JustPaste.it

ভূগোলময় পৃথিবী

 

আফগান জিহাদ, মুজাহদিদের বিজয় ও বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে শত অভিযোগ, প্রশ্ন, সন্দেহ ও সংশয় নিরসনকল্পে একটি ধারাবাহিক নিবন্ধ


আফগান সংকটের অন্তরালে
মনযূর আহমাদ


মধ্য এশিয়ার সাতটি মুসলিম দেশের সমাজতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদের কবল থেকে স্বাধীনতা লাভ 
যারা দীর্ঘ দু’শ বছর পর্যন্ত মুসলিম সকারকে নিয়মিত খাজনা দিয়ে দেশে বসবাস করত, সেই পরাজিত শক্তি কত জঘন্য কায়দায় মুসলিম নিধন করে তাদের ক্ষমতা ও স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল তার বিষদ বিবিরণ সংক্ষিপ্ত কলেবরের এ লেখায় তুলে ধরা আদৌ সম্ভব নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ইতিহাস পড়ার অনুরোধ রইল। তবে একথা সত্য যে, রুশ বাহিনী যে এলাকায় প্রবেশ করেছে, সেখানে সম্পূর্ণ দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেই তবে ক্ষ্যান্ত হয়েছে। কখনো তাদেরকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পৃথিবীর বড় বড় শক্তি রাশিয়ার ভয়ে কাতর হয়ে দিনগুজরান করত দিনরাত আশংকায় থাকত, কখন তাদের উপর দখলদারিত্ব কায়িমের শাড়শি আক্রমণ চালান হয়। রুশ বাহিনী ছিল অপরাজেয় ও অদম্য এক শক্তি। পরাজয়ের গ্লানি তাদের ইতিহাসে নেই বলাই ঠিক ছিল। বিশ্বব্যাপী প্রশিদ্ধ ছিল, একথা প্রবাদবাক্য়ে পরিণত হয়েছিল যে, রুশ “লাল ভল্লুকের” পাঞ্জা বড়ই মজবুত।
লাল ভল্লুকের দল তাদের অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এবং বীভৎস পাঞ্জার ধারল নখর উন্মুক্ত করে যে সময় মধ্য এশিয়ার দিকে বিজয় অভিযান শুরু করেছিল, তখন সে ভূখন্ডের মুসলমানেরা দ্বীনদারী ও দ্বীনের একনিষ্ঠ খেদমতগাররূপে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিল। অসংখ্য মাদ্রাসা ও অগণিত খানকা সহ প্রতি বড় বড় শহরে আট-দশ হাজার মসজিদ প্রতিষ্ঠিত ছিল। সেখানে ছিল আলেম-ওলামার উপচে পরা ভিড়, বিশাল-বিশাল লাইব্রেরী ও গবেষণাগার ছিল, ওয়ায়িজ ও তাবলীগের কাজ।  বৈষয়িক ও অপার্থিব আমল উপকরণেরও কোন অভাব তাদের ছিল না। শুধু অভাব ছিল, জিহাদী জযবার। অনীহা ছিল তাদের আল্লাহ্র রাস্তায় যুদ্ধ করার, দ্বীনের ব্যাপারে কাফির হত্যার প্রশ্নই ছিল তারা দারুন ভীরু ও উদাসীন। এসব অভাব ও উদাসীনতা এমন এক অপরাধ, যার ফলে যে কোন জনপদের মুসলিমের পরাজয় ও পরাধীনতা অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ায়। পবিত্র কুরআনে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, জিহাদের সময় ও সুযোগ উপস্থিত হলে জিহাদে অবতীর্ণ হও। কেননা তা তোমাদের জীবনের রক্ষাকারী। (ভাবার্থঃ আনফালঃ ২৪)
