নর্থ আলেপ্প তে খারিজিদের আক্রমনের উপর
শাইখ মুহাইসিনী (হাফিযাহুল্লাহ) এর বিবৃতি
ও ইসলামি উম্মাহ, ও শামের জনগণ। শামে যা হচ্ছে, তা থেকে কেউ রেহাই পাবে না। আল্লাহর কসম, এটা প্রতারণা।
সাম্প্রতিক সময়ের বিজয়গুলো সবাই দেখেছে এবং সরকার এর কেল্লাগুলো মুজাহিদিনরা এমনভাবে দখল করে নিচ্ছিল যে, বাশার তার গুরুজনদের থেকে সৈন্য চাইতে শুরু করে, কিন্তু তারা তার অনুরোধ সাড়া দেইনি এবং বাশার অন্য পন্থা খুঁজতে শুরু করে কিন্তু কোন উপায় খুজে পায় নি।
তাই মুজাহিদীনরা ইদলিব মুক্ত করার পর একটি ভারী আঘাত আনার জন্য প্রস্তুত হল। প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল দুটি বেশ বড় যুদ্ধের জন্য। প্রশাসনের বেশ সুরক্ষিত দুটি কেল্লা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, আমি যখন অপারেশনস কমান্ড রুমে ছিলাম তখন আমি এক কমান্ডারকে বলতে শুনলাম যে, “”আমরা এই অপারেশনর জন্য আমাদের সব যোদ্ধাদের ব্যবহার করছি, আমি এটা ভয় করছি যে, আমরা যখন আমাদের শাসকদের সাথে যুদ্ধে ব্যস্ত, তখন IS এর সদ্ব্যবহার করবে এবং আমাদের পেছন থেকে আক্রমণ করবে”। রুমে কেউ কেউ বলল, এটা অস্বাভাবিক, কারন, তারা যদি এমনতা করে, তবে সবাই ভেবে বসবে যে, তারা এই শাসক গোষ্ঠীকে সাহায্য করছে আর তারা এমনটি করবে না।
আমরা মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে (IS দ্বারা) বিশাল আক্রমণে তখন হঠাৎই বিস্মিত হয়েছি। IS কি চায় আমাদের জয়লাভ বন্ধ করতে এবং বাশার আল আসাদের জীবদ্দশা প্রসারিত করতে!!
আসাদ! সুসংবাদ হে বাশার! সাহায্য চলে এসেছে !!
আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই একজন ভাল অভিভাবক!
আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই একজন ভাল অভিভাবক!
দুঃক্ষিত হে শাম এর মানুষেরা!
জিহাদের সিংহদের একটি দৃঢ় অভিপ্রায় ছিল যে, এই বছর রমযান মাসেই তারা তাদের রোযা ভাঙ্গবে কারদাহাতে (বাশার আল আসাদের গ্রামের বাড়ি)। কিন্তু আমরা পিছন থেকে এ রকম প্রতারণামূলক ছুরিকাঘাত (backstabbing) আশা করি নি। সুতরাং, ও আমার জনগণ আমাদের ক্ষমা করে দিন।
আমরা আগে বলেছিলাম, তারা ইয়েমেন ও আফগানিস্তানে মুজাহিদদের পদমর্যাদার বিভক্তি করেছিল কিন্তু কেউ কেউ আমাদের বিশ্বাস করেনি এবং আমরা বলেছিলাম সীমা অতিক্রম করেছে তখনও কেউ কেউ এটা উপেক্ষা করেছে।
যারা তাদের সমর্থন করে এবং তাদের বাস্তবতা সম্পর্কে গাফেল তারা আজ কি বলেন?
যারা আমাদের ধর্মভ্রষ্ট হিসাবে বিবেচনা করে তারা নিঃসন্দেহে আমাদের আক্রমণ করা তাদের জিহাদ হিসাবে বিবেচনা করে। যাইহোক, আমি তাদের বলছি যারা তাদের জয়লাভ এবং মিডিয়া দেখে তাদের সমর্থন করে। এখানে আপনার ভাইয়েরা, তাদের সাহায্য বা সমর্থন যে কেউ করবে, তাদেরকে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে মুজাহিদদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাড়াতে হবে।
আপনাদের খলিফাকে বলুন, বাশার এবং আমাদের মাঝে দাড়াবেন না! তাহলে আল্লাহ আমাদের বিজয় দান করবেন।
ও আল্লাহর পথের মুজাহিদরা! আল্লাহকে ভয় করুন। এটি একটি মুজাহিদের জন্য জায়েয নয় যে, তারা ইসলামের ভুমি ছেড়ে চলে যাবে, যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল মুজাহিদের রক্ত দ্বারা এবং তা তাদের হাতে অন্ন্যায় ভাবে পরে যাবে। আপনি তাদেরকে যাই ভাবুন না কেন, খায়ারিজ, সীমা অতিক্রমকারী অথবা এমন একটা দল যারা আল্লাহর আইন (At Taaifah al Mumtaniah) মানে না, যাই হোক না কেন, আলেমগণ এ বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে একমত যে, কোন আক্রমণকারীকে প্রতিরোধ করা ওয়াজিব। তা তারা যে কোন ওজুহাতই পেশ করুক না কেন। তারা আমাদের বিরুদ্ধে আজ সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। আমাদের মুজাহিদীনদের নিহত এবং আমাদের জিহাদকে বিকৃত করেছে, তাদের বিপক্ষে এবং তারা যা করছে তার বপক্ষে আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই একজন ভাল অভিভাবক।
হে আল্লাহ! আমরা তাদের পরিকল্পনা থেকে তোমার সহায়তা কামনা করি এবং তাদের মন্দ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং আপনার কাছেই আমরা অভিযোগ করি।
হে আল্লাহ! আমরা যখন নুসায়রিয়াদের (Nusayria) বিরুদ্ধে জিহাদ চালাতে ব্যস্ত ছিলাম তখন তারা আমাদের উপর আক্রমণ করে। হে আল্লাহ! আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া করুন।
হে আল্লাহ! হে চিরঞ্জীব সত্য তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কে সত্য দিয়ে বিজয় দান করুন এবং নিশ্চয়ই আপনি বিজয় দান কারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিজয় দানকারী।
এটা একটি প্রামাণিক সাক্ষ্যস্বরূপ আল্লাহর কাছে তারপর ইসলামী উম্মতের কাছে তারপর তোমাদের কাছে, ও সামবাসী। আল্লাহর আদেশ ছাড়া কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই।
এই সব সত্ত্বেও, আমি সামবাসীদের বলব, আনন্দিত হও! আশা ছেড়ে দিও না কারণ আল্লাহ তোমাদের জন্য যথেষ্ট। মুজাহিদিনরা আল্লাহর হুকুমে বাগদাদির (IS) আক্রমণকে প্রতিহত করবে এবং একই সময়ে বিজয় সম্পূর্ণ করবে।