JustPaste.it

--- * বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের  তৎপরতা * ---

 

 

 

আরাকানী মুসলমানঃ নির্যাতনের নতুন কৌশল


     আরাকানে নিপীড়িত মুসলমানদের অবস্থা দিন দিন স্বকরুণ হচ্ছে। বর্মী সরকারের ষড়যন্ত্রে দ্রব্যমূল্য অসম্ভব বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন মুসলমান বৌদ্ধদের শেয়ার ছাড়া এককভাবে ব্যবসা করতে  পারে না। বিমান যোগে রেঙ্গুন যাওয়ার অনুমতিও তাদের নেই। আবাল বৃদ্ধ সবাইকে বেগার খাটানো সেখানের সাধারণ নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপরও বর্মী সরকার মুসলিম দলনে নিত্য নতুন ফন্দী উদ্ভাবন করছে।
    ইদানীং মুসলিম নির্যাতনের এক অমানবিক পন্থা গ্রহণ করেছে তারা। সেনা পোষ্টগুলোর মাঝে যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য মুসলমানদেরকে বে-তার টেলিফোন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতি ১০০ মিটার পর পর একজন মুসলমানকে দাঁড় করানো হয়। কোন পোষ্ট হতে সংবাদ দেয়া হলে নিকটবর্তী লোকটি জোরগলায় পরবর্তী লোকটিকে সে সংবাদ জানিয়ে দেয়। এভাবে একপোষ্ট থেকে অন্য পোষ্টে খবর প্রদানের জন্য মুসলমানদের ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

*** অসীম সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
অবরুদ্ধ দু’জন মুজাহিদ ও ভারত সেনার মাঝে
অবিরাম ৩দিন লড়াই ***

 

   কাশ্মীর জিহাদ সম্পর্কে ভিত্তিহীন রটনায় ভারত খুব নর্তন কুর্দন করে চলছে। ভারত সরকারের বক্তব্য, কাশ্মীরী জনগণ মুজাহিদদের সহযোগিতা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে। মুজাহিদরাও নিরাশ হয়ে সংঘাতের পথ থেকে সরে পড়েছে।ভারত সরকারের এসব গুজবের প্রতিউত্তরে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ সংঘটিত ঘটনাই যথেষ্ট।
     ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভারতীয় সৈন্যরা শ্রীনগরের ছাপুরা শহরের ৩ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ী অবরোধ করে। উক্ত বাড়ীতে ক’জন মুজাহিদের অবস্থানের কথা সৈন্যরা জানতে পায়। সৈন্যরা প্রথমে তাদের আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়। মুজাহিদরা আত্মসমর্পনে অস্বীকৃতি জানালে উভয় পক্ষে প্রচণ্ড সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। অবিরাম ৩ দিন চলে এ যুদ্ধ। শুক্রবার ভারতীয় সৈন্যরা বোমা মেরে বাড়ীটি উড়িয়ে দেয়। মাত্র দ’জন মুজাহিদের লাশ পাওয়া যায় বিধ্বস্ত ওই বাড়ীটিতে। তা দেখে সৈন্যরা বেকুব বনে যায়। এ দু’জন মুজাহিদকে কাবু করার জন্য ভারতীয় সৈন্যরা অন্ততপক্ষে ১০৫ টি রকেট নিক্ষেপ করেছিলো। ‘জীবনের চেয়ে মৃত্যু মোদের অধিক প্রিয়’ এ ঘোষণা দিয়ে দু’জন মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করলেন। কিন্তু আত্মসমর্পন করলেন না। 
    বীরত্বের এ দাস্তান ভারতীয় প্রোপাগাণ্ডাকে মিথ্যা বলে সাব্যস্ত করে। শুধু তাই নয়। এ দু’জন শহীদের জানাযায় কয়েক হাজার লোক অংশ নেয়।

 

*** ইণ্ডিয়ান সেনাদের মনে নারিকেল আতঙ্ক ***

 

