JustPaste.it

বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের তৎপরতা

=============================

 


অধিকৃত কাশ্মীরে হরকাতুল আনসারের মুজাহিদ কর্তৃক বৃটিশ প্রবাসী গ্রেফতারে ভারত সরকারের মিথ্যা প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে হরকাতুল আনসারের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের জোরালো প্রতিবাদ


      (সদায়ে মুজাহিদ) গত জুন মাসে হরকাতুল আনসারের মুজাহিদরা পহলগাম শহরে ৪ জন সন্দেহজনক বৃটিশ প্রবাসীকে বন্দী করে। তারা মুজাহিদ ক্যাম্পের আশে-পাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরা ফিরা করছিল। হরকতের মুজাহিদ কমাণ্ডার  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এক দম্পত্তিকে মুক্তি দিয়ে দেয়। বাকী দু'জনকে আরও জেরা করার জন্যে আটক করে রাখেন।
      মুজাহিদরা বৃটিশ বাসিন্দাদেরকে বিধিসম্মত ভাবেই বন্দী করেন। কারণ ঘটনার তিন দিন পূর্বে মুজাহিদদের পক্ষ থেকে সমস্ত প্রবাসী পর্যটককে কাশ্মির ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কাশ্মীর ত্যাগের নির্ধারিত সময় সীমা অতিক্রমের ৪৮ ঘন্টা পর উক্ত বৃটিশ বাসিন্দাদেরকে বন্দী করা হয়। তদুপরি ভারত সরকারও স্বীকার করেছে যে, ইসরাইলী কমাণ্ডো 'মোসাদের' সৈন্যরা ছদ্মবেশে কাশ্মিরী মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে। মুজাহিদরাও তদন্তের পর দেখেন, ভারত সরকারের স্বীকৃতি সত্য। এসব কারণে মুজাহিদরা সমস্ত প্রবাসী পর্যটককে কাশ্মীর ত্যাগের নির্দেশ দেন। কিন্তু ভারত সরকারের প্রাণ 'রর' চক্র বি.বি.সি. ভয়েস অব আমেরিকা, ভয়েস অফ জার্মান ইত্যাদি সংবাদ মাধ্যম পরিকল্পিতভাবে বিধিসম্মত এই আটকাদেশকে  অপহরণ নাম দিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে গলাবাজী শুরু করে। উদ্দেশ্য, কাশ্মীরী মুজাহিদদের প্রতি অপবাদ চাপিয়ে বিশ্বব্যাপী তাদের জনসমর্থন হ্রাস করা। উপরন্তু ভারতের সেনারা প্রবাসী দু'জন বৃটিশকে হত্যা করে তার দায় দায়িত্ব মুজাহিদদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালায়। হরকাতুল আনসারের দায়িতৃশীল ব্যাক্তিবর্গ গ্রেফতারীর পরক্ষণেই তাদের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে বলেন, যে প্রবাসী দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে তারা নির্দোষ সাব্যস্থ হলে তাদের মুক্তি দেয়া হবে।
        হরকাতের মুজাহিদ কমাণ্ডার ভারত সেনাদের ঘৃণ্য অপচেষ্টার বিষয় আঁচ করতে সক্ষম হন। তাই সতের দিন পর প্রবাসী দু'জন বৃটিশকে বিদেশী সাংবাদিকদের হাতে হস্তান্তর করেন। বিদেশী সাংবাদিকরা ইন্ডিয়ান সেনাদের ভয়ে প্রথমে এদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। পরে সাংবাদিকরা যখন দেখলেন, হরকাতুল আনসার কোন ভাবেই এই প্রবাসী দুজনকে ইণ্ডিয়ান সেনাদের হাতে হস্তান্তর করবেনা, তখন তারা বাধ্য হয়ে প্রবাসী পর্যটক দুজনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হস্তান্তর কালে বৃটিশ পর্যটক দু'জনের চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে। তারা সাংবাদিকদের নিকট প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, 'মুজাহিদরা আমাদের সাথে আন্তরিকতার সাথে অত্যন্ত সুব্যবহার করেছেন। সত্যি বলতে গেলে, তারা এখন আমাদের পরম বন্ধু। এখন বন্ধুদের নিকট থেকে বিদায় নিচ্ছি। এই মুজাহিদ বন্ধুদের নিকট আমরা আবার আসবো। কথাগুলো বলতে গিয়ে ১৬ বছরের কিমহুমিউগিউ ভাবাবেগে কেঁদে ফেলেন।
      দু' বৃটিশ পর্যটকের বন্দী করাকে কেন্দ্র করে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে প্রোপ্রাগাণ্ডা কারীদের উদ্দেশ্য করে হরকত নেতৃবৃন্দ বলেন, হরকাতুল, আনসারের জিহাদ মেইডিন লণ্ডন বা মেইডিন আমেরিকা নয় যে তাদের ভয়ে মুজাহিদরা ভয় পাবে। মুজাহিদরা কাশ্মিরের যুদ্ধকে ইসলামী জিহাদের দৃষ্টিতে দেখে বলেই তারা এতে অংশ নিচ্ছে। হরকাতুল আনসার তার প্রাণপ্রিয় মুজাহিদদেরকে পার্থিব কোন স্বার্থে কাশ্মির উপত্যকায় রক্ত ঝরাতে পাঠাচ্ছেনা। বরং তারা কাশ্মিরে দ্বীন; ঈমান, আযাদী ও ইজ্জতের হিফাযতের জন্য লড়ছে। ভারতের নাগপাশ থেকে কাশ্মির আযাদ না হওয়া পর্যন্ত তারা লড়ে যাবে। জীবনের বিনিময়ে হলেও তারা এই আযাদী ছিনিয়ে আনবেই।
       হরকাতের নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, কাশ্মিরের সবুজ শ্যামল উপত্যকায় মুসলমানদের রক্ত নিয়ে খেলাকারী ভারত আর সেনা আর বিজেপি সেনা কাউকে ক্ষমা করব না। আমদের আযাদীর পতাকা একদিন কাশ্মীরের সবুজ প্রান্তরের মুক্ত বাতাসে দোল খাবেই। হ্যাঁ, আজ হয়ত কাশ্মীর এক অশান্ত রক্তাক্ত উপত্যকা। হাজারো কাশ্মিরী যুবক টর্চার সেলের মরণ কুপে জীবন-মৃত্যুর সাথে লড়ছে। কাশ্মিরের আকাশে-বাতাসে শুধু মৃত্যুর বিভীষিকা। কারুর জান, মাল ও ইজ্জত, আযাদী নিরাপদ নয়। কিন্তু  হাজার বীর মুজাহিদের ত্যাগ আর হাজারও প্রাণের বিনিময়ে, রক্ত আর অশ্রুর বিনিময়ে কাশ্মিরে রক্তে রাঙ্গা ইসলামী নিশান একদিন উড়বেই। কাশ্মীরবাসী মুক্ত বাতাস আর মুক্ত আলোয় শ্বাস নিবে। সেদিন দূরে নয় মোটেই।


