পাঠকের কলাম
কোথায় সে নকীব?
মুসলমানেরা জিহাদী জাতি। তাদের রক্তে মিশে আছে জিহাদের কণিকা। অতিরিক্ত ঠান্ডা যেভাবে পানিকে বরফে পরিণত করে, ঠিক সেভাবে মুসলমানরা অতি মাত্রায় কোরআন ও হাদিসের আলো সহ তাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের চর্চা থেকে দূরে থাকায় তাদের রক্তের জিহাদী কণিকা বরফের মত জমাট বেধে গেছে। সে অচল হয়ে পড়েছে। তার প্রাণ শক্তি লোপ পেয়েছে। চতুর্দিকে সে মার খাচ্ছে, ঘর ছাড়া হচ্ছে, তাকে বানানো হচ্ছে বেদ্বীনের খেলার পুতুল, তার রক্তে জিহাদী কণিকা থাকা সত্বেও সে নিস্ক্রীয় অচল।
কে আছে তার বরফে পরিণত জিহাদী কষিকাকে সচল করে দিবে। কে আছে তাকে পুরাতন ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেবে। কে আছে অর্ধ পৃথিবীর শাসক হযরত ওমরের (রাঃ) কথা স্মরণ করিয়ে দিবে? কে আছে শেরে আলীর কথা, খোদার তরবারী খালিদের কথা, হাল জামানার জওহর দুদায়েভ, আব্দুর রহমান ফারুকী (রঃ) এর কথা স্মরণ করিয়ে সিংহদিল মুসলমানের বরফে পরিণত জিহাদী কণিকাকে বিগলিত করা ধমনীতে জিহাদের তুফানে সৃষ্টি করবে?
-মোঃ শরিফুল ইসলাম।
অশ্লীলতা দমনে এগিয়ে আসুন
দেশ ও জাতির উন্নতির পূর্বশর্ত হলো একদল দেশ প্রেমিক নাগরিক তৈরী করা। আজকের তরুণ সমাজ আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আজকের ছাত্ররা আগামী দিনের জাতির কর্ণধার। আজকের তরুণ ছাত্রসমাজই আগামীতে দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে, সমগ্র জাতিকে পৌঁছে দেবে সফলতার স্বর্ণ শিখরে। কিন্তু আজ সমাজের কাছ থেকে জাতি কি আশা করতে পারে? শিক্ষাঙ্গন যে এখন রণাঙ্গন, যাদের হাতে খাতা কলম শোভা পাওয়ার কথা ছিল আজ তাদের হাতে ককটেল,পিস্তল, রাইফেল আছে।
দেশ প্রেমের পরিবর্তে ভাংচুর, জ্বালাও পোড়াও এর জন্য দায়ী কারা? যে ছাত্ররা এক সময় দেশ ও জাতির জন্য রাজপথে অকাতরে ঢেলে দিয়েছিল বুকের তাজা রক্ত তারাই আজ সামান্য কারণে কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করতে কুণ্ঠিত হয় না। ক্ষমতার ভীতকে মজবুত করার জন্য আজ ছাত্র সমাজকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এদেশের ছাত্রসমাজের দুরন্ত শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য গভীর চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। তাদের অমূল্য সম্পদ চরিত্রকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি, বেহায়াপনা, নোংড়ামীতে ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে। টি,ভি ও ডিস এন্টিনার নোংরা ছায়াছবি ও পাশ্চাত্যের তথাকথিত সভ্যতার (?) দিকে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটানোর উস্কানি দেয়া হচ্ছে। নিজ দেশ ও জাতির সংস্কৃতি মুছে ফেলে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অশ্লীলতা আমদানী করা হচ্ছে জোরেসোরে। আজ সর্বত্র ডিস এন্টিনার ছড়াছড়ি। শিশু কিশোরদের চরিত্রহীন করার লক্ষ্যে বি,টি,ভি তে চলছে আপত্তিকর ছায়াছবির মহড়া। অনেক লেখালেখির পরও কর্তৃপক্ষের চেতনা হচ্ছে না। তাহলে কি ৯০% মুসলমানের দেশ এভাবেই অশ্লীলতার বন্যায় ভেসে যাবে জাতির তরুণ সমাজ? এহেন অবস্থা চলতে থাকলে এ দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ অবস্থা কি দাঁড়াবে, সচেতন মহল বিষয়টি ভেবে দেখবেন কি?