    *জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণ কর, কেননা তাতে শত্রুপক্ষ পরাজিত, সন্ত্রস্ত্র ও ভিত হয়ে যায়। (আনফালঃ ৬০)
    * জিহাদ বর্জন করা এমন এক সর্বব্যাপী ফিতনা, যার সয়লাবে কেবল জিহাদ বর্জনকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, বরং নিরপরাধ লোকেরাও দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। (মর্মার্থঃ আনফালঃ ২৫)
প্রিয় নবী (ﷺ) বলেছেন,
    * যে জাতি জিহাদ বর্জন করেছে, আল্লাহ্ তাদের উপর সর্বব্যাপী আযাব আপতিত করেছেন। (আল-হাদীস)
    * যখন তোমরা জিহাদ বর্জন করবে, তখন আল্লাহ্ তোমাদের উপর অপমান আপতিত করবেন। সেই অপমানজনক পরিস্থিতি ততক্ষণ বিরাজ করবে, যতক্ষণ না তোমাদের জহাদে আত্মনিয়োগ করবে। (আল-হাদীস)
   *যখন তোমাদের মধ্যে দুনিয়ার প্রতি ভালবাসার ব্যাধি আল্লাহ্র পথে যুদ্ধে অনিহা সৃষ্টি হবে, তখন আল্লাহ্ তোমাদের মনে ভুরুতা আপতিত করে দিবেন। ফলে দুনিয়ার কাফির শক্তি তোমাদের উপর এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে (ক্ষুধার সময়) লোকেরা দস্তরখানার উপর যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অথচ তখন সংখ্যায় তোমরা হবে বহু, পরিমাণে হবে স্রোতিস্বিনী নদীর নিঃসীম ফেনিল রাশির সমান। (আল-হাদীস)
উল্লেখ্য যে, রুশশক্তি মধ্যে এশিয়ার মুসলমানদের এই দুর্বলতার সুযোগ শতভাগ সদ্ব্যবহার করে। ফলে জিহাদ ও প্রতিরক্ষা বিধানে অমনযোগী বিশাল মুসলিম জনপদ তারা অতি সহজে গিলে খেয়ে ফেলে। এমনি এক কঠিন বিপদ ঘনঘটা মুহূর্তে মুসলমানদের পথপ্রদর্শক আলিম-ওলামার এক বিরাট অংশ মানতেক-ফালসাফার অযথা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে আত্মনিয়োজিত ছিলেন। অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার এই সময় সন্ধিক্ষণেও তারা অর্থহীন এক বিতর্কে ব্যস্ত ছিলেন। অপরিণামদর্শী ও উদাসীন এ নেতৃকূল তখনও নিজেদেরকে নিরাপদ মনে করেছিলেন যখন তাদের দুয়ারে লাল ফৌজ পৌঁছে গিয়েছিল। আসলে নবী (ﷺ)-এর এই ধরনের অযোগ্য উত্তরসূরীরা কখনো নিজ জাতির ইমান ও ঐতিহ্য হেফাজত করতে পারেনি। ফলে বড় বড় আলিম ও বিশাল বিশাল মাদ্রাসা বর্থমান থাকতেও যা ঘতার ছিল তাই ঘটল। কেননা এরা জিহাদকে ভুলে বসেছিল। এই সঙ্গিন সময়েও তারা জিহাদের চেয়ে দরসকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছিল। আলিম ওলামার সেই আত্মঘাতি ভুলের কারণে পৃথিবী তাদেরকে বিদায় জানিয়েছিলো অত্যন্ত জঘন্য উপায়ে। শুধু তাই নয়, সেদিন পৃথিবীর বুক থেকে মুছে গিয়েছিল ইসলামের এক সুবিশাল সোনালী অধ্যায়। সুপ্রিয় পাঠক! আপনিই বলুন, ধ্য এশিয়ার সেই হৃদয় বিদারক ইতিহাসের দায়িত্ব কাদের ঘাড়ে বর্তায়? আল্লাহ্ না করুন, অনুরূপ কোন মর্মান্তিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পূর্বে আমাদের হুশ হবে কি?
