জীবন পাথেয়
দ্বীনের সকল বিষয়কে সত্য বলে জানার নামই ঈমান
========================================================================
দ্বীনের সকল বিষয়কে সত্য বলে জানার নামই ঈমানঃ ইবনে ওমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত রেওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেনঃ দ্বীন পাঁচটি বিষয়ের সমষ্টি। (এর সবগুলােই অত্যাবশ্যকীয়। এগুলাের একটি ছাড়া অপরটি মানুষকে দোযখ থেকে পুরাপুরি নিষ্কৃতি দিতে পারে না।)
একঃ এ বিষয়ের সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ্ তা'আলা ব্যতীত কোন মাবুদ নাই । মােহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তা'আলা, তাঁর ফেরেশতা, কিতাব, রাসূল এবং জান্নাত ও দোযখের প্রতি বিশ্বাস রাখা। এ ছাড়া এ বিষয়ে বিশ্বাস রাখা, মৃত্যুর পর পুনরায় (হিসাব-নিকাশের জন্যে) জীবিত হতে হবে।
দুইঃ পাঞ্জেগানা নামায ইসলামের স্তম্ভ। আল্লাহ্ তা'আলা নামায ছাড়া ঈমানও গ্রহণ করবেন না।
তিনঃ যাকাত গােনাহের কাফফারা, যাকাত ছাড়া আল্লাহ্ তা'আলা ঈমান ও নামায কবুল করবেন না।
চারঃ এসব রােকন আদায় করার পর রমযান মাস এলে যদি কেউ বিনা ওযরে রােযা না রাখে, তবে আল্লাহ্ তা'আলা তার ঈমান, নামায ও যাকাত কবুল করবেন না।
পাঁচঃ এই চারটি রােকন আদায় করার পর যদি হজ্জ করারও সামর্থ্য হয় এবং সে নিজে হজ্জ করে অথবা তার পরে অন্য কেউ তার পক্ষ থেকেও হজ্জ না করে তবে তার ঈমান, নামায, যাকাত ও রােযা কিছুই গ্রহণীয় হবে না। কবুল না হওয়ার অর্থ এই যে, ইসলামের কোন রােকনে ত্রুটি হলে অবশিষ্ট রােকনসমূহ দোযখ থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তির জন্যে যথেষ্ট হবে না। - (আলাহিলইয়া, তরজুমানুসসুন্নাহ)
পূর্ণ ইসলামঃ আবু হােরায়রা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত রেওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ “পূর্ণ ইসলাম এই যে, তুমি কেবল আল্লাহ্ তা'আলার এবাদত করবে-কাউকে তাঁর অংশীদার করবে না,যথারীতি নামায পড়বে, যাকাত প্রদান করবে, রমযানের রােযা রাখবে এবং বায়তুল্লাহ-এ হজ্জ করবে। তােমরা সৎকাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজ করতে নিষেধ করবে। (গৃহে এসে) তােমরা গৃহের লােকদেরকে সালাম করবে। যে ব্যক্তি এসব বিষয়ের মধ্যে কোন একটি করে না, সে অপূর্ণ ইসলামকে পালন করে। আর যে ব্যক্তি সবগুলােই তরক করে সে তাে ইসলামকে | পৃষ্ঠ প্রদর্শনই করে।”(হাকেম-তরজুমানুস্সুন্নাহ)
হযরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ বর্ণনা করেন, নজদ অঞ্চলের জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে আগমন করল। তার মাথার চুল বিক্ষিপ্ত ছিল। সে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে এমনভাবে কথা বলছিল যে, আমরা তার গুঞ্জন শুনছিলাম; কিন্তু আওয়ায পরিষ্কার না হওয়ার কারণে (সম্ভবতঃ অধিক দূরত্বও এর কারণ ছিল।) আমরা তার কথার মর্ম উপলব্ধি করতে পারছিলাম না। অবশেষে সে রাসূলে করীম (সাঃ)-এর একেবারে কাছে এসে গেল। এখন সে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন রাখল। (অর্থাৎ, আরয করলঃ আমাকে ইসলামের বিশেষ বিধানাবলী বলে দিন, যেগুলাে পালন করা আমার জন্যে ও সকল মুসলমানের জন্যে জরুরী। