আইএস কর্তৃক আল-কায়েদা ও তালিবান মুজাহিদদের তাকফীর
করার বেশকিছু প্রমাণ
....................................................................
আইএস সম্পর্কে যারা জানেন না কিংবা জিহাদের প্রতি ভালোবাসা থাকার কারণে যারা আইএসকেও সঠিক মানহাজের মুজাহিদ দল মনে করেন,তারা এটি মানতে চান না যে,আইএস নামক দলটি গ্লোবাল জিহাদের সঠিক মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত জামা’আত আল-কায়েদা ও তালিবান মুজাহিদদেরকে তাকফীর করে অর্থাৎ মুরতাদ বলে আখ্যা দেয়। এটি হয়তো সামগ্রিকভাবে মুজাহিদদের প্রতি ভালোবাসা থাকার কারণে। কিন্তু যখন গ্লোবাল জিহাদের সম্মানিত আলিম ও আমীরগণ আইএসের বাতিল আকীদার ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কথা বলেছেন এবং তাদেরকে সুস্পষ্ট ভাষায় খারিজী বলে আখ্যা দিয়েছেন,সেইসময় তাদের ব্যাপারে ভালো ধারণা রাখার কোনো অবকাশ নেই।
কীভাবে তারা আল-কায়েদা এবং তালিবানকে সরাসরি তাকফীর করে তা জানা জরুরি।
আইএসের ভ্রষ্টতার সূচনা, তাদের পূর্বের অবস্থা এবং বর্তমানের সাথে তাদের পূর্বের বক্তব্যের পার্থক্য কতটুকু তা বিস্তারিত প্রমাণসহ জানতে নিচের আর্টিকেলটি পড়ে নেয়ার পরামর্শ রইলো।
শিরোনামঃ “তাকফীরের তাকফীরের ক্ষেত্রে আইএসের ভয়াবহ বিচ্যুতি”
লিংক.... https://justpaste.it/takfir_is
আল-কায়েদার শাখা জাবহাতুন নুসরাহকে আইএসের তাকফীর
আইএস/দাওলা আজ আল-কায়েদার সিরিয়ান শাখা জাবহাতুন নুসরাহকে ‘আমভাবে তাকফীর করে । ভাবা যায় !
নিম্নের অকাট্য প্রমাণগুলো লক্ষ্য করুন।
১। দাবিক্ব-৮, ৫৬ পৃষ্ঠায় জাবহাতুন নুসরাহকে কীভাবে তাকফীর করা হয়েছে লক্ষ্য করুন...........
“This deviant Irjā’ then became the driving force for the jihād claimants of Shām (the Jawlānī front) to assist the Sahwah of apostasy in the war against the Islamic State! The ruling of this is well known; Imām Muhammad Ibn ‘Abdil- Wahhāb (rahimahullāh) said that from the nullifiers of Islam was “backing and aiding the mushrikīn against the Muslims. The proof is the statement of Allah (ta’ālā), {And whoever is an ally to them among you – then indeed, he is one of them. Indeed, Allah guides not the wrongdoing people} [Al-Mā’idah: 51]” [Nawāqid al-Islām]. And so the jihād claimants made their religion flimsier than the frailest of garments until it left them stripped of the religion and exposed like their Sahwah counterparts.”
