JustPaste.it

শারিয়াহর পরিবর্তে আইন রচনাই কি ইসলাম ত্যাগের জন্য যথেষ্ট? নাকি অন্তর থেকেও অবিশ্বাস জরুরী?

 

উত্তর প্রদানে – শায়খ সুলাইমান আল ‘আল্ওয়ান (আল্লাহ্ তাঁকে সৌদি কারাগার থেকে মুক্তি দান করুন)

প্রশ্নঃ

আমি শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল উসাইমীন (আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করুন) কর্তৃক লিখিত বই ‘আল ক্বাউল আল মুফীদ ফী শারহু কিতাব আত-তাওহীদ’ এ উনার কথা পড়েছি। সেখানে তিনি যা উল্লেখ করেছেন তার অর্থ এরূপঃ ‘আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা ব্যতীত অন্য কোন আইন দ্বারা যারা শাসন করে তাদের মনে এই বিশ্বাস কাজ করে যে এইসব মানবরচিত আইন তাদের দেশের ও দেশের মানুষের জন্য অধিক উপকারী ও আল্লাহর আইন অপেক্ষা শ্রেয়’। 

এটা কি সত্য যে, কোন শাসক যদি শরীয়ার কোন আহকামকে প্রতিস্থাপন করেন তাহলে এটাই প্রমাণ হয় যে তিনি মানবরচিত আইনকে আল্লাহর শরীয়াহ অপেক্ষা শ্রেয় মনে করেন? এটা কি তার কুফরের কারণ হবে? নাকি এরূপ কাজ নিজেই একটা কুফর?

 

উত্তরঃ

সাধারণভাবে মুসলমানদের মধ্যে ইজমা, যেমন ভাবে আল হাফীয ইবনে কাসীর তাঁর ‘আল বিদায়াহ ওয়া নিহাইয়া’ গ্রন্থের ত্রয়োদশ খন্ডে চেঙ্গিস খানের জীবনী অংশে উল্লেখ করেছেন যে, জুহুদ অথবা তাকযীব অথবা তাফসীল অথবা একই রকম অন্য কোন বিষয়ের সাথে তুলনা বা সম্পৃক্ত না করেই বলা যায় যে,

এরূপ কাজ হল নিজেই একটা কুফরী ও রিদ্দাহ।

সুতরাং যখন আমরা দেখি যে কোন ব্যক্তি “আল্লাহর আইন ব্যতীত অন্য আইন দ্বারা শাসন করে” তখন এটা হতে পারে যে সে বিশ্বাস করে তার হুকুম আল্লাহর আইন অপেক্ষা উন্নততর কিংবা এটাও হতে পারে যে তার এই কাজের পেছনে বিশেষ কোন বিশ্বাস নেই, সে তা কেবল একটা কাজ হিসেবেই করছে।

সুতরাং সে কি বিশ্বাস করছে সেটা না দেখেই বরং স্বয়ং তার কাজের উপর ভিত্তি করে আমরা তাকফির করবো। যদি তার কাজের সাথে বিশ্বাস জড়িত হয় তাহলে তার কুফর (পরিধি) বৃদ্ধি পাবে।

অন্যথায়, এরূপ কাজ করা নিজেই একটা কুফরী ও দ্বীন থেকে রিদ্দাহ বুঝায়,

যেমনভাবে আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ

“যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদানুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।”

তিনি আরও বলেন

“আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, যা আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে। তারা বিরোধীয় বিষয়কে শয়তানের দিকে নিয়ে যেতে চায়, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা ওকে মান্য না করে।”

আল্লাহ তা’আলা যা বলেছেন (যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।) সেই হিসাবে আমরা বলতে চাই-

  • আল্লাহর আইন ছেড়ে দেয়ার কুফর,
  • (নিজের মতো) আইন প্রণয়নের কুফর
  • এবং সেই আইন দিয়ে শাসন করার কুফর-

তারা (যেসব শাসক এরূপ করছে) তিন ধরণের কাজ করছে যা তাদেরকে ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত করে।

সুতরাং যারা বলে- ‘এরুপ শাসকেরা তো অবিশ্বাস করেনা, যদি না তারা পরিপূর্ণ ভাবে বর্জন করে (যেটির সাথে অন্তরের বর্জনও সম্পর্কিত)’ তারা ঘুলাত আল জাহমীয়াহ মাযহাবের অংশ বা মুরজিয়া।