আপনি জানেন কি?
বিজ্ঞানের আবিস্কার গাড়ীর কারসাজি ।।
ট্রাফিক দুর্ঘটনায় আড়াই কোটি মানুষের মৃত্যু
বিজ্ঞানের গাড়ী আবিস্কারের পর থেকে এ পর্যন্ত আড়াই কোটি মানুষ ট্রাফিক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। ট্রাফিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর এই হার ইউরোপে দিন দিন প্রসারমান মহামারীতে মৃত্যুর হারের সমান। ওয়াল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর রিপোর্ট মোতাবেক বিশ্বে প্রতি বছর আড়াই লাখ মানুষ দুর্ঘটনায় মারা যায়। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে এটমবোমা হামলায়ও এ পরিমাণ লোক মারা গিয়েছিল।
১৯৬৭ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত এ দশবছর শুধু জার্মানীতে ১,৬ ৫৬ ২৫ জন লোক ট্রাফিক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। তন্মধ্যে ৩৫১৬৯ জনের বয়স পয়ষট্রির বেশী। বাকী ১৭৬১৪ জনের বয়স ১৫ বছরের কম। ট্রাফির দুর্ঘটনায় এই মৃত্যুহার হত্যা প্রভৃতি মৃত্যুহারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশী। যেমনঃজার্মানীতে ১৯৮২ সালে ট্রাফিক দুর্ঘটনায় নিহত লোকদের সংখ্যা হত্যায় নিহত লোকদের চেয়ে বার গুণ বেশী।
২০ লাখ শিশু নিহত ॥৫০ লাখ পঙ্গু
বিগত এক দশকে বিভিন যুদ্ধে বিশলাখ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। পঙ্গুত্ব বরণ করেছে ৫০ লাখ। ইউনিসেফ এর এক রিপোর্ট মোতাবেক দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ সহ বিভিন যুদ্ধে মানববংশের যে শ্রেণীটি বেশী ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হয়েছে, তারা হলো শিশু। রিপোর্ট মোতাবেক শিশু নির্যাতনের এই করুণ কাহিনী প্রাণহানী আর পঙ্গুত্ববরণ পর্যন্ত শেষ হয়নি বরং বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, বিজ্ঞানের তথাকথিত উন্নতির প্রকৃত মাশুল এই নতুন প্রজন্মকেই আদায় করতে হচ্ছে। রিপোর্টের ভাষ্য মতে প্রথম মহাযুদধে মানুষের প্রাণহানীর পরিমাণ ছিল মাত্র ১৪ শতাংশ। কিন্তু ১৯৯০সালের সংঘটিত যুদ্ধগুলোতে মৃত্যুর হার নব্বই শতাংশও ছাড়িয়ে যায়। তন্মধ্যে বিপুল সংখ্যক শিশুও রয়েছে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে, যুদ্ধ বিগ্রহে মৃত্যুরণকারী শিশুদের তুলনায় বেশী অমানুষিকতা সেসব শিশুদের ভাগ্যে জুটেছে, যাদেরকে মৃত্যু অপেক্ষা অধিক মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য করা হয়েছে। এদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক শিশু এমন আছে, যাদের বিভিন্ন যুদ্ধে বালক সৈনিক হিসেবে ব্যবহার করে তাদের নিস্পাপত্বকে পদদলিত করা হয়েছে।
এর চেয়েও ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে লাইবেরিয়া। লাইবেরয়ায় বলতে গেলে দশ বছরের উপরের সব বালকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে যুদ্ধের ময়দানে পাঠানো হয়েছিল। যে সব এলাকার শিশুরা সৈনিক ব্যবহৃত হওয়া থেকে নিরাপদ ছিল, তারাও শত্রু পক্ষের নির্মম নির্যাতনের শিকারে পরিণত হয়েছে। বসনিয়া হার্জেগোভিনা শিশু নির্যাতনের অন্যতম দৃষ্টান্ত । সেখানে লক্ষ লক্ষ শিশুর শ্লীলতা নষ্ট করা হয়েছে এবং অবলীলায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য শিশু সন্তান। বসনিয়ার শিশুরা এখন নিজেদের জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। ফিলিস্তীনও এর ব্যতিক্রম নয়।
প্রগতির নিদর্শন।। প্রতি বছর আড়াই কোটি মানুষ দরিদ্র সীমায় প্রবেশ করছে
সারা বিশ্বে প্রতি বছর নতুন করে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ দরিদ্রের তালিকায় এসে যোগ হচ্ছে। জাতিসংঘের এক জরিপ রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সূত্র মতে ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য, বেকারত্ব ও অন্যান্য সমস্যার কারণে প্রতিদিন বিশ্বের ৬৭ হাজার মানুষ দরিদ্র সারিতে এসে দাঁড়াচ্ছে। এ হার উন্নয়নশীল বিশ্বে অপেক্ষাকৃত বেশী। রিপোর্ট মোতাবেক উন্নয়নশীল বিশ্বের একশত কোটি মানুষের দৈনিক জীবন যাত্রা এক ডলারেরও কম অর্থের উপর নির্ভরশীল। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে, প্রতিবছর ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ চিকিৎসাযোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে সুচিকিৎসার অভাবে মারা যায়। রিপোর্ট মতে, দরিদ্র শিক্ষার উপরও বেশ প্রভাব ফেলে থাকে। ফলে উন্নয়নশীল বিশ্বের শিশুরা শ্রমের বিনিময়ে অর্থ উপার্জনের জন্য শিক্ষা ছেড়ে দেয়। উন্নয়নশীল বিশ্বের ১৩ কোটি শিশু মাধ্যমিক শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
সংগ্রহঃ মুহিউদ্দিন