বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের তৎপরতা
মধ্যপ্রাচ্যের কম্যুনিজমের আড্ডাখানা এডেনের পতন,ইয়ামেনের গৃহযুদ্ধের পরিসমাপ্তি
=====================================================================
লোহিত সাগরের আরবীয় পেনিন্সুলার দক্ষিণ দিকের অগ্রভাবে অবস্থিত ইয়ামেন একটি প্রাচীন পার্বত্য সংকুল দেশ । জনসংখ্যার শতকরা ৯৯.৯ জনই মুসলমান, ৯৬৮ বর্গ কিলোমিটারের এই দেশটির লোকসংখ্যা ১,০৩,০০,০০০ জন পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশ এই ইয়ামেনের অর্থনীতির প্রধান উৎস বিভিন্ন আরব দেশে কর্মরত প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ । সম্প্রতি এই গরীব দেশটিতে ঘটে গেছে এক ভয়ংকরতম গৃহযুদ্ধ । রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধ দেশটির অর্থনীতির মেরুদণ্ড একেবারে ভেঙে দিয়েছে । যুদ্ধের ভয়ংকর ছোবলে দেশের প্রধান বন্দর নগরী এডেন এক ধ্বংসস্তুপ, গ্যাস, পানি, টেলিফোন বিদ্যুৎ লাইন সবকিছু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । এডেন বিমান ও নৌ বন্দর কার্যত অচল,সকল কর্মতৎপরতা থেমে গেছে । এই রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পেছনে ছিল সাম্রাজ্যবাদের তল্পিবাহক কতিপয় আরব রাষ্ট্রের ঘৃণিত তৎপরতা । উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ইয়ামেনের ইসলামপন্থী রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বহু জাতিক বাহিনীর সৌদি আরবকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ০ঘাটি স্থাপন করাকে সুনজরে দেখতে পারেন নি । সাম্রাজ্যবাদের ঘোর বিরোধী সালেহ তাই মার্কিন জোটের বিপক্ষে ইরাকের পক্ষে সমর্থন করেন । তার এ ভূমিকায় সৌদি আরবসহ আরব রাষ্ট্রগুলি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে । সৌদি আরবে কর্মরত ইয়েমেনীদের প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কার করা হয় । উত্তর ইয়ামেনের সাথে (সংযুক্তির পূর্বে) সৌদি আরবের সীমান্ত সংঘর্ষ লেগেই ছিলো । সীমান্তের তেলের খনির মালিকানা, সীমান্ত রেখা এবং কিছু পার্বত্যভূমি ও মরুভূমির কর্তৃত্বের প্রশ্নে প্রায়ই দুই দেশের সীমান্তে ছোট খাট সংঘর্ষ লেগে যেত । সাম্রাজ্যবাদের তোষণকারী এসব আরব রাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশী গাত্রদাহের ব্যাপার হল দেশটিতে ইসলামী জাগরণ । ইয়ামেনের জনগণ ঐতিহাসিক কাল থেকেই ধর্মভীরু এবং রক্ষণশীল । ইসলামের পরশ পাওয়ার পর থেকেই ইসলাম এদের নীতি নৈতিকতার মাপকাঠিতে পরিণত হয়েছে । কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্বের কারণে ইয়ামেন এক সময় সাম্রাজ্যবাদীদের কুনজরে পড়ে যায় ।
সুয়েজ খাল চালুর পর বিভিন্ন বিদেশী শক্তির আগমণ ঘটে এ দেশে । এডেনকে কেন্দ্র করে বৃটিশরা শক্ত অবস্থান কায়েম করে তুরস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয় । কেননা ইয়ামেন তখন একক রাষ্ট্র হিসেবে তুর্কীদের দ্বারা শাসিত হত । ১৮৮২ সালের পর বৃটিশদের সাথে তুর্কীদের বহুযুদ্ধ সংঘটিত হয় । অবশেষে তাদের মধ্যে ইয়ামেনের দখল নিয়ে সমঝোতা হয় । সমঝোতা মতে ভায়োলেট লাইন টেনে ইয়ামেনকে ভাগ করা হয় । দক্ষিণ ইয়ামেন বৃটিশদের অধীনে চলে যায় এবং উত্তর অঞ্চলে তুর্কী নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে । প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের পরাজয় ঘটলে উত্তর ইয়ামেনে ইমাম ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হয় এবং স্বাধীনতা লাভ করে । কিন্তু দক্ষিণ ইয়ামেন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বৃটিশদের অধীনে থেকে যায় । ৫০ এর দশকে জামাল নাসের সূচিত আরব জাতীয়তাবাদের ঢেউ দক্ষিণ ইয়ামেনেও এসে লাগে । ফলে শুরু হয় স্বাধীনতার জন্য প্রচন্ড আলোড়ন । অবশেষে বৃটিশরা ১২৯ বছরের আধিপত্য গুটিয়ে নিয়ে ১৯৬৭ সালে দেশে ফিরে যায় । দক্ষিণ ইয়ামেন আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ।