-নোমান আহমদ হামিদী
জেগে ওঠ তরুণ কাফেলা
খোদাদ্রোহী ও রক্তচোষাদের পদচারণায় থরথর কাঁপছে ধরনীতল। তাদের পদভারে পিষ্ট আজ মজলুম মানবতা। রাতের প্রতিটি প্রহর শেষে ডুকরে কেঁদে ওঠে কোটি মানবতা। জাতি আজ তন্ত্রী, মন্ত্রিদের দাপটে দিকহারা, বাকহারা, বিমূঢ়। সান্ত্বনা দেবার মতো মজলুমের পাশে উপস্থিত নেই কেউ। সবাই এ জুলুমের নীরব দর্শক। তবুও মজলুম জনগোষ্ঠী কুয়াশার চাদর উঠিয়ে কার প্রতিক্ষায় যেন পথ চেয়ে আছে। সে আর কেউ নয়। যৌবনপুষ্ট সাহসী, দিগ্বিজয়ী তরুণ দল। তার উত্থান ঘটবে কোত্থেকে? ভেবেছেন? সে তো আমাদের মাঝ থেকে মাথা উচু করে দাঁড়াবে। তার হাতে হাত রেখে এগোবার নিমিত্তে আমাদের সকলকে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে তৈরী থাকতে হবে। আজ, এখনই।
-মোঃ ইমরান উদ্দীন
এ হীন মানসিকতা ঘুচবে কবে?
আমরা সকলে মুখে থড় থড় বুলি আউড়াই, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতির উন্নতি নেই। আমিও কথাটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্তারা কি তা বিশ্বাস করেন। তাদের কাজে কর্মে তো দেখা যায়, চোর বলেন চুরি করতে আর গেরাস্তকে বলেন সজাগ থাকতে। আমরা সবার জন্য শিক্ষা চাই। আবার আমরাই আমাদের ছেলে মেয়েদের যখন লেখা পড়া করার সময় হয়, ঠিক সেই সময়েই শুরু হয়ে যায় ডিশ কিংবা টিভিতে রঙ বেরং এর চোখ ধাধানো রঙ্গিন অনুষ্ঠান। এই সময় কোন শিশুকে পড়ার কথা বললে সে বলে আম্মু টিভিতে আজ ভারতের সুপার ষ্টার শাহারুখ খান এর 'দিদি তেরে.........' গান আছে। এই শিশু যখন পড়তে বসে তখন ঔ গান গাইতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে নজর দেওয়া যাক। সেখানে দেখা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদন রুমে সরকারীভাবে ডিশ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সেই রুমে বসে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে রাত ২-৩ টা পর্যন্ত বিদেশী অশ্লীল রঙ্গিন ছবি দেখে এবং সেই অনুযায়ী তাদের মন মানসিকতা সৃষ্টি হয়।
যার ফলস্বরূপ আমরা দেখতে পাই নারী নির্যাতন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হাইজ্যাক, খুন। পিতা-মাতা তার সন্তানকে পাঠান লেখা-পড়া শেখার জন্য। আর রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় সে সন্তান শিখে বিজাতীয় উলঙ্গবাদী নায়ক-নায়িকাদের বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা ও ফ্রি সেক্স কালচার। এর নাম কি সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম? তথাকথিত শিক্ষা দরদীদের এ হীন মানসিকতা ঘুচবে কবে?