সুতরাং এই ভ্রষ্ট ইরজা’ শামের জিহাদের দাবীদার(জাউলানী ফ্রন্ট) এর জন্য ইসলামিক স্টেইটের বিরুদ্ধে মুরতাদ সাহাওয়াতদের সহায়তা করতে প্রধান চালিকা শক্তি হয়েছে। এর হুকুম সবার জানা আছে; ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহহাব রাহিঃ “নাওয়াক্বিদুল ইসলাম/“ইসলাম ভঙ্গকারী”(কিতাব) তে বলেছেন, “মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহায়তা করা। প্রমাণ হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলার বাণী{আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে,সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।}[আল-মায়িদাহ-৫১]” [“নাওয়াক্বিদুল ইসলাম]। সুতরাং জিহাদের দাবীদাররা তাদের দ্বীনকে পোষাকের চেয়েও হালকা করে ফেলেছে, এমনকি তা তাদেরকে দ্বীন থেকে বের করে দিয়েছে এবং তাদের সাহাওয়াত সহযোগীদের মতো উন্মুক্ত করে দিয়েছে।”
২। দাবিক্ব-১০, ৪৫ পৃষ্ঠায় জাবহাতুন নুসরার মুজাহিদদেরকে সাহওয়াত আখ্যা দিয়ে তাকফীর করে বলা হয়েছে...... Fighters from the Jawlānī branch of the Sahwah. অর্থাৎ জাউলানী শাখার সাহাওয়াত যোদ্ধারা”
এমনকি উক্ত আর্টিকেলে সিরিয়ার সকল দলকে সাহাওয়াত/মুরতাদ আখ্যা দিয়ে তাদের স্ত্রীরা তাদের জন্য অবৈধ হয়ে গেছে এই কথা লেখা হয়েছে।
(জাবহাতুন নুসরার মুজাহিদদের ছবি দিয়ে তার নিচে ক্যাপশনে লেখা আছে...... Fighters from the Jawlānī branch of the Sahwah)
**** একইভাবে দাবিক্ব-১০, ৭২ পৃষ্ঠায় জাবহাতুন নুসরার মুজাহিদদেরকে সাহওয়াত আখ্যা দিয়ে তাকফীর করে বলা হয়েছে...... Fighters from the Jawlānī branch of the Sahwah. অর্থাৎ জাউলানী শাখার সাহাওয়াত যোদ্ধারা”
(নিচের স্ক্রিনশটে তার প্রমাণ দেখুন)
৩। দাবিক্ব-১০, ৫১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে.......
In the beginning, the wicked Sahwah Coalition in Shām consisted of “Jaysh al-Mujāhidīn,” the
“Islamic Front,” “Jabhat Thuwār Sūriyā,” the Free Syrian Army, and the Jawlānī front.1
অর্থাৎ শুরুতে শামে নিকৃষ্ট সাহাওয়াত জোট গঠিত হয়েছিলো ‘জাইশুল মুজাহিদীন’, ‘ইসলামিক ফ্রন্ট’, ‘সিরিয়ান রেভ্যুলুশনারি ফ্রন্ট’, ফ্রি সিরিয়ান আর্মি এবং জাউলানী ফ্রন্টের সমন্বয়ে।
অথচ দাওলার উপর হামলার পর ২১ জানুয়ারি,২০১৪ তারিখে শামে দাওলার একজন শার’য়ী তার বার্তায় বলেছিলেন....... “তদুপরি জাবহাতুন নুসরাহ এবং অন্যান্যদের মধ্যে সত্যপন্থী অনেক ভাই আমাদেরকে সাহায্য করেছেন। আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তা’আলার। ” (এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রমাণসহ জানতে শুরুতে লিংক দেওয়া আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ার পরামর্শ রইলো।)
৪। একদম নামধরে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা জাবহাতুন নুসরার(বর্তমান না জাবহাতু ফাতহিশ-শাম) একজন মুজাহিদকে ইয়ারমুক ক্যাম্পে হত্যা করেছে দাওলার ‘উইলায়াহ দিমাশক’ বা দামেষ্ক প্রদেশের এর সদস্যরা ।
ছবিসহ আইএসের প্রচার করা প্রমাণের লিংক......... https://justpaste.it/txtr
আল-কায়েদার সকল মুজাহিদদেরকে তাকফীর করেছে আইএস
ইখওয়ানুল মুসলিমীনের প্রধান শাইখ হাসানুল বান্নাসহ ইখওয়ানুল মুসলিমীনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুরতাদ আখ্যা দেওয়ার পর আইএসের ম্যাগাজিন দাবিক্ব-১৪ এর ৪২ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে...................
Thus, the jihād claimants consider these murtaddīn and tawāghīt to be Muslims, as was the stance of adh-Dhawāhirī on Morsi and his followers.
অর্থঃ এভাবে জিহাদের দাবীদাররা এসব মুরতাদ ও ত্বগুতদেরকে মুসলিম হিসেবে বিবেচনা করে,যেরুপ মুরসী ও তার অনুসারীদের ব্যাপারে যাওয়াহিরীর অবস্থান।”
ইখওয়ানকে তাকফীর না করার ব্যাপারে আল-কায়েদার এই দৃষ্টিভঙ্গির তীব্র সমালোচনা করে অতঃপর ৪৩ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে,
Is this not what the apostate sahwāt of adh-Dhawāhirī have fallen into in every land?
অর্থাৎ “এটি কী তা নয়,যাতে যাওয়াহিরীর মুরতাদ সাহওয়াতরা প্রত্যেক ভূমিতে পতিত হয়েছে ?”