অনেক আলিম-ওলামা যারা তখন আসলেই দ্বীনি খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন, তারা তাদের বিবেক ও বিশ্বাস অনুযায়ী রুশ আগ্রাসনের মুকাবিলায় সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় তারা বোখারী খতম, খতমে খাজেহান, দয়ায়া, দরুদ, যিকর-আযকার ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সশস্ত্র রুশদের মুকাবিলায় নিজেদের ঈমান ও আযাদী সুরক্ষার কব্জ হিসাবে। তারা যদি বুঝতেন যে, এই সময় শত্রুর মুকাবিলায় অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়াই সবচেয়ে বড় যিকর ও ইবাদাত, তবে হয়তবা এই বিশাল প্রলয় তারা ঠেকিয়ে দিতে পারতেন। 
জানি না তারা লক্ষ্য করেছিলেন কিনা, যে কুরআন খতম করে তারা জাতির আযাদী, ইজ্জত ও ঈমান রক্ষার জন্য আল্লাহ্র দরবারে কাতর মুনাজাত করতেন, সেই কুরআনে দু’শতেরও অধিকস্থানে স্পষ্টভাবে কাফিরের মুকাবিলায় যুদ্ধ করার নির্দেশ রয়েছে। তারা কি একথা জানতেন না যে, যে বুখারী খতম করে তারা শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহ্র নিকট দয়া করছে, সে বুখারী শরীফে সাফ সাফ ভাষায় উজ্জ্বল হরফে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ﷺ) ইসলাম বিরোধী কাফির শত্রুর মুকাবিলায় ২৭ টি জিহাদ চালিয়ে তবেই বিরোধী চক্রের বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। রাসূল (ﷺ) জীবনের অত্যুজ্জ্বল অধ্যায় কি তারা ভুলে গিয়েছিলেন? মনে ছিল বটে, কিন্তু এই শ্রেষ্ঠ ইবাদাতটিকে তারা নিজ জীবনে অবশ্য প্রতিপালিত ইবাদাতের ফিরিস্তি থেকে বাদ রেখে দিয়েছিলেন, যার পরিণামে অনিবার্য্যভাবে তারা হারিয়ে ফেল্লেন স্বাধীনতার সুস্বাদ। জীবন ও ইজ্জত বিপন্ন হলো কোটি কোটি মুসলিম জনতার। 
ইতিহাসে উল্লেখিত হয়েছে যে, রুশ আগ্রাসনের সময় বোখারার এক খাঙ্কায় সাড়ে চার’শ মুসলমান আল্লাহ্র যিকরে লিপ্ত ছিল। নাস্তিক কম্যুনিষ্টরা ওখানেই তাদের সকলকে যবাই করে ফেলে।
অবশ্য এমন কিছু লোকও ছিলেন, যারা নীরবে অত্যাচার সহ্য না করে পাহাড় চূড়ায় অবস্থান নিয়ে সাধ্যমত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। সামান্য শক্তি নিয়ে হলেও অনেকে লাল ভল্লুকদের সাথে পাঞ্জা লড়ার সাহস দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের এ প্রতিরোধ যুদ্ধে অন্যান্য মুসলমানরা সহযোগিতা না করার ফলে তারা পরাধীনতার জিল্লাতীর চেয়ে মৃতুকে উত্তম মনে করে শাহাদাতের পেয়ালা পান করে সোজা জান্নাতের পথে যাত্রা করেন। এ পর্যায়ে ইমাম শামেল (রাহঃ)-এর নাম ইতিহাসের পাতায় চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, যিনি কম্যুনিস্ট বাহিনীর সাথে সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন পর্যন্ত সামান্য সেকেলে অস্ত্র সম্বল করে হলেও রুশ বাহিনীকে তারা বিদিশা করে তুলেছিলেন।
অতঃপর মুসলমানরা নিজেদের সার্বিক দুর্বলতার কারণেই পরাজিত হলো। বিজয়ী হলো রুশ বাহিনী। এই রুশ বাহিনী মুসলমানদের মাটি দখল করেই কেবল ক্ষ্যান্ত হয়নি। তারা সমগ্র মুসলিম এলাকায় এমন এক অমানবিক ও বীভৎস হত্যাযজ্ঞ চালাল, যা লিখত আত্মা কেঁপে উঠে, কলম থেমে যায়, কলিজা কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসতে চায় গলা শুকিয়ে বাক রুদ্ধ হয়ে যায়।
