JustPaste.it

পাঠকের কলামঃ

 

ফিলিস্তিনী চুক্তিঃ কিছু প্রশ্ন!

=================================================================

 

        অবশেষে বিশ্বের তিন হাজার (প্রায়) স্বনামধন্য নেতা-নেত্রীর উপস্থিতিতে ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজ চত্বরে ফিলিস্তিনের মাটিতে অবৈধ রাষ্ট্রটির বৈধতা নিশ্চিত হল। গায়ের জোরে জন্ম নেওয়া ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের পরস্পরের এ স্বিকৃতি দানকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিশেষণে বিশেষিত করেছেন। ওয়াশিংটনসহ ইসরাইলের মিত্ররা একে উৎফুল্ল চিত্রে স্বাগত জানিয়েছে। আবার অনেক রাষ্ট্র বিশেষ করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর একাংশ সতর্ক  প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অন্য অংশ নীরবতা অবলম্বন করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের পরস্পরিক স্বীকৃতি দানেকে যে যাই বলুক না কেন আমাদের দেখতে হবে, এতে কোন পক্ষ বেশি লাভবান হবে। অবশ্য লাভবান বললে ভুল বলা হবে-কারণ মূলধন ছাড়া ব্যবসা করলে যা পাওয়া যায় তাই লাভ। যেমন জুতো চোর ৫০০ টাকার জুতো ৫০ টাকা বিক্রি করলেও তাই তার লাভ।

 

        সে যাই হোক এ চুক্তির সূত্র ধরে বিশ্ববাসীর মনে এখন কিছু প্রশ্ন দানা বেঁধে উঠেছে-এ চুক্তির ফলে কি মধ্যপ্রাচ্য আদৌ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে? এই চুক্তির ফলে ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ দিনের স্বাধীন ফিলিস্তিনের গড়ার স্বপ্ন অদূর-ভবিষ্যতেও কি বাস্তবায়িত হবে? ফিলিস্তিনীদের মুখে কি হাসি ফুটে উঠবে? ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরাইলের অত্যাচার কি বন্ধ হবে? না-কি স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে? নাকি-এই চুক্তি বিশ্ববাসীর নিকট একটি প্রহসনই থেকে যাবে?

 

মোঃ শফিকুল ইসলাম

৩৫/১ জিপিগ, মহাখালী, ঢাকা-১২১২

 

*****

 

 

এর নাম কি গণতন্ত্র?

---------------------------------------------------------

        দেশের শত শত শিল্পপতিরা কোটি কোটি টাকা লোন নিয়ে আয়েসের সাথে দিন কাটাচ্ছে। যেন কোন পেরেশানিই তাদের নেই। সরকারও এদের ঋণের ব্যাপারে নিরব-নির্বিকার। তাদের হাভভাক ও সরকারের নিরবতা দেখে মনে হয়, তাদের ন্যায্য পাওনা তারা বুঝে নিয়েছে; প্ররিশোধ করার জন্য তারা নিয়েছে  কি? টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে কেন?

 

        পক্ষান্তরে কৃষকের অল্প ঋণের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রানী করা হচ্ছে। এছাড়া কৃষিকাজের সুবিধার জন্য কৃষকদেরকে অগভীর নলকুপ দিয়ে বলা হয়েছিল, এর মূল্য বত্রিশ হাজার টাকা করে পরিশোধ করতে হবে। এটাই এর কেবল নির্ধারিত নয় সুনির্দিষ্ট মূল্য বটে। যৌক্তিক কারণে যারা এই টাকা পরিশোধ করতে অক্ষম রয়েছে তাদেরকেও এখন সুদসহ এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য জোর চাপের মুখে রাখা হয়েছে। কেন এ ব্যাপারে সুদ ধরা হলো, সুদ কি শুধু কৃষকদের জন্যই? যারা মূল টাকা দিতে অসমর্থ তাদের ঘাড়ে মোটা সুদের অংক চাপিয়ে এই গরিবদেরকে নিঃস্ব করার নামই কি গণতন্ত্র? গণতন্ত্র কি শিল্পপতিদের সার্থ রক্ষা করার নাম? যা শিল্প প্রতিষ্ঠার নামে দেশের অর্থ পকেটে ভরার সুযোগ করে দেয়? বর্তমান সরকারের গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারের মধ্যে পার্থক্য কি ক্ষমতাসীনদের কাছে এর ব্যাখ্যা চাই।

