JustPaste.it

প্রশ্নোত্তর

=======================================================================

 

মোঃ মাহবুবুর রহমান (ত্বহা)

────────────────────

       প্রশ্নঃ মাওলা অর্থ আলাহ। এর বহু বাচন হলো মাওলানা। যার অর্থ হলো আমাদের আল্লাহ। কিভু আমাদের দেশে মাদ্রাসা পাস লোকদের মাওলানা বলা হয়। এটা কি ঠিক? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।

 

       উত্তরঃ মাওলা শব্দের অর্থ সরাসরি আল্লাহ নয়। তবে এর দ্বারা আল্লাহকেও বুঝায়। মাওলা শব্দটির অর্থ অনেক। এর অর্থ প্রভু, মান্যবর, গোলাম, অভিভাবক ও সহচর ইত্যাদি। আল্লাহ তা'আলার উদ্দেশ্যে যখন ‘মাওলা’ বলা হবে তখন এর অর্থ হবে প্রতু। হযরত নবী করীম (সাঃ) কে যখন মাওল বলা হবে তখন এর অর্থ হবে মান্যবর বা অভিভাবক হাদীস শরীফে মাওলা শব্দটি ক্রীতদাস-গোলামের বেলায় ব্যবহৃত হয়েছে।

 

        বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে আলিম সমাজের নামে জনগণের পক্ষ হতে শ্রদ্ধা ও সম্মানসূচক যে উপারধিটি সংযুক্ত করা হয় তা হলো ‘মাওলানা’৷ এর অর্থ হলো মুসলিম জনসাধারণের ধর্মীয় অভিভাবক। অতএব তাদরেকে ‘মাওলানা’ বলাটা কোন দোষের বিষয় নয়।

 

 

 

মোঃ শাহজাহান (মাহমুদ)

───────────────

       প্রশ্নঃ আমাদের এলাকার বহু মসজিদে এমন ধরণের দেয়াল ঘড়ি ঝুলান দেখা যায় যাতে প্রতি ঘন্টা অন্তর ‘মিউজিক’ পরিবেশিত হয়। এই ধরণের ঘড়ি মসজিদে ব্যবহার করা জায়িয হবে কি?

 

       উত্তরঃ এই মিউজিক বা বাদ্যের জন্যই মূলত গান হারাম করা হয়েছে। মিউজিক মানুষকে নষ্ট চিন্তায় তন্ময় করে রাখে। মিউজিক হলো পাপের পথে শয়তানের এক কৌশলী আহবান। বহু দূর থেকেও যদি বাঁশির ক্ষিণ আওয়াজ রাসুলের কানে পৌঁছত তখনই তিনি হাতের আঙ্গুল দ্বারা কান চেপে ধরতেন। এ প্রসঙ্গে ইসলামের সিদ্ধান্ত সুযোগমুক্ত আপোষহীন-স্পষ্ট হারাম। এই যার হাকিকাত তা মসজিদে ব্যবহার করা যায় কি? হ্যাঁ তবে ওই ঘরির মিউজিক ওয়ালা এলার্ম বন্ধ করে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরণের ঘড়ি হাতে ব্যবহার করাও ঠিক হবেনা।

 

 

 

মোঃ ফখরুল ইসলাম

───────────────

       প্রশ্নঃ একটি বই-এ দেখতে পেলাম, কুরআনিক দলীলসহ লেখক প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন, “পৃথিবী নয় সূর্য ঘুরে।” অথচ বিজ্ঞানীরা বলছে, সূর্য নয় পৃথিবী ঘুরে। কোনটি সত্য?

 

       উত্তরঃ পবিত্র কুরআনের সূরা ইয়াসীন ও সূরা আম্বিয়ায় বলা হয়েছেঃ “(মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্রের) প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সন্তরণ করে।” কেউ থেমে নেই। সূর্য নিজ কক্ষে ঘুরছে, চন্দ্র নিজ কক্ষপথে আবর্তিত হচ্ছে সেই অনন্তকাল থেকে। আধুনিক বিজ্ঞানীদের গবেষনার ফলাফলও এটাই। এ অভিমতই সঠিক বলে প্রমাণিত এর ব্যতিক্রম যা তা ভুল। আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত বই-এর অভিমত ও আপনার কথাও ঠিক নয়। পৃথিবী এবং সূর্য উভয়ে ঘুরে এটাই সর্বসম্মত সঠিক কথা।

 

 

 

মোঃ জাহিদুল ইসলাম

───────────────

       প্রশ্নঃ শুনেছি, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পিতা নরাকি কাফেরের বংশধর ছিলেন। এ কারণে নাকি তিনি বেহেশত ও দোযখ উভয়ের মাঝখানে থাকবেন। অথচ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর  শাফায়াত না হলে কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না। তার শাফায়াতের পর নেক্কার বান্দারা বেহেশতে যাওয়া শুরু করবে। আর তাঁরই পিতা থাকবে বেহেশেতের বাইরে! তিনি কি তার পিতাকে শাফায়াত করবন না? নাকি পিতার জন্য পুত্রের শাফায়াত কবুল হবে না? বিষয়টির সমাধান কি?

