JustPaste.it

মাতৃজাতির অধঃপতন রোধে আপনার দায়িত্ব পালন করছেন কি?

শহীদুল ইসলাম

========================================================================

 

        নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা, প্ৰীতি-প্রণয়, ভালােবাসা, প্রেমপত্র, প্রীতি-টেলিফোন, পর্ণ সাহিত্য, নগ্নছবি, ফ্যাশন শাে, ব্রেক ড্যান্স, বিউটিপার্লার, ফিল্মীচর্চা, মিউজিক পার্টি, ললিতকলা, যৌথ নাচগান, প্রিন্ট, ফ্রি মিক্সিং, সহশিক্ষা ও চাকুরী, হােটেল-বার, সভা সমিতি, পতিতা বৃত্তি, নারীপাচার ইত্যাকার সব ধরণের ব্যবস্থা-ই মানুষকে সামাজিক বন্ধন, ধর্মীয় সীমারেখা লঙ্গন করে পাপাচারে লিপ্ত হতে সাহায্য করে অশ্লীলতা, উলঙ্গপনা, পশুবৃত্তির দিকে ধাবিত করে। আধুনিক পাশ্চাত্য কালচার মানব সমাজকে অবনতির সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিক্ষেপ করার সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম। পাশ্চাত্যের নগ্নতার অন্ধ মােহে আকৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশের চিরায়ত কৃষ্টি কালচার বিসর্জন দিয়ে মহামারীর মতাে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের মুসলমান সমাজ। এদেশেও বর্তমানে পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠ, ঘাঠ, অফিস, আদালত ও কলকারখানায় হাট বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের একদল প্রগতিবাদী নারী সমাজ। ধর্মীয় অনুশাসনকে এরা ইউরােপীয়ানদের মতাে উন্নতির অন্তরায় মনে করছে। বিনাপ্রয়ােজনে কলবধু-কন্যাগণ উক্ত মাথায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় ক্ষুধার্থ ব্যাঘ্রের মতাে পর পুরুষের লােলুপ দৃষ্টির সামনে নিজেদের দেহ খানা পাপড়ির মত মেলে ধরছে।

 

        শয়তানের বাহনে পরিণত হয়ে ডাগর চাহনী ও আকর্ষনীয় সাজে সজ্জিত হয়ে দেহ প্রদর্শন করা ও পাপাচারে জগতকে ভরিয়ে দেয়ার উন্মত্ত স্বাধীনতা এদের কে দিয়েছে? নারী স্বাধীনতার নামে দেহপসার করার এই জঘন্য কুমন্ত্রণা বাংলার কুলবধু-কন্যারা কোথায় পেল? জাতীয় ঐতিহ্যের মাথায় কুঠারাঘাত করার অবিনাশী সংস্কৃতি চর্চার পাপ পঙ্কিল পথে পা দেয়ার আহবান এরা কোত্থেকে পাচ্ছে? জীবন সমাজ সংসার জাতিধ্বংসের সর্বগ্রাসী এই তৎপরতার মূলে কি কারণ নিহিত রয়েছে, এর পিছনে কার রয়েছে প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষ সমর্থন? আপনি একজন পিতা অথবা স্বামী, ভাই, পুত্র হয়ে কোন দিন এবিষয়ে ভেবেছেন কি? বর্তমান সমাজে মাতৃজাতির এহেন আত্মবিনাশী তৎপরতায় লিপ্ত হওয়ার পিছনে একজন কর্তৃত্ব ও দ্বায়িত্ববান পুরুষ হিসাবে আপনার করনীয় কি তা কোন দিন চিন্তা করেছেন কি? আপনার কন্যা, বােন, স্ত্রী, মা ও প্রতিবেশীনীর সম্ভ্রমহানির পিছনে আপনার এই উদাসীনতা অবশ্যই একটি বড় কারণ; তা অস্বীকার করতে পারবেন কি? আপনি একজন পিতা। আপনার পুত্র-কন্যা আছে।

 

