JustPaste.it

প্রশ্নোত্তরে

প্রিয়নবীর পবিত্র জীবন

 

 

প্রশ্নঃ বদরের বন্দীদের ভাগ্যের ফয়সালার ক্ষেত্রে প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি    ওয়া সাল্লাম) সারি সোজা করছিলেন, কার পরামর্শ গ্রহণ করেছিলেন?

উত্তরঃ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর পরামর্শ তিনি বলেছিলেন যে, পণ নিয়ে ওদেরকে মুক্তি দেওয়া হোক।

প্রশ্নঃ নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সেই আত্মীয়ের নাম কি, যিনি বদরী বদরী বন্দীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং মদীনার আনসাররা তাকে তাদের ভাগিনা আখ্যা দিযে তার পক্ষ থেকে মুক্তি পণ দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন, কিন্তু নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা গ্রহণ করেননি।

উত্তরঃ প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর চাচা আব্বাস (রাঃ)।

প্রশ্নঃ বদর যুদ্ধের পর জনৈক কাফির নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মক্কা থেকে মদীনা গিয়েছিল। কিন্তু নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগেই এ তথ্য ফাঁস করে দেন এবং ব্যর্থ হয়ে অবশেষে  লোকটি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করে। বলতে পারো লোকটির নাম কি?

উত্তরঃ লোকটির নাম উমায়র ইবনে ওহাব।

প্রশ্নঃ হিজরতের পরে এবং বদর যুদ্ধের আগে মক্কার কুরাইশরা নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং মুহাজির সাহাবীদেরকে মদীনা থেকে করে দেওয়ার জন্য মুনাফিক নেতা আদুল্লাহ ইবনে উবাইকে উষ্কানী দিলে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন?

উত্তরঃ নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেই আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর নিকট গমন -করেন । ইবনে উবাই তখন সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে একস্থানে  বৈঠক করছিল। নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ 'কুরাইশরা আমাদের বিরুদ্ধে তোমাকে উষ্কানী দিচ্ছে এখবর আমি  পেয়েছি। লড়াই যদি করো, তো সে লড়াই তোমার মুসলমান হওয়া সন্তান-সন্ততি আর ভাই আপনজনদের বিরুদ্ধেই হবে। উভয় দিকে তোমারই ক্ষতি হবে। তবে যদি কখনো  কুরাইশের বিরুদ্ধে লড়তে হয় তা হবে অন্যদের বিরুদ্ধে! নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এ মর্মভেদী পরামর্শ শুনে ইবনে উবাই  নিরুত্তর হয়ে যায় এবং যুদ্ধের বাসনা পরিত্যাগ করে।

প্রশ্নঃ বদরে পৌঁছার প্রাক্কালে যাফরানের বৈঠকে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কার বক্তব্য শুনে শ্রীত হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, চলো এবং আনন্দিত হও, আল্লাহ আমার সঙ্গে দু' বাহিনীর যে কোনো এক বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেন আমি কুরাইশের পর্যুদস্ত হওয়ার স্থানগুলো দেখতে পাচ্ছি?

উত্তরঃ হযরত সাদ ইবনে মু'আয (রাঃ) এর বক্তৃতা শুনে।

প্রশ্নঃ সে যুগে একটি উটে তিনজন করে ভ্রমন করতো। প্রশ্ন হলো বদর অভিমুখে যাওয়ার সময় নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাহনে আর কে কে ছিলেন?

উত্তরঃ হযরত আলী ও আবু লুবাবা (রাঃ)।

প্রশ্নঃ মদীনা থেকে বদর যওয়ার পথে নবীজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সফর সঙ্গী হযরত আলী ও আবু লুবাবা (রাঃ) যখন বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি উটে সওয়ার হোন, আমরা পায়ে হেটে যাব, তখন নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বলেছিলেন?

উত্তরঃ নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন, পায়ে হাটার শক্তি আমার চেয়ে তোমাদের বেশী নয়, আবার আমিও পুন্য অর্জনের ক্ষেত্রে তোমাদের অপেক্ষা বে-নেয়ায নই।

প্রশ্নঃ বদর প্রান্তরে যুদ্ধের জন্য যখন নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুজাহিদদের সারি সোজা করছিলেন, তখন কোন ব্যক্তি সারি থেকে একটু এগিয়ে ছিল আর নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তীর দ্বারা তার পেটের দিকে ইংগিত করে বললেন, সোজা হও, কিন্তু লোকটি বলল, আপনি আমাকে কষ্ট দিয়েছেন, আগে তার প্রতিশোধ নিব।

উত্তরঃ লোকটি হলো হযরত সাওয়াদ ইবনে গাযিয়া (রাঃ)। তার দাবী মোতাবেক প্রতিশোধ দেওয়ার জন্য নবীজি নিজের পেটের কাপড় উদোম করে দিলে তিনি সামনে অগ্রসর হয়ে নবীজির উন্মুক্ত পেটে চুমু খান।

-উম্মে হানী