 

       উত্তরঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর নবুয়াত লাভের পরবর্তী ইতিহাসের আলোকে তার পিতাকে কাফেরদের বংশধর বলা যেতে পারে। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নবুয়াত প্রাপ্তির পর যারা তাঁর ওপর ঈমান আনেনি তারা সকলেই কাফের এতে কোন সন্দেহ নেই। তাঁর বংশের বহু নামী-দামী লোক ছিলো যারা তার ওপর ঈমান তো আনেই নি বরং তাঁর চরম বিরোধীতা করেছে! এ দিকে থেকে বল্লে বলতে পারেন, রাসূল (সাঃ)-এর পিতা কাফির বংশের লোক ছিলেন।

 

        উল্লেখ্য যে, এখানে কাফের অকাফের বা মুসলমান বিচার করার ভিত্তি হলো (সাঃ)- এর নবুয়াত লাভ-এর সময় কাল। তাই তাঁর নবুয়াত লাভেল পূর্বে যারা ইন্তেকাল করেছেন এবং তাদের মধ্যে যারা মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর পূর্ববর্তী নবীর ওপর বিশ্বাসী ছিলেন তাদেরকে তো বে-ঈমান বা কাফির বলা যায় না। মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নবুয়াত লাভের পরই তো পূর্ববর্তী নবীর রেসালাত রহিত করা  হয়েছে। তাই ও সময় আমাদের নবীর পূর্ববর্তী নবী ঈসা (আঃ)-এর ওপর যারা বিশ্বাসী ছিলেন তাদেরকেও ঈমানদার বলতে হবে। আমাদের প্রিয় নবীর পিতা তো ঈসা (আঃ)-এর রেসালাতে বিশ্বাসী এমনই একজন একনিষ্ট ধার্মিক সৎ ও মহৎ গুণ সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন।

 

        একজন তাওহীদ বিশ্বাসী হিসেবে অন্যান্যদের মত তাঁর নেকী বদীরও বিচার হবে। সকল বিশ্বাসীদের মত তিনিও তাঁর শাফায়াতের ভাগী হবেন। তিনি কাফিরের বংশধর ছিলেন বলে কি কাফির হয়ে গেছেন? বংশের ওপর কাফির ও মুসলমান হওয়া নির্ভরশীল নয়-এটা নির্ভর করে ঈমান ও বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ওপর। যে ব্যক্তি আামাদের নবীর আবির্ভাবের পূর্বে ইহধাম ত্যাগ করেছেন তার ইহজৌবনিক বিচার করবে তার সময়ের শরীয়াত। ওখানে আমাদের শরীয়াতের কোনো দখল নেই। তার জান্নাত প্রাপ্তির বিষয়টাও বিবেচিত হবে ওই শরীয়াতেরই দৃষ্টিতে। আমাদের প্রিয় নবীর পিতা খাজা আব্দুল্লাহ জান্নাত ও দোযখের মাঝখানে অবস্থান করবেন বলে যে কথা উল্লেখ করেছেন তার কোন সত্যতা ও ভিত্তি নেই। আমরা আশা করি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মহান ও সৌভাগ্যবান পিতা বেহেশতেই যাবেন। বাকী খোদার ইচ্ছা।

 

 

 

হাসান সারোয়ার চৌধুরী (সোহেল)

───────────────────────

       প্রশ্নঃ আমার সাথে আমার স্ত্রীর বিয়ের প্রায় বছর পাঁচেক পূর্বে আমার স্ত্রীর ভগ্নিপতি এবং বড়বোন জনৈক বয়স্ক অর্থশালী লোকের প্ররোচনায় আমার স্ত্রীকে তারা উল্লেখিত বয়স্ক লোকের সাথে বিয়ে দিবে বলে কুরআন ছুঁয়ে কসম করে। এ পর্যায়ে ব্যার্থ হয়ে তারা উল্লেখিত বয়স্ক লোকের প্ররোচনায় তার এক দূর সম্পর্কের ভাইয়ের সাথে কোনো এক  অনুষ্ঠানে আমার ভ্রীর সাথে উঠানো তার যৌথ ছবি পত্রিকায় প্রকাশ করে প্রচার করার চেষ্টা করে যে, এই লোকের সাথে পূর্বেই আমার স্ত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। এ সমস্যার সমাধান কি?

