বসনিয়ার সিঠিঃ বিশ্বমানবতা সাড়া দিবে কি?
আব্দুল্লাহ্ আল-ফারুক
==================================================
সভ্যতাগর্বী ইউরোপের বুকে মানবতার মহা দুশমন সার্বদের বন্দী শিবিরের ভয়ঙ্কর নির্যাতন ভোগ করেছেন এমন কয়েকজন বসনীয় মুসলিম মহিলা বন্দিশিবিরের নরকীয় লোহমর্ষক পরিবেশের বর্ণনা দিয়ে বিশ্বের মুসলিম দেশসমূহের উদ্দেশ্যে একখানা চিঠি লিখেছেন। সম্প্রতি বসনীয় মুসলিম মহিলাদের দূরবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণকে অবগত করার জন্য তারা বাংলাদেশের মুসলমান মুসলিম সংগঠন ও সংস্থাসমূহ বাংলাদেশের সরকার পার্লামেন্ট সদস্য এবং সেনাবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার অনুরোধ জানিয়ে আমাদের কাছে মর্মস্পর্শী ভাষায় লেখা তাদের একখানা চিঠি পাঠিয়েছেন। নিচে চিঠির হুবহু অনুবাদ তুলে ধরা হলোঃ "সার্বদের ধর্ষন ক্যাম্পের মুসলিম মহিলাদের পক্ষ থেকে-
হে মুসলিম রক্ত বহনকারী ভাই ও বোনেরা! ক্ষণিকের জন্য একটি দৃশ্য কল্পনা করুন! অস্ত্রসজ্জিত দু'পা ওয়ালা মানবাকৃতির কিছু জানোয়ার চরিত্রের লোক আপনার ঘরে প্রবেশ করে আপনার বোন বা স্ত্রীকে জোর করে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গেল। ক্যাম্পে ২০/৩০ জন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকলো। তিনি আর্তনাদ করছেন ও পশুদের কাজ থেকে রেহাই পেতে চাইছেন। কিন্তু কে শুনে তার আর্তনাদ? পশুরা আরও উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। এই ভদ্রমহিলা শুধু একজন গৃহবধূই নন। তিনি একজন পবিত্রা মুসলিম মা-ও। আর তার উপর মানসিক ও শারীরিক নিপীড়নের এটাই একমাত্র কারণ, একমাত্র অপরাধ।
আরো একটি দৃশ্য। একটি সাত বছরের নিষ্পাপ মেয়েকে তার পিতার সামনে নরপশুরা ধর্ষণ করছে এসব ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়। আব্বা আম্মা বা স্বামীর সামনেই তাদের মেয়ে স্ত্রীকে নরপশুরা বিবস্ত্র করে পালাক্রমে নির্যাতন করে যাচ্ছে, যতক্ষণ এ আযাব ভোগ করে তার মৃত্যু না হয়। যারা বেঁচে যায় তারা ধর্ষণ ক্যাম্পে প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে কাটায়। মনে মনে মৃত্যু কামনা করে, এই দোযখ থেকে মুক্তির পথ খোঁজে।
এইসব ঘটনা কোন বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয় সার্বদের ধর্ষণ ক্যাম্প ও বন্দিশিবিরে অহরহ এ ঘটনা ঘটছে। মা ও স্ত্রীকে সন্তানের চোখের সামনে ধর্ষন করে তাদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। বসনিয়ার পরবর্তী প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য সার্বরা ব্যাপকহারে মুসলিম শিশুদের হত্যা করছে। ওরা মসজিদের মেঝেতে শিশুদের আছড়ে মারে। এসব শিশু যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে তখন সার্ব পশুরা ঠাট্টা করে বলে ওদের চিৎকার আর আযানের ধ্বনি একই রকম।