    নয়া দিল্লী (কে, পি, আই) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ডাইরেক্টর জেনারেল ডি,কে আরিয়া বলেন, কাশ্মিরের পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে এবং অত্যন্ত বিশৃংখলাপূর্ণ। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীরা বিপাকে পড়েছে দারুনভাবে। তাদের জীবন কাটছে ঘোর অনিশ্চয়তার মাঝে। কখন জানি যমদূত এসে সামনে দাঁড়ায়। সর্বক্ষণ এ ভয়। সৈন্যরা বাড়ী যাওয়ার জন্য সর্বদা উম্মুখ হয়ে থাকে। কিন্তু সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে তাদের ছুটি দেয়া সম্ভব নয়। তারা এখন কাশ্মীর সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের জন্য অধীর অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে।
    ডে,কি আরিয়া দূরদর্শনের প্রোগ্রাম নিউজ লেটারকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। এ সময় তিনি বি, এস, এফ এর কর্মকর্তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সৈন্যরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ষোল ঘন্টা ডিউটি করে কাটায়। একদিকে মুজাহিদদের আক্রমণের ভয় অপরদিকে রাতভর মশার হুল ফোটানোর অসহ্য যন্ত্রণা।
    কে, পি, আই- এর এক রিপোর্টে উল্লেখিত হয়েছে, ভারত সেনারা কাশ্মীরী মুজাহিদদের হাত বোমার ভয়ে আতংকিত হয়ে নারিকেলের ব্যাপারে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। নারিকেল আনা নেয়ার উপর সৈন্যরা কঠোর চেকিং চালাচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, কদিন পর কাশ্মীরে নারিকেল আমদানী-রফতানী নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। উল্লেখ্য যে, ভারতীয় সৈন্যদের মাঝে নারিকেল আতঙ্কের মূল কারণ হল, কাশ্মীরী মুজাহিদরা নারিকেল আকৃতির হাত বোমা ব্যবহার করছে।

 

*** ভারতের মানুষ খেকো সৈন্য মোতায়েন ***


   মুযাফ্ফারাবাদ (পি,পি,এ) ভারত সরকার অধিকৃত কাশ্মীরে মানুষ খেকো সৈন্য মোতায়েন করেছে। কাপওয়াড়ার মুজাহিদ কমাণ্ডার আব্দুর রউফ এ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভারত সরকার কাপওয়াড়ার নিকটবর্তী এলাকার একদল সৈন্য মোতায়েন করেছে। এসব সৈন্যরা নরখাদক নাপা জাতি।
     তিনি আরো বলেন, স্থানীয় কায়ীম বাবা নামক গ্রামের দু’জন লোককে এ সৈন্যরা ধরে নিয়ে যায়। এ নরখাদকদের অফিসার তাদের ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী লোকালয়ের নেতৃস্থানীয় লোকদের ডেকে জানিয়ে দেয় , তাদের আহারের জন্য প্রতিদিন দু’জন লোক পাঠাতে হবে। নরখাদকরা প্রতিশ্রুতি দেয়, নিয়মিত তাদের জন্য দু’জন লোক পাঠানো হলো তারা অন্যদেরকে উত্যক্ত করবে না। নর খাদকরা অবশ্য একথাও বলেছে, তাদের জন্য এমন লোক সরবরাহ করলেও চলবে যারা থুথুরে বুড়ো। জীবনের প্রতি যাদের কোন মায়া মমতা বাকী নেই। যারা এখন মরলেই বাঁচে।

 

***ফিলিস্তিনে ইসরাইল বিরোধী বিশেষ স্কোয়াড গঠন ***

 