কিন্তু ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে ১৯৬৮ সালে সোভিয়েত পন্থী কমুনিষ্ট পার্টি ক্ষমতা দখল করে । ফলে দেশটিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয় । রাশিয়ান সৈন্য, রাশিয়ান ভদকার সাথে সাথে রাশিয়ান সংস্কৃতি, শিক্ষা, চিন্তা-চেতনাও দেশটিতে আমদানী হতে থাকে ।
দীর্ঘদিন বৃটিশ শাসনে থেকে দক্ষিণ ইয়ামেনের আদিবাসীরা পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে । রাশিয়ান প্রভাব ও কম্যুনিজম প্রতিষ্ঠার পর দেশ থেকে ইসলামের নাম নিশানাও মুছে ফেলার যোগাড় হয় । পক্ষান্তরে, উত্তরাঞ্চলে দীর্ঘ দিনের তুর্কী শাসন ও পরে ইমামদের শাসন চলার ফলে জনগণ ধর্মভীরু এবং ইসলামকে আঁকড়ে থাকে । দুই অঞ্চলের এই আদর্শিক মতপার্থক্য দেশ দুটিকে প্রায় শত্রুভাবাপন্ন করে রাখে । এ অবস্থায় ১৯৭২ সালে দুই অঞ্চলের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে যায় । যুদ্ধে মিশর ও লিবিয়া দক্ষিণের সমর্থন যোগায় । পক্ষান্তরে সৌদি আরব রক্ষণশীল উত্তর ইয়ামেনের সমর্থন করে । কায়রো সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে এ যুদ্ধের অবসান ঘটে । বিশ্বব্যাপী কম্যুনিজমের অবসান এবং মুরুব্বী সোভিয়েতের পতনের ফলে অর্থনীতিতে দেউলিয়া দক্ষিণ ইয়ামেন অসহায় এবং আর্থিক সংকটে নিপতিত হয় । দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ তখন উত্তরের সাথে একিভূত হওয়ার উদ্যোগ নেয় । এই বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে ১৯৯০ সালের ২২ শে দুই ইয়ামেন একিভূত ইয়ামেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে । উত্তরের নেতা সালেহ প্রেসিডেন্ট এবং দক্ষিণের কমুনিস্ট নেতা আবু সালেহ আল বাইদ ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন । দুই ইয়ামেন একত্রিত হলেও দুই অঞ্চলের সামরিক বাহিনী পৃথক কমান্ডে থেকে যায় ।
এদিকে ১৯৯০ সালে ইয়ামেন প্রথম বহুদলীয় সাধারণ নির্বাচনে ইসলামপন্থী ইসলাহ পার্টি বেশ ভাল ফল করে । ফলে দক্ষিণের কমুনিষ্ট নেতা বাইদ বাধ্য আদর্শিক দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে সরকার গঠন করতে বাধ্য হন । প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ সালেহ নিজে একজন রক্ষণশীল এবং ইসলামপন্থী হওয়ায় ইসলাহ পার্টি তার সহানুভূতি লাভ করে । ইসলাহ পার্টি সোসালিষ্টদের উদ্যোগে পাশ করা ইসলামী আদর্শ বিরোধী আইনগুলি বাতিল করার জন্য পার্লামেন্টে চাপ সৃষ্টি করে । অন্যদিকে দক্ষিণের নেতা বাইদ ইয়ামেন একিভূত হওয়ার পর মনে প্রাণে চাচ্ছিলেন তার বামপন্থী আদর্শ উত্তরেও প্রভাব বিস্তার করুক । ফলে ইসলাহ পার্টি ও কমুনিষ্ট পার্টির মধ্যে আদর্শের লড়াই পার্লামেন্ট ছেড়ে প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং জনগণের মধ্যেও বিস্তার লাভ করে । দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেতে থাকে । দেশের এই পরিস্থিতির পূর্ণ সুযোগ করে আন্তর্জাতিক মহল । ইয়ামেনে উদীয়মান ইসলামী শক্তিকে ঠেকাতে এবং ইরাকের সমর্থনের প্রতিশোধ গ্রহণ করতে তাঁরা দক্ষিণের নেতা বাইদকে গোপনে ইন্ধন যোগায় । ফলে বাইদ এ বছরের শুরুতে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও পৃথক দেশের প্রেসিডেন্টের ন্যায় আচরণ শুরু করে । এরই ফলশ্রুতিতে গত ২৮ শে এপ্রিল সানার একটি যৌথ সেনা ব্যারাকে উত্তর ও দক্ষিণের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় । প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বেধে যায় গৃহযুদ্ধ । গত তিনমাস যাবৎ এ রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলতে থাকে ।