         সন্তানাদির শিক্ষা, মনন-মেধা, শিষ্ঠাচার ও চরিত্র গঠনের চেষ্টা করা আপনার অন্যতম কর্তব্য। পরিবারের কর্তাব্যক্তি হিসাবে কিয়ামতের দিন অধীনস্থ সদস্যদের ভ্ৰষ্ঠতার জন্য আল্লাহর কাছে আপনার জবাব দিহি করতে হবে, এ কথা আপনি ভালই জানেন। আপনি যদি অর্পিত দ্বায়িত্ব ও কর্তৃত্বের সঠিক প্রয়ােগ ও ব্যবহার করেন তাহলে আসামীর কাঠ গড়ায় আপনাকে দাঁড়াতে হবে। তাদের কত পাপের প্রায়শ্চিত্ত আপনাকেও ভােগ করতে হবে। ভাের থেকে রাত পর্যন্ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পােষ্যদের জন্য আপনি যে মাল-দৌলত কামাচ্ছেন, শুধু এতটুকু দ্বায়িত্ব পালন আপনার মুক্তির জন্য মােটেই যথেষ্ট নয়। আপনার আদুরে পুত্র- কন্যাটিও যে অন্যান্য দুষ্ট ছেলে-মেয়েদের মতাে বিপথগামী হচ্ছে কোন দিন তার খোঁজ নিয়েছেন? আপনি ঘুনাক্ষরেও জানেন না যে, আপনার পুত্র-কন্যা পাশ্চাত্য সংস্কৃতির জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে এবং সচেতনতার সাথে আপনার অজ্ঞাতে তারা উপরােক্ত অশালীন কর্মকান্ডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।

 

        এমন পরিস্থিতি হয়নি তাে যে, আপনি সমাজের মানুষকে শিষ্ঠাচার শিক্ষা দেয়ায় ব্যাপৃত, আর আপনার পুত্র কন্যা-ধন আধার পথের যাত্রী! আপনি হয় তাে গর্ব ভরে বলবেন-না, আমার পুত্র-কন্যারা এমন হতে পারেনা। হয়তাে আপনার মতাে সমাজের অধিকাংশ পিতাই এই দাবী করবেন। তবে উদ্ভূত এই প্রশ্নের জবাব কি হবে? কে দিবে এর উত্তর?

 

        যে সকল ছেলে-মেয়ে পথে-ঘাটে, গলির ধারে, পার্কে, হােটেল-বারে আড্ডা দেয়, মদ-সুরা পান করে, পৈশাচিক উন্মাদনায় বিভৎস যতােসব পাপ কাজে ডুবে থাকে এরা কারা? এরা কার পুত্র-কন্যা?

 

        যে সকল যুবতী দামী দামী হােটেলে, বারে নিত্য দিন নতুন পুরুষের সয্যাসঙ্গীনী হয় এদের কি কোন অভিভাবক নেই?

নিত্য দিন যে সকল পুত্র-কন্যা পিতামাতার শুভ্র সুন্দর আভিজাত্যে কালিমা লেপন করছে এরা সমাজের কারাে সন্তান নয় কি?

 

        সিনেমা হলের সামনে, হােটেল গেইটে এবং বাস, লঞ্চ ও রেল ষ্টেশনে যে সকল যুবতী কোন পুরুষের চোঁখের একটু ইশারার অপেক্ষায় থাকে, টেলিফোনে নতুন একটি ঠিকানায় আহবানের ইন্তেজার করে এরা কার সন্তান?

 

        যে সকল যুবতীরা নিজ ঘরে নতুন একটি নাগরের কড়কড়ে নােটের বদলে পিতা মাতার আদরে ও কষ্টে লালিত পালিত শরীর, ইজ্জত, সম্মান বিকিয়ে দেয়, এই কলিজার টুকরাে সােনামুখগুলাে কারাে সন্তান নয়?