    ফিলিস্তিনী স্বায়ত্বশাসিত এলাকাসমূহে ইসরাইলী সৈন্যদের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য একটি ইসলামী গ্রুপ ৭০ সদস্যের একটি বিশেষ স্কোয়াড গঠন করেছে। গ্রুপের একজন কর্মকর্তা একথা বলেছেন।
     ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ সংগঠনের সামরিক শাখার কর্মকর্তা ফাতহী শাকাকী দামেস্কে সউদি দৈনিক আল হায়াতের সাথে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিম তীরের জেরিকো নগরী এবং গাজা উপত্যকার স্বায়ত্তশাসিত এলাকাগুলোতে অব্যাহত হামলা চালানো হবে। তিনি জানান, গাজায় সশস্ত্র তৎপরতার অবসানের বিষয়টি ইহুদী বসতিগুলোর অপসারণের সঙ্গে জড়িত অর্থাৎ ইহুদীরা যত তাড়াতাড়ি এখানকার বসতি তুলে নিয়ে চলে যাবে, তত তাড়াতাড়ি আমাদের সশস্ত্র তৎপরতার অবসান ঘটবে। যাতে করে আমরা একটি খাঁটি ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পেতে পারি। তিনি বলেছেন , এখানকার কাজ শেষ হলে আমাদের আত্মঘাতি তৎপরতা অন্যান্য এলাকায় সরিয়ে নেয়া হবে। তিনি বলেন, জিহাদ ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না, আমরাও তা  চাই না।
     গাজা সিটি থেকে এএফপি’র  আরেক খবরে বলা হয়েছে, একজন শীর্ষস্থানীয় ফিলিস্তিনী কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশ এবং ইসলামী হুকুমতপন্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে শান্তি আনয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংঘর্ষে মোট ১৩ জন নিহত এবং ২শ’রও বেশী আহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ফিলিস্তিনী মন্ত্রী নাবিল শাদ একথা জানান।
    বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরি নিয়ে গঠিত ২০ সদস্যের এই কমিটি শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে বলে জানানো হয়।
      গাজা নগরীর  প্রধান মসজিদের বাইরে সমবেত বিক্ষুব্ধ ইসলামী হুকুমতপন্থীদের দিকে গাজা পুলিশ গুলী বর্ষণ করলে পিএলও স্বায়ত্তশাসনের আওতায় সবচাইতে রক্তক্ষয়ী ঘটনার সূত্রপাত হয় । হামাস মসজিদে একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিলেও নিরাপত্তা বাহিনী তা কার্যকর হতে দেয়নি। তারা এলাকাটিকে ঘিরে রেখেছে।

 

*** ইসলামী আইন প্রবর্তনের দাবীতে সশস্ত্র বিদ্রোহ ***

 

      পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে সৈন্যরা উপজাতীয় জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলে সেখানে অন্তত ১১ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছে। উপজাতীয় জঙ্গিরা সেখানে ইসলামী আইন প্রবর্তনের দাবীতে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেছিল।
      এর আগে হেলিকপ্টারের ছত্রছায়ায় সৈন্যর ব্যাপকভাবে অস্ত্র সজ্জিত হয়ে জঙ্গীদের ব্যারিকেড ভেঙ্গে এলাকায় প্রবেশ করে। জঙ্গীবাদী তানজীম নিফাজে শরীয়ত মোহাম্মাদীর হাজার হাজার সমর্থক গোটা এলাকায় বিভিন্তন সড়কের প্রতিবন্ধকতা স্থাপন করে।
      প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিঙ্গোরা ও ওড়িগ্রাম শহরের মধ্যবর্তী বিস্তীর্ণ ১০ মাইল এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৈন্য ও তানজীম যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
       ওড়িগ্রামে প্রথম সংঘর্ষে ৮ জন তানজীম যোদ্ধা নিহত হয় এবং ৯ জন সৈন্যসহ ২০ জন আহত হয়।
       জঙ্গীরা এলাকায় বন্দুকের মুখে কয়েকজন বিচারকসহ সরকারী কর্মকর্তাদের আটক করে রাখার তিনদিন পর সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু করে।
      তানজীমের সশস্ত্র সমর্থকরা কয়েকটি শহর অবরোধ করে রেখেছে। উপজাতীয় যোদ্ধারা তাদের এলাকায় ইসলামী আইন চালুর দাবীতে আইনজীবী বিচারক ও সরকারী কর্মকর্তাসহ ৬০ জনকে জিম্মি হিসেবে আটক করার পর সেখানে সংকটের সূত্রপাত হয়। বাসিন্দারা জানায়, স্বয়ংক্রীয় রাইফেল ও রকেট লাঞ্চারে সজ্জিত উপজাতীয় যোদ্ধারা পাহাড় ও কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো অবস্থান নেয়।
       সংঘর্ঘে প্রাদেশিক পরিষদে পাকিস্তান পিপলস পার্টির(পিপিপি) সদস্য বদিউজ্জামান নিহত হয়। তানজীম যোদ্ধারা তাকে জিম্মি করলে তার দেহরক্ষীরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালালে দু’পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে তিনি নিহত হন।
      অবশেষে মুজাহিদ ও সরকারী সৈন্যদের মধ্যে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর সরকার মুজাহিদদের দাবী মেনে নেয় এবং ইসলামী আইন প্রবর্তন করার কথা ঘোষণা করে। ফলে জিম্মি ও বিদ্রোহ সমস্যারও সমাধান ঘটে।