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ দিবারাত্রির মধ্যে পাঞ্জেগানা নামায রয়েছে (যা ফরয করা হয়েছে। ইসলামে এটা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বপ্রথম করণীয় কাজ)। লোকটি আরয করলঃ এগুলাে ছাড়া আরও কোন নামায আমার জন্যে জরুরী হবে কি? তিনি বললেনঃ না! (ফরয তাে কেবল এগুলােই) কিন্তু তুমি নিজের পক্ষ থেকে মনের খুশীতে আরও অতিরিক্ত নামায পড়তে পার (এবং অতিরিক্ত সওয়াব হাসিল করতে পার)।
অতঃপর তিনি বললেনঃ বৎসরে পূর্ণ একমাস রমযানের রােযা ফরয করা হয়েছে। (এটা ইসলামের দ্বিতীয় ব্যাপকাকারে করণীয় কাজ।)
লােকটি বললঃ রমযান ব্যতীত আরও কোন রােযা আমার জন্যে জরুরী হবে কি? তিনি বললেনঃ না। (ফরয তাে কেবল রমযানের রােযাই)। কিন্তু তুমি মনের খুশীতে আরও অতিরিক্ত নফল রােযা রাখতে পার (এবং অতিরিক্ত নৈকট্য ও সওয়াব হাসিল করতে পার)।
বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) লােকটিকে যাকাত ফরয হওয়ার কথাও বললেন। এসম্পর্কে সে একথাই বল্লোঃ
এই যাকাত ব্যতীত কোন সদকা আদায় করা আমার জন্যে অত্যাবশ্যকীয় হবে কি? তিনি বললেনঃ না। (ফরয তাে কেবল যাকাতই) কিন্তু তুমি ইচ্ছা করলে মনের খুশীতে নফল সদকা দিতে পার (এবং অধিক সওয়াব অর্জন করতে পার।
বর্ণনাকারী তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেনঃ এরপর সেই প্রশ্নকারী প্রস্থান করল। সে বলে যাচ্ছিলঃ (আমাকে রসূলে করীম (সাঃ) যা বলে দিয়েছেন, আমি এতে নিজের পক্ষ থেকে কমবেশী করব না। রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তার একথা শুনে বললেনঃ সে সত্য বলে থাকলে কামিয়াব হয়ে গেছে। -(বুখরী, মুসলিম , মা'আরেফুল -হাদীস)
আল্লাহ তা'আলার প্রতি সুধারণাঃ হযরত আবু হােরায়রা (রাঃ)-এর বাচনিক রেওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃআল্লাহ তা'আলার প্রতি সুধারণা পােষণ করা সর্বোত্তম এবাদতের মধ্যে গণ্য। (অর্থাৎ, এরূপ সুধারণাও এবাদতের অন্তর্গত)-(মসনদে আহমদ, আবু দাউদ, মেশকাত)
ঈমানের আলামতঃ হযরত আনাস - (রাঃ)-এর বাচনিক রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেনঃ তােমাদের মধ্যে কেউ মুমিন হতে পারে না যে পর্যন্ত সে আমাকে তার পিতামাতা, সন্তান-সন্তুতি ও সকল লােক অপেক্ষা অধিক মহব্বত না' করে । -(বুখারী, মুসলিম, মা'আরেফুল-হাদীস)
হযরত আবু হােরায়রা (রাঃ)-এর বাচনিক রেওয়ায়েতে রসুলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ ঈমানের সত্তরটিরও কিছু অধিক শাখা রয়েছে। এগুলাের মধ্যে সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম শাখা হচ্ছে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কলেমায় বিশ্বাসী হওয়া। অর্থাৎ, তাওহীদের সাক্ষ্য দেওয়া। এগুলাের মধ্যে সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে কষ্টদায়ক বস্তু পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া। আর লজ্জা ঈমানের একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ শাখা । -(বুখারী, মুসলিম, মা'আরেফুল-হাদীস)