অর্থাৎ একদম সুস্পষ্ট শব্দের মাধ্যমে আল-কায়েদার সকল মুজাহিদদেরকে মুরতাদ বলে আখ্যায়িত করেছে আইএস। (না’উযুবিল্লাহ)
►►► দাওলা যেভাবে তালিবানদের তাকফীর করেঃ
দাওলা আফগান তালিবানদের স্পষ্ট ভাষায় সাহাওয়াত বলে তাকফীর করে থাকে। (মূলত সাহাওয়াত বলা হতো, ইরাকে যেসব সুন্নী দল মুজাহিদদের বিরুদ্ধে আমেরিকার পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করেছে তাদেরকে। তারা অবশ্যই মুরতাদ ছিলো। কিন্তু দাওলা এখন আল-কায়েদা ও তালিবানকে লক্ষ্য করে সাহাওয়াত বলে থাকে । অথচ আল-কায়েদা ও তালিবান আমেরিকার বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে ! তাহলে আল-কায়েদা ও তালিবানকে কী করে আমেরিকার তাবেদারদের সাথে তুলনা করা যায় !! )
১। সাহাওয়াত(অর্থাৎ মুরতাদ) আখ্যা দিয়ে ১ জন তালিবান মুজাহিদকে জবাই করছে দাওলার উইলায়াহ খোরাসানের সদস্যরা.....ইন্নালিল্লাহ। আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে তালিবানদের সাথে দাওলার উইলায়াহ খোরাসানের সদস্যদের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে দাওলার সদস্যরা উক্ত তালিবানকে জবাই করে ।
দাওলার ‘উইলায়াহ খোরাসান’ থেকে প্রকাশিত অফিসিয়াল ভিডিও “খুরাসান-মাক্ববারাতুল মুরতাদ্দীন-১” অর্থাৎ “খোরাসান-মুরতাদদের কবরস্থান-১” (৭ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে) ভিডিওটিতে পাকিস্তানী মুরতাদ সৈন্যদের হত্যা,অতঃপর আফগান মুরতাদ সেনা ও দালাল বাহিনীকে হত্যার ভিডিওর পাশাপাশি এই দৃশ্য দেখানো হয়।
লিংক..... http://vidto.me/ygp6a850pmw0.html
(উক্ত ভিডিও থেকে নেয়া স্ক্রিনশট। তাতে আরবীতে লেখা আছে, নাহরু আহাদিস সাহাওয়াতি ফি মানত্বিক্বাতি মামান্দ [আশিন-নানগারহার]” অর্থাৎ নানগারহার প্রদেশের আচীন এর অন্তর্গত মামান্দ/মাইমান্দ এলাকায় একজন সাহাওয়াতকে জবাই”)
২। .....একই ভিডিওর ৭ মিঃ ৩১ সেকেন্ডে “ক্বাতলু মাজমু’আতিম মিন সাহাওয়াতির রিদ্দাহ ফি মানত্বিক্বাতি মামান্দ [আশিন-নানগারহার]” অর্থাৎ “নানগারহার প্রদেশের আচীন এর অন্তর্গত মামান্দ/মাইমান্দ এলাকায় সাহাওয়াত মুরতাদদের একদলকে হত্যা” এই সাব-টাইটেল দিয়ে ২ জন তালিবান মুজাহিদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্ক্রিনশটে দেখুন.........
৩। গর্ত খুড়ে তাতে বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে নৃশংসভাবে ১০ জন তালিবান সহযোগীকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে দাওলার উইলায়াহ খোরাসানের সদস্যরা তাদেরকে হত্যা করেছে। দাওলার ‘উইলায়াহ খোরাসান’ থেকে প্রকাশিত অফিসিয়াল ভিডিও قتل المرتدين ثأراً للموحدين অর্থাৎ “তাওহীদবাদীদের জন্য প্রতিশোধ হিসেবে মুরতাদদের হত্যা” শিরোনামে ভিডিওটিতে স্পষ্টভাষায় তালিবানদের সহযোগী ১০ জনকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
দাওলার ‘উইলায়াহ খোরাসান’ থেকে প্রকাশিত অফিসিয়াল ভিডিওটি দেখে আসুন...
