JustPaste.it

পাঠকের কলাম

 

এসব আল্লাহর সাথে তামাশা বই কি?

 

    বাংলাদেশ রেডিওতে সব সময় গান বাদ্য চলে। যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন মসিবত আসে যেমন, ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, ভূমিকম্পন তখন রেডিওর নাচিয়ে তোলা গানগুলো বদলে যায়। যখন ঘুর্ণিঝড়ের সতর্কবানি পড়ে ৩বা ৪ অমনি ওই গান পরিবর্তন করে বাদ্যসহ ইসলামী গান দেয়। কিছুক্ষন পর যখন কতর্ক সংকেত ৫ থেকে সাত নম্বরে চলে যায় তখন ইসলামী গানে আর বাজনা থাকে না। তখন শুধু বাজনা ছাড়া ইসলামী গান শূনা যায়। যখন সতর্ক সংকেত বানি বাড়তে থাকে ৭/৮- এ পৌঁছে যায় তখন আর ইসলামী সংগীত থাকে না। সবাইকে আল্লাহর নাম স্মরণ করার নসীহাহ করা হয়। যখন থেকে ৯/১০ নাম্বারের  চলে যায় তখন রেডিওতে কুরআন তিলাওয়াত ছাড়া আর কিছুই শুনা যায় না। যেন রেডিওতে ইসলাম কায়েম হয়েই গেছে। বিপদ কেটে গেলে যেই সেই। এসব আল্লাহর সাথে তামাশা বই কি?

 

     এ.টি.এম, নেজাম উদ্দীন জেহাদী

বদরমোকাম, বস্তুরঘাট,কক্সবাজার।

 

ঐকমত্য প্রকাশ

 

   জাগো মুজাহিদ ১৯৯৪ জুন সংখ্যায় প্রচারিত বিশ্ব ইসলামী সংস্থার পক্ষে ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের ঈমানী শক্তিতে উদ্দীপিত ও ভালবাসার নিখাদ প্রতীক খোলা চিঠি নামে সরলমনা উপদেশের বিষয় বস্তুর সাথে আমরাও একমত পোষণ করছি। সাথে সাথে  ইসলামী জগতের সমস্ত শাসক ও নেতৃবৃন্দের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি যে, আপনারা স্ব স্ব দেশে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত করুন, পাশ্চাত্য আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করুন।

 

গোলাম কাদির

সাবেক সভাপতি

হিলফুল ফুজুল, দৌলতপুর, কাদেরগজ।

 

এ সরকার ক্ষমতায় থাকার যোগ্য নয়

 

প্রিয় পাঠক পাঠিকাবৃন্দ,

আপনারা অবশ্যই অবগত আছেন যে, বিগত ১৯৯৩ সনের ২৪শে ডিসেম্বর ঢাকা মানিকমিয়া এভিনিউতে খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ তৌহিদী জনতার ঢল নেমেছিল। সেখানে তৌহিদী জনতার প্রাণের দাবী ছিল, কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে সরকারীভবে অমুসলিম ঘোষণা করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আজ আর এক ডিসেম্বর এসে পৌছলো। কিন্তু এই বিসমিল্লাহর ধোকাবাজ সরকার অদ্য পর্যন্ত কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা করল না।

      সংগ্রামী বন্ধুরা! অথচ এই সরকার সেই মহা সম্মেলনকে বাঞ্চাল করার জন্য বহু ষড়যন্ত্র করেছিল, কিনতু তৌহিদী কাফেলার সাথে আল্পাহ আছেন বিধায় তাদের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি।

     প্রিয় ভাইয়েরা আমার! তার পর অর্থ বছরের ২৯ই জুলাই ১১ দফা দাবী নিয়ে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ তাওহিদী জনতা আলেম ওলামা, দ্বীনদার বুদ্ধিজীবি, পীর মাশায়েখ লংমার্চ এবং মানিকমিয়া এভিনিউতে মহাসমাবেশ করেছিলেন । সেখানে বাংলাদেশ সরকারকে ১ সপ্তাহের সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্ত সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি।

     সংগ্রামী সাথীরা! আজ বাংলাদেশ সরকার বিরাট জনসভা করে সেখানে বিসমিল্লাহর নাম দিয়ে জনগণকে আরো দিশেহারা করতে চায়। বিসমিল্লাহর সরকার বিসমিল্লাহ হেফাজত করতে পারে নি। বিসমিল্লাহর উপর এত আঘাত হানালো কিন্তু বিদেশী মুখোশ পরিহিত সরকার গোপনে নির্লজ্জ লেখিকা তসলিমাকে সুইডেনে পাঠিয়ে দেয়।

     যে সরকার জনগণের দাবী মানতে পারে না, যে সরকার কুরআন এর হেফাজত করতে পারে না, সে সরকার ক্ষমতায় থাকারও কোন অধিকার রাখেনা।

