JustPaste.it

আমরা যাদের উত্তরসূরীঃ

 

ইসলামের অমর কবি শেখ শাদী (রাহঃ)

আসাদ মাহমুদ

===================================================================

 

        পৃথিবীর ইতিহাসে অগণিত মানুষ অতিত হয়েছে। তাদের প্রায় সকলেরই নাম চিরতরে বিস্মৃত আজ। আবার কারাে নাম ইতিহাস ও মহাকালের নীরব পাতায় সুরক্ষিত। সে মহান স্মরণীয় ব্যক্তিদের জীবন চরিত, তাদের অবদান ও কৃতিত্ব যুগ যুগের মানুষকে মানবতাবােধ ও সত্য সুন্দরের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। শেখ সাদী মানবতার আকাশে এরূপ এক প্রজ্জল ব্যক্তিত্ব। যার জীবন, কৃতিত্ব ও দীক্ষা মুসলিম উম্মাহসহ সবাইকে সত্যিকার মনবতা ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা যােগায়।

 

        ১৩৩৩ খৃঃ-৫৮৯ হিঃ ইরানের তৎকালীন রাজধানী সিরাজ নগরে আবদুল্লাহ সিরাজ ঔরসে শেখ সাদীর জন্ম হয়। তার প্রকৃত নাম আশরাফুদ্দীন, উপাধি মুসলেহুদ্দীন। তবে সাদী নামে তিনি প্রসিদ্ধ লাভ করেন। তার পিতা সুলতান আতাবক সাআদ জঙ্গীর দরবারী ছিলেন; এ সূত্রেই তাঁর ডাক নাম সাদী হয়। শেখ সাদীর পিতা-মাতাও সম্ভান্তু ও খােদাভীরু ছিলেন। শৈশবেই পিতা তাঁর উপযুক্ত শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা করেন। শেখ সাদী এ সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “পিতার এ শাসন ও প্রশিক্ষণই ছিল তাঁর সততা ও যােগ্যতার ভিত্তিমূল। কিন্তু পিতার এ স্নেহ বেশীদিন তার ভাগ্যে জুটলনা বাল্য কালেই পিতা ইন্তেকাল করেন। এর পর হতে সাদী পূণ্যবতী মায়ের তত্ত্বাবধানে লালিত হন ও শিক্ষা লাভ করতে থাকেন। যৌবনে পদাপনের পর মাতাও পরপারে পাড়ি জমালেন।”

 

        আল্লাহ পাক শেখ সাদীকে অসাধারণ মেধাবুদ্ধি ও সুস্থ চিন্তাশক্তি দিয়েছিলেন। এর সাথে ধর্মপরায়ন ও স্নেহ প্রবন মাতাপিতার প্রশিক্ষণে বাল্যকাল হতেই সাদীর মন-মানসিকতা দ্বীন ও শরিয়তমুখী হয় এবং আজীবন এভাবেই কাটান।

 

        শিক্ষাঃ শেখ সাদীর শিক্ষা জীবন প্রায় ত্রিশ বৎসর। তার জন্মস্থান সিরাজের প্রতিটি মহল্লা, মসজিদ ও ঘরে ঘরে সদা জ্ঞান ও এলেমের চর্চা হত। জ্ঞান ও বিদ্যার এ লীলাভূমিতে থেকে স্বাভাবিক ভাবেই সাদীর মনে জেগে উঠে জ্ঞানার্জনের বাসনা। নিষ্ঠার সাথে সাদী তথায় জ্ঞানার্জনে ব্রতী হলেন। কিন্তু ঐ সময় গৃহযুদ্ধ ও ঘন ঘন মসনদ বদলের কারণে সিরাজে নিবিড় গবেষণার শান্ত পরিবেশ ছিল না, এতে সাদীর অধ্যাবসায়ে বিঘ্ন ঘটার কারণে তিনি স্বদেশ ছেড়ে বাগদাদের বিশ্বখ্যাত নিযামিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। এ মাদ্রাসার সর্ব প্রথম মুতাওয়াল্লী ও প্রিন্সিপাল ছিলেন সিরাজ নগরীর স্বনামধন্য বিদ্যান ব্যক্তিত্ব আবু ইসহাক সিরাজী। এ কারণে অত্র মাদ্রাসার প্রতি সিরাজবাসীর আকর্ষণ ও ভক্তি ছিল প্রবল। এ সূত্রে মাদ্রাসার পক্ষ হতে সাদীকে বিশেষ ভাতাও প্রদান করা হত। জ্ঞানের জগতে এ প্রতিষ্ঠান ছিল তুলনাহীন ও প্রসিদ্ধ। তাতার হামলামুক্ত হওয়াতে এ নগরী শেখ সাদীর অধ্যয়ন ও জ্ঞানচর্চার উপযুক্ত স্থান ছিল। সাদী বাগদাদে যেসব সুযােগ্য আলেম ও মুহাদ্দিসগণের নিকট শিক্ষা ও দীক্ষা লাভ করেন তন্মধ্যে আল্লামা আবুল ফরজ আব্দুর রহমান বিন জাওযী অন্যতম। তাঁর তথ্য সমৃদ্ধ ও গবেষণালব্ধ বহুগ্রন্থ আজো বিশ্বের পাঠাগার সমূহে বিশেষ সমাদৃত। সাদীর জ্ঞান ও যােগ্যতার অনেকাংশই আল্লামা আবুল ফরজের অবদান। শেখ সাদী তাঁর নিকটে তাফসীর, হাদীস, ফিকাহ ইত্যাদি শাস্ত্রে অসামান্য দক্ষতা অর্জন করেন। অন্যান্য শাস্ত্রের ন্যায় দর্শন ও যুক্তিবিদ্যায় সাদীর যথেষ্ট যােগ্যতা ছিল। ইলম অর্জনের পর তিনি তাসাউফের সবকও গ্রহণ করেন।

