JustPaste.it
User avatar
@anonymous · Jul 26, 2022

চাঁদে আজান শুনেছিলেন নভোচারী আর্মষ্ট্রং
মোঃ সুলেমান দেওয়ান

------------------------------------------------------------------------------


      ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় ইতিহাসের প্রফেসর ক্রুস লরেল তার ১৯৮৯ সনে ছাপানো পুস্তকে ডিফেন্ডার্স অফ গড দি ফান্ডামেন্টালিস্ট রিভোল্ট এগেইনস্ট দি মডার্ন এজ্‌ (হার্পার এন্ড রো ১৯৪-১৯৫ পৃষ্ঠা) এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে চাঁদে অবতরণের পর, চন্দ্রপৃষ্ঠে হাটার সময় নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং এক অদ্ভুত (একটিক) আওয়াজ শুনতে পান। এই আওয়াজের উৎস কোথায় এ সম্বন্ধে তিনি বিন্দুমাত্র ধারণা করতে পারেননি। ভূ- পৃষ্ঠে প্রত্যাবর্তনের পর বিফ্রিংএর সময় তিনি এই অভিজ্ঞতার বিশ্লেষণ করতে সক্ষম-হননি। কিন্তু এ ঘটনাটা তাঁর মনে গেঁথে ছিল।
     এই বইতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছু বছর পরে নীল আর্মস্ট্রং তৃতীয় বিশ্বের ক’টি দেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আয়োজিত এক সফরে যান। এ সময় মিসরের কায়রো নগরীতে পাঁয়চারী করার সময় হঠাৎ তিনি শুনতে পান সেই আওয়াজ -যা তিনি চাঁদে শুনতে পেয়েছিলেন। এক পথিককে থামিয়ে তিনি এই আওয়াজের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করতে অনুরোধ করেন। পথিকের কাছে যখন তিনি শুনলেন যে, এটা পার্শ্ববর্তী  মসজিদের মুয়াজ্জীনের আজান বা নামাজে সমবেত হবার আহবান। আর্মস্ট্রং সাথে সাথে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালের গ্রীষ্মে এ খবরটি কায়রো থেকে ঢাকা এবং জাকার্তা পর্যন্ত সারা মুসলিম বিশ্বকে তোলপাড় করে। বইটিতে বলা হয়, তার জন্মভূমির সিনসিনাটি, ওহায়োতে ফেরার পর আমেরিকান হিরো আর্মস্ট্রংকে স্পষ্ট ভাষায়জানানো হয় যে, তিনি যদি জনসাধারণের কাছে তার ধর্ম পরিবর্তনের কথা প্রকাশ করেন, সরকার তাকে তার উচ্চ পদ থেকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হবেন। প্রফেসর লরেন্সের মতে এ ঘটনাটি আপাত দৃষ্টিতে হালকা মনে হলেও প্রকৃত পক্ষে ভয়ানক গুরুত্বপূর্ণ। আর্মস্ট্রং-এর মাধ্যমে দেখানো হয়েছে যে, চাঁদে মানুষ যাবার মত যান্ত্রীয় যুগের কৃতিত্বটাও আল্লাহর নির্দেশেই হয়েছে। শুধু তাই নয়, অন্য ধর্মীয় মানুষের মাধ্যমেও কোরআনের বাণীর সত্যতা এবং আল্লাহ যে বিশ্ব ব্রক্ষান্ডের মালিক বা রাব্বুল আলামিন, তাও প্রমাণ করা হয়েছে। প্রফেসর লরেন্স দুঃখ করে-বলেন যে, আমেরিকা শুধু ইসলামী বিধান এবং ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়নি, চন্দ্রপৃষ্টে যে মানুষটির প্রথম পদচিহ্ন পড়ে, তাকে তার ইসলাম ধর্মীয় পরিচয় গোপন রাখতে বাধ্য করেছে। লরেন্সের ভাষ্যে নীল আর্মস্ট্রং এখন “তাকিয়া” (জীবিকা নির্বাহের জন্য ধর্ম গোপন রাখা) করছেন। কারণ তিনি যদি প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণের কথা বলেন, আমেরিকার শাসকগোষ্ঠী খৃষ্টান, ইহুদী, এলিটদের কাছে এটা হবে এক অসহ্য কলঙ্ক। 
      খৃষ্টীয় এবং ইহুদী ধর্ম অলৌকিক ঘটনাবলী বা অলৌকিকতার কাহিনীতে ভরপূর। সুতরাং নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে আজান শুনে থাকলে তাতে ধার্মিকদের ঈমান মজবুত বা শিথিল হবার কোন কারণ নেই, তবে ইসলাম ধর্মে চাঁদ একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে সুতরাং চাঁদে প্রথম মানব পদক্ষেপ করার পর আজানের বানী যদি তাকে অভ্যর্থনা করে, তাতে অবাক হবার কিছু নেই।
      এ তথ্যটি বাংলাদেশী পদার্থ বিজ্ঞানী ডঃ হাসান জিল্লুর রহিম, ম্যান জোজে, ক্যালফোর্নিয়ার সৌজন্যে প্রাপ্ত।