দশদিন শুধু ঘাস খেয়েও সুস্থ সবল কাশ্মীরী মুজাহিদ


হরকাতুল আনসারের মুজাহিদ সাথী শেরগুল,ফযলে হাদী, আব্দুল করীম, আলমগীর এক সাথে কাশ্মীর রণাঙ্গণে কাটান। ফিরতি পথে তাদের খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। সাথে নিয়ে আসা ১ কেজি বুট ও খেজুর নিঃশেষ হয়ে যায় মাঝ পথেই। আশে-পাশে দোকান পাট বা কোন ঘর বাড়ীও ছিলো না। অবস্থা বড়ই সঙ্গিন। এ অবস্থায় দশজন মুজাহিদ বিরামহীন ভাবে দশদিন শুধু ঘাস খেয়ে অতিবাহিত করেন।
      সকাল-বিকাল-রাত্রি শুধু পাহাড়ী ঘাস খেয়ে তারা কাটান। তারা বলেন, সব কিছু শেষ হওয়ার পর ঘাস খেতে অপূর্ব স্বাদ অনুভব হত। যদিও তা সুস্বাদু বা খাদের আওতাভুক্ত নয়। এ অবস্থায় তারা পথে পথে ইণ্ডিয়ান সেনার সাথে বার কয়েক যুদ্ধও করেছেন। শেষ পর্যন্ত সবাই সুস্থ অবস্থায়  আযাদ কাশ্মীর পৌঁছেন।


কাশ্মীরে অপারেশনরত ইণ্ডিয়ান সেনারা মানসিক শিকার ব্যধির শিকার
-হিন্দুস্তান টাইমস


      নয়া দিল্লীর ভারতীয় পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরে অবস্থানরত ভারতীয় সেনারা সম্পূর্ণভাবে মনোবল, হারিয়ে ফেলেছে। তারা মুজাহিদদের ভয়ে সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় ভোগে। এমনকি নিদ্রাকালেও তারা অজানা ভয়ে চিৎকার শুরু করে দেয়। টাইমস আরও উল্লেখ করে যে, মানসিক হাসপাতালে হাজারও ফৌজ মানসিক রোগে অক্রান্ত হয়ে পড়ে আছে। এরূপ হাজারও সেনা ইউনিট ছেড়ে পলায়ন করছে।


