JustPaste.it

পাঠকের কলাম

বাংলার মুজাহিদরা কোথায়

===================================================================

 

দেশের সর্বস্তরের মুসলমানদের প্রতি রইল আমার অশেষ সালাম ও প্রাণঢালা ভালােবাসা।

 

        এ দেশে ৯০% মুসলমান, ৪০ লক্ষ আলেম। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম এ মুসলিম দেশের মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা বিনষ্ট করার জন্য এনজিওরা সেবার নামে যেভাবে মেতে উঠেছে, তাতে আশ্চর্য হওয়ারই কথা। এত বড় সাহস ওরা পেলাে কোথায়? হক্কানী আলিমদেরকে মাঠে দেখলে বাতিলের অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। এ দেশকে আলেম ওলামা ও মুসলমান শূন্য করার অপচেষ্টায় তারা সর্বশক্তি নিয়ােগ করছে। পাশ্চাত্য চক্রান্তের শিকার এই বাংলার কুখ্যাত চরিত্রহীন নারী ইসলামের চরম শত্রু “তসলিমা নাসরিন” লজ্জা নামক উপন্যাসটি লিখে ভারতে প্রচার করে ভারতের মুসলমানদের উপর যে শকুনি থাবা মেরেছে তা সত্যিই দুঃখের ব্যাপার।

 

        এই দেশের সরকার মুসলমান। তাদের কাছে তসলিমা নাসরিন, আহমদ শরীফ প্রমুখ মুরতাদদের বিচার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোন বিচার হয়নি, বরং মুসলমানদের শত্রু, বাংলার কলংকিত নারী তসলিমা নাসরিনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। এদেশের সরকার মদের লাইসেন্স দিয়ে, পতিতাদের লাইসেন্স দিয়ে, যাত্রার লাইসেন্স দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এনজিওদের অপতৎপরতা চালানােয় সাহায্য করছে। বাংলার মুজাহিদরা কোথায় কোথায় সেই মুছা, তারিক, কাসেম, হায়দারের উত্তরসূরীরা, আর এক বার জেগে ওঠো। ওদেরকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। ছােট বড় সকল ভেদাভেদ ভুলে, তাওহীদের পতাকা তলে সমবেত হয়ে গর্জে উঠে ওদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে বীর সালাউদ্দিনের উত্তরসূরীরা এখনও বেঁচে আছে।

 

        এনজিওদের মুখােশ খােলার ব্যাপারে জাগাে মুজাহিদ পত্রিকা অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। তাই জাগাে মুজাহিদের সকল কলম সৈনিকদের জানাই শুভেচ্ছা-শ্রদ্ধা। চিরদিন বেঁচে থাকুক এই পত্রিকা।

 

হাঃ মােঃ মনির হােসেন

রাজু ছাত্রাবাস

৬ নং কাশিপুর (মেঘনা গেট)

দৌলতপুর, খুলনা।

 

মুসলমানদের কবরস্থানে নাস্তিক মুরাদের কবর (?)

-----------------------------------------------------------

         ডঃ আহমদ শরীফ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক, তসলিমা নাসরিন (নির্বাচিত কলাম, লজ্জা ইত্যাদি গ্রন্থের লেখিকা) উভয়ে তাদের লেখনী এবং প্রত্যক্ষ স্বীকারােক্তির মাধ্যমে নিজেদেরকে নাস্তিক বলে দাবী করেছেন। তাদের লেখনী, বক্তৃতা ও বিবৃতি এদেশের কোটি কোটি তৌহিদী জনতার ঈমানী অনুভূতিতে দারুণভাবে আঘাত করেছে। কিন্তু তারা এখনও মুসলিম সমাজের সমস্ত সুবিধা গ্রহণ করছেন। এমনকি মুসলমান পরিচয়ে নিজেরা মুসলমানদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকছেন এবং আত্মীয় স্বজনদের মুসলমানদের সাথে ইসলামী রীতিতে আবদ্ধ করাচ্ছেন। তাদের নিজেদের মুসলমানদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ইসলামী শরীয়ত মােতাবেক অবৈধ। বাংলাদেশের ৯০ % লােক মুসলমান। এদেশে যদি ইসলামী আইন চালু থাকতাে তাহলে তারা মুরতাদ হওয়ার জন্য যথাযযাগ্য শাস্তি পেতেন।

 

