্গে দেয়া ।

 

        তাই ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও এর হুংকার ছাড়ছো । বায়তুল মোকাররমে জমায়েত হওয়া জরুরী এজন্য সেখানে জমা হও নি বরং জমা হয়েছে  এখানে দুশমনের মোকাবিলার কষ্টের চাইতে দাঁড়িয়ে শোরগোল করা অনেক সহজ বলে । এ কথা তোমাদের শাসকও জানে যে, কিছুক্ষণ শোরগোল করে ঠান্ডা হয়ে যাবে তোমাদের উচ্ছ্বসিত জোশ । ফিরে যাবে যে যার ঘরে; কোন সয়লাব ও নও তোমরা, যা সামনের বাধাকে তৃণ খন্ডের মতো ভাসিয়ে নেবে । পাথর ঘা যাতে সামান্য ঢেউয়ের সৃষ্টি করে খানিকক্ষণ পর তাতে চলে আসে মৃত্যুর নীরবতা । এই হলো তোমাদের আবেগের নমুনা । আমি শুধু বলছি এই মূহুর্তে তোমাদের ঘর পুড়ছে, লুন্ঠিত হচ্ছে বোনদের ইজ্জত, রক্তে ভাসছে নওজোয়ানদের লাশ । বাবা মার বুক থেকে কেড়ে নিচ্ছে,  তাদের সন্তান বের করে দিচ্ছে তাদের ভিটে মাটি থেকে । তোমরা কি ঐ কওম?ইনসানিয়াতের রক্ষক হিসাবে যাদের উত্থান; জালিমের হাত গুড়িয়ে দিতে বুলন্দ হয়েছিল যাদের তরবারি! তবে কেন তরবারী তুলছো না?তোমাদের দুশমন তার তরবারী ধার পরীক্ষা করছে তোমার নিরস্ত্র কওমের উপর । এ কথা কি সত্য নয় যে, মুসলমানে কৃপাণ অন্য সব তরবারী ভেঙ্গে দিতে পারে । তাহলে আর সময় নষ্ট নয় । ঝাপিয়ে পড় হায়েনাদের ওপর, যারা আমার জাতির রক্ত নিয়ে হোলি খেলছে । শরীরে এক কাতরা খুন বাকী থাকতেও তাদের ছাড়বো না । আল্লাহ আমাদের সর্বোত্তম সাহায্যকারী ।

 

মুহাম্মদ আবু জিহাদ

মালিবাগ জামিয়া, ঢাকা ।

 

 

═──────────────═