JustPaste.it

মুসলিম বিশ্ব সংবাদ

 

২৪ ঘন্টার প্রতি মূহুর্তেই পৃথিবী

আযানের ধ্বনীতে উচ্চকিত  হয়

 

আল্লাহ তা'আলা পৃথিবীকে এমন কৌশলে নির্মাণ করেছেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে এমন কোন সময় নেই যে মূহুর্তে পৃথিবীর কোন না কোন স্থান থেকে আযান ধ্বনিত হয় না। দিবা-নিশি চব্বিশ ঘন্টার প্রতি মুহুর্তেই আল্লাহর প্রিয় বান্দারা মহান রাব্বুল আ'লামীনের কুদরতী পায়ে মাথা নত করার জন্য মুসলমানদের আহবান করেন।

বৃটিশ ইসলামিক সেন্টারের সাম্প্রতিক এক গবেষনা সাময়িকী সূত্রে বিবিসির ধর্মীয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান এই তথ্য প্রকাশ করেছে! ইসলামিক রিচার্স সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত সাময়িকীতে বলা হয় যে, মেক্সিকো ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে সময়ের ব্যবধান আঠার ঘন্টা। অর্থাৎ নিউজিল্যান্ড থেকে আঠার ঘন্টা পড়ে মেক্সিকোয় বেলা ডুবে। দু'দেশের মধ্যস্থানের গ্রাম, শহর, দেশগুলোর দূরত্বের ব্যবধান এক-দুই মিনিট করে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী এশা ও ফজর এই দুই নামাযের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যবধান আট থেকে নয় ঘন্টা। এই ব্যবধান অনুপাতে বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম জনপদে প্রাত্যাহিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের যে আযান দেয়া হয় তা এমন যে, কখনো দুই মিনিটের চেয়ে বেশী সময় খালি যায় না, যে সময় প্রথিবীর কোন না কোন স্থানে আযান হচ্ছে না এবং বলা হচ্ছে না যে, "হে বিশ্বাসীরা! নামাযের দিকে এসো; কল্যাণের পথে এসো”।

 

 

 

 

 

উচ্চ শিক্ষিতা বৃটিশ মহিলাদের মধ্যে ইসলাম গ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছেঃ

 

    কয়েক হাজার বৃটিশ খৃষ্টান মহিলা খৃষ্টীয় আচার-অনুষ্ঠানের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এদের অধিকাংশই উচ্চ শিক্ষিতা, প্রফেসার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও পদস্থ কর্মকর্তা। ৩১ বছর বয়স্কা মুয়াইরা কোলম্যান ছিলেন একজন কট্টর ক্যাথলিক পরিবারের সদস্যা। তিনি মুসলিম বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কিরামের বক্তৃতা, ভাষণ ও ইসলামী পুস্তক পাঠ করে ইসলামের মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পড়েন।

 

    তিনি বলেন, আমি খৃষ্টান হয়ে জন্মেছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত খৃষ্টান থাকবো এ ধারণাই পোষণ করতাম। কিন্তু কয়েক বছর আগেই ইসলাম গ্রহণ করে বশীরা নাম ধারণ করেছি।

      ইসলাম গ্রহণ করার আগে ইসলামের প্রতি তাদের 'গভীর অনুসন্ধিৎসা কাজ করে। অনেকেই জানিয়েছেন, আমরা লক্ষ করেছি যে. এক মাত্র ইসলামী অনুশাসন ও. সমাজ ব্যবস্থাই বর্তমান অধঃপতন থেকে নারী সমাজকে পরিত্রাণ দিতে পারে। “ ইসলামিক -উমেন ফেডারেশন" মহিলা সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই, সাথে বাড়ছে মুসলমানদের উপর বিভিন্ন ধরণের নির্ধাতনও। বশীরা বলেন, কৃঞ্চাঙ্গ বৃটিশরাঁ শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিবাদ করতে পারে কিন্তু  আমরা শ্বেতাঙ্গ থাকা সত্ত্বেও মুসলমান হওয়ার কারণে আপাতত নির্যাতন জুলুমের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করতে পারি না। এর জন্য বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের এগিয়ে আসা উচিৎ। দরকার একটি আত্মরক্ষা মূলক আইন প্রতিষ্ঠার।

