JustPaste.it

গজনবীর দেশ থেকে সোমনাথের পথে

–কমাণ্ডার নাসরুল্লাহ মনসূর

=================================================

        কমাণ্ডার নাসরুল্লাহ মনসুর পাথরের আড়ালে অবস্থান নিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। যখনই কোন সৈন্যের মাথা নজরে আসতে তখনই সেটা নিশানা বানাতেন। তাঁর হাতের টিপ ছিল নিখুত অযথা গুলি খরচ না করে ঠাণ্ডা মাথায় এক একজন করে শিকার করতে থাকেন। একদিকে আমাদের সাথীরা যেমন শহীদ হয়েছে। অপর দুমশনদেরও লাশের স্তুপ পড়ে গেছে। সন্ধ্যায় আব্দুশ শুকুর আওয়াজ দিল, “আকরাম, যদি জিন্দা থাকো তবে জবাব দাও।” আমি বললাম, “আলহামদুলিল্লাহ আমি জীবিত আছি।” সে ক্রোলিং করে প্রত্যেকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। সর্ব প্রথম সে কমান্ডারের কাছে যায়। ওদিকে শত্রুরা কমান্ডারকে বলছে, “ও আল্লাহু আকবরের বাচ্চা, আত্মসমর্পন কর”। কমান্ডার জবাবে বলেন, “আমাদের সাথে আল্লাহ আছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নিঃশ্বাস আছে কোন সাথী হাতিয়ার ফেলতে রাজী নই।

 

        রাতে সৈন্যরা কিছু দূরে অবস্থান নিয়ে গুলি চালাতে থাকে। রাতের পর সারা দিন ধরেও গুলী বিনিময় চলতে থাকে। দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় কমান্ডার গুলী চালানো বন্ধ করার নির্দেশ দেন। যখন কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত আমাদের পক্ষ থেকে গুলি বন্ধ থাকে তখন দুমশনরা মনে করে, সকল মুজাহিদ নিহত হয়েছে। তারাও আস্তে আস্তে গুলী চালানো বন্ধ করে দেয়। পর পর দুই দিনের লড়াইয়ে তারা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ায় রাতে নিজ অবস্থান থেকে আর সামনে অগ্রসর হয়নি রাত দু’টায় কমান্ডার সকল মুজাহিদকে একস্থানে ডেকে পরামর্শ করলেন। তিনি বললেন যে, ফিরে যাবার কথা কেউ যেন চিন্তা না করি। যেভাবেই হোক আমাদের সামনের দিকে এগুতেই হবে। যদিও গাইড ধরা পড়েছে, রাস্তা আমাদের চেনা নেই, তবুও আমরা অনুমানের ওপর নির্ভর করে অগ্রসর হব। ইনশাআল্লাহ আমরা পথের সন্ধান পেয়ে যাব।

 

        আমাদের কাছে বারুদের যে মাইন ছিল সেগুলি শহীদ সাথীদের পাশে বিছানো হলাে শত্রুরা যাতে শহীদদের লাশের সাথে কোন অপমান করতে চাইলে সাথে সাথে তার প্রতিফল পায়। আমরা অতি সতর্কতার সাথে এক একজন করে একদিকে বের হয়ে এলাম। আল্লাহর শোকর সকল সাথীসহ আমরা শত্রুর বেষ্টনী পাড় হয়ে এক পাহাড়ের চূড়ায় পৌছে গেলাম। সকলে ক্ষুধা পিপাসায় খুবই ক্লান্ত। তাই আজকের দিন এখানে বিশ্রাম নিয়ে রাত্রে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পাহাড়ের চূড়া থেকে যুদ্ধ ক্ষেত্র ছিল অনেক নীচে! সকাল আটটায় ভারতীয় সৈন্যরা গুলী করতে করতে সামনে অগ্রসর হয়। যখন জওয়াবে কোন গুলী বর্ষিত হলাে না তখন। তাদের সাহস বেড়ে গেল। তাদের ধারণা জন্মালাে যে, এখন আর কোন মুজাহিদ জীবিত নেই। তারা নিহত সাথীদের তল্লাশী নেয়ার জন্য সামনে অগ্রসর হয়ে কাছাকাছি পৌছাতেই একটি মাইন বিস্ফোরিত হয়। এতে কয়েকজন শত্রু সৈন্য হতাহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে। অন্য পাশ থেকে অগ্রসর হওয়া সৈন্যরাও আর একটি মাইন বিস্ফোরণের কবলে পড়ে হতাহত হয়।

 