কিন্তু সামরিক বলে বলীয়ান উত্তরের বাহিনীর প্রচন্ড আক্রমণে দক্ষিণের বাহিনী পিছু হটে এডেনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে । এক সময়ের উত্তরের সমর্থক সৌদি আরবসহ আরব আমিরাত,ওমান প্রভৃতি দেশ দক্ষিণের নেতাকে সমর্থন করে এবং অস্ত্র-শস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান ও প্রেরণ করে । কিন্তু এত সাহায্যে পেয়েও দক্ষিণের নেতা শেষ রক্ষা করতে পারেনি । গত ৭ জুলাই উত্তরের প্রচন্ড গোলান্দাজ আক্রমণের মুখে দক্ষিণের শেষ এবং শক্তিশালী ঘাঁটি এডেনের পতন ঘটে । দক্ষিণের নেতারা ৩ টি জাহাজে করে পালিয়ে প্রথমে ওমানে পরে সৌদি আরবে পালিয়ে যায় । বর্তমানে তারা সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছে । এডেনের পতনের পর উত্তরের সেনারা দোকানে দোকানে ঢুকে এবং গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে মদের বোতল ও কমুনিজমের বই-পত্র ধ্বংস করে দেয় । এডেনের একমাত্র মদের কারখানাটি বিস্ফোরণ দিয়ে উড়িয়ে দেয়া হয় । নগরীর পতনের পর প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ সালেহ এক সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিলে হাজার হাজার দক্ষিণের সৈন্য সে সুযোগ গ্রহণ করে আত্মসমর্পণ করে । এডেনের পতনের মাধ্যমে ইয়ামেনে গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে । তবে আরব রাষ্ট্রসমূহ এতে ব্যতিক্রমী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে । সৌদি আরব জাতিসংঘের যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা লঙ্ঘন করে প্রেসিডেন্টের বাহিনী এডেন দখল করেছে বলে দাবী করে উত্তরের নেতার কঠোর সমালোচনা ও নিন্দা জানায় । অন্যদিক্র, এক সময়ের কমিউনিষ্ট নেতা আবু সালেম বাইদের সমর্থক লিবিয়া ও মিশর উত্তরের নেতা ও প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ সালেহর পক্ষ সমর্থন করে এবং এডেন পতনের মাধ্যমে ইয়ামেনের গৃহযুদ্ধ অবসানে সন্তোষ প্রকাশ করে ।
═──────────────═
হামাস প্রধান শেখ আহম্মদ ইয়াসিনের সাক্ষাৎকার
ফিলিস্তীন সমস্যার সমাধানের পথ একটাইঃ ইহুদীদের নিঃশর্ত ফিলিস্তীন ত্যাগ
--------------------------------------------------------------------------------------------------
গাযায় অবস্থিত 'হাউস অফ রাইট এন্ডেলা' নামক মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার প্রতিনিধি জনাব উমর আল বুরুশ ইদানীং 'কালের ইউনা' জেলে শেখ আহমদ ইয়াসীন, ফিলিস্তীনী জনগণের প্রাণপ্রিয় সংগঠন হামাসের প্রধান । গত ক'বছর যাবৎ ইহুদীদের যিন্দান খানায় বন্দী জীবন যাপন করেছেন । হামাসের এ মর্দে মুজাহিদ নেতা বন্দী অবস্থায় বার কয়েক রোগাক্রান্ত হন ।
তার ভগ্ন স্বাস্থ্যের রিপোর্ট বাইরের জগতে আসতে থাকে । বেশ কয়টি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অসুস্থতা হেতু তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য আপিল করে আসছে ।
কিন্তু ইসরাইল সরকার এসব আপিলের প্রতি ভ্রুক্ষেপও করেনি । শেখ আহমদ ইয়াসীনের মুক্তি তৎপরতা চালানোর জন্য গঠিত এক আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিকট এ মর্মে আবেদন জানায় তারা ইসলামী সরকার কর্তৃক তার উপর কৃত অমানবিক নিপীড়ন লাঘব করার জন্য তৎপরতা শুরু করে । ইসরাইল সরকার যেন তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন । আর তারা চিকিৎসা করাতে অক্ষম হলে শেখ আহমদের চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে সুযোগ দেয়া হোক ।
'হাউস অফ রাইট এন্ডেলা' কর্তৃক শেখ আহমদ থেকে সাক্ষাৎকারের বিশেষ বিশেষ পয়েন্টগুলো আমরা তুলে ধরলাম ।
হাউস অফ রাইটঃ পূর্বের চেয়ে এখন কি আপনি বেশী কষ্ট অনুভব করছেন?