 

        আত্মমর্যাদাহীন পিতাগণই নিঃসন্দেহে এসব পাপাচারের অংশীদার। অবহেলা, অসচেতনতা, মিথ্যা আত্মবিশ্বাস ও অহমিকা এসব বাপদেরকে অন্ধ-বধির করে রেখেছে। পরােক্ষভাবে পুত্র কন্যাদের ভ্রষ্টতায় নির্লজ্জ ওকালতী করছে। আপনি যদি একজন আত্মসম্ভ্রম বােধ সম্পন্ন পিতা হয়ে থাকেন, পিতা সুলভ অন্ধ আত্মবিশ্বাস ও স্নেহশীলতার পর্দা উঠিয়ে পরিবারের সদস্যদের ত্রুটি গুলাে তৃতীয় একজনের মতাে তদন্ত করে দেখুন আপনার পুত্র-কন্যাগণ পুতঃপবিত্র চরিত্রের অধিকারী কি-না। সচেতন প্রত্যেক পিতার উপর এ দায়িত্ব বর্তায়। যৌবন একটি আত্মবিনাসী পাগলা ঘােড়ার মতাে দিগবিদিক যে ছুটে চলে একথা কি আপনি ভুলে গেলেন? যৌবনের উন্মত্বতায় বেশামাল যুবা-তরুনীরা শয়তানের ফাঁদে পা দিয়ে পুষ্প বৎ শুভ্র চরিত্রে কলংক লেপন করে। তারা পাপ কর্মে লিপ্ত হওয়াকে রােমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা মনে করে। পরিবারে শ্রদ্ধাবােধ হারানাের জন্য যদি সব কিছু দেখেও আপনি চোখ মুখ বন্ধ করে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনি ইসলাম ও সমাজের সবচেয়ে বড় অপরাধী, শত্রু। আপনার ইবাদত, আপনার তাহাজ্জুদ পরিবার ও সমাজে কোন ইতি বাচক প্রভাব ফেলতে পারবে না। একজন পিতা হিসাবে পুত্র-,কন্যাদের সঠিক তদারক করা আপনার অবশ্য কর্তব্য, আপনি একজন ব্যবসায়ী, চাকুরে ও শাসক, অভিভাবক। আপনি সর্বাগ্রে নিজ পিতৃ কর্তব্য সঠিক ভাবে সম্পাদন করুন, নিজ কর্তব্যে অবহেলার জন্য লজ্জিত মনে আল্লাহর কাছে তাওবা করুন, আল্লাহ ক্ষমা করবেন এবং পরিস্থিতির অবশ্যই পরিবর্তন ঘটবে।

 

        ইসলামী সমাজের প্রত্যেক নরনারী একে অন্যের ভাই-বােন। তদুপরি নিজ ঘরে আপনার ভাই- বােনদের আচার-আচরণ ও কাজ কর্ম কেমন, কোন দিন তা ভেবে দেখেছেন? বেপরােয়া জীবন যাপন করা অতি সহজ, তবে ইসলামের অনুশাসন অনুযায়ী জীবন চালনার রূপ ভিন্ন, এর স্বাদই আলাদা। একটু নীরবে অনুসন্ধানী দৃষ্টি ও কান পেতে শুনুন, গলির মােড়ে আপনার ভাই-বােনরা কি করে। পাড়া প্রতিবেশীরা আপনার ভাই-বােনদের সম্পর্কে কি মন্তব্য করে। আপনার সব ভাই বােন যদি পুতঃ চরিত্রের হয় তাহলে চুপি সারে হােটেল-বার ও গােপন আড্ডায় যে সকল যুবক-যুবতীরা মেতে থাকে এরা কার ভাই-বােন?

 