        তাই তাদেরকে মুসলমান সমাজের নিয়ম অনুসরণ করার কোন সুযােগ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এমতাবস্থায় তাদের মৃত্যু পরবর্তী শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিশিষ্ট মুফতি, আলীম ও মাশায়েখের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত থাকা প্রয়ােজন। এদেশের তৌহিদী জনতার বিশ্বাস মতে ইসলামী বিধি মােতাবেক তাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান ও মুসলিম গােরস্থানে তাদের দাফন কার্য সমাধা হওয়া উচিত নয়। সুতরাং কোন প্রকার কালক্ষেপণ না করে বিজ্ঞ আলিম সমাজের এতদসম্পর্কিত সিদ্ধান্ত বর্ণিত মুরতাদদ্বয়কে ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের জানিয়ে দেয়া উচিত। অন্যথায় তাদের মৃত্যুর পর তাদের মুসলমান ছেলে মেয়ে ও আত্মীয় স্বজন কর্তৃক ইসলাম ধর্ম অনুসারে শেষ কৃত্য অনুষ্ঠান করার জন্য আলেমগণের উপর চাপ প্রয়ােগ করার আশংকা রয়েছে।

 

মােঃ ওমর ফারুক ইসলামাবাদী

উত্তর ফতেয়াবাদ, নন্দীরহাট,

হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

 

 

বস্তুবাদী শিক্ষার উপহার

-----------------------------------------------------------

         শিক্ষা আমি শ্রেষ্ঠ সবার। দিল্লীর পতি সেতাে কোন ছার, ভয় করি নেক, ধারিনেক ধার, মনে আছে মাের বল, বাদশাহ শুধালে শাস্ত্রের কথা শুনাব অনর্গল। বাদশাহ আলমগীরের সামনে শাহজাদার গুরুকে একদিন কৈফিয়ত পেশ করতে হয়েছিল কেন শাহজাদা নিজহাতে তার চরণ। ধৌত করে দেননি। তিনি এতদিন শাহজাদাকে কি শিক্ষা দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে যে উত্তর বেরিয়ে এসেছিল তা হচ্ছে “আজ হতে চির উন্নত হল শিক্ষা গুরুর শির সত্যিই তুমি মহান উদার বাদশাহ আলমগীর।” সে ইতিহাস আজ কবিতার ছন্দে, বই এর পৃষ্ঠায়! এমন নজির আজকের বিজ্ঞানের যুগে অনুসন্ধান করা অত্যন্ত বােকামী হবে; এমন মন্তব্য করা সত্যের অপলাপ হবেনা। কেননা বর্তমান বস্তুবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা যেমনি ভাবে আমাদের উপযুক্ত মেধার বিকাশে ব্যর্থ তেমনি ভাবে নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষা দিতেও সম্পূর্ণ অপারগ।

 

        “মা বাপে বানায় ভূত, আর শিক্ষকে বানায় পুত।” এ সকল প্রবাদবাক্য যারা রচনা করেছে তারা যদি এ যুগে বেঁচে থাকতাে, তাহলে আজকের গুরু-শিষ্য সম্পর্ক দৃষ্টে নীরবে অশ্রু বর্ষণ, অভিশাপ আর আপসােস বৈ কিছুই করার থাকত না। ‘ কিয়ামত নজদিক হ্যায় ’ এমন সংবাদই শােনা যেত তাদের কণ্ঠে। কারণ, যেখানে বিনা অপরাধে ছাত্রের হাতে উস্তাদকে প্রাণ দিতে হয়, যেখানে নীতিকথার বিনিময়ে খেতে হয় কিল, ঘুষি, লাথি, যেখানে নকল করতে না দেওয়ায় শিক্ষাঙ্গণের মুল্যবান জিনিসপত্র তছনছ হয় তাদর্শনে এছাড়া আর কি অনুভূতি হতে পারে। এটাই আজ শিক্ষাঙ্গণের আবরণ। খবরে প্রকাশ, গত ৯ জানুয়ারী বি.এস.সি পরীক্ষার্থী একজন ছাত্রকে প্রকাশ্যে নকল করতে বাধা দেয়ায় ১১ ই জানুয়ারী মঙ্গলবার ঐ তরুণের হাতে বাধা প্রদানকারী সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের প্রবীণ শিক্ষক জয়ন্তকুমার দে রঞ্জু (৫৬) মহাশয়কে নির্মম ভাবে প্রাণ দিতে হয়। পদার্থ বিজ্ঞানের ঐ প্রয়াত শিক্ষক তারই ছাত্রের হাতে প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করলেন, সত্যের পথে চলা, ন্যায়, নিষ্ঠা ও আমানতদারীর সাথে চলা এ সমাজে বড়-কঠিন। তার একমাত্র অপরাধ তিনি প্রকাশ্যে ডাকাতি করতে দেননি, প্রকাশ্য দিবালােকে আমানতের খেয়ানতকারীকে অবাধে চলার সুযােগ দেননি।