https://archive.org/details/th2r-001
৪। দাওলা স্পষ্টভাষায় নাম ধরে মুরতাদ বলে আখ্যা দিয়ে ৩ জন তালিবান মুজাহিদকে হত্যা করেছে ।
লিংক......... http://tinyurl.com/jhhv9qc এটি তাদের বাংলাদেশী ওয়েবসাইট আত-তামকীন এর লিংক ছিলো। ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লিংকটি অকার্যকর। কিন্তু স্ক্রিনশটে তাদের আত-তামকীন ওয়েবসাইট থেকে পুরো পেইজের লিংক.......
https://drive.google.com/file/d/0B-OMkx5MoKK2SjJPdDd4ODJuQ1U/view?usp=sharing
৫। তালিবান মুজাহিদদেরকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে আইএস কর্তৃক হত্যা........ আইএসের খোরাসান প্রদেশের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল ভিডিও।
ভিডিওর শিরোনাম “খোরাসান, মাক্ববারাতুল-মুরতাদ্দীন-২ অর্থাৎ “খোরাসান-মুরতাদদের কবর-২”।
প্রথমে আফগান দালাল সরকারের উপর হামলার দৃশ্য দেখানো হয়। অতঃপর....
৩ মিনিট থেকে তালিবানদের উপর হামলার বিবরণসহ
৩ মিনিট ৫৩ সেকেণ্ডে তালিবানদের ঘাটিতে তালিবানদের পতাকা উড়তে দেখা যাচ্ছে
৪ মিঃ ২৬ সেকেন্ডে পুনরায় পতাকা দেখা যাচ্ছে
৬ মিঃ ৪৮ সেঃ তালিবান মুজাহিদদের লাশ
৭ মিঃ ২০ সেকেন্ডের পর থেকে আইএসের হাতে বন্দী তালিবান মুজাহিদদের নির্মমভাবে শহীদ করে । সেখানে স্পষ্টভাবে উক্ত মুজাহিদদেরকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়।
১১ মিঃ ৩৮ সেঃ একজন তালিবান মুজাহিদকে গুপ্তচর আখ্যা দিয়ে নির্মমভাবে শহীদ করে।
ভিডিওর লিংক....... http://tinyurl.com/joy66fx
৬। আইএসের ম্যাগাজিন ‘রুমিয়া’র ৪র্থ সংখ্যায়, ৩৯ পৃষ্ঠায় তালিবানদেরকে জাতীয়তাবাদী মুরতাদ বলে আখ্যা দিয়েছে আইএস।
সেখানে আইএসের খোরাসান প্রদেশের লড়াইয়ের চিত্র তুলে ধরে ৮৭ জন তালিবান মুজাহিদকে হত্যার দাবী করে তাতে লিখেছে,
“Nationalist Taliban Movement apostates” অর্থাৎ “জাতীয়তাবাদী তালিবান আন্দোলনের মুরতাদরা” !
►►► দাওলা তালিবানদের প্রধানকে ত্বগুত বলে আখ্যা দিয়েছে ! ঃ
দাওলা/আইএসের তাকফীরের গতি এপর্যন্ত থেমে থাকেনি; বরং তারা তালিবানদের প্রধান মোল্লা আখতার মানসূর হাফিঃ কে ত্বগুত বলে আখ্যা দিয়েছে, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি’উন। আর এটা নিশ্চয়ই সকলের জানা আছে যে, প্রত্যেক ত্বগুত অবশ্যই কাফির। কিন্তু প্রত্যেক কাফির ত্বগুত নাও হতে পারে। সংক্ষেপে ত্বগুত হচ্ছে, যে/যারা নিজেরা আল্লাহর দ্বীন মানে না এবং অন্যকে দ্বীন মানতে বাঁধা দেয় অথবা যারা কুফরের নেতৃত্ব প্রদান করে।
দাওলা তালিবানদের প্রধান মোল্লা আখতার মানসূর হাফিঃ কে শুধু তাকফীর করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকেনি;বরং ত্বগুত বলে সম্বোধন করেছে।
প্রমাণঃ দাওলার শার’য়ী আবু মাইসারাহ আশ-শামী সোমালিয়ার আল-কায়েদার শাখা আল-শাবাব মুজাহিদদের উদ্দেশ্য করে
أيها الشباب في الصومال:السفيه الخرفان يبايع طاغوت طالبان!