        আপানার একটি ভাই বা বােন দিকভ্রান্ত হয়ে গেছে। তাকে অবজ্ঞা ও তিরস্কার না করে, বাড়ি থেকে না তাড়িয়ে সংশােধনের চেষ্টা করুন। ভাইকে বুঝিয়ে পাপাচার থেকে ফিরিয়ে আনুন, বােনকে ঘরমুখী করুন। বিনা প্রয়ােজনে যথেচ্ছা ঘুর ঘুর করে চষে বেড়ানাের পথ রুদ্ধ করুন। স্কুল, কলেজ বা অফিসে অন্য ব্যক্তির বােনের সাথে যদি আপনি আড্ডা দেন, চুটিয়ে প্রেম করে বেড়ান, তবে আপনার বােনটি এ থেকে পিছিয়ে থাকবে কেন? আগে নিজেকে সামলান, তার পর বােনকেও পরিশুদ্ধ করুন। আপনি স্বামী। আপনার প্রিয়তমা স্ত্রী হলাে আপনার সম্মান, ইজ্জত, ব্যক্তিত্ব, সুনাম ও প্রতিষ্ঠার সাথী। আপনার শশুরবাড়ীর লােকেরা তার সার্বিক হিফাজত ও সম্মান, সম্ভ্রম রক্ষার দায়িত্ব আপনার কর্তৃত্বে ছেড়ে দিয়েছে। আপনি তাকে হাটবাজার, অফিস আদালত ও কলকারখানায় পাঠাচ্ছেন, আবার তার দ্বারা বাড়ীর কাজও আদায় করে নিচ্ছেন। যে স্ত্রী আপনার ঘরে শুধু আপনার জন্যই থাকার কথা ছিল, তাকে কুরবানীর গরুর মতাে সাজিয়ে আপনি বন্ধু-বান্ধব, দোকানী ও সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রদর্শণী করে বেড়াচ্ছেন। যে স্ত্রীর দাবী ছিল, আমি একমাত্র তােমারই, তাকে বন্ধুদের বিনােদনের উপাদান বানিয়ে বিকৃত রুচির কলংকজনক প্রশংসায় আমি পঞ্চমুখ। কোন সুস্থবিবেক ও ব্যক্তিত্ববান স্বামী নিজ স্ত্রীকে বন্ধুদের আড্ডায় ছেড়ে দিয়ে, সিনেমা থিয়েটার ও নৃত্যগীতে যােগ দান করার সুযােগ দিয়ে গৌরব করতে পারে না। জীবন সঙ্গিনীর রূপ যৌবন কোন পশুও অপরের কাছে বিসর্জন দেয় না। নিজ স্ত্রীর ইজ্জত-সম্ভ্রম নিলামে তুলে পশুত্বের বিবেকও আপনি হারিয়ে ফেলেছেন। সমাজ ও বন্ধু মহলে নিজের বিকৃত ও অসুস্থ প্রভাব বিস্তারে স্ত্রীকে ব্যবহার করা থেকে বিরত হােন। যদি নিজের ব্যক্তিত্ব, গুণ ও প্রভাব থাকে তা দিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করুন। সত্যি বলতে কি, আত্মসম্মানবােধ সম্পন্ন স্বামীর আজ খুবই অভাব।

 

        মাতা জাতির চারটি পর্যায় রয়েছে। প্রত্যেক মহিলাই একজন মা, বােন, স্ত্রী বা কন্যা। সব ক্ষেত্রেই একজন নারী পরম শ্রদ্ধাভাজন। মাতৃ জাতির নগ্নতা ও বেহায়াপনার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া জাতি ও সমাজের পতন এবং নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। আধুনিক ফ্যাশন জগতে বয়স্কা মহিলাগনও মেকাপ করে গায়ে কানুসে জামা, ফিনফিনে পাতলা শাড়ী পরে, লিপিষ্টিক দিয়ে ঠোট রাঙ্গিয়ে, নেকাব ফেলে হাত পায়ে মেহেদী-নেল পলিশ দ্বারা চকচকে করে নিজেকে মােহনীয় করে ঘুরে বেড়ায়। নিজ ভাই-বােন স্বামী ও ঘর সংসারের বন্ধন ছিন্ন করে নারীজাতি যে দিন থেকে ঘরের বাইরে বেরুতে শুরু করেছে, লজ্জা নামক ভূষণটি সেদিন থেকে চির বিদায় নিয়েছে। বাড়ী, ঘর, স্কুল, কলেজ, দফতর, হােটেল, রােস্তোরা সর্বস্থলেই নৃত্য শিল্পী আর মডেল কন্যাদের আলােচনা বিশেষ মুখরােচক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আজকাল কোন পরিবারের লােকেরা স্বামী স্ত্রী আর পুত্র কন্যার ভবিষ্যত নিয়ে আলাপ করার সময় পায়না, টেলিভিশন সিনেমার আলােচনা পর্যালােচনা করেই তাদের সময় চলে যায়। বর্তমানে ঐ সব পুতঃপবিত্র মা আমরা কোথায় পাব? যাদের ঘরে জন্ম নিতাে আব্দুল কাদের জিলানী, শাহ ওয়ালীউল্লাহ, হাজী শরীয়তুল্লাহ ও তিতুমীর।

 