 

মোহাম্মদ তালেব বিশ্বাস

৭৮ নং শেরেবাংলা রোড,

রায়ের বাজার ঢাকা।

 

*****

 

বাজার ভেঙ্গে গেলে খালি হাতে ফিরতে হবে

---------------------------------------------------------------

        আজ চারিদিকে মুসলমানদের যে দূরাবস্থার কথা শুনা যাচ্ছে তাতে আর নিরবে বসে থাকা যায় না। যদি এখনও আমরা নিরব বসে থাকি তাহলে আমাদের উপর আল্লাহর গযব আসবে না এর গ্যারান্টি কি?

 

        আপনারা (পত্রিকাওয়ালারা) তো থাকেন শহরে, বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলকেও শহরের মত মনে করছেন, আসলে তা নয়। প্রতিটি গ্রামেই ব্রাক, কারিতাস, ডাকদিয়ে যাই ইত্যাদি সংস্থা সেবার নামে ইসলাম নির্মূল ও ঈমান বিধ্বংসী তৎপরতা চালাচ্ছে নির্বিঘ্নে। জাতিকে কলঙ্কিত কুলাঙ্গার করার জন্য মানব তৈরীর আল্লাহর-কুদরতী কারখানা নারী সমাজকে এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা, দ্বীন ও স্বাধীনতা সুরক্ষার অতন্দ্র প্রহরী মুসলিম যুবক কিশোরদের হৃদয় থেকে ইসলামের প্রতি তাদের দরদ ও মহব্বত টুকুও নিঃশেষ করে দিচ্ছে তারা বিভিন্ন রকম গর্হিত পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে।

 

        আবহাওয়া দপ্তরের ঝড়ের পূর্বাভাস এবং আকাশের ঘনঘটা দেখে যেমন ঝড়ের সম্ভাবনার কথা বুঝা যায়, তেমনি চতুর্দিকের মুসলিম নিধনের ভয়াবহ দুঃসংবাদ এবং ইসলামের চির শত্রু ভারতীয় ভ্রাহ্মণ্যবাদী সরকারের নিকৃষ্ট পশুতুল্য চাটুকারেরা যেরূপ বেপরোয়াভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে বুঝা যায়, আমাদের নীরবতার কারণে অতিসত্বর আমাদের উপর খোদার গজব নেমে আসছে। এই দূরবস্থার প্রেক্ষিতে আমি একটি প্রস্তাব সকলের (বিশেষত আপনাদের) বিবেচনার জন্য পেশ করছি। আপনাদেরকে তো বাতিল জমের মত ভয় করে এবং দুর্বল হকপন্থীরাও কেন যেন আপনাদেরকে ভয় করে, তবে তারা মহাব্বাতও রাখে বটে। তাই এই দুর্দিনে সকল হকপন্থী মুসলমানদেরকে যেকোনোভাবে এক প্লাটফর্মে দাড় করানোর চেষ্টা করবেন। এখনও এই কাজ সফল হতে পারে, কিছুটা সময় এখনও আছে, কিন্তু বাজার ভেঙ্গে গেলে খালি হাতেই ফিরতে হবে।

 

মাওঃ মোঃ আতাউর রহমান কাসেমী

বাংলাদেশ কেবলশিল্প জামে মসজিদ,

সোনালী জুট মিলস লিঃ, শীরমনী, খুলনা।

 

 

*****