এ বিশাল জনপদ ঈমান ও ইলম চর্চার এমন এক উর্বর ক্ষেত্র ছিল, যা তৎকালে মুসলিম উম্মার নিকট অনুকরণীয় আদর্শরূপে বিবেচিত হত। তাদের হাদিস, তাফসীর, ফিকাহ ও উসুলের চর্চা ও গবেষণাগারের সুরভিতে বুমুগ্ধ ছিল পৃথিবীর সুউন্নত মুসলিম জাতি।
এ জনপদে জন্ম নিয়েছিল পৃথিবীর সুবিখ্যাত বহু মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকীহ, মুজতাহিদ ও মুসান্নিফ। ইসলামের এ শক্ত দূর্গের বিষয়ে দারুন চিন্তিত ছিল কম্যুনিষ্ট শক্তি। যার ফলে সকল শক্তি নিয়ে তারা চড়াও হয় এ এলাকার উপর। ইসলামের সকল চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য তারা অবতীর্ণ হয় প্রলয়ংকারী ঝড়ের কায়দায়। বুলডোজার দিয়ে মাদ্রাসা, মসজিদ ও খানকাগুলো নিশ্চিহ্ন করে ফেলে, লাখ লাখ সুযোগ্য আলিমকে হত্য করে নির্মম ভাবে, কোটি কোটি সাধারণ মুসলমানকে তারা হত্যা করেছিল সম্পূর্ণ মশক নিধনের নিয়মে। তাদের ইচ্ছা ছিল, ইসলামের এই উর্বর জনপদে একটি মুসলিম বাচ্চাও যেন আল্লাহ্র নাম নিয়ে জীবিত না থাকে। রুশ স্বীকার করেছে মাত্র কয়েকদিনে এ জনপদ থেকে পাঁচ কোটি মুসলমানকে তারা হত্যা করেছে। তখন যুলুমের কোন মাত্রা ছিল না। যার মুখে আল্লাহ্ নাম উচ্চারিত হয়েছে, তাকেই চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে । লাখ লাখ মুসলমানকে গাড়ী ভরে রাশিয়ার সর্ব উত্তরে বরফাচ্ছাদিত এলাকায় নিক্ষিপ্ত করা হয়েছে। যে এলাকা মানববসতির অযোগ্য এবং যেখানে খাদ্য ছিলনা, ফসল ছিলনা, ছিলনা সামান্য পরিমাণ কোন সাহায্য। ধুকে ধুকে তাদের জীবন লীলা এখানেই সাং হয়েছে। এই নির্মম নিধনযজ্ঞের পরও যারা দরাজ হায়াত বেঁচে গিয়েছিল এবং যারা কম্যুনিষ্টদের ভয়ে সুবোধ বালকের অভিনয় করে নিজ নিজ জীবন রক্ষা করেছিল, তারা বেঁচে ছিল বটে, কিন্তু পশুর জীবন ও তাদের জীবনে পার্থক্য ছিল না বিন্দুমাত্র।
নামায, রোযা, আযান, ইবাদাত, তেলাওয়াত ও পর্দা নিষিদ্ধ ঘোষিত হলো। যে কয়টি মসজিদ ও মাদ্রাসা ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা পেয়েছিল, তা ব্যবহৃত হত মদ্যশালা, নর্তকী নাচনের নাইট ক্লাব ও ঘোড়ার আস্তাবলরূপে। নারী-পুরুষের পোষাকী পার্থক্যটুকুও তুলে দেয়া হলো, বোনের সাথে ভাইয়ের, মা’র সাথে ছেলের এবং বাপের সাথে মেয়ের বিবাহে বাধ্য করে লজ্জা ও হুরমত ধ্বংস করা হলো। মুসলমানদেরকে বেহায়াপনা, নারী-পুরুষে অবাধ মেলা-মেশা ও উলঙ্গ চলাফেরা করতে বাধ্য করা হয়েছিল আইনের শক্তি নিয়ে। ফলে আস্তে আস্তে তারা ভুলে যেতে লাগল ইসলাম, ইসলামের অনুপম অনুশাসন ও রাসূলের সুন্দরতম জীবন।
মুসলিম জনপদ সমূহে দখল কায়িম করার পর জৈনক রুশ জেনারেল ঘোষণা করল, “আমরা তোমাদের মাটি দখল করে নিয়েছি, এখন থেকে আমরা তোমাদের মেয়ে-মহিলাদেরকে বুকে জড়িয়ে এক বিছানায় ঘুমাব।”
কম্যুনিষ্টদের নিজস্ব উদ্যোগে বোখারার বাজারে এক কৃত্রিম জানাযা বের করে ঘোষণা করা হয়, “এ হলো মুসলমানদের আল্লাহ্র মরদেহ (জানাযা), আজ থেকে কোন আসমানী খোদার ধারনা শেষ করে দেয়া হলো”।
মধ্য এশিয়ার মুসলিম বসতিসমূহের বড় বড় রাস্তার মোড়ে ও দেয়ালে একটি পোষ্টার লাগান হয়, যাতে অংকিত ছিল, এক লোককে আকাশ থেকে পা টেনে পৃথিবীতে নামিয়ে আনা হচ্ছে। এই দৃশ্যের নীচে লেখাছিল, “মুসলমানদের আল্লাহ্কে আমরা আকাশ থেকে গ্রেফতার করে এনেছি”।
(চলবে)

অবলম্বনে: আমেরিকী ইয়াহুদী সাজেস