        আপনি একজন মা। আপনার আদর্শ অনুকরণীয় ছিলেন হযরত ফাতেমা (রাঃ), আয়েশা (রাঃ), খাদিজা (রাঃ), রাবেয়া বসরী (রাহঃ) প্রমুখ। অথচ হাট, বাজার, শহর, বন্দরে ঘুরে রাঙ্গা ঠোঁটে হাসির আদান-প্রদানের বদলে আপনি মাতৃত্বের মহান মর্যাদাকে ধুলিস্যাৎ করেছেন। টেলিফোনটি বেজে উঠলে, দরজায় কেউ নক করলে ঘরে ছেলে, পুরুষ থাকা সত্বেও মােহনীয় ভঙ্গিতে তার সাথে কথা বলে কি মাতৃ জাতির মর্যাদা ক্ষুন্ন করছেন না? সামান্য আত্মমর্যাদাবােধ থাকলে পর পুরুষের সাথে টেলিফোনে বা দরজা খুলে ভনিতা করে হেসে কথা বলার কোন প্রয়ােজন আছে কি? অশ্লীলতা ও নগ্নতার জন্য পাশ্চাত্য সমাজের নারীরা আজ ধ্বংসে উপনীত, মরণব্যাধিতে আক্রান্ত। একারণে এদেশেও আজ শত শত নারী নিজের অজ্ঞতা ও কলুষতায় ধর্ষিতা, এসিড দগ্ধ, লাঞ্চিত ও হত্যার শিকার।

 

        আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলি, এ ভ্রান্ত পথ থেকে ফিরে আসুন, পর্দা আপনার জন্য, পুরুষের জন্য নয়। ধ্বংস ও ক্ষতি আগে আপনার হবে পরে অন্যের। নিজেকে ও নিজ বােন কন্যাকে পর্দায় রাখুন যে ভাবে পর্দা করতে কুরআন ও হাদিসে নির্দেশ করা হয়েছে। আল্লাহ ও মহানবী (সাঃ) বেপর্দা মহিলাদের জন্য অভিসম্পাত করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- জান্নাতের খুশবু বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে কিন্তু নির্লজ্জ বেহায়া মহিলারা জান্নাতে যাবে দূরে থাক জান্নাতের গন্ধ ও পাবেনা।

 

        আপনি তাে জানেন, পর্দাহীনতাই আজ নারী জাতির চারিত্রিক পতনের মূল কারণ। কোন ভদ্র ঘরের মা-কন্যা-বােন নির্লজ্জভাবে ঘুরে বেড়াতে পারেনা। পারেনা পর পুরুষের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে। পর্দা করুন। নিজে পর্দায় থাকুন। অপরকে পর্দায় থাকতে উৎসাহিত করুন। এটা আপনার মর্যাদাশীলতার পরিচায়ক ও সম্মানের একমাত্র চাবিকাঠি।

 

নগ্নতা প্রতিরােধে এগিয়ে আসুন

        নগ্নতা ও বেহায়াপনা বিস্তারে মজবুত প্রতিরােধ গড়ে তােলা বর্তমান সময়ের অপরিহার্যদাবী। গলিতে গলিতে ভিডিও দোকানের বিস্তৃতিই প্রমাণ করে, সমাজ দ্রুত পতনের দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে দশ টাকার বিনিময়ে একটি ব্লু ফিল্মের ক্যাসেট পাওয়া যাচ্ছে। এখনাে যদি এই ব্যাধি রােধ না করা যায় নতুন প্রজন্মের মনন মেধায় যে পচন ধরেছে আস্তে আস্তে তা মহামারী আকার ধারণ করবে। তখন কুরআনী আয়াত তাদের কানে ঢুকবে না। হিদায়াতের কথায় তাদের অন্তরে কোন প্রভাব পড়বে না। আসমানী গজবে জাতি-দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। জাতি, ধর্ম, ঈমান, আকীদা ও নিজ নিজ ভাই-বােন ও সন্তান-সন্তুতিকে এই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রতিটি ঘর থেকে এর প্রতিকারের সুচিন্তিত ব্যবস্থা গ্রহন করা, অশ্লীলতা রােধে সামাজিক সচেতনতা ও সংগঠন গড়ে তােলার এখনও সময় আছে।

 

═──────────────═