 

        দেশ ভ্রমণঃ প্রতিষ্ঠানিক জ্ঞানার্জন শেষে শেখ সাদী এ জ্ঞান সুরভি নিয়ে বের হলেন অজানার পথে। খােদায়ী কুদরতে ভরা এ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ, অঞ্চল ও মানুষ হতে বিচিত্র জ্ঞান লাভ করতে। জন্মগত কবিভাব ও প্রখর চিন্তা শক্তি তার এ সফরকে আরাে সফল করে তােলে। বাগদাদে চেঙ্গিজ খানের হামলার পরই তিনি এ সফরে বের হন। সাদীর রচনা হতে বুঝা যায় প্রথমে তিনি পূর্বদিকের খােরাসান ও তাতার অঞ্চল ভ্রমণ করে কিছুদিন কাশগড়ে অবস্থান করেন। এরপর দক্ষিণে ভারত উপমহাদেশের সােমনাথ মন্দির পর্যন্ত পৌছেন। এখানে কিছুদিন অবস্থান করে মন্দিরের যে মূর্তিটি হাত নেড়ে পূজারীদের আশীর্বাদ জানাত তার গােপন রহস্য সবার নিকট ফাস করে দেন। এরপর আরব হয়ে উত্তর পশ্চিমে ইরাক, আজারবাইজান, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইস্পাহান, তাবরীজ, দিয়ারে বকর ও এশিয়া মাইনর পর্যন্ত সফর করেন। মিসর, আফ্রিকা ও সানআতেও গমন করেন। আবার সমুদ্র পথে আম্মান, ভারত সাগর, পারস্য উপসাগর, নীল নদ ও রােম উপসাগরভ্রমণ করেন। সাদী যে অঞ্চলেই যেতেন সেখানের মানুষ তার পাণ্ডিত্বপূর্ণ ও সুমিষ্ট কণ্ঠের বক্তৃতা শুনে তাঁর ভক্তে পরিণত হত। একবার ফিলিস্তিন ভ্রমণকালে খৃস্টান ক্রুসোররা তাকে বন্দী করে পরিখা খনন করতে বাধ্য করে। সাদী কোন প্রতিবাদ না করে সেখানে কাজ করতে থাকেন। বেশ কয়েক বৎসর পর এক পরিচিত ব্যবসায়ী তাঁকে দেখে মুক্তিপণ দিয়ে সাদীকে মুক্ত করেন। এরপর ব্যবসায়ী তাঁর মেয়েকে সাদীর সাথে বিবাহ দেন।

 