“হে সোমালিয়ার আল-শাবাব ! ভীমরতিগ্রস্ত নির্বোধ, তালিবানের ত্বগুতকে বাই’আত দিয়েছে” শিরোনামে একটি আর্টিকেল লিখেছে।
তাতে দাওলার শার’য়ী ১০ বার তালিবানদের প্রধান মোল্লা আখতার মানসূর হাফিঃ কে তালিবানের ত্বগুত বলে আখ্যা দিয়েছে।
দাওলার শার’য়ী আবু মাইসারাহ আশ-শামীর মূল (আরবী) আর্টিকেলের লিংক..... http://justpaste.it/p1dt
ইংরেজি অনুবাদের লিংক..... http://tinyurl.com/zf2yjs2
►►► দাওলা শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কেও তাকফীর করেছেঃ
১। দাওলার শার’য়ী আবু মাইসারাহ আশ-শামী সোমালিয়ার আল-কায়েদার শাখা আল-শাবাব মুজাহিদদের উদ্দেশ্য করে
أيها الشباب في الصومال:السفيه الخرفان يبايع طاغوت طالبان!
“হে সোমালিয়ার আল-শাবাব ! ভীমরতিগ্রস্ত নির্বোধ, তালিবানের ত্বগুতকে বাই’আত দিয়েছে” শিরোনামে একটি আর্টিকেল লিখেছে।
(বার্তাটির লিংক উপরে দেওয়া হয়েছে।)
আচ্ছা ত্বগুতকে বাই’আত দিলে এবং তার আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করলে তার হুকুম কী হয় ?
দাওলার মতেতো অবশ্যই মুরতাদ হবে,অনু পরিমাণ সন্দেহও নেই ! এমনকি দুনিয়ার সব সত্যপন্থী মুজাহিদদের কাছেও ত্বগুতকে বাই’আত প্রদানকারী ও ত্বগুতের আনুগত্যের শপথকারী ব্যক্তি নিঃসন্দেহে কাফির।
এভাবেই তারা শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃকেও তাকফীর করেছে। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইলাইহি রাজি’উন)
২। আইএস/দাওলার শার'য়ী আবু মায়সারা শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ তাকফীর করেছে এবং হত্যার ঘোষণা দিয়েছে।
দাওলার শার'য়ী আবু মায়সারা আশ-শামী হাকীমুল উম্মাহ আমীরুল মুজাহিদীন শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে সরাসরি তাকফীর করেছে।
'طمس الرموز'
শিরোনামে দাওলার উক্ত শার'য়ী একটি বার্তায় শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মনগড়া অভিযোগ দায়ের করে বলেছে,
ثم يختم كفره بمبايعة ربيب المخابرات الباكستانية، الدجال الذي اصدر البينات الوطنية باسم اميره الميت
অর্থঃ "অতঃপর সে তার কুফুরী চুড়ান্ত করেছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার মিত্র দাজ্জালকে বাই'আত প্রদানের মাধ্যমে,যে তার মৃত আমীরের নামে জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রদান করেছে।"
(বার্তাটির পৃষ্ঠা নং-২, লাইন নং-২)
শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে যেভাবে হত্যার ঘোষণা দিয়েছে.....
ثم ظل الظواهري في طريق الضلال حتى لم يترك طائفة مرتدة إلا وقد ظاهرها على الإسلام والمسلمين، اسئل الله ان يجعل هلاكه على أيدي إخواننا في ولاية خرسان
অতঃপর যাওয়াহিরী ভ্রষ্টতার পথে অব্যাহত থেকেছে। এমনকি সে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোন মুরতাদ দলকে সাহায্য না করে ছাড়েনি। আমি আল্লাহর কাছে চাইবো, তিনি যেনো উইলায়াহ খোরাসানে আমাদের ভাইদের হাতে তাকে ধ্বংস করে দেন।"
(বার্তাটির পৃষ্ঠা নং-১১, টিকা নং-১)
আইএস/দাওলার শার'য়ী আবু মায়সারা আশ-শামীর অফিসিয়াল বার্তার লিংক...... http://tinyurl.com/h5vlu3s
উল্লেখ্য এই আবু মায়সারা আশ-শামীর আর্টিকেল আইএসের ম্যাগাজিন দাবিক,সংখ্যা-৬ এ (পৃষ্ঠা....১৬ থেকে কয়েক পৃষ্ঠায়) ছাপা হয়েছে ।
৩। আইএসের দাবিক্ব-১৪ এর ৪১ পৃষ্ঠায় শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর ছবি দিয়ে বলা হয়েছে.........