        সাধারণ সৈন্যরা মাইন সম্পর্কে তেমনন কিছু জানে না। মাইন তুলে পথ পরিস্কার করতে সৈন্যদের বিশেষ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের প্রয়োজন হয়। কিন্তু মাইন সুইপার ইউনিট সাথে না থাকায় সৈন্যরা তাদের, তল্লাশী অভিযান মুলতবী রাখতে বাধ্য হয়। পরে আমরা জানতে পেরেছি যে, এই লড়াইয়ে ৩৬ জন সৈন্য নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছিল। সৈন্যদের হাতে আটকা পড়া আমাদের। গাইডকে ভারতীয় সৈন্যরা পরে এসব হতাহতের প্রতিশোধ স্বরূপ বিনা বিচারে গুলী করে হত্যা করে। কমাণ্ডার নাসরুল্লাহ গাইডের দায়িত্ব আমার ওপর ন্যস্ত করেন। আমি সবার আগে আগে চলে রাস্তা দেখে নিতাম, বাকী সাথীরা সেই পথ ধরে অগ্রসর হত! চলতে চলতে একসময় একটি পাহাড় থেকে একশো মিটার নীচে নেমে দেখি, দশ মিটার দুরে চার জন সৈন্য জড়সড় হয়ে এক যায়গায় বসে থেকে প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে। শীতের প্রচণ্ডতা থেকে বাঁচার জন্য তারা একে অপরের শরীর জড়াজড়ি করে বসে ছিল। তাদের এত কাছে পৌঁছার পরও তারা আমার উপস্থিতি টের পায়নি! ইচ্ছে করলে এক ব্রাশেই চারজনকে ঘায়েল করা যেত। কিন্তু এ মুহূর্তে বন্দুকের আওয়াজ করা ঠিক হবে না বলে নিজেকে সংযত করলাম। এখন আমাদের কাশ্নির পৌছাই আসল কাজ।

 

        কমাণ্ডার নাসরুল্লাহ্ সকল প্রকার সংঘাত এড়িয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। একান্ত যদি বিপদ এড়ানো না যায় তবেই গুলী করার অনুমতি রয়েছে। আমি অতি সন্তর্পনে পিছনে ফিরে এসে পথ পরিবর্তন করে সাথীদেরকে যথা সম্ভব নিঃশব্দে অগ্রসর হতে বললাম। আধা কিলােমিটার অগ্রসর হওয়ার পর আমরা অনেকগুলি বড় বড় পাথর দেখতে পাই। সাথীরা ক্ষুধা- পিপাসা ও ক্লান্তির শেষ সীমায় পৌছে গেছে। কারো আর চলার মত শক্তি নেই। একমাত্র দৃঢ় মনোবলই তাদের সামনে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এবার পাথরের ভাল আড়াল পেয়ে, সাথীরা সেখানেই বসে পড়ে। অতঃপর বাধ্য হয়ে আমরা এক দিন একরাত সেখানে বিশ্রাম নিলাম। পরের দিন দুপুরের দিকে ত্রিশ পয়ত্রিশজন সৈন্যের একটি টহল গ্রুপ এই পথে টহলদিতে আসে। তাদের সাথে দুটি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুর ছিল। আমি যে পাথরের আড়ালে বসা ছিলাম একজন সৈন্য সেই পাথরের ওপর এসে দাড়ায় এবং তার সঙ্গের কুকুরটি আমাকে দেখে ফেলে। আমি কুকুরের দিকে তাকিয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে লাগলাম। আল্লাহর কুদরতে কুকুর কোন আওয়াজ না করে পাথর থেকে নীচে নেমে গেল। পঞ্চাশ মিটার অগ্রসর হয়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে বসে তারা গাল গল্প করতে থাকে। তারা চা তৈরী করে পান করে। আমার সামনের দুশমনরা হাসি ঠাট্টায় মেতে ছিল। | আমি তাদের দিকে ক্লাসিকোভ তাক করে বসে ছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের সন্ধান না পাওয়ার দরুন আমরা কমাণ্ডারের নির্দেশ অনুযায়ী শিকার হাতের কাছে পেয়েও ছেড়ে দিলাম।

 