বন্দিশিবিরে শিশুদের হাতে বিষের পেয়ালা অথবা বিষ মাখা রুটি তুলে দিয়ে তাদের নিজ হাতে তা গলধঃকরণ করতে বাধ্য করা হয়। সার্ব পশুরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসব শিশুকে ধীরে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করতে থাকে। বন্দিশিবিরে আটক গর্ভবতী মহিলাদের লাইন দিয়ে শুইয়ে তাদের পেট কেটে নবজাতককে বের করে নেয়া হচ্ছে। সব শিশুকে মায়ের সামনেই বেয়নেট দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। অথবা আছড়ে মেরে ফেলা হয়।
আমরা দেখেছি একজন নয় হাজার হাজার মুসলিম কিশোরী-যুবতীকে ধর্ষণ শেষে তাদের স্তন কেটে দেয়া হয়েছে। যাতে তারা ভবিষ্যৎ বংশধরদের দুধ না খাওয়াতে পারে। মুসলিম যুবক কিশোরদের লিঙ্গ কেটে দেয়া হয়েছে যাতে তারা সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম না হয়। সার্ব বন্দিশিবিরে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি মুসলিম পুরুষদের বধ্যভূমিতে দাঁড় করিয়ে জল্লাদ দিয়ে তাদের মাথা ভুলুন্ঠিত করে দেয়া হয়েছে। তাদের মৃত লাশের মুখে মদ ঢেলে দেয়া হয়েছে। বুকে ক্রুশ এঁকে দিয়ে পরপারে শিশুর কৃপালাভে ধন্য করানোর কোশেশ করা হয়েছে। ওদের ভাষায় এটা করলে নাকি ইউরোপ শয়তানদের (মুসলিমদের) কবল থেকে পবিত্র হবে। যীশুখ্রীষ্ট খুশি হবে এবং পরপারে স্বর্গ লাভ করা যাবে। খৃষ্টান চার্চ থেকে সার্বদের দীক্ষা দেওয়া হয় মুসলমান খ্রিস্টান ধর্মের বড় শত্রু। ওদের কবল থেকে ইউরোপকে মুক্ত রাখা ধর্মীয় পবিত্র দায়িত্ব। সার্বদের জাতীয় সংগীতে মুসলিম গণহত্যা কে উৎসাহিত করে বলা হয়েছে "কে আছ মুসলিম রক্ত পানকারী আমি আছি প্রথম কাতারে।" আর এসব ইন্দনে উম্মক্ত সার্বরা মুসলমানদের হত্যা করে তাদের রক্ত পান করে ক্ষান্ত হয়নি। তাদের কলিজা মগজ বের করে কুকুরকে দিয়ে খাইয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চেয়েছে।
ধর্শন শিবিরের মুসলিম মহিলাদের ওরা গর্ব করে বলেছে তোমরা এবার সার্ব শিশু জন্ম দিয়ে সার্বদের সংখ্যা বৃদ্ধি কর। এসব সার্ব শিশু দিয়ে আমরা মুসলমানদের বংশ নির্মূল করব। যখন কোন মহিলা মাসের পর মাস সার্বদের শিবিরে আটক থাকার পর কোন সার্ব শিশু প্রসব করে তখন তারা আনন্দ উল্লাস করতে থাকে, যেমন মানুষ সার্কাস দেখে উল্লাস করে।
এসব মুসলমান কারো বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ করেনি ইউরোপে মুসলমান হিসেবে জীবন যাপন করাই তাদের অপরাধ। জার্মানি ফ্রান্স আমেরিকাসহ বিশ্বের সব কয়টি দেশই এসব মানবতাধ্বংসী যজ্ঞের নীরব সাক্ষী।
ইউরোপের খৃস্টান জগত ইউরোপের মাটি থেকে মুসলমানদের নাম নিশানাকে মুছে ফেলার সার্বদের তৎপরতাতেই মদদ যোগাচ্ছে। জার্মানি, অষ্ট্রলিয়া ও ইতালি প্রতিবেশী এই মুসলিম দেশটির অস্তিত্ব সহ্য করতে নারাজ। তাই মানবতার এই মহা দুর্দিনে তারা নীরব থেকে মানবতার দুশমনদেরকে তৎপরতা চালাতে উৎসাহ যোগাচ্ছে।
বসনিয়ার মুসলমানদের আজ কোথাও যাওয়ার স্থান নেই যে পথে তারা অগ্রসর হোক না কেন! মৃত্যুই তাদের নিত্যসাথী। এই অবস্থায় নিজেকে একবার এসব মুসলমানদের স্থানে ভেবে দেখুন। চিন্তা করে দেখুন ঐ ক্যাম্পে পাশবিকতার শিকার মহিলাটি যদি আপনার স্ত্রী বা কন্যা হত তবে আপনার অবস্থা কেমন হত। তার করুণ অবস্থা আপনি একবার ভেবে দেখবেন কি? প্রতিদিন সার্বদের ক্যাম্পে আপনার স্ত্রী-বোনের ন্যায় হাজার হাজার মুসলিম মহিলা ধর্ষিত