 

আঃ রব শায়েস্তাবাদী

বরিশাল

 

বাংলাদেশ ও ইসলাম

 

      বাংলাদেশের অনেক লোক বলে থাকে, আমরা বাংলাদেশী। আসলে এটা আমাদের মূল পরিচয় নয়। আমাদের আসল পরিচয় হলো, আমরা স্বাধীনতা প্রিয় বাংলাদেশী মুসলমান। আমার কথা হলো, বর্তমানের বাংলাদেশ ইসলাম হতে এত দূরে কেন? বাংলাদেশ কি মুসলিম দেশ নয়? কেন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিলো? উত্তর একদম সহজ। ভারত উপমহাদেশ থেকে প্রায় ২০০ বছর ব্যাপী ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার পর ইংরেজ শাসন অবসান হয় মূলত মুসলিম বীর পুরুষদের আন্দোলনে। ১৯৪৭ সালে মুসলমানদের আন্দোলনে ভারত হতে এ ভূখণ্ড আলাদা হয়ে এক বা একাধিক মুসলিম দেশ গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। তার ফল হিসাবে ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান নামের দুইটি অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তানের জন্ম হয়। এরপর ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ নাম ধারণ করে। এর দ্বারা বুঝা যায়, বাংলাদেশ একটি ইসলামী রাষ্ট্র হওয়াই যুক্তিযুক্ত ছিলো। কিনতু বাংলাদেশী নেতা নেত্রী এবং শাসক গোষ্ঠীর ক্ষমতার লোভে বাংলাদেশকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। আবার কেউ কেউ এই দেশটি মুসলিম দেশ বলে ইসলামের সুর ধরে রাজনীতি করে। ক্ষমতার লোভে এরা আসলে ইসলাম হতে আমাদেরকে দূরে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতার চাবি কাঠি হাতের মুঠোয় রাখতে চায়। এরা বেদ্বীনদের সাথে ষড়যন্ত্র করে ইসলামকে ধ্বংস করতে চায়। এরা তাই এই দেশের জনগণকে ইসলাম হতে দূরে ঠেলে দিয়েছে। আমাদেরকে এই সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে ইসলামের মহান আদর্শ সম্বল করে। মনে রাখতে হবে, আমরা মুসলমান। মুসলমানের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং এই দেশে আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কারো হুকুম  চলতে পারে না, পারবে না। আমরা আর নত শীরে বসে থাকব না। মুসলমান কখনও আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কারো নিকট মাথা নত করে না।

 

মুহাম্মাদ মুস্তায়ীন বিল্লাহ

মাইজ বাড়ীয়া কাজী বাড়ী…

কালিদহ, ফেনী।

 

 

বাগমারী ফেতনা থেকে হুঁশিয়ার হোন

 

১। বাগমারীরা মুসলমান নয়। কাদিয়ানীদের মতো এরা একটি বাতিল ফের্কা। এরা শয়তানের শিং-তথা শয়তানী ফেত্নায় লিপ্ত, এদের খপ্পরে পড়ে হাজার হাজার সরল প্রাণ মুসলমান ঈমান হারা হচ্ছে।

২। এদের আকিদা, নামায, রোজা করতে হবে না। এরা সাধু বেশে মানুষকে ধোঁকা দেয়। মানব প্রীতির নামে সব কিছু দিয়ে পীর সেবা তাদেরকে অতি ভক্তি চোরে পরিণত করেছে।

৩। এরা পীর ভক্তির নামে শয়তানের পুজা করে।  নারী পুরুষ কাওয়ালী গানের আসর জমায় এবং যৌন উদ্মাদনায় মেতে ওঠে।

৪ । বাগমারীরা মুশরেক-কবর পূজা, পীর পূজা ও পীরের ফটোকে তারা সিজদা করে।

৫। বাগমারীরা শরীয়তের সীমালংঘনকারী দল। গরুর গোস্তকে তারা হারাম মনে করে। এরা শয়তানের  চেলা সেজে মানুষকে তাদের দলভুক্ত করে। এ ছাড়াও অসংখ্য ইসলার্ম বিরোধী বিশ্বাস তারা পোষণ করে।

     হে আল্লাহ্‌! এ ফেতনা হতে তুমি আমাদের ॥ বাঁচাও।

    তাই সর্বস্তরের মুসলিম ভাইবোনদের প্রতি আহবান যে, আপনারা এদের খপ্পরে পড়বেন না এবং ঈমান হারাবেন না। তাদের সাথে কোনরূপ সম্পর্ক স্থাপন করবেন না।

     বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন যে, কাদিয়ানীদের মত কুমিল্লা কাশিমপুর বাগমারী ভণ্ড পীরের অনুসারিদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা হোক।

 

প্রচারে

ইসলামী সমাজ কল্যাণ সমিতি

জয়পুরহাট, বগুড়া