       কিন্তু এ স্ত্রী অত্যন্ত কড়ামেজাজী ও বদ স্বভাবের ছিল। সাদী এতে তিক্ত হয়ে তাকে তালাক দিয়ে দেন। জীবনীকারদের মতে ইবনে বতুতার পর শেখ সাদী শ্রেষ্ঠ পর্যটক ছিলেন। তিনি সুদীর্ঘ ত্রিশ বৎসর অনাহার ও অর্ধাহারে সীমাহীন কষ্ট-ক্লেশ সয়ে ভ্রমণ করেন পৃথিবীর এ প্রান্ত হতে ওপ্রান্তে। কিন্তু শত কষ্টেও তার অনুসন্ধিৎসায় ভাটা পড়েনি। স্বদেশের মাটিতে সেই ছাত্র জীবনে সিরাজ হতে বের হয়েছেন এরপর ৭৩ বছর পার হয়ে গেছে এর মধ্যে আর স্বদেশে যাওয়া, হয়নি। এ সময়ে ৬৫৮ হিঃ কতলুগ খান আবু বকর ইরানের সম্রাট হন। তিনি ক্ষমতা পেয়েই দেশের প্রভূত উন্নতি সাধন করেন। তার আমলে এদেশ আবার ইনসাফ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করে, শিক্ষার উন্নতি ঘটে। দিকে দিকে ইরানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। কতলুগ খান ন্যায়পরায়ন হলেও অজ্ঞ দরবেশদের ভক্ত ছিলেন এবং তাদের অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। স্বদেশের ভালবাসা, বাদশার ইনসাফ ও ন্যায়নীতি এবং শাহী দরবারে আস্তানা গেড়ে বসা এসব ভণ্ডদের গােমর ফাঁস করার ইচ্ছায় শেখ সাদী সিরাজে ফিরে আসেন। ভণ্ড দরবেশদের গােমর ফাস করার জন্য তিনিও দরবেশী বেশ ধারণ করে এ সংস্কার কার্যে অবতীর্ণ হন। এ কার্যে তিনি বহুদূর অগ্রসর হন এবং অনেকাংশেই সফলতা লাভ করেন।

 

        বিশ্বখ্যাতিঃ সাহিত্য ও ভাষার মাধুর্য, কাব্যপ্রতিভা ও মেধার কারণে ছাত্র জীবনেই শেখ সাদীর প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হতে থাকে। এরপর যখন তিনি রচনা ও সংকলন কর্মে হাত দেন তখন তার তত্ত্বপূর্ণ ও গবেষণালব্ধ রচনায় তাঁর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়। একদা তিনি কাশগড়ে পৌছলে এক বালক তাকে জিজ্ঞেস করলাে, “জনাবের দেশ কোথায়?” সাদী উত্তর দিলেন ‘সীরাজ’। সীরাজের কথা শুনে বালক উৎফুল্ল হয়ে বললাে, আপনি তাে শেখ সাদীর দেশ হতে এসেছেন, আমাকে সাদীর কবিতা শুনান। সাদী কয়টি আরবী ও ফাসী কবিতা শুনালেন। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হল, সিরাজ হতে কাশগড়ের দুরত্ব দেড় হাজার মাইল। এতদূর হতেও সাদীর সুখ্যাতি কাশগড়ে গিয়ে পৌঁছে এ প্রসিদ্ধির কারণে বিভিন্ন বাদশাগণ সাদীকে তাদের দরবারে আমন্ত্রণ জানাতেন। একবার তাবরীজ শহরে ‘হুমাম তাবরীজী’ নামক নাম করা এক কবি সাদীর সাথে। কবিতা নিয়ে আলােচনা ও তর্কে লিপ্ত হয়, পরে যখন জানতে পারল যে ইনিই শেখ সাদী, তখন হুমাম তাবরীজি অনুতপ্ত হয়ে শেখ সাদীর নিকট ক্ষমা চান।

 

       রচনাঃ শেখ সাদী মননশীল ফারসী সাহিত্য ও ফারসী সাহিত্যে ইসলামী ভাবধারা সৃষ্টির একজন অন্যতম পথিকৃত। তার রচিত গ্রন্থাদী যথা বোস্তা, গুলিস্তাঁ ও কারীমা সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। এ গ্রন্থত্রয় কাব্যে রচিত। রচনার পর হতে এ গ্রন্থগুলি বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হচ্ছে এবং বহু দেশে এর মূল অনুবাদ পাঠ্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সম্রাটগণ এসব গ্রন্থ হতে ন্যায়, ইনসাফ ও রাজ্য চালনার উপদেশ গ্রহণ করে আসছে। আজো এ গ্রন্থত্রয় ভারত উপমহাদেশে বিভিন্ন মাদ্রাসায় পাঠ্য তালিকাভুক্ত রয়েছে। বক্তার বক্তৃতায় সাদীর কবিতা ঝংকৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। সাহিত্যিকদের রচনাকে সাদীর কবিতা আজো করে তুলছে আকর্ষণীয় সুখপাঠ্য। গুলিস্তাঁ গ্রন্থে সাদী শিক্ষামূলক ও আধ্যাত্মিক আলােচনাই করেছেন বেশী এবং এ গ্রন্থটি ছন্দময় কোন কাব্যগ্রন্থ নয়। আর বােস্তা ছন্দময় কাব্য গ্রন্থ। এতেও সাদী বাদশাহ, উজীর ও শাসক শ্রেণীর জন্য। উপদেশমূলক আলােচনা করেছেন। উভয় গ্রন্থে তিনি তাঁর ঘটনাবহুল জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার নির্যাস পেশ করেছেন। আধ্যাত্মিকতা ও চরিত্র গঠনের উপদেশ দিয়েছেন।