        সন্ধ্যা হতেই আমরা আবার সফর শুরু করি। চার ঘন্টা চলার পর ক্লান্তির জন্য আর চলা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আহত সাথীরা মোটেই চলতে পারছিল না। স্বয়ং কমান্ডার নাসরুল্লাহর শরীরের তিন স্থানে যখম ছিল। বাকী সাথীরাও প্রায় সবাই কম বেশী আহত, সবার জামা কাপড়ই রক্তে শিক্ত। কমান্ডার বললেন, “দেখ কোথাও লুকিয়ে থাকার মত জায়গা পাওয়া যায় কিনা?” আমি খোঁজাখুঁজি করে একটি স্থান নির্বাচন করলাম। বাকী রাত ও পরদিন সেখানে কাটাবার পর সাথীরা ক্ষুধা ও ক্লান্তিতে আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। চতুর্থ রাতে আবার ঘন্টা চারেক চলার পর বিশ্রাম নিলাম। এভাবে অল্প অল্প করে অগ্রসর হয়ে আমরা সপ্তম রাতের শেষে একটি বস্তির উপরের দিকে পাহাড়ে উঠে বসি। বস্তি দেখে ভাবলাম, আমরা কাশ্মির উপত্যাকায় পৌছে গেছি। কিন্তু বস্তির অধিবাসীদের সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা ছিল না। এটা মুসলমানদের গ্রাম না হিন্দুদের? গ্রামে সৈন্যদের ক্যাম্প আছে কিনা সে ব্যাপারে কোন তথ্য আমাদের জানা ছিল না।

 

        অপর দিকে ক্ষুধা নিবারণের জন্য আমাদের খাদ্যের ভীষণ প্রয়োজন। কমাণ্ডার সবাইকে থামতে নির্দেশ দিলে আমরা একস্থানে বসে পড়ি। আমার সাথে একজন সাথী দিয়ে কমাণ্ডার প্রথমে বস্তির কাছাকাছি গিয়ে বস্তির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বললেন। আমরা নিচে নেমে একটি ঝােপের আড়ালে বসে তাদের গতিবিধি লক্ষ করতে থাকি। দেখে মনে হল, মুসলমানদের গ্রাম। আশে পাশে সৈন্যদেরও কোন ক্যাম্প দেখলাম না। দুটি বালিকা কতগুলি ছাগল নিয়ে পাহাড়ে চড়াতে যাচ্ছিল। আমি নরম সুরে একটি বালিকাকে কাছে ডেকে তার কাছে প্রথমে তার নাম, বাপের নাম এবং আস্তে আস্তে গ্রামের নাম ও আশে পাশের গ্রামের নাম জিজ্ঞাসা করলাম। এরপর গ্রাম প্রধানের নামও জিজ্ঞাস করলাম। তার জওয়াব শুনে আমাদের অবস্থান এবং আমাদের গন্তব্য পথের দিক নিশেনাও পেলাম। গ্রাম থেকে ৫০০ মিটার দূরে সৈনিকদের পোস্ট। তাই গ্রামের ভিতরে প্রবেশ না করে কমাণ্ডারের কাছে ফিরে এসে তাকে সকল বিষয় অবগত করলাম। সব কিছু শুনে তিনি বললেন, “যাও প্রথমে গ্রাম প্রধানের সাথে দেখা করে কিছু খাবার যোগার করে নিয়ে আস।” গ্রাম প্রধান বাড়ী ছিলেন না। তিনি গম ভাঙ্গানোর জন্য পাশের গ্রামে গিয়েছেন। তাই আমি তার ঘরের লােকদের কাছে খাবার চাইলে তারা আমাদের অল্প কিছু ভুট্টার রুটি দিয়ে বিদায় করতে চাইল। বুঝলাম, গ্রামপ্রধান না এলে কাজ হবে না। তাই তার আসার অপেক্ষা করতে লাগলাম। তিনি ফিরে আসলে তাকে সবকথা বুঝিয়ে বললাম।

 

        আমরা কোথা থেকে এসেছি, পথে যে যুদ্ধ করতে হয়েছে এবং সাথীদের অবস্থা তার কাছে খুলে বলার পর তিনি গ্রাম থেকে দুজন লােক, আমাদের সাথে দিয়ে দিলেন। আমরা তাদের নিয়ে উপরে গিয়ে সাথীদের খুঁজতে লাগলাম। আমাদের সাথে দুইজন অপরিচিত লােক দেখে সাথীরা ভয় পেয়ে কোন সাড়া দিচ্ছিল না। আমরা আওয়াজ দিয়ে বললাম, কোন ভয় নেই এরা গ্রামের লােক এ গ্রামের লােকেরা মুজাহিদদের সহযোগী। অবশেষে কমাণ্ডার হাত তুলে ইশারায় আমাদের কোছে ডাকেন। পরে সাথীদের নিয়ে গ্রামে চলে আসি। গ্রামের লােকজন আমাদের জন্য ভাল খাবারের ব্যবস্থা করে। অনেক দিন পর পেট ভরে খেতে পেয়ে আমরা আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করলাম। খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে গ্রামের লােকজন আমাদের কাছে পথের খবর জানতে চাইলাে। আমাদের পথে সংগঠিত সকল ঘটনা শুনে তারা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। বললাে, আফগান মুজাহিদ বলেই আল্লাহ আপনাদেরকে এমন সহায়তা করেছেন। যে পথ দিয়ে আমরা এসেছি সে পথ সম্পর্কে তারা বললাে যে, এপথের দু’পাশে কয়েকশ সরকারী সৈন্যের পোষ্ট সব সময় এপথে সৈন্যরা টহল দিয়ে ফিরে নিরাপদে এ পথ পার হয়ে আসায় বিস্ময় প্রকাশ করলাে তারা।