     বৃটিশ ভিলেজ ইউনিভার্সিটি মহিলাদের মধ্যে ইসলাম গ্রহণ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার কারণ নির্ণয়ে একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে। এতে বলা. হয়েছে যে, মধ্যবিত্ত চাকুরীজীবী মহিলারাই বেশী ইসলামের প্রতি ঝুকছে। সমীক্ষায় আরো বলা হয়, নারী পুরুষের অবাধ যৌনাচার, পুরুষের নির্যাতন নিপীড়নই মধ্যবিত্ত মহিলাদের বেশী ইসলাম খুহণে আগ্রহী করছে। এতে আরো বলা হয়, অধিকাংশ বৃটিশ বিবাহিতা মহিলারা এখন অবাধ যৌনাচারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছে, এবং ইসলামী রীতি নীতি জানার আগ্রহ প্রকাশ করছে; অন্য দিকে সরকার মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

 

 

 

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের লজ্জাষ্কর পরিসংখ্যান

 

     বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বমোট জনসংখ্যা ২৫.৫৮২০,০০০ এবং বার্ষিক গড় আয় ২৪৪৭০. ডলার। তবে সরকারী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে পনের শতাংশ মার্কিণী কোন না কোন মানসিক রোগে আক্রান্ত। আঠার বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এ সংখ্যা ২১ শতাংশ। উল্লেখ্য, মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য ১০.৯ শতাংশ লোক ওষুধ সেবন করে থাকে। ১৯৯৩ সালের প্রথম তিন মাসে ৪ লক্ষ ১২ হাজার বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই দুই লক্ষ বিরানব্বই হাজার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে।

    ১৯৯২ সালে ১২ লক্ষ ১৫ হাজার ১৯৯১ সালে ১১ লক্ষ ৮৭ হাজার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। ১৯৯২ সালে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯৭৬০ জন আত্মহত্যা করেছে এবং ৩৩৫৯০ জন এইডস রোগে মারা গেছে। এবছরই ২৬৫৭০ জন লোক নিজ পিতা বা ভাইয়ের হাতে নিহত হয়েছে। ১৯৯২ সালে ১৯ বছর বয়সের কম বয়সী যে সব মহিলা সন্তানের মা হয়েছে এর মধ্যে ৬৫ শতাংশই ছিল জারজ।

 

 

 

 

এক ইহুদী যাজকের ফতোয়া

 

      'মারভ' নামের একটি ইসরাঈলী দৈনিকের খবরে প্রকাশ, তেলআবিবের ‘রাব্বী মোশে’ নামক এক ইহুদী যাজক এই মর্মে ফতোয়া দিয়েছেন যে. কোন ইহুদীর স্ত্রী যদি হাতের বাজু লোক সমক্ষে উলঙ্গ করে তৎক্ষনাৎ সে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে। রাব্বী মোশে আরো ঘোষণা করেন যে, যদি কোন বিবাহিতা মহিলা হাট-বাজারে নিজের হাতের উর্ধাংশ খোলা রাখে. তাহলে তার স্বামীর জন্যে এই মহিলাকে তালাক দেয়ার অধিকার থাকবে।

 

 

 

ভারতের মুসলমান, ছাত্রদেরকে বাধ্যতামূলক “বন্দে মাতরম" গাইতে হবে

 

সাম্প্রতিক সৌদি গেজেটের খবরে জানা গেছে, স্যাকুলার ভারত সরকার স্কুলের ছাত্রদের জন্য ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত “বন্দে মাতরম”  বাধ্যতামূলক করেছে। শ্রী বঙ্কিম চন্দ্র ভট্টাচার্যের রচিত চরম হিন্দু কৃষ্টি কালকার তথা ধর্মীয়  উগ্রতায় পরিপূর্ণ সঙ্গীতটিতে মুসলমানদের মোকাবেলায় সারা ভারত বর্ষে হিন্দু জাতীয়তাকে প্রতিষ্ঠা উজ্জীবিত করা হয়েছে এবং শ্রী দুর্গাদেবীর মহত্ব বর্ণনা করা হয়েছে যা একজন মুসলমানের পক্ষে কখনো স্বীকার করা সম্ভব নয়। চরম মুসলিম বিদ্বেষী বঙ্কিম চন্দ্রের এই সঙ্গীত ভারত ধর্ম নিরপেক্ষতার নামাবলীর আড়ালে মুসলামনদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। যা মুসলমানদেন ধর্মীয় বিশ্বাসের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ভারত এর দ্বারা আবারো প্রকাশ করলো যে, হিন্দুরা কখনো ভারতের বুকে মুসলানদের অস্তিত্বকে সহ্য করতে রাজী নয়। না হয় ইসলাম ধর্মের প্রতি কটাক্ষপূর্ণ এই সঙ্গীত গাইতে মুসলমান ছাত্রদের বাধ্য করতো না।