“ The soldier of the Pakistani puppet Akhtar Mansū
অর্থাৎ “পাকিস্তানের পাপেট(পুতুল/এজেন্ট) আখতার মানসুরের সৈন্য।”
►►► আল-কায়েদার মুজাহিদদেরকে যারা মুরতাদ বলবে না,আইএস তাদেরকেও মুরতাদ আখ্যা দেয় !
আইএসের ম্যাগাজিন ‘রুমিয়া’র ২য় সংখ্যায়, ৬ পৃষ্ঠায় জাবহাতুন নুসরার আমীর এবং আরো দুইজন মুজাহিদ শাইখের একটি ছবি দিয়ে তাতে লিখেছে,
“The murtadd allies of the Crusader-backed Free Syrian Army” অর্থাৎ ক্রুসেডার মদদপুষ্ট ফ্রি সিরিয়ান আর্মির মুরতাদ সহযোগীরা।
আইএসের এই বাতিল চেইন তাকফীরের নীতি বর্ণনার পূর্বে স্পষ্টভাবে এই মেমোরেন্ডাম যে সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা জাবহাতুন নুসরাহ(জাবহাতু ফাতহিশ-শাম)কে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে, তা তার পূর্বে উক্ত পৃষ্ঠায় নামসহ উল্লেখ করা হয়েছে। দেখুন.....
This memorandum was followed by a second one, clarifying the ruling of those who refrain from making takfir of the Jawlani front, one of the Sahwah factions claiming jihad. The memorandum stated, “The Organization of al-
Qa’idah in Syria (‘Jabhat an-Nusrah’).......
অর্থঃ- “এই ‘মেমোরেন্ডাম বা নোট’ দ্বিতীয় একটির পরবর্তীতে এসেছে, সাহাওয়াত দলগুলোর মধ্যে জিহাদের দাবীদার একটি ফ্রন্ট ‘জাউলানী ফ্রন্ট’কে যারা তাকফীর করা থেকে বিরত থাকবে তাদের বিধান স্পষ্ট করার জন্য । এই ‘মেমোরেন্ডাম বা নোট’ জানিয়ে দিচ্ছে, সিরিয়ায় আল-কায়েদা(জাবহাতুন নুসরাহ)......।”
অতঃপর উক্ত পৃষ্ঠায় সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা জাবহাতুন নুসরাহ ও অন্যান্য দলকে যারা তাকফীর করবে না,তাদের ব্যাপারে ‘মেমোরেন্ডাম বা নোট’ হিসেবে লিখেছে,
As such, it will not be accepted that any of our troops is found refraining from making takfir of the individuals from the parties who fight us and whom we fight over Allah’s Shari’ah. Any of the troops of the Islamic State who is found refraining from making takfir of these factions shall
have his case referred to the amir of his division for the refrainer to be summoned and what was alleged against him be confirmed. The condition of these factions will be explained to him if he is ignorant thereof. Then, if he refrains from making takfir of these factions after the clarification,he will be transferred to the court for istitabah [for the court to demand the soldier’s repentance or otherwise– if he refuses to repent – for him to be punished for apostasy].”
অর্থাৎ, “অনুরুপ যেমন, এসব গ্রুপের মধ্যে যারা আমাদের সাথে যুদ্ধ করে এবং আমরা যাদের সাথে আল্লাহর শরী’আহর জন্য যুদ্ধ করি, আমাদের কোনো সৈন্য যদি তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে তাকফীর করা থেকে বিরত থাকে এমন পাওয়া যায়,তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। ইসলামিক স্টেটের কোনো সৈন্য এমন পাওয়া যায় যে,এসব দলকে তাকফীর করা থেকে বিরত থাকে,তবে তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগের আমীরের কাছে পাঠানো হবে ।তিনি তাকে তলব করবেন এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন। যদি সে উক্ত দলগুলোর ব্যাপারে অজ্ঞ হয়,তাহলে তাকে সে ব্যাপারে অবগত করানো হবে। অতঃপর স্পষ্ট করার পর যদি সে এসব দলকে তাকফীর করা থেকে বিরত থাকে,তাহলে ইস্তিতাবাহ বা তাওবার জন্য কোর্টে প্রেরণ করা হবে[কোর্টের জন্য উক্ত সৈন্যকে তাওবাহ করতে বলা হবে অন্যথায় যদি সে তাওবাহ করতে অস্বীকার জানায়,তাহলে সে জন্য তাকে রিদ্দা তথা মুরতাদ হওয়ার শাস্তি প্রদান করা হবে।]”
উপরোক্ত বক্তব্যে স্পষ্টভাবে আইএস জানিয়ে দিয়েছে, যে ব্যক্তি সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা ও অন্যান্য মুজাহিদদেরকে তাকফীর করবে,সেও মুরতাদ !!! কী জঘন্য চেইন তাকফীর !!!