কাশ্মীর সফরে জেনারেল জোশী


ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল বি. সি জোশী ৬ই জুলাই অধিকৃত কাশ্মীর গিয়েছিলেন। এসময় কাপাওয়াড়া ভ্রমণ কালে মুজাহিদরা তার ওপর প্রচন্ড হামলা চালায়। তবে বুলেট প্রুফ গাড়ীর কারণে সে কোনরকমে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাঁচতে সক্ষম হয়।


ইয়েমেনে পশ্চিমা অপশক্তির চরম পরাজয়


       সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯০ সালে দ্বিখণ্ডিত ইয়েমেন রাষ্ট্রটি একিভূত হয়। কিন্তু পাশ্চাত্য কোনভাবেই এ একিভূতকরণকে মেনে নিতে পারেনি, সুনজরে দেখেনি। ১৯৯৩ ইং এর সাধারণ নির্বাচনের পর এ ঐক্য আরও সুদৃঢ় হয়। এতে পশ্চিমারা দারুন হতাশ হয়। আমেরিকা, বৃটেন ও ফ্রান্স এই ত্রিজোট ইয়েমেনকে পুনঃবিভক্ত করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। সাবেক দক্ষিণ ইয়েমেনের সমাজতান্ত্রিক পার্টির প্রধান ও একীভূত ইয়েমেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট পশ্চিমাদের শিকারে পরিণত হয়। পশ্চিমারা তার মাধ্যমে প্ররোচনা চালিয়ে ইয়েমেন সেনাবাহিনীর মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। ২০ই ফেব্রুয়ারী আম্মানে এক সন্ধিচুক্তি সাক্ষরিত হয়। “কিন্তু পশ্চিমা দালাল চক্র পরদিনই সে সন্ধিচুক্তি বাতিলের ঘড়যন্ত্রে সফল হয় এবং ২১শে ফেব্রুয়ারী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। তবে বিদ্রোহীদের আক্রমণ ব্যর্থ হয়। ধারণা করা হচ্ছিল, এ ব্যর্থ হামলার পর সন্তোষজনক ফলাফল আসবে। কিন্তু পশ্চিমাচক্র আলোচনাকেও ব্যর্থ করে দেয়। ৪ই মে বিদ্রোহীরা পূনরায় প্রচণ্ড হামলা চালায়। সরকারের পক্ষ হতেও তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালান হয়। তখন পর্যবেক্ষক মহল ধরে নেন, ইয়েমেন এক দীর্ঘস্থায়ী গৃহ যুদ্ধের শিকার হতে চলেছে। ইয়েমেনে সোমালিয়া ও -আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। পরিণতিতে ইয়েমেন দ্বিধা বিভক্ত হবে। এ প্রেক্ষিতে ইয়েমেনের কেন্দ্রীয় সরকার বার বার বিশ্ববাসীকে জানায়, এটা দু'ইয়েমেনের যুদ্ধ নয় বরং এটা বিদ্রোহী ও সরকারের যুদ্ধ। কিন্তু বিশ্ব সংবাদ সংস্থাসমূহ এ বক্তব্য এড়িয়ে তাদের বক্তব্য ফলাও করে বলে যে, এটা গৃহ যুদ্ধ। কোন বিদ্রোহী দমন অভিযান নয়। ফলে ইয়েমেন সরকার সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়, যে কোন মূল্যে তারা ইয়েমেনের ঐক্য সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেই। শেষ পর্যন্ত ৭ই জুলাই বিদ্রোহীদের চূড়ান্তভাবে দমন করা হয়। বিদেশী দালাল চক্র দেশ. থেকে পালিয়ে যায়। পশ্চিমা শক্তি পরাজিত হয়। ইয়েমেনের ঐক্য থাকে অটল। বিদ্রোহীদের দখলকৃত এলাকার লোকজন ইয়েমেনের সরকারী ও বিজয়ী বাহিনীকে অভ্যর্থনা জানায়। বিজয়ী সেনারা বিদ্রোহীদের আডডা থেকে হাজার টন মদ উদ্ধার করে। সেগুলো সব ড্রেন ও নর্দমায় ঢেলে দেয়া হয়। কোন পর্যবেক্ষক মনে করেন, এ মদই ছিলো ওদের মুল নিয়ামক। বিদ্রোহী ১৬ জন নেতা ব্যতীত বাকীদের মুক্তি দেয়া হয়।

 