 

*** আলজিয়ার্সের কেন্দ্রস্থলে তুমুল সংঘর্ষে 
১ জন কর্নেল ও ৯ হুকুমতপন্থী নিহত ***

 

   আলজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও ইসলামী হুকুমত পন্থীদের সাথে আলজিয়ার্সের কেন্দ্রস্থলে এমনভাবে সংঘর্ষ চলছে, যা ফ্রান্সের সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিস্থিতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার কূটনীতিক ও ভাষ্যকাররা একথা বলেছেন।
      আলজিয়ার্সের কেন্দ্রস্থলে তেলেমেলি নামক স্থানে বুধবার এক বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে কালো হেলমেট পরিহিত কমাণ্ডোরা একটি ভবনে হামলা চালিয়ে ৯ জন ইসলামী হুকুমপন্থী মুজাহিদকে হত্যা করেছে। একজন কূটনীতিক বলেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হয় যে, রাজধানীকে হুকুমপন্থী মুক্ত করার কঠোর সামরিক দমনাভিযানের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। 
     এই কমাণ্ডো অভিযান বুমেরাং হয়েছে। কর্নেল দিজেল্লা হাজ চেফি নিরস্ত্র অবস্থায় গুলীবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি মুজাহিদদের আত্মসমর্পনের ব্যাপারে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছিলেন।

 

*** ইসরাইলের বিরুদ্ধে জেহাদ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ***

 

      গাজা এলাকায় একজন মুসলিম আত্মঘাতীর বোমা হামলায় তিন জন ইসরাঈল সৈন্য নিহত হওয়ার কয়েক ঘন্টার পর গত শুক্রবার ফিলিস্তিনী ও লেবাননী মুসলিম গ্রুপ ইসরাঈলের বিরুদ্ধে জেহাদ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে। ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদ শহীদ দিবসের স্মরণে বৈরুতে এক সমাবেশে এই প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেছে। ইসরাইলী সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে শাহাদাতপ্রাপ্তদের স্মরণে এ দিবস পালিত হয়। গতকাল হিজবুল্লাহ হামাস ও ইসলামী জেহাদ এই সমাবেশ থেকে ঘোষণা করে যে, তারা জিহাদ ও প্রতিরোধ আন্দোলন অব্যাহত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নসরুল্লাহও হাজার লোকের এক সমাবেশে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিন ও কয়েকটি আরব রাষ্ট্র সম্প্রতি এই তিনটি গ্রুপকে দমন করার যে তুলেছেন তাতে জিহাদ ও তাদের সমর্থকদের নিরুৎসাহিত হলে চলবে না। “ইসলামের বিজয়”, “ইসরাইলের পতন” হোক-এই শ্লোগান দিয়ে জনতা নাসরুল্লাহর জেহাদের আহ্বানের প্রতি সমর্থন জানায়।
 


*** সুদানে হামাস নেতার হুঁশিয়ারি
হামাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হলে মার্কিন
স্বার্থকেই টার্গেট করা হবে ***

