JustPaste.it

Dajjal 2

thumbnail2.PNG

 

نحمده و نصل على رسوله الكريم، و بعد:

দাজ্জাল আসলো বলে! এই তো মনে হচ্ছে তাকে দেখা যাচ্ছে! এই বুঝি মদিনার খেজুর গাছগুলোর ফাক গলে দাজ্জাল এসে পড়ছে! না এটা কোন থ্রীলার গল্প বলছিনা। এটা হচ্ছে নাবী (সাঃ) এর মুখে দাজ্জালের কথা শুনে উম্মতের শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম অর্থাৎ সাহাবাগনের প্রতিকৃয়া।

দাজ্জালীয় সংস্কৃতির ২য় পর্বে আজ আমরা আরো একটি গুরুত্তপুর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

সম্মানিত শ্রোতা ভাই ও বোন! শয়তান যখন আল্লাহর কাছ থেকে বিতাড়িত হয়ে দুনিয়ায় আসে তখন আল্লাহর সাথে তার কি কথা হয়েছিলো তা আমরা সবাই জানি। সে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার তীব্র চ্যালেঞ্জ দিয়ে এসেছে আল্লাহকে! আল্লাহ তাআলাও তাকে সুস্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, তোকে এবং তোর সাথীদেরকে দিয়ে আমি জাহান্নাম পুরা করবো। এটাই আমার ওয়াদা। পাশাপাশি আল্লাহ তাকে এটাও বলেছেন-

وَاسْتَفْزِزْ مَنِ اسْتَطَعْتَ مِنْهُمْ بِصَوْتِكَ وَأَجْلِبْ عَلَيْهِم بِخَيْلِكَ وَرَجِلِكَ وَشَارِكْهُمْ فِي الأَمْوَالِ وَالأَوْلادِ وَعِدْهُمْ وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلاَّ غُرُورًا

“তুই সত্যচ্যুত করে তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়ায দ্বারা,স্বীয় অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে তাদেরকে আক্রমণ কর,তাদের অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে শরীক হয়ে যা এবং তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দে। ছলনা ছাড়া শয়তান তাদেরকে কোন প্রতিশ্রুতি দেয় না”

এখানে আল্লাহ তাআলা “স্বীয় আওয়ায” বলতে বুঝিয়েছেন, শয়তান তার কথাবার্তা ও সূরের মাধ্যমে মানবজাতিকে পথভ্রষ্ট করার জন্য চেষ্টা করবে। আর তার আওয়াজ মানেই হচ্ছে তার দোসরদের আওয়াজ। আর এই আওয়াজই হচ্ছে গানবাজনা, বাজে কথা, মিথ্যা ইত্যাদি।

গানবাজনা আমাদের সমাজের একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশ হয়ে গেছে। তরুনরা গান বাজনা ছাড়া কিছু বুঝেনা। এটাই তাদের জীবনের সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় হয়ে পড়েছে, অথচ তারা এটা জানেনা যে, এই গান বাজনা ও বাদ্যযন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নাবী (সাঃ) কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন-

إِنَّ اللَّهَ بَعَثَنِي رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ وَأَمَرَنِي أَنْ أَمْحَقَ الْمَزَامِيرَ وَالْمَعَازِفَ وَالْخُمُورَ وَالأَوْثَانَ الَّتِي كَانَتْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ

“আল্লাহ আমাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত সরুপ পাঠিয়েছেন এবং আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন আমি যেনো গানবাজনা-বাদ্যযন্ত্র, মদ ও মূর্তি যেগুলো জাহিলী যুগে ছিলো সেগুলো ধ্বংস করে দেই”

আর আমাদের যুবসমাজ সেগুলোকেই প্রাত্যহিক করে নিয়েছে। সকালে ঘুম ভাঙে মিউজিক দিয়ে আবার ঘুমায় মিউজিকের সাথে। এটাই হচ্ছে বর্তমান বাস্তবতা। অথচ এই গানবাজনা দাজ্জালের পথকে প্রতিনিয়ত সুগম করে চলেছে। তার আগমনের রাস্তাকে প্রশস্ত করছে এবং তার কাজকে সহজ করে দিচ্ছে। সূর মানুষকে মন্ত্রের মতো আকর্ষন করে। মনকে বিগলিত করে। সূরের প্রতি মানুষের এই আকর্ষন নতুন কিছু নয়। ইসলামেও এই সূরকে গুরুত্ত দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে-

لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَّمْ يَتَغَنَّ بِالقُرْآنِ

“কুরআন যে ব্যাক্তি সূর দিয়ে তেলাওয়াত করবেনা সে আমাদের অংশ না”। অর্থাৎ, কুরআন পড়তে হবে যথাসাধ্য সুললিত কন্ঠে। কারন এই সুললিত কন্ঠের তেলাওয়াত মুমিন হৃদয়ে প্রশান্তির সুবাতাস বয়ে দিয়ে যায়। তার মন-মননকে স্থির করে দেয়। অন্যদিকে এই সূরটাই যদি গাইরুল্লাহর দিকে আহবান করে তখন মানদহৃদয় সেদিকেই আকৃষ্ট হয়। সূরের মাধ্যমে তাদের মনকে চুরি করে নেওয়া হয়। শয়তান তাদের অন্তরে পাকাপোক্ত একটা স্থান করে নেয়। এভাবেই সে আস্তে আস্তে শয়তানের দাসে পরিনত হয়। তার অজান্তেই সে শয়তানকে ভালোবাসতে শুরু করে। এক পর্যায়ে এই কাজটাকে তার আর ইসলাম বিরোধী মনে হয়না।

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোন! আল্লাহ তাআলা আমাদের থেকে খালেস ইবাদাত চান। যে ইবাদাতে থাকবেনা কোন অন্ধকারের মিশ্রন, থাকবেনা কোন পাপাচারের লক্ষন। আর মানুষের মন যখন স্থীর ও প্রশান্ত তখনই এইভাবে ইবাদাত করা সম্ভব। তার হৃদয় হতে হবে আল্লাহমুখি। তার মুখের কথাগুলো হতে হবে সত্যের মানদন্ডে উত্তির্ন। তাহলেই কেবল তার ইবাদাত কবুল হবে। অন্যথায় তার এই ইবাদাতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা দৃষ্টিপাত করবেন না। আর শয়তান এই আশা নিয়েই সারাটা জীবন আদম সন্তানের পিছনে তার সময়টা ব্যায় করে। সে এটাই চায় যে আল্লাহ তাআলা তাকে যেমন লানত করেছেন, আদম সন্তানও যেনো তেমনি লানতের উপযোগী হয়ে উঠে। আর এই কাজে গানবাজনা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আজকে আমরা যদি বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দৃষ্টিপাত করি তাহলে খুব সহজেই আমাদের চোখে পড়বে কোন শ্রেনীর মানুষকে  বর্তমানে বেশি পছন্দ করা হয়। তারা হচ্ছে লম্পট চরিত্রের গায়ক গায়িকা, নায়ক নায়িকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গায়ক গায়িকা আর নায়ক নায়িকাদের ফ্যান ফলোয়ার দেখলে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। আশ্চর্য হতে হয় তাদের এই উপচে পড়া জনপ্রিয়তা দেখে। আরো আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই ফ্যান ফলোয়ারের সিংহভাগই আমাদের গর্বের যুবসমাজ, যাদেরকে নিয়ে আমরা আশায় বুক বাধি। যাদের দিকে আমাদের উম্মাহর কোটি কোটি সন্তান সান্তনার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। যারা উম্মাহর এই ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরবে তাদের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে উম্মাহর ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা সহজেই বুঝা যায়।

আজকে যদি আমরা ইউটিউবের দিকে তাকাই তাহলে দেখি, একটা মিউজিক ভিডিও আপলোড হতে না হতেই কয়েক মিলিয়ন ভিউ হয়ে যায়, অথচ কুরআন তেলাওয়াতের ভিডিওর ভিউ কয়েক হাজার বা কয়েকশতে থেমে থাকে। অথচ আমরাই বিশ্বে সংখ্যার দিক দিয়ে প্রথম সারির জাতি। যে পশ্চিমারা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাদের মধ্যকার শিল্পীরাই আমাদের সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তিদের মধ্যে অন্যতম। যদি আমাদের যুবকদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় কয়েকজন বিক্ষাত গায়ক নায়কের নাম বলতে সাথে সাথে তাদের মুখ দিয়ে খইয়ের মতো পশ্চিমা শিল্পীদের নামগুলো বেরিয়ে আসবে, অন্যদিকে বিক্ষাত কারিদের নাম জিজ্ঞেস করলেই মাথা চুলকানো শুরু হবে। এটাই হচ্ছে শয়তানের সফলতা।