শেখ আহমদঃ ইদানীং আমি অসংখ্য রোগে আক্রান্ত । তার মধ্যে যেগুলা বেশী কষ্টদায়ক ।
(১) পা দুটোতে প্রচন্ড ব্যথা ।
(২) হৃদরোগের কারণে শ্বাস কষ্ট ।
(৩) অশ্বরোগ,তার সাথে রক্তপড়া ও ব্যথা ।
(৪) পাকস্থলীর অসুখ তো লেগেই আছে ।
হাউস অফ রাইটঃ আপনি ইসরাইলের সাথে কোন চুক্তির ভিত্তিতে মুক্তির আশা করেন কি?
শেখ আহমদঃ তাদের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে মুক্তি পাওয়ার চেয়ে কারাগারের মৃত্যুই আমার নিকট শ্রেয় । কোন সংস্থা এ ব্যবস্থা করলেও আমি তা প্রত্যাহার করব ।
হাউস অফ রাইটঃ শান্তি চুক্তির যে তৎপরতা চলছে সে সম্পর্কে আপনার কি মন্তব্য?
শেখ আহমদঃ শান্তি চুক্তির বর্তমান এ দৌড় ঝাপের মাধ্যমে ফিলিস্তিনী জনগণ দেখছে চকচকে মরিচীকা । শান্তি চুক্তির টেবিলে বসে গৃহীত সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনী জনগণের মনে এ কথার দৃঢ় বিশ্বাস জমিয়েছে যে, ফিলিস্তীন সমস্যার সমাধান শুধু ইসলামের আলোকেই সম্ভব । এর ফলে ফিলিস্তীনী জনমনে হামাসের জনপ্রিয়তা ও সহযোগিতার চেতনা বৃদ্ধি পেয়েছে ।
হাউস অফ রাইটঃ হামাস সেলফ রুল পার্লামেন্ট অথবা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে কি?
শেখ আহমদঃ পি,এল,ওর কোন সেলফ রুল প্ল্যানে আমরা অংশ নিবো না । তবে একথা ভিন্ন যে,জাতীয় নীতি নির্ধারণের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন হলে আমরা তাতে যোগ দিব । আর ইহুদীদের পদলেহী গ্রুপ সৃষ্টির জন্য নির্বাচন হলে আমরা তাতে অংশ গ্রহণের জন্যে প্রস্তুত নই ।
তবে জাতীয় নির্বাচনে আমরা এমন ভাব নিয়ে যোগ দিব যে আমরাও ফিলিস্তীনী জনগণের একাংশ ।
আর উক্ত কমিটিতে যোগ দিলে আমরা সরাসরি জনগণের সাহায্য সহযোগিতা করার সুযোগ পাব । তবে ফিলিস্তিনি জনগণের বৃহদাংশই ইসলামী পন্থায় সমাধানের প্রত্যাশী ।
হাউস অফ রাইটঃ আসল চুক্তির পরও কি হামাস ইসরাঈলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র তৎপরতা অব্যাহত রাখবে?
শেখ আহমদঃ ইসরাইলীদের ফিলিস্তীন ত্যাগ করা পর্যন্ত হামাসের সশস্ত্র জিহাদ অপ্রতিহত গতিতে এগিয়ে চলবে ।
হাউস অফ রাইটঃ হামাসের পলিটিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডক্টর মুসার পক্ষ হতে প্রদত্ত চুক্তির উপর আপনার দৃষ্টিকোণ কি? তদ্রুপ রবিনের সাথে হামাসের শর্তাভিত্তিক চুক্তির সম্পর্কিত জনাব আহমদ বাহারের বক্তব্যের উপর আপনার প্রতিক্রিয়া কি?
শেখ আহমদঃ শান্তি চুক্তির জন্য আমাদের সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ শর্ত হল ইসরাইলী ইহুদী গোষ্ঠী অধিকৃত ফিলিস্তীন অঞ্চল ছেড়ে দিবে । যাতে ফিলিস্তীনের কোথাও তাদের এতটুকু পদচিহ্ন বাকী না থাকে ।
(সৌজন্যে - মুসলিম ওয়ার্ল্ড)
═──────────────═