অর্থাৎ যারা আল-কায়েদাকে মুজাহিদ মনে করছে,দাওলার সুস্পষ্ট ফাতাওয়া অনুযায়ী তারা নিজেরাই মুরতাদ !!! সুতরাং দাওলাকে সমর্থন করেন আবার আল-কায়েদাকেও সমর্থন করেন এবং উভয়কে সঠিক মনে করেন কিংবা উভয়কে মিলানোর চেষ্টা করেন,তারা কী দাওলার মতবাদ অনুযায়ী আগে মুসলিম হবেন !!! (ইন্নালিল্লাহ)
এদের জঘন্য তাকফীরী বাতিল আকীদা পূর্ববর্তী খাওয়ারিজদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে ।
(উল্লেখ্য চেইন তাকফীর হচ্ছে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো মুরতাদকে তাকফীর না করে তাহলে তাকেও মুরতাদ বলা। অতঃপর এই ব্যক্তিকে যে মুরতাদ বলবে না,তাকেও মুরতাদ বলা ! এভাবেই তাকফীরের এই ধারা চলতেই থাকে ! না’উযুবিল্লাহ ! এটাই খারিজীদের তাকফীরের নীতি,যা যুগে যুগে প্রত্যক্ষ করা যায়। অথচ ইসলামের মূলনীতি হচ্ছে যাদেরকে কুরআন-হাদীসে কাফির বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং যাদের কাফির হওয়ার ব্যাপারে ইজমা’ হয়েছে,তাদেরকে জেনে-শুনে কেউ কাফির না বললে,সে রিদ্দায় পতিত হবে। অথচ এই বিধানটি মুজাহিদদেরকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছে । )
আইএসের ভ্রষ্টতার সূচনা, তাদের পূর্বের অবস্থা এবং বর্তমানের সাথে তাদের পূর্বের বক্তব্যের পার্থক্য কতটুকু তা বিস্তারিত প্রমাণসহ জানতে নিচের আর্টিকেলটি পড়ে নেয়ার পরামর্শ রইলো।
শিরোনামঃ “তাকফীরের তাকফীরের ক্ষেত্রে আইএসের ভয়াবহ বিচ্যুতি”
লিংক.... https://justpaste.it/takfir_is
আইএস/দাওলা তালিবান-আল কায়েদার প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে মুরতাদ মনে করে,যার কিছু প্রমাণ উপরে প্রদান করেছি। এছাড়া আরো অসংখ্য প্রমাণ তাদের বিভিন্ন ভিডিও ও ম্যাগাজিনে রয়েছে।
ইসলামের ইতিহাসে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে, দু’টি হক্বপন্থী দল একে অপরের সাথে লড়াইয়ের কারণে একপক্ষ অপরপক্ষকে তাকফীর করছে ! কিন্তু আইএস/দাওলা তা সরাসরি করছে।
যারা দাওলার সাথে আল-কায়েদার বিরোধকে জঙ্গে-জামাল, সিফফিনের সাথে তুলনা করতে চান,তাদের মনে রাখা দরকার উক্ত লড়াইগুলোতে কখনোই সাহাবীদের একপক্ষ অপরপক্ষকে তাকফীর করেনি। কিন্তু আইএস/দাওলা সরাসরি সারা দুনিয়ার মুজাহিদদেরকে তাকফীর করছে অর্থাৎ মুরতাদ বলে আখ্যা দিয়েছে।এমনকি প্রত্যেক মুজাহিদকে মুরতাদ মনে করে আইএস ! আর এটিই হচ্ছে খারিজীদের আলামত। খারিজীরা মুসলিমদেরকে তাদের মতের সাথে বিরোধের কারণে তাকফীর করে এবং তাদের রক্তকে হালাল করে নেয়।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে সবধরণের বাতিল আকীদা থেকে বেঁচে থাকার তাউফীক্ব দান করুন।
বিঃদ্রঃ জিহাদ ও আইএস সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা পড়তে মূল পেইজে যেতে পারেন।
লিংক.... https://justpaste.it/Abdullah_Hasan