 

        নিকটেই সৈন্যদের পোস্ট তাই গ্রামে বেশী সময় কাটানো বিপদজনক। তাছাড়া আমাদের নিরাপদ স্থানে পূর্ণ বিশ্রামেরও প্রয়োজন। গ্রামের লােকেরা আমাদেরকে অন্য এক বস্তিতে পৌছে দিল। এখানে আমরা পৌছে আমাদের প্রথম গ্রুপের সাথীদের খবর নিলাম। ভাই ওমায়েরসহ অন্যান্য সাথীরা পরদিন আমাদের সাথে মিলিত হল। তারা বললাে, আমরা মাত্র দু’দিন দু’রাতে এই পথ অতিক্রম করেছি। অথচ আমাদের লেগেছে পুরো সাত দিন। আমরা এখান থেকে আরও এক মাইল অতিক্রম করার পর কমান্ডার নাসরুল্লাহর শারীরিক অবস্থা অত্যান্ত খারাপ হয়ে পড়ায় তাকে শ্রীনগর নিয়ে যাওয়া হয়। মুহাম্মদ আছেম ও মুহাম্মদ সাবেরও তার সাথে শ্রীনগর চলে যায়। আমি (আকরাম উল্লাহ) সকালে ওমায়ের, মোজাফফর হোসেন ও কারী আব্দুস শুকুরসহ এখানেই থেকে গেলাম। সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই গ্রামের লােকজন এসে আমাদের ক্রেক ডউনের খবর শোনালাে। এটা আমার জীবনের প্রথম ক্রেক ডাউনের অভিজ্ঞতা। আমাকে অস্ত্র ছাড়া একজন সাধারণ মানুষের মত দুশমনদের সামনে দাড়াতে হবে, তাদের সামনে প্রমাণ করতে হবে, আমি একজন কাশ্মিরী, আমি কখনও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে কোন কর্মকাণ্ডে অংশ নেইনি ইত্যাদি। মনে মনে ভাবলাম, এটা অসম্ভব। তারা আমাদেরকে চিনে ফেলবে।

 

        এছাড়া দুশমনদের গুপ্ত চররাতো অতি সহজেই আমাদের চিহ্নিত করতে পারবে। প্রথমে চেষ্টা করলাম, ক্রেক ডাউন থেকে বের হওয়ার জন্য কিন্তু কোন রাস্তা খুঁজে পেলাম না। অগত্যা লাইনে দাড়িয়ে সনাক্ত প্যারেডের অপেক্ষা করতে থাকি। আমাদের জানা ছিল না যে, এই ক্রেক ডাউন শুধু আমাদের ধরার জন্যই করা হয়েছে। এজন্যই আমরা কোন প্রস্তুতি নেইনি। আমাদের পরনে পাকিস্তানী সেলওয়ার কামিজ। তাতে রক্তের ওপর ময়লা জমে কালাে হয়ে গেছে। যে কেউ দেখলেই বুঝতে পারবে, এরা এ অঞ্চলের লােক নয়। আমরা ঐ অবস্থায়ই জীপে বসা গুপ্তচরের সামনে দিয়ে কয়েকবার আসা যাওয়া করলাম। প্রতি বার যাবার সময় আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছি। আল্লাহ গুপ্তচরদেরকে অন্ধ করে দিলেন। তিন হাজার লােকের লাইন থেকে তারা আমাদের একজনকেও খুঁজে পেল না। অথচ লাইনে দাড়ানো প্রতিটি লোক আমাদের আফগান মুজাহিদ বলে সম্বোধন করছে। তাদের মহিলারা যখন ঘর থেকে খাবার দিয়ে যেত তখন তারা নিজেরা না খেয়ে ভাল অংশ আমাদের দিকে এগিয়ে দিতো। একবার জামাতে নামাজ পড়ার পর পিছন থেকে এক লােক উচ্চ স্বরে ইমাম সাহেবকে বললাে, “আমাদের সাথে যে বিদেশী মেহমান মুজাহিদরা আছে তাদের নিরাপত্তার জন্য দোয়া করুণ।” ইমাম সাহেব খাছ ভাবে এজন্য দোয়া করেন। সকলে আমীন আমীন বলে সে দোয়ায় অংশ নেয়। (চলবে)

 

সৌজন্যে আল-ইরশাদ

অনুবাদঃ মনজুর হাসান

 

*****