হচ্ছে। এদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনাদের কি কোন মাথা ব্যাথা নেই? আপনারা কি দূরে থেকে শুনতে পান না মজলুম বসনিয়ার মুসলমানদের বুকফাটা আর্তনাদ!? আপনারা কি ভুলে গেলেন এই নির্যাতিত মুসলমানরা আর কিছু না হোক অন্তত নির্যাতিত-নিপীড়িত অসহায় একদল মানুষ, তারাও মানব সন্তান!? আমরা আর কতকাল এই অপমানের জ্বালা সহ্য করবো, কতকাল শত্রুর বুলেটের নির্যাতনের শিকার হব!? আপনার যদি আমাদের রক্ষা করতে না পারেন, যদি না পারেন অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা মুসলিম শিশুদের রক্ষা করতে, তবে বলে দিন আমরা কি করব? আমাদের জন্য গাড়ি ও বিমান বোঝাই ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে উপহাস না করে আমাদের জন্য গর্ভ নিরোধক ঔষধ পাটিয়ে দিন, যাতে আমাদের আর সার্ব শিশু জন্ম দিতে না হয়।
আমরা আপনাদের কাছে রুটি কাপড় চাই না। আমরা ইজ্জতের নিরাপত্তা চাই। ইজ্জতকে নিরাপদ রেখে মৃত্যুবরণ করতেও আমরা রাজি। আমরা স্বদেশ স্বাধীনতা রক্ষা করতে ইসলামের পথে শহীদ হতে প্রস্তুত। আমাদের বীর সন্তানেরা সেই লক্ষ্যে খালি হাতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত। তাদের আত্মরক্ষা দেশ রক্ষা ও মানবাধিকার রক্ষার জন্যও নির্যাতিত হাজার হাজার মুসলিম নারীকে উদ্ধার করতে অস্ত্র সংগ্রহ করার সুযোগ দেয়া হউক। কাফির নাসারারা জাতিসংঘকে ব্যবহার করে যে অমানবিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে তার অবসান ঘটানো হোক!
আমরা লাখ লাখ মুসলমানদের পক্ষ থেকে আমাদের দ্বীনি ভাইদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমাদের দুর্দশার অবসানে আপনারা বাস্তব পদক্ষেপ নিন। ইহুদী নাসারাদের উপর আমাদের সমস্যা সমাধানের বোঝা চাপিয়ে দেবেন না। ইহুদী-নাছারারা কখনো মুসলমানদের সাহায্যকারী হতে পারে না। আপনারা আপনাদের ঈমানী দায়িত্ব পালন করুন। মুসলমান মাত্রই একে অপরের ভাই এবং একজনের বিপদে অন্যজন এগিয়ে যাবে তাকে সাহায্য করবে আপনাদের কাছে এই ঈমানী দায়িত্বটুকুই আশা করি।
জানিনা কারার লৌহ প্রাচীর ভেদ করে আমাদের এই আবেদন আপনাদের নিকট পৌছবে কিনা। আমরা জানি না আমাদের এই ট্রাজেডি ও দুর্ভোগের ব্যাপারে আপনারা অবগতি কিনা। যদি আপনাদের সৌভাগ্য হয় এসিটি আপনাদের কারো হাতে পৌঁছায়, তবে আমাদের আবেদন বাংলাদেশের মুসলিমসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিন। তাদের জানান বসনিয়ার লক্ষ লক্ষ লোক অনাহারে বন্দিশিবিরে দিনের-পর-দিন নির্যাতন ভোগ করছে। হাজার হাজার নারী সার্ব শিশু গর্ভে ধারণ করে ধর্ষণ ক্যাম্পে দিন কাটাচ্ছে। তারা আপনাদের সাহায্য চায়। তাদের দুর্দশা মোচনে আপনারা দৃঢ় পদক্ষেপ নিবেন। এ আশায় এখনো বেঁচে আছে ৫২টি মুসলিম দেশের সোয়া'শ কোটি মুসলমানদের সবাই মানবসত্তা হারিয়ে ফেলেছে, এ কথা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না।
-ইতি
আপনাদের দ্বীনি মা-বোন।