 

       উত্তরঃ নিজের অধিকার বহির্ভূত কোন বিষয়ে কসম ক্রীয়শীল নয়। তাই আপনার স্ত্রীর বড় বোন ও ভগ্নিপতি যে বিষয়ে কসম খেয়ছেন তা বেহুদা-কোনই মূল্য রাখে না। তাছাড়া আপনার স্ত্রীর বিবাহের ব্যাপারে উপরোক্ত ব্যক্তিদ্বয় অভিভাবকত্বের পর্যায়ে পড়ে না। তাই গায় পড়ে অধিকার ভুক্তহীন বিষয়ের কসম খাওয়া ও খবরদারী করার অপরাধে তারা জঘন্য পাপের ভাগি হয়েছে। দ্বিতীয়তঃ কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে যৌথ ছবি তুলে তাদের মাঝে বিবাহ হওয়ার কথা প্রচার করলেই বিবাহ হয়ে যায় না। এটা বিবাহ শুদ্ধ বা অশুদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে বিন্দু মাত্র প্রভাবিত করে না। এ পর্যায়ে এটা সম্পূর্ণ অপ্রাসংগিক। তবে ছবি তোলার অপরাধ তারা করেছে। কেননা ছবি তোলা শরীয়াতে সম্পূর্ণ হারাম। এই হারাম কাজটা যদি আপনার তৎকালীন হবু স্ত্রী সতর্কতার সাথে এড়িয়ে যেতেন তাহলে দুষ্ট লোকেরা এই অপপ্রচারের সুযোগ পেত কি? মনে রাখবেন, পাপ পাপের জন্ম দেয়। এক পাপ হাজারো পাপের দ্বার উন্মুক্ত করে। এ সব ব্যাপারে আমরা উদাসীন বলেই তো এই অবাঞ্চিত পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। এখন থেকে সাবধান হোন। ছোট বড় সব ধরণের পাপ এড়িয়ে চলুন, দেখবেন জীবনটা কত সুন্দরভাবে চলছে। ওই লোকের সাথে যদি আপনার স্ত্রীর আনুষ্ঠানিত ভাবে সাক্ষীদের উপস্থিতি সহ বিবাহ না হয়ে থাকে তাহলে দুষ্ট চক্রের অপপ্রচারে কিছু যায় আসে না। আর যদি বিবাহ হয়ে থাকে তবে তালাক না দিয়ে থাকলে সে তার স্ত্রী। এ ঘটনা না ঘটে থাকলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। আপনার স্ত্রী আপনারই।

 

 

 

মোঃ আবু তালহা

───────────────

       প্রশ্নঃ শহীদ কমান্ডার আব্দুর রহমান ফারুকী (রাহ) এর পরিচয় কি এবং তিনি কি ভাবে শহীদ হয়েছেন? আফগান ভূমিতে সর্বপ্রথম বাংলাদেশী শহীদ কে, তার পরিচয় কি?

 

       উত্তরঃ শহীদ আব্দুর রহমান ফারুকী (রাহ) হরকাতুল জিহাদিল ইসলামী আলমীর একজন দুর্ধর্স বিচক্ষণ কমান্ডার। তিনি ১৯৮৯ সালের ২রা মে হরকাতুল জিহাদিল ইসলামীর প্রধান কমান্ডার হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং মাত্র ৮ দিন এ দায়িত্ব পালন করার পর ১০ই মে খোস্ত রণাঙ্গণে মাইন বিস্ফোরণে শহীদ হন। তাঁর জন্মস্থান যশোর জিলার মনিরামপুর থানার হরিহর নগর গ্রাম। বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন জাগো মুজাহিদ সেপ্টেম্বর ১৯৯২ সংখ্যা।

 

        আফগান ভূমে জর্বপ্রথম বাংলাদেশী শহীদ হলেন হাফেজ কামরুজ্জামান। যশোর জিলার ঝিকরগাছা থানায় ছিল তার তার জন্মস্থান। ১৯৮৫ সালের ২৫শে জুন গজনী সেক্টরের শেরানা যুদ্ধে গুলীর আঘাতে তিনি শাহাদাৎ বরন করেন। তাঁকে শেরানায় দাফন করা হয়।

আমজাদ সোহাইন ও আলী মনজিল

 

       প্রশ্নঃ কত সনে কে প্রখম বসনিয়ায় ইসলামের বিজয়ী ঝান্ডা উড্ডীন করেন?