 

        আফসােস হয়, জয়ন্ত বাবু গােটা জীবনটাকে কেন ব্যয় করলেন মানুষ তৈরীর কারখানায়? তার পরিবর্তে তিনি কি পেলেন? অন্যদিকে আব্দুল আজীজ নামের এ নরপিশাচ, ছাত্র নামের কলঙ্ক এতদিন কি শিক্ষা অর্জন করেছে? শিক্ষকের কাছ থেকে, এ সমাজ থেকে সে কি অর্জন করলাে তা ভাবতে আশ্চর্য লাগে। অবাক হই তার এমন সাহস দেখে। জ্ঞান অর্জনের নেশায় যে কোমল হদয় শিক্ষাঙ্গণে পাড়ি জমায়, তার হাতে কেন অস্ত্র ওঠে? মানুষ খুনের নেশায় কেন মেতে ওঠে? কোন হাতের ইশারায় বা কি শিক্ষা পেয়ে ছাত্ররা কলংকজনক ইতিহাস রচনায় এমন ঘৃণিত পথে পাড়ি জমায় তা আজকে ভেবে দেখার সময় এসেছে। বাংলাদেশে যে হারে নকল প্রথার প্রসার ঘটেছে, তা দেখে মনে হচ্ছে এ দেশের ভবিষ্যত আঁধার, অন্ধকার আগামী দিনের ইতিহাস। তাই নকল প্রথা বন্ধের জন্য ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

        অন্যথায় একা সরকারের পক্ষে তা রােধ করা সম্ভব হবে না। আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে আরও কত শিক্ষককে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে তার হিসাব কে রাখবে। আরও কত আজিজ যে এ ঘৃণিত পথে হাত বাড়াবে তার ইয়াত্তা থাকবে না। তবে নৈতিকতাহীন বর্তমান বস্তুবাদী শিক্ষা ব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী। তা কেউ অস্বীকার করতে পারে না। যে ধার্মিক ছেলে জ্ঞান অর্জনের জন্যে শিক্ষাঙ্গণে এসে ধর্মহীন শিক্ষা পায় ধর্মনিরপেক্ষ নকলকারী হওয়াই তার পক্ষে স্বাভাবিক। যে কোমল হৃদয় সুস্পষ্ট কোন আদর্শ না শিখে “আগডুম বাগডুম” দিয়ে যাত্রা শুরু করে তার মাকসুদে মনজিল এমন হবেই। যেখানে পরকালের ভয় আর জবাব দিহিতার খতিয়ান নেই, সেখানে আরও আজিজ জন্ম হবে, তার পথ ধরে সৃষ্টি হবে আরও কত খুনীর। জীবন দিতে হবে আরও কত গুরুজনের, উত্তম-মধ্যম খেতে হবে আরও কত নীতিবান, আদর্শবান শিক্ষা গুরুর কে জানে। তাই আজকের দিনে যেমন ভাবতে হবে নকল প্রথা সম্বন্ধে, তেমনি তলিয়ে দেখতে হবে বর্তমান বস্তুবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপারে।

 

মুহাম্মদ এনামুল হাসান ছাবীর।

বাংলা অনার্স ২ য় বর্ষ

এম.সি, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সিলেট।

 

 

সত্যের পক্ষে এক সাহসী কণ্ঠস্বর

-----------------------------------------------------------

        (১) আমি মাসিক জাগাে মুজাহিদের একজন নিয়মিত পাঠক। আধুনিকতা ও অপসংস্কৃতিতে ভরা এ সমাজের বাজারে পত্রিকার স্তুপ জমে আছে। নাস্তিক্যবাদের শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হচ্ছে অসংখ্য ম্যাগাজিন। ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থ বিরােধী পত্রিকার আজ সয়লাব। শুধু তাই নয়, তসলীমার মত নাস্তিক এবং কাদিয়ানীদের মত মুরতাদের পক্ষেও অনেক পত্রিকা দালালী করছে। কিন্তু “জাগাে মুজাহিদ” এই বিকৃত পচা, গলা, বিধ্বস্ত সমাজের মুক্তির সনদ নিয়েই উপস্থিত হয়েছে। “জাগাে মুজাহিদ” দেখাচ্ছে সত্য সুন্দর পথ। দেখাচ্ছে শান্তির অবারিত দরওয়াজা। অনেক পত্রিকাই পড়েছি, কিন্তু মুসলিম ঐতিহ্যের অধিকারী, ইসলামী চেতনাবােধের সমন্বয়কারী পত্রিকা “জাগাে মুজাহিদ” ছাড়া আর পাইনি। ইসলামী জাগরণের জোয়ার সৃষ্টি করতে জাগাে মুজাহিদ এগিয়ে চলছে বাঁধার পাহাড় পেরিয়ে। জিহাদের স্পৃহা ও শাহাদতের কামনা পয়দা করার মত মহান লক্ষ্য নিয়ে জাগাে মুজাহিদ সকল ভয় ভীতির মূলাে উৎপাটন করে মানব সমাজকে জান্নাতুল ফেরদৌস এর পথের দিকে আহবান করছে। সুতরাং জাগাে মুজাহিদই এ সমাজের সর্বশ্রেষ্ঠ পত্রিকা এবং মুক্তির দিশারী। কাজেই জাগাে মুজাহিদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি প্রভুর কাছে।