হযরত আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, জনৈক ব্যক্তি, রসূলুল্লাহ্ . (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলঃ ঈমান কি? তিনি বললেনঃ ভাল কাজ করলে যদি তুমি আনন্দ অনুভব কর এবং মন্দ কাজ করলে বিষন্ন ও উদ্বিগ্ন হও, তবে তুমি ঈমানদার। -(মসনদে আহমদ, . মা'আরেফুল-হাদীস)
আবু হােরায়রা (রাঃ)-এর বাচনিক রেওয়ায়েতে রসূলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ লজ্জা-শরম ঈমান থেকে উৎপন্ন হয়, আর ঈমানের ফলশ্রুতি জান্নাত। নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা কখনাে স্বভাবের রূঢ়তা থেকে জন্ম লাভ করে। এর পরিণাম দোযখ। -(মুসনাদে আহমদ, (তিরমিযী)
ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ লজ্জা ও ঈমান একে অপরের সাথে জড়িত। এদের একটিকে আলাদা করে নিলে অপরটিও আলাদা হয়ে যায়। - (মা'আরেফুল - হাদীস)
ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে বিষয়টি এভাবে বর্ণিত আছেঃ যখন এদের মধ্যে একটিকে ছিনিয়ে নেয়া হয়, তখন অপরটিও তার পিছনে পিছনে রওয়ানা হয়ে যায়। . -(শুয়াবুল ঈমান-তরজমানুস-সুন্নাহ)
আবু হােরায়রা (রাঃ)-এর অপর এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ এমন কেউ আছে কি, যে এই বিষয়গুলাে আমল করবে অথবা কম পক্ষে অন্য আমলকারীদেরকে বলে দিবে? আমি বল্লামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি উপস্থিত আছি । অতঃপর তিনি আমার হস্ত ধারণপূর্বক এই পাঁচটি বিষয় বর্ণনা করলেনঃ-
(১) যে হারাম বিষয়াদি থেকে দূরে থাকে, সে বড় এবাদতকারী বান্দাদের মধ্যে গণ্য হবে।
(২). আল্লাহ তা'আলা তােমার তকদীরে যা লিখে দিয়েছেন,তাতে সন্তুষ্ট থাক। এতে করে তুনি অমুখাপেক্ষী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
(৩) তােমরা প্রতিবেশীদের সাথে সদ্ব্যবহার কর । ফলে তুমি মুমিন হয়ে যাবে।
(৪) নিজের জন্যে যা কামনা কর, অপরের জন্যে তাই পছন্দ কর । এভাবে তুমি পূর্ণ মুসলমান হয়ে যাবে।
(৫) কখনও অট্টহাসিতে ফেটে পড়ো না।কেননা, অট্টহাসি অন্তরকে মৃত করে দেয় । -(মসনদে আহমদ, তিরমিযী, তরজুমানুস, সুন্নাহ)
আবু রায়হ্ খুযায়ী (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, একবার রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ “আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম সে মুমিন নয়। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, কে মুমিন নয়? তিনি বললেনঃ সেই ব্যক্তি, যার অনাচার ও উৎপীড়নে প্রতিবেশীরা ভীত-সন্ত্রস্ত - থাকে।” -(বুখারী, মা'আরেফুল হাদীস)
হযরত আবু হােরায়রা (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তুমি জান্নাতে যেতে পারবে না যতক্ষন ঈমানদার না হও। তুমি পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পারস্পরিক মহব্বত না হয়। পরস্পরে মহব্বত সৃষ্টি হওয়ার নিগুঢ় তত্ত্বটি কি আমি তােমাদেরকে বলে দিব না? শুন, তােমরা নিজেদের মধ্যে সালামের প্রচলন ব্যাপকতর করে তােল। -মুসলিম, মা'আরেফুল-হাদীস)