 

       উত্তরঃ বসনিয়ায় ১৪৬৩ খৃষ্টাব্দে তুকীঁ সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতেহ সর্ব প্রথম ইসলামের বিজয়ী ঝান্ডা উড্ডীন করেন।

 

 

 

মোঃ তৈয়ব আলী

───────────────

       প্রশ্নঃ মদিনা হতে ইহুদীদের নির্বাসনের করণ কি? কোন্‌ কোন্‌ সময়ে এবং কি কারণে ইহুদীদের নির্বাসিত করা হয়েছিল?

 

       উত্তরঃ মদীনা হতে ইহুদীদের নির্বাসিত করার অন্যতম কারণ হল, মুসলমানদের সাথে তাদের চুক্তি ভঙ্গ করা, মদীনা থেকে রাসূল (সাঃ) সহ মুসলমানদের উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করা, চুক্তির বরখেলাফ করে মুসলমানদের ঘোর শক্রদের সাথে বন্ধু স্থাপন এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত্রুপক্ষকে সর্বাত্মক সাহায্য করা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ ঘোষণা করা।

 

        রাসূল (সাঃ) মদীনায় আগমন করে মুসলমান ও ইহুদীদের সম্মতিক্রমে কতিপয় শর্তে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন। এর মধ্যে অন্যতম হুল যার যার ধর্মের স্বাধীনতা বজায় রাখা। এক পক্ষের ওপর কোন আক্রমণ হলে অপরপক্ষ তার সাহায্যার্থে যুদ্ধ করবে। কোন পক্ষই কুরাইশদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করবে না, মদীনার ওপর আক্রমণ হলে উভয় পক্ষ একজোট হয়ে লড়বে।

 

        কিন্তু মদীনায় মুসলমানদের ক্রমান্বয়ে শক্তিবৃদ্ধিতে ইহুদীরা ঈর্ষান্বিত হয়। বদরের যুদ্ধের সময় ইহুদীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং শোরগোল বাধাতে থাকে। বদরের যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হলে ইহুদীরা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং চুক্তি ভঙ্গ করে। মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য অন্যতম শক্তিশালী ইহুদীগোত্র বনু কাইনুকা প্রস্তুতি গ্রহণ করে। তারা যুদ্ধ ঘোষণা করলে রাসূল (সাঃ)-ও যুদ্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হন। ইহুদীরা তাদের শক্তিশালী দুর্গে আশ্রয় নেয়। কিন্তু ১৫দিন অবরোধের পর তারা আত্মসমর্পণ করলে রাসুল (সাঃ) এই গোত্রের ৭০০ লোককে সিরিয়ার প্রান্তসীমা আজরিয়াতে নির্বাসন দেন। বদর ও ওহুদ যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় হিজরী সালে এ ঘটনা ঘটে।

 

        ওহুদের যুদ্ধের পর হিজরী চতুর্থ সালে ইহুদী গোত্র বনু নজীর কুরাইশদের প্ররোচনায় রাসুল (সাঃ)কে হত্যা করার বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তারা পূর্বেকৃত চুক্তি নবায়ন করতেও অস্বীকৃতি জানায়। মোনাফেক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই-এর প্ররোচনায় তারা মজবুত দুর্গে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করলে রাসূল (সাঃ) তাদের দুর্গ অবরোধ করে রাখেন। পনের দিন অপরোধের পর তারা যে পরিমাণ মাল-পত্র উটের পিঠে নিয়ে যাওয়া যায় তা’ নিয়ে মদীনা ছেড়ে যাওয়ার শর্তে মদীনা ছেড়ে খায়বরে আশ্রয় নেয়।

 

        মদীনায় অবশিষ্ট ইহুদী গোত্র বনু কুরাইজা খন্দকের যুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত চুক্তি বহাল ও নিরপেক্ষ ছিল। কিন্তু নির্বাসিত বনু নজীর গোত্রের সর্দার হুয়াই বিন আখতারের প্ররোচনায় তারা খন্দকের যুদ্ধে কুরাইশ ও ইহুদীদের সম্মিলিত বাহিনীতে যোগদান করে। খন্দকের যুদ্ধের পর রাসূল (সাঃ) বনু কুরাইজা গোত্রকে শাস্তি দেয়ার জন্য তাদের দুর্গ প্রায় একমাস যাবৎ অবরোধ করে রাখেন। অবশেষে তারা সায়াদ বিন মায়াজ (রাঃ)-এর ফয়সালা মেনে নিতে রাজী হয়। সায়াদ বিন মায়াজ (রাঃ) তাওরাতে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী বনু কুরাইজা গোত্রের যুদ্ধক্ষম ব্যক্তিদের হত্যা, স্ত্রীলোক ও শিশুদেরকে বন্দী করে রাখা এবং তাদের মাল-সামান মাল গণিমত হিসেবে হস্তগত করার রায় দেন। রায় অনুষায়ী বনু কুরাইজার ৬০০ লোকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

 

═──────────────═