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোন! ইয়াহুদিরা যখন তাদের মেসিয়াহ -যাকে আমরা দাজ্জাল বলি- তার আগমনের জন্য অধীর আপেক্ষায় প্রহর গুনছে, তখন আমরাই দাজ্জালের পথকে সুগম করছি। ইয়াহুদিদের সবচেয়ে বড় গুপ্ত সংগঠন ইলুমিনাতি- যারা ফ্রি ম্যাসন নামেও পরিচিত- তাদের একটা বড় টার্গেট হচ্ছে বিক্ষাত সব গায়ক গায়িকা এবং নায়ক নায়িকা। তাদেরকে তারা তাদের দলে ভিড়িয়ে নেয়। কারন তারা জানে এই শ্রেনীকে মানুষ কতোটা ভালোবাসে। একজন জাস্টিন বিবারকে তাদের দলে নিতে পারা মানে হচ্ছে কোটি কোটি মানুষকে আয়ত্ত করে নেওয়া। এরকম শত শত নয় হাজার হাজার জাস্টিন বিবারদেরকে দাজ্জালের বাহিনী নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের গানবাজনা জুড়ে শুধু নারী পুরুষের অবাধ যৌনাচার আর শয়তানের ইবাদাত করার আহবানে ভরপুর। ভালো করে লক্ষ করলে দেখা যায় যেই গানগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয় সেগুলোতে সবচেয়ে বেশি পরিমানে শিরকি ও কুফরী কথা থাকে। মানুষের ঘরে ঘরে শিরক কুফরকে নিয়ে যায় এই গানবাজনা।

প্রানপ্রিয় মুসলিম ভাই আমার! আজকে আমাদের সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর মুল আকর্ষন হচ্ছে গানবাজনা। যেই অনুষ্ঠানে যত বেশি ও যতো জোড়ে গানবাজনা বাজানো বা গাওয়া হয় সেই অনুষ্ঠানটি ততবেশি শানদার হয়। আমাদের কোন অনুষ্ঠানই এই গানবাজনা ছাড়া সম্পাদিত হয়না। ঈদ, বিয়ে এমনকি বিদআতি অনুষ্ঠান কুলখানিতেও গানবাজনা হয়। এ যেনো এক আশ্চর্য খেলা।

ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের সব চেয়ে আনন্দের দিন। আল্লাহ তাআলা এই দিনে তাদেরকে অনেক নিয়ামত ও বারাকাহ দিয়ে থাকেন। অথচ তারা এই বরকতময় দিনকে গানবাজনার মাধ্যমে বরন করে নেয়। মানুষ কতোটা মূর্খ হলে এমনটা করতে পারে? আজকে যদি বলা হয় যে, সবাই প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে এসে জড়ো হও, সবাইকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। তখন যদি কেউ সেখানে হাজির হয়ে প্রধানমন্ত্রীর চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে তার কাছে সাহায্য চায় তাহলে তাকে কি আপ্যায়িত করে সাহায্য করা হবে? নাকি তার হাত পায়ে শিকল পড়িয়ে কারাগারে নেওয়া হবে? আর ঐ অবস্থায় আমরা কি ঐ ব্যাক্তিকে বুদ্ধিমান বলবো নাকি বোকা বলবো? অবশ্যই তাকে আমরা চরমতম বোকা বলবো। ঠিক তদ্রুপ ঈদের দিন হচ্ছে আল্লাহর কাছ থেকে নিয়ামত ও বারাকাহ হাসিল করে নেওয়ার দিন। এই দিনে যদি কেউ আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজগুলো করে, তাহলে কি শুধুমাত্র ঈদের সকালে ২ রাকাত নামাজ পড়ার জন্য আল্লাহ তাকে যা চায় তাই দিয়ে দিবেন? কস্মিনকালেও না। কিন্তু এই কাজটাই আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বিয়ে একটা পবিত্র বন্ধন, আল্লাহ তাআলা এর মাধ্যমে দুটি মানুষের ভালোবাসাময় মিলন ঘটিয়ে মানবজাতির বংশধারা জারি রাখেন। এমন একটি মহতি কাজের সুচনাটা যখন গানবাজনার মতো হারাম কর্মকান্ডের মাধ্যমে হবে, তখন তাদের ঔরসজাত সন্তানাদি কিভাবে আল্লাহকে চিনবে? কিভাবে তারা আল্লাহর মাহাত্ম্য বুঝবে? তারা কি একেকজন আল্লাহর ওলি হবে? নাকি একেকটা আবু জাহেল, উতবা, শাইবা হয়ে ইসলামকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাবে? তাই হে মুসলিম ভাই ও বোন, সতর্ক হোন, পরিপূর্ণ সতর্ক। আল্লাহর অবাধ্যতার মধ্যে থেকে তার নিয়ামত ভোগ করার স্বপ্ন দেখবেন না। আল্লাহ তাআলা সূরা লুকমানের ৬ নং আয়াতে বলেন-

وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ

"একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে অন্ধভাবে অহেতুক কথাবার্তা সংগ্রহ করে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি"। ইবনে আব্বাস (রাঃ) সহ বেশ কিছু সাহাবীগন বলেন, এখানে অবান্তর বা অহেতুক কথার অর্থ হচ্ছে গানবাজনা। কারন গানবাজনা মানুষকে যতোটা আল্লাহর পথ থেকে দূরে রাখে, দুনিয়ার অন্য কোন কথাই সেই পরিমান পারেনা। এই গানবাজনা মানুষকে যিনার উস্কানি দেয়, অন্তরে নিফাকের বীজ বপন করে, মনোজগতকে শয়তানের আখড়া বানিয়ে দেয়। এবং কুরআনের প্রতি আকর্ষন কমিয়ে দিয়ে পরিপূর্ণ মনোযোগ ও আকর্ষণ সেদিকেই ধাবিত করে। আর যাদের প্রাত্যহিক খাদ্যের তালিকায় গানবাজনা নামক খাদ্যগুলো থাকবে তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা লাঞ্চনাদায়ক শাস্তির ওয়াদা করেছেন। আল্লাহই আমাদের আশ্রয়স্থল।

সহিহ বুখারীর এক বর্ননায় এসেছে, নাবী (সাঃ) বলেন-

لَيَكُونَنَّ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ ، يَسْتَحِلُّونَ الحِرَ ، وَالحَرِيرَ ، وَالخَمْرَ ، وَالمَعَازِفَ

"আমার উম্মতের এমন কিছু মানুষ আসবে যারা যিনা, রেশম, মদ ও বাদ্য-বাজনা কে হালাল মনে করবে"। দুর্ভাগ্যের কথা হচ্ছে, আমরাই সেই প্রজন্ম যাদের মধ্যে এই হতভাগার দল বিরাজমান। অমুসলিমদের কথা না হয় বাদ দেওয়া গেলো, মুসলিমদের মধ্যে গানবাজনা জায়েজ হওয়ার মতবাদ প্রচলিত রয়েছে। কিছু কিছু গোষ্ঠী এটাকে আত্মার খোড়াক বলেও জায়েযের সুরত দিয়ে দেয়। কথীত মর্মিবাদী এই গোষ্ঠী আজ জাতির ঘাড়ে চেপে বসে দাজ্জালের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে। ইদানিংকালে এই মর্মীবাদীরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নামে এমন সব জঘন্য কথাবার্তা ও উক্তি করে যাচ্ছে যা দাবীদার কাফেররাও করার সাহস পায়না। এখনই সময় তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর। এদের বিরুদ্ধে সর্বাত্নক প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে না পারলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে তারা তাদের মতবাদে দিক্ষীত করে ফেলবে। আল্লাহই উত্তম সাহায্যকারী।

পরিশেষে আহবান করছি হে মুসলিম ভাই ও বোন! আপনার পরিবারের যুবক-যুবতীদেরকে এই মহামারী থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করুন। গান-বাজনা ও অশ্লীল নাটক সিনেমা থেকে তাদেরকে বিরত রাখুন। আপনার সন্তানের স্মার্টফোনটি পর্যবেক্ষন করুন। ঘরের ইন্টার্নেট সংযোগটি যেনো আল্লাহর নাফরমানীর কাজে ব্যাবহৃত না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখুন। নিউজ দেখার নাম করে নিজের ঘরে ডিস কানেকশন নিবেন না। এগুলোকে পরিপুর্ণ বর্জন করুন। নয়তো আপনার অজান্তেই আপনি দাজ্জালের বাহিনীর সদস্য হয়ে যাবেন, যাকে আপনি অত্যন্ত ঘৃনা করেন। সাহাবীগন যেমন দাজ্জালের আগমনের বেপারে শংকীত হতেন তেমনি আপনিও আপনার পরিবারে দাজ্জালের বেপারে সচেতনতা তৈরি করুন। সময় বেশি দূরে নয়। ১৪০০ বছর আগে যদি দাজ্জালের আসার আশংকা সাহাবীগন করে থাকেন তাহলে এখন কিসে আপনাকে এ থেকে বিমুখ করে রেখেছে? কেনো আপনি ভাবছেন আরো তো অনেক দেরি? আল্লাহ তাআলা কি আরো সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বে বলেননি যে-

اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ

“কিয়ামত নিকটবর্তী হয়ে গেছে এবং চাঁদ ফেটে গেছে”

কিয়ামত যদি নিকটবর্তী হয়ে থাকে তাহলে দাজ্জাল কি অনেক দূর?! কেনো আপনার মধ্যে এখনো শয়তান আশার আলো জালায়? দাজ্জালের ফিতনা থেকে নাবী (সাঃ) প্রতি সলাতের শেষ বৈঠকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইতেন। বিষয়টাকে হালকা করে দেখার কোন কারন নেই।

হে আল্লাহ আমাদেরকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচান। আমাদের ঈমানের কঠিন পরিক্ষা নিবেন না। আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।

وَ صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى خَيْرِ خَلْقِهِ مُحَمَّدٍ وَآلِه وَصَحْبِهِ وَسَلَّمَ تَسْلِيْمًا كَثِيْرًا