ঈমান ও ইসলামের সারমর্মঃ হযরত তামীম (রাঃ) রেওয়ায়েত করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “আন্তরিকতা ও আনুগত্যের নাম দ্বীন। আমি বললামঃ কার সাথে আন্তরিকতা ও আনুগত্য?উত্তর হল, আল্লাহ তা'আলার সাথে, আল্লাহ তা'আলার কিতাবের সাথে, আল্লাহ তা'আলার রসূলের সাথে, মুসলমানদের নেতাদের সাথে এবং মুসলমান জনগণের সাথে ।” -(মুসলিম, মা'আরেফুল-হাদীস)
ঈমানের সর্বশেষ স্তরঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে রসূলে করীম (সাঃ) বলেনঃ “তােমাদের মধ্যে কেউ মন্দ ও শরীয়ত বিরােধী কাজকর্ম হতে দেখলে তার অবশ্য কর্তব্য হবে শক্তি থাকলে তা বাহুবলে স্তব্ধ করে দেওয়া। শক্তি না থাকলে মুখে প্রতিবাদ জানানাে এবং তারও শক্তি না থাকলে অন্তর দ্বারা তাকে ঘৃণা করা। মনে রেখাে, এটা ঈমানের সর্বনিম্নস্তর।” -(মুসলিম, মা'আরেফুল-হাদীস)
আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রসূলের প্রতি মহব্বতঃ হযরত আনাস (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তিনটি গুণ যে ব্যক্তির মধ্যে থাকবে, সে ঈমানের মিষ্টতা অনুভব করতে পারবে ।
গুণ তিনটি এইঃ-
(১) যে ব্যক্তির কাছে আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসূল সর্বাধিক প্রিয় হয়; অর্থাৎ, আল্লাহ ও রসূলের প্রতি তার যতটুকু মহব্বত, ততটুকু মহব্বত আর কোন কিছুর প্রতি না হয়।
(২) যে ব্যক্তি একান্তভাবে আল্লাহর খাতিরেই কোন বান্দাকে মহব্বত করে, অর্থাৎ, কোন পার্থিব স্বার্থের কারণে মহব্বত না করে। বরং সে যেহেতু আল্লাহ ভক্ত, কেবল একারণেই তাকে মহব্বত করে।
(৩) যাকে আল্লাহ তা'আলা কুফর " থেকে বাঁচিয়ে নিলেন (পূর্বে থেকেই সে কুফর থেকে বেঁচেছিল অথবা কুফর থেকে তওবা করে বেঁচে গেল) অতঃপর সে কুফরে ফিরে আসাকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মতই অপছন্দ করে। -(বুখারী, মুসলিম)
হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-কে সর্বোত্তম ঈমান সম্পর্কে প্রশ্ন করেন (অর্থাৎ, তিনি প্রশ্ন করেন যে, ঈমানের সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম স্তর কি এবং কোন আমল ও চরিত্রগুণ দ্বারা ঈমান অর্জন করা যায়?) .
রসূলে করীম (সাঃ) বলেনঃ একমাত্র আল্লাহ তা'আলার জন্যেই কারও প্রতি তােমার মহব্বত হওয়া এবং আল্লাহ তা'আলার জন্যেই বিদ্বেষ ও শত্রুতা হওয়া। (অর্থাৎ মহব্বত ও শত্রুতা যার প্রতিই হয়, একমাত্র আল্লাহ তা'আলার জন্যেই হতে হবে।) দ্বিতীয় এই যে, তুমি তােমার জিহ্বাকে আল্লাহর তা'আলার স্মরণে নিয়ােজিত রাখবে।
হযরত মুয়ায আরয করলেনঃ ইয়া রসূলাল্লাহ সাঃ)! আর কি? তিনি বলেন আর এই যে, তুমি অন্যের জন্যে তাই পছন্দ করবে; যা নিজের জন্যে পছন্দ কর এবং অন্যের জন্য তাই অপছন্দ করবে যা নিজের জন্যে অপছন্দ কর। -(বুখারী, মুসলিম, মসনদে আহমদ, মা'আরেফুল-হাদীস) (সংকলিত)
*****