 

     ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একজন নেতা গত রোববার সুদানের রাজধানী খার্তুমে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন যে, ওয়াশিংটন যদি হামাসের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয় তাহলে মার্কিনী স্বার্থ হামাসের  টার্গেটে পরিনত হবে।
    সুদানী সাপ্তাহিক দারফার আল জাদিদার সাথে এক সাক্ষাতকারে মুহাম্মাদ আবদুল কাদের সিয়াম একথা বলেন। তিনি বলেছেন, যদি ক্লিনটনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে চায় তাহলে তা খুব একটা সহজ হবে না-কারণ তারা আমাদের যেভাবে হত্যা করতে চাইবে তার চাইতে মার্কিন স্বার্থ ধ্বংস করার ব্যাপারে আমরা অধিক সক্ষম।
    সিয়াম বলেন, হামাস এখনো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোন তৎপরতা চালায়নি। হামাস আরব-ইসরাইলের শান্তি প্রক্রিয়ার ঘোর বিরোধী।
     তিনি বলেন, যে আন্তর্জাতিক আইন প্রতিটি জাতির প্রতিরোধের অধিকার এবং দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অধিকারকে অনুমোদন করেছে, আমরা সেই আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্লিনটন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলোর প্রতি যে আবেদন জানিয়েছেন, তার উল্লেখ করে সিয়াম বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র অথবা আর কারো হুমকিতে ভীত নই।
    গত ২৬ অক্টোবর ঐতিহাসিক ইসরাইল-জর্দান শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর দান অনুষ্ঠান চলাকালে ক্লিনটন হামাসকে ‘শান্তির শত্রু’ বলে অবিহিত করেন।
    ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে ফিলিস্তিনী ইন্তিফাদা শুরু হওয়ার আগে দু’বছর গাজায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৬৫ বছর বয়স্ক মুহাম্মাদ আবদুল কাদের সিয়াম। এরপর তিনি জর্দানে কিছুদিন কাটিয়ে সুদানে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি সুদানে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন এবং একজন প্রবাসী হামাস নেতা।

 

*** বসনীয় মুসলিম বাহিনীর বিস্ময়কর বিজয় অভিযান ***

 

      বসনীয়ায় আগ্রাসনকারী সার্ববাহিনীর বিরুদ্ধে মুসলিম বাহিনী বিস্ময়কর বিজয় অর্জন করেছে। তাঁরা বিভিন্ন ফ্রন্টে সাড়াসী আক্রমন চালিয়ে সার্ব নিয়ন্ত্রিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর, মালভূমি ও বাঙ্কার দখল করেছে। অধিকৃত শহরগুলি হল, বুগোজনো, গ্রণজি, বিহাস, ভাকুফ, কুপ্রেস, ডোনজি ভাকুফ, সিপোভে। মাসব্যাপী এ অগ্রাভিযানে মুসলিম বাহিনী ১১টি ট্যাঙ্ক ৃ৫টি সৈন্যবাহী সাজোয়া গাড়ী এবং ভূগর্ভস্থ অস্ত্রগুদাম থেকে কয়েক বছর যুদ্ধ চালানোর উপযোগী প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দখল করে। মুসলিম বাহিনী একমাত্র বিহাস এলাকায়ই ২৬০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা দখল করে নেয়। এ অগ্রাভিযানে সার্বদের সামরিক প্রাধান্য যেমন খর্ব হয়েছে, তদ্রুপ মুসলিম বাহিনীর মনোবলও বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর মিত্র ত্রেূাট বাহিনী মুসলমানদের সাথে যোগ দেয়ায় মুসলিম বাহিনীর শক্তি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সার্ব বাহিনী অস্ত্র, ভূ-খণ্ড, সরবরাহ রুট হারানোর সাথে সাথে এখন অস্থিত্ব সংকটে নিপতিত হয়েছে।
গ্রন্থনায়ঃ ফারুক হোসাইন খান ও আসাদুল্লাহ