 

       গুণাবলীঃ শেখ সাদীর সমগ্র জীবন দুঃখ অভাব ও কষ্ট লেগেই ছিল। সাথে সাথে তার মাঝে ধৈর্য ও অল্পে তুষ্টির মহৎ গুণও বিদ্যমান ছিল। তখনকার দিনে অনেক নামধারী আলেম শাহী দরবারে খােশামােদী হতে বিরত থাকত বটে, তবে জনসাধারণের ঘারে চেপে বসে তাদের ধন সম্পদে ভাগ বসাত। এটাকেই তারা বলত অল্পে তুষ্টি। কিন্তু শেখ সাদী এসবের বিরােধী ছিলেন। তিনি মিথ্যা মুখরােচক, খােশামদী করে শাহী দরবারের সম্মান লাভ ও জনসাধারণের ঘারে চেপে বসা উভয়টিরই বিরােধী ছিলেন। সাদীর একটি কবিতা দ্বারা একথা প্রতিভাত হয়। তিনি বলেন তুমি যদি অল্প তুষ্টি অবলম্বন কর তাহলে তােমার চোখে আমীর ফকীর সব সমান মনে হবে। তবে শেখ সাদীকেও একাধিকবার এরূপ নীতি-পরীক্ষার সম্মুখিন হতে হয়েছে বিভিন্ন সম্রাটদের দরবারে। কিন্তু সে কঠিন মূহুর্তেও সাদী স্বনীতি থেকে বিচ্যুত হননি। সৎশাসকের প্রশংসা করেছেন বটে, কিন্তু মিথ্যার প্রলেপ দিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে নয়। বরং যা সত্য তাই বলেছেন অকপটে, নিসংকোচে। প্রয়ােজন মত বাদশাহদের ত্রুটি সংশােধন করে উপদেশ দিয়েছেন চাই তা যতই তিক্ত হােক। বাদশার অসন্তুষ্টির ভয়ে তিনি কখনও ভীত হননি। তিনি তাঁর আত্মকথা লিখেছেন “ভনিতা করনা হে সাদী, সত্য অকপটে পেশ করাে। তুমি যা জানাে তা বলে যাও, কেননা সত্য বলা শ্রেয়। তুমি ঘুষখােরও নও, ধােকাবাজও নও।”

 

        শেখ সাদী অত্যন্ত আত্মমর্যাদাবােধ সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। তার কণ্ঠে এ বাস্তব শ্লোগান সদা গুঞ্জরিত হত যে, “মুক্ত স্বাধীন এ শির কখনাে কোথাও নত হতে জানেনা।” তার মিসর অবস্থানকালে সেখানে ভীষন দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তখন এক ধনী অথচ নপুংষক ব্যক্তি এক লংগরখানা খােলে। সাদীর বন্ধুরা তাকে ওখানে যেতে বললে তিনি উত্তরে বলেন, ‘সিংহ অনাহারে মরবে, কিন্তু শিয়ালের ঝুটা খাবে না’। আধ্যাত্মিক জগতে শেখ সাদী নিযামিয়া মাদ্রাসা হতে শিক্ষা লাভ করার পরই রূহানিয়্যাত ও তাসাউফের সবক নিতে হযরত শায়খত শেহাবুদ্দিন সােহরাওয়ার্দীর হাতে বায়আত হন। তাঁর তত্ত্বাবধানে সফলভাবে আধ্যাত্মিকতার স্তর সমূহ উত্তীর্ণ হন। তাসাউফের সবক গ্রহণ কালে সাদী শায়খ সেহাবুদ্দীনের সাথে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। তাসাউফের সবক নিয়ে তিনি সারা বিশ্ব ভ্রমণ করেন। এরপর শেষ জীবনের এক বৃহৎ অংশ একান্তভাবে আধ্যাত্মিকতার সাধনায় নিমগ্ন হন। শেখ সাদী বিশ্ব শ্রেষ্ঠ পর্যটক, বিখ্যাত কবি, যুগশ্রেষ্ঠ আলিম হওয়ার সাথে সাথে স্বীয় যুগের একজন আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষও ছিলেন। ৬৯১ হিঃ শেখ সাদী নশ্বর দুনিয়া ছেড়ে মাওলার দরবারে যাত্রা করেন। মুসলিম উম্মাহর এ সাধক কবি সাত শতক পূর্বে দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিয়েছেন, কিন্তু তার রচনা ও অবদান আজো আমাদের মনে জীবন-মরণে বাস্তবতার সবক শিখায়। আর কিয়ামত পর্যন্ত এ রচনা মানব সমাজের জন্য চির নবীন ও জীবন্ত শিক্ষক হয়ে থাকবে।

 

 

═──────────────═