আমরা জানিনা চিটির প্রতিটি ছত্রে ছত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে মর্মস্পর্শী ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে বিশ্বের ইতিহাসে তার কোনো নজির খুঁজে পাওয়া যাবে কি না! অথচ এই ঘটনা ঘটেছে মানবতার নেকাব পরিহিত খোদ ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রে। আমরা জানি না আমাদের দৃষ্টিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন গঠনা ইউরোপীয় কালচারের একটা অংশ কিনা! সাদা চামড়ার মানুষদের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কিনা! যদি তা নাই বা হবে তবে মহাশক্তিধর ন্যটো যুক্তরাষ্ট্র যারা মুহূর্তের মধ্যে দুনিয়া ওলট পালট করে ফেলার মত ক্ষমতা জাহির করে, তারা এ ব্যাপারে গত ১৩ মাস যাবত হস্তক্ষেপ করলোনা সার্বদের বর্বরতা বন্ধ করতে আগ্রহ দেখালো না। সার্বদের তথাকথিত গণভোটের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বিশ্ব আশা করেছিল এবার যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ করবে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বাস সে আশার গুড়েবালি দিয়ে সমস্যা দীর্ঘায়িত করল কোন উদ্দেশ্যে? গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি ও স্পেন মিলে নয়া যে অদ্ভুত প্রভাবে ঐক্যমত্য হয়ে তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নিরাপদ পাহারায় আরো শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হবে। সার্বিয়ার সীমান্তে অস্ত্র গোলাবারুদ আমদানি বন্ধে পর্যবেক্ষক বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সার্বদের ভারী অস্ত্রের বিরুদ্ধে বিমান শক্তি ব্যবহার করা হবে।
তাতো হবে, কিন্তু প্রশ্ন হল বসনিয়ার সার্বভৌম অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কি হবে? মুসলমানদের আত্মরক্ষা করার জন্য কি ব্যবস্থা নেয়া হবে? এবং বর্বর সার্বরা যে ধর্ষন ক্যাম্পো বন্দিশিবিরে লাখ লাখ নর-নারীর উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে তা কে বন্ধ করবে? নাকি মুসলিম নারীদের ধর্ষণ ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে পড়ে না? মুসলিম নারীদের ইজ্জত এর কোন মূল্যই নেই যে সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনবোধ হয়নি? এছাড়া প্রস্তাবে ভারী অস্ত্রের কথা বলা হয়েছে কিন্তু সার্বদের হাতে যে হাজার হাজার অত্যাধুনিক মেশিনগান, সাবমেশিনগান, বন্দুক, রকেট লাঞ্চার, রয়েছে যা হালকা অস্ত্রবলে প্রস্তাবের বাইরে রাখা হলো। এগুলো কি মানবাধিকার রক্ষায় ব্যবহার করা হচ্ছে এবং হয়েছে? নাকি এগুলির মুখে দুই এক বস্তা খয়রাতি সাহায্যের রুটি নিক্ষেপ করলেই থেমে যাবে? আশ্চর্য হতে হয় সাদা দুনিয়ার মানবঅধিকার রক্ষার তৎপরতা দেখে বসনিয়ার অভ্যন্তরে যেখানে হাজার হাজার সার্বিয়ান মারাত্মক অস্ত্রসজ্জিত তাদের নিরস্ত্র করা গেলেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে, পশ্চিমাবিশ্ব তা না করে সার্বিয়ার সীমান্ত অবরোধে তৎপর হচ্ছে। অথচ গত তিন মাস আগেই জাতীয়সংঘের কঠোর অবরোধের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব এই কাজটি সম্পন্ন হবার কথা। পুরনো প্রস্তাব নিয়ে নতুন করে মাঠ গরম করার পাশ্চাত্যের মুনাফেকি তৎপরতা সত্যিই ধাঁধায় ফেলানোর ব্যাপারই বটে।
*****