-মোঃ আবু মুসা
ইসলামী শিক্ষানীতিই একমাত্র
জাতীয় শিক্ষানীতি হওয়া উচিত
বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী গত ৮/১২/৯৬ তারিখ কক্সবাজার আদর্শ বালিকা মাদ্রাসা কর্তৃক আয়োজিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে জাতি বিভিন্নভাবে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তাই আমরা সবার জন্য একটি মাত্র জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি... শিক্ষামন্ত্রীর কথাটি নিশ্চই প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু মনে অতীব শংকা জাগে যখন শুনি তাদেরই কন্ঠে, যা কিছুর বিনিময়েই হোক খুদরত-ই-খোদার রিপোর্ট অনুযায়ী জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হবে। এতা অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে, অতি সত্বর সমগ্র জাতির উপর সম্পূর্ণ নৈতিকতা বিবর্জিত একটি পশ্চিমা শিক্ষা নীতি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আমারও চাই সবার জন্য একটি মাত্র জাতীয় শিক্ষানীতি, যদ্বারা তৈরী হবে সাহাবা কেরামের মত নীতিবান ও আদর্শ ব্যক্তিত্ব। বর্তমান প্রচলিত ও প্রণিতব্য শিক্ষানীতি থেকে যা কখনো আশা করা যায় না। যে শিক্ষা মুসলমানদের থেকে মুসলমানী চিহ্ন মুছে দিয়ে অমুসলিম সংস্কৃতির পূর্ণ বিনাশ ঘটায়। পরিপূর্ণ ইসলামী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটানো সময়ের অপরিহার্য দাবী। যদ্দরুন মুফাসসির, মুহাদ্দিস, মুফতি হওয়ার সাথে সাথে ইসলামী রাষ্ট্রনায়ক, সমর নায়ক, বিচারক, অর্থনীতিবীদ, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী প্রভৃতির সৃষ্টি হবে। তাই হওয়া উচিৎ একমাত্র জাতীয় শিক্ষানীতি।
-মোঃ সাইফুল ইসলাম সৈয়দ
প্রতিরোধের তোড়ে ভেসে যাক
সব অন্যায় অবিচার
আজ দেশের প্রতিটি মানুষ উদ্বিগ্ন, শংকিত। সবার মুখে এক প্রশ্ন, আমরা আমাদের দ্বীন-ঈমান, জাতীয় স্বাতন্ত্র এবং মান-মর্যাদা নিয়ে টিকে থাকতে পারব তো? সার্বিক পরিস্থিতি যুক্তির কষ্টি পাথরে যাচাই করলে এসব প্রশ্নের আশাব্যঞ্জক কোন জবাব খুঁজে পাইয়া যাবে না।
দেশের রাজনীতি এখন ইহুদী নাসারাদের নিয়ন্ত্রিত N.G.O এবং ওদের পোষ্য কিছু ভাড়াটে বুদ্ধিজীবীর সার্বিক নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদীদের তৈরী করা ছক মাফিক দেশটি একেবারে তছনছ করে দেয়ার জন্য যে মহা পরিকল্পনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা রীতিমত আতংকজনক। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। এরা ক্রয় করেছে কিছু পেশাদার রাজনীতিক, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কলামিষ্ট। এমনকি আলেম বা পীর সমাজে প্রতিষ্ঠাপ্রাপ্ত কিছু লোককেও এরা নিজেদের কাজে ব্যবহারের জন্য ক্রয় করেছে।
পাশ্চাত্যের ইহুদি নাসারাগোষ্ঠী গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রাচ্যের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিয়েছে। এরাই আফ্রিকার সোমালিয়াকে বিরাণভূমিতে পরিণত করেছে। মুসলিম বিশ্বের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী দেশ মিসরে তাগুতী শাসন কায়েম করেছে। আলজেরিয়াকে ঈমানদীপ্ত মানুষগুলোর জন্য জ্বলন্ত নরকে পরিণত করেছে। লিবিয়া, ইরান ও সুদানের উপর অবরোধের স্টীমরোলার চালিয়ে ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে রেখেছে। এত কিছুর পরও ইবলিসদের খায়েশ কমেনি বরং উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ১২ কোটি মুসলমানের দেশ আমাদের বাংলাদেশ ওদের পরবর্তী টার্গেট। এ লক্ষ্যে এদের কাজ অনেক দূর এগিয়ে আছে। আমরা যদি সত্যিকারের ঈমানদার হয়ে থাকি, তাহলে আমরা কখনই নির্বিবাদে এই শয়তানী শক্তির হাতে আত্মসমর্পণ করতে পারি না। কাজেই এখন আমাদের অবশ্যই পবিত্র জিহাদে অংশগ্রহণ করে এদের প্রতিরধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে।
-তানভীর