 

মোঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী

পি, কে, বেড়বাড়ী, ঝিনাইদহ।

 

 

        (২) ইতিহাসের পাতা খুললেই নজর পড়ে আমাদের আকাবিরদের স্মরণীয় অবদান। তারা নিজেদের কোরবান করে দিয়েছিলেন দ্বীনের জন্য। দ্বীনের যে কোন পদক্ষেপে তারাই ছিলেন অগ্রগামী। তাঁদের সামনে দাড়িয়ে মােকাবিলা করার মত সাহস ছিল না কারাে।

 

        তারা এমনি শিক্ষা অর্জন করে ছিলেন যাদ্বারা ব্যক্তি, সমাজ থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিভা তাদের যথাযথ অর্জিত হয়েছিল। তাঁদের এত হিম্মত ছিল যে, নিজের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করে দিয়েছেন তবুও বাতিলের সাথে আপােস করেননি। ছেড়ে দেননি দ্বীনের কাজ ও কঠিন পথ। বরং সক্রিয়ভাবে কাজ করে আমাদেরকে রাস্তা দেখিয়েছেন। শুরু করেছিলেন চর্তুমুখী কার্যক্রম। যার ফলে স্বাধীনতা আন্দোলনের নামে হক্কানী আলিমদের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল “রেশমী রুমাল আন্দোলন, আজাদী আন্দোলন, ফরায়েজী আন্দোলন। বাঁশের কেল্লার জিহাদসহ ভারতীয় উপমহাদেশে হক্কানী আলিমদের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল ইসলামী গণজাগরণ।

 

        যাদের দুর্বার আন্দোলনের মুখে ইংরেজরা দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। গড়ে উঠেছিল বিশ্ব ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র “দারুল উলুম দেওবন্ধ”।

 

        কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় আজকে আকাবিরদের সত্যিকার অর্থে অনুসরণ নেই। জাতি আজকে চর্তুমুখী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জীবনের শেষ সম্বল ঈমান পর্যন্ত বিকিয়ে দিচ্ছে। আর আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছে, “হে আমাদের প্রতিপালক; আলেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে রক্ষা কর। দাও আমাদের অভিভাবক, দাও আমাদের সাহায্যকারী।” এই সংঘাতময় সময়ের অশান্ত মানব সমাজ মনে প্রাণে খুঁজে ফিরছে ওয়ালী উল্লাহী আদর্শের একদল বিপ্লবী চেতনার মর্দে মুজাহিদ। যার বাস্তব রূপ ছিলেন আল্লামা রশীদ আহমদ গংগুহী (রহঃ), কাসেম নানুতবী, শাইখুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান, হােসাইন আহমাদ ও হযরত থানভী (রহঃ) প্রমুখ। জাতি আজকে স্বপ্ন দেখছে হাজী শরীয়তুল্লাহ, নেছার আলী তিতুমীর, ফকীর মজনুশাহসহ একদল নির্ভীক বীর সেনানীকে যারা এ জাতিকে কল্যাণের পথ দেখাবে। দেখাবে হিদায়াতের প্রশস্ত রাজ পথ। সময় এসেছে জেগে ওঠার। আর কত ঘুমাবে হে বীর সেনানীরা! তােমরা তাে জাতির অতন্দ্র প্রহরী। প্রতিনিয়ত আসছে এই ডাক। এমন সময় “জাগাে মুজাহিদ” পত্রিকা জাতির যে মহান খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছে তা ব্যাখ্যা করার ভাষা আমার নেই। তাই “জাগাে মুজাহিদ” শুধু পত্রিকাই নয় বরং সময়ের সাহসিক শ্লোগান।

 

হাফেজ মুহসিন উদ্দীন বেলাল

ঢাকার গাও দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা

পােঃ হাসান পুর কলেজ, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।

 

 

 ═──────────────═