আমরা কি পার্লামেন্টের সকল সদস্যকে কাফের গণ্য করব?
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
পার্লামেন্ট মেম্বাররা আল্লাহ তায়ালাকে বাদ দিয়ে নিজেরা হুকুম প্রবর্তন করে, এজন্য কি আমরা তাদের সবাইকে কাফের গণ্য করব?
তাদের মধ্যে হামাস বা ইখওয়ানুল মুসলিমীনের সদস্যরাও রয়েছে যাদের নিকট তাদের কাজের ভিন্ন ব্যখ্যাও রয়েছে।
শায়খ থেকে এ ব্যপারে উত্তর আশা করছি, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
প্রশ্নকারী: আল লায়ছ লিবী।
উত্তর:
হে প্রশ্নকারী ভাই! আল্লাহ তায়ালা তোমার মাঝে বরকত দান করুন।
প্রথমে আমাদেরকে তাওহীদে বিশ্বাসী মুজাহিদ উলামায়ে কিরাম ও তাদের সাথে একমত অন্যান্য উলামায়ে কিরামের মাঝে সর্বসম্মত মূলনীতিটি স্থির করতে হবে যাতে মতানৈক্যের অবকাশ নেই।
আর তা হল, আইন প্রনয়নকারী পার্লামেন্ট নির্বাচন যার সদস্যরা আল্লাহ তায়ালাকে বাদ দিয়ে আইন প্রনয়নের ক্ষমতা রাখে, তা মূলত: আল্লাহ্’র সঙ্গে স্পষ্ট কুফুর ও শিরক।
যে তাতে লিপ্ত হয় সে কুফুরিতে পতিত হয়ে যায়! নাউযুবিল্লাহ।
কুফুরী কাজের ব্যপারে এটা হল সাধারণ মূলনীতি। তবে ব্যক্তি বিশেষের প্রতি কুফুরীর হুকুম আরোপের ব্যপারে রয়েছে উলামাদের মতভেদ।
এই মতভেদের মূল কারণ হল, অজ্ঞতা ও ব্যখ্যা উযর কিনা, এগুলোর প্রয়োগ ক্ষেত্র কতটুকু, ব্যক্তি বিশেষে শুধু কুফুরী কাজ পাওয়া যাওয়া, পর্যাপ্ত শর্ত পাওয়া, কোন প্রতিবন্ধক না থাকা ইত্যাদী বিষয়ে মতভেদ।
উল্লেখিত ব্যক্তিদের ব্যখ্যাগুলো যদিও সর্বসম্মতভাবে ভুল ব্যখ্যা তবে এ ধরণের ব্যখ্যাও কুফুরীর জন্য প্রতিবন্ধক হবে কিনা তা নিয়ে উলামাদের মতভেদ রয়েছে। আর যেহেতু ব্যক্তি বিশেষের কুফুরীতে মতভেদ করার কারণে কাউকে গোমরাহ বলা যায়না!
তাই, কোন কোন আলেম তাদেরকে কাফের ফতোয়া দেয়, কেননা তার দৃষ্টিতে এই ব্যক্তির মধ্যে কুফুরীর শর্ত পাওয়া গিয়েছে এবং কোন প্রতিবন্ধকও নেই। আবার কেউ কেউ তাদেরকে কাফের বলেনা, কেননা তাদের মতে এখানে কুফুরীর শর্ত পাওয়া গেলেও প্রতিবন্ধক বিদ্যমান।
আমার প্রশ্নকারী ভাই, আমি তোমাকে এ ব্যপারে শায়খ আবু মুহাম্মাদ আসেম আল মাক্বদিসীর কিতাব “الرسالة الثلاثينية في التحذير من الغلو في التكفير”
এর শুরু অধ্যায়গুলো,
যে সকল অধ্যায়ে তিনি আলোচনা করেছেন কুফুরীর প্রতিবন্ধক নিয়ে এবং আলজেরিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহন কালে শায়খ আব্বাস মাদানী ও শায়খ আলী বালহাজ সম্পর্কে যে ফতোয়া দিয়েছেন,
এবং শায়খ আবু কাতাদাহ ফিলিস্তিনী (আল্লাহ তাকে মুক্ত করুন) লিখিত ” أهل القبلة والمتأولون ” কিতাবটি পড়তে নসীহত করছি।
কিতাবগুলো এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-আল্লাহ্ তায়ালাই একমাত্র তাওফীকদাতা।
উত্তর প্রদানকারী:
শায়খ আবু উসামা শামী
সদস্য লাজনাহ শরঈয়্যাহ
মিম্বারুত তাওহীদ ওয়াল জিহাদ
২৮/০৯/২০০৯ ঈসায়ী
هل نعتبر كل نواب البرلمانات كفار ؟
رقم السؤال: 71 | القسم : العقيده | |
تاريخ النشر: 28/9/2009 | المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر |
نص السؤال:
السلام عليكم …
هل نعتبر كل نواب البرلمانات كفار لأنهم مشرعين من دون الله بما في ذلك نواب حماس أو الإخوان المسلمين عموماً ممن لديهم تأويل . أرجو من الشيخ إفادتنا و جزاه الله خيراً.
السائل: الليث الليبي
* * *
الجواب:
أخي السائل بارك الله فيك..
لا بد أن نقرر أولا أمرا متفقا عليه- بين علماء التوحيد والجهاد على الأقل ومن وافقهم من غيرهم- لا يصح الخلاف فيه وهو أن الانتخابات البرلمانية التشريعية التي يكون فيها النائب مشرعا من دون الله هو شرك وكفر بالله وأن من وقع في شيء من ذلك فقد وقع في الكفر والعياذ بالله …
هذا بالنسبة لكفر الفعل أو التكفير المطلق أما تكفير المعين على الإطلاق فهو مما اختلفت فيه الأنظار والاختلاف في ذلك يرجع إلى الاختلاف في فهم قاعدة العذر بالجهل والتأويل ومدى تطبيقها وتحقيق المناط في المعين من وجود الوصف المكفر وتوافر الشروط وانتفاء الموانع …وهذا الاختلاف في تكفير المعين هو فيمن كان كحال الذين ذكرتهم من اعتمادهم على التأويل فهو وإن كان تأويلا فاسدا باتفاق إلا أن الخلاف في اعتبار هذا التأويل مانعا من موانع التكفير من عدمه… وإن كان الخلاف في تكفير المعين مما لا يضلل لأجله الإنسان فالذي قد يكفره عالم أو طالب علم لأنه توافرت عنده في حقه شروط التكفير وانتفت موانعه قد لا يكفره آخر لأنه يعتقد بوجود مانع من موانع التكفير في حقه …
وأنصحك أخي السائل بالرجوع إلى أول فصول كتاب “الرسالة الثلاثينية في التحذير من الغلو في التكفير” للشيخ أبي محمد المقدسي حفظه الله والتي تكلم فيها عن موانع التكفير وإلى جوابه عن فتوى حول حكم الشيخين عباس مدني وعلي بلحاج عندما نزلا إلى الانتخابات النيابية في الجزائر فهي مهمة في هذا الباب، وكذلك إلى رسالة الشيخ أبي قتادة فك الله أسره الموسومة بعنوان” أهل القبلة والمتأولون ” فهي مهمة أيضا … والله الموفق .
إجابة عضو اللجنة الشرعية :