চীনে মুসলমানদের উপর নতুন বিধিনিষেধ


       বেইজিং (এএফপি) চীনা সরকার মুসলিম প্রধান এলাকা লিংজিয়ায় উলামায়ে কিরামের ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রতিহত করার জন্য কতগুলি কঠোর আইন প্রয়োগ করেছে। এর আওতায় শিক্ষা, সামাজিক রীতি নীতি ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে আলিমদের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। নতুন বিধি অনুসারে ভবিষ্যতে মসজিদ নির্মাণ, ধর্মীয় সংগঠন প্রতিষ্ঠা, ধর্মীয় পুস্তক প্রকাশনা ইত্যাদির জন্য সরকারের অনুমোদন অপরিহার্য্য থাকবে। বি, বি, সির ভাস্যমতে চীনা সরকার মধ্য এশিয়ায় ক্রমবর্ধমান মুসলিম প্রভাব সম্পর্কে ভয়ানক দুশ্চিন্তায় পড়েছে। চীনা সরকার এ সব কালাকানুন আরোপ করে ঠেকাতে পারবে কি মুসলিম জাগরণ?

 

 
টহলরত ইণ্ডিয়ান সৈন্যদের উপর হরকাতুল আনসারের প্রচণ্ড হামলা ২০ জন সৈন্য নিহত ২২ জন আহত


     (ঢুঢা, সদায়ে মুজাহিদ প্রতিবেদক)। জম্মু প্রদেশের ঢুঢা জেলায় ঘাতক ভারত সেনার হামলার প্রতি উত্তরে হরকাতুল আনসারের বীর জওয়ানদল ভারত সেনার উপর এক প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। মুসলিম জানবায ফোর্স হেজবুল মুজাহিদীনের বীর মুজাহিদগণ তাদের সহযোগিতা করেন। এ হামলায় ৬২ জন ভারত সেনা নিহত ও ৭০ জন আহত হয়। অনুরূপ কন্দু ও মুহলিকপুর শহরে হরকাতুল আনসারের এক সম্মিলিত আক্রমণে ২০ জন টহলরত সেনা নিহত ও ২২ জন আহত হয়। এই সফল অপারেশনের পর একটি এল, এম জি মর্টারগান ও এস এল আর গান ছাড়াও বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদ মুজাহিদদের হস্তগত হয়। এ দিনগুলোতে বি, এস, এফ সৈন্যরা কন্দু শহরে মুসলিম বসতীতে তাদের ক্যাম্প করার প্রোগ্রাম নেয়। মুজাহিদরা এ সংবাদ পেয়ে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে গোটা বসতীর চার পাশে মাইন পুতে রাখে। বি. এস, এফ বাহিনী প্রোগ্রাম মত মুসলিম বসতির নিকট পৌছতেই মুজাহিদরা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটানো শুরু করেন। এতে ১০ জন সৈন্য নিহত ও ৪৪ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়। হরকতের মুজাহিদরা অন্য এক আক্রমণে ৩২ জন ভারত সেনাকে হত্যা করে এবং একটি সেনা ট্রাকও ধ্বংস করে।


তাজিকিস্তান কমিউনিস্ট সেনা বহরের উপর মুজাহিদদের হামলায় ১০৮ সৈন্য নিহত ও বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ধ্বংস


        টাবীল ডোরাহ্ বদখশান রণাঙ্গণে হরকাতুল আনসারের সিনিয়র কমাণ্ডার জনাব হেদায়াতুল্লাহর নেতৃতে মুজাহিদরা এক সেনা বহরের ওপর হামলা চালায়। এতে ১০৮ জন সৈন্য নিহত এবং কপ্টার সহ বেশ কয়েকটি সেনা ট্রাক ধ্বংস হয়।
      বিস্তারিত তথ্যে জানা যায় যে, মুজাহিদরা সংবাদ পান, সীমান্ত সেনা পোষ্টগুলোতে তাজাকিস্তান কমিউনিস্ট সরকারের পক্ষ হতে অতি জরুরী কিছু সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে একটি গাড়ী বহর আসছে। মুজাহিদগণ কনভয়টি ধ্বংস করার পরিকল্পনা নেন। পরিকল্পনা অনুসারে এক গ্রুপ মুজাহিদ কমাণ্ডার হেদায়াতুল্লাহ সাহেবের নেতৃত্বে গাড়ী বহর আসার পথে ওঁৎপেতে থাকেন। কনভয় মুজাহিদদের অস্ত্রের রেঞ্জে আসতেই তারা কনভয়ের উপর প্রচণ্ড ফায়ার শুরু করে দেন। এতে পুরা কনভয়ে আগুন ধরে যায়। কমিউনিস্ট সেনারা গাড়ী হতে লাফিয়ে পালাবার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়।
      প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উক্ত হামলায় ১০৮ সৈন্য নিহত. একটি ট্যাঙ্ক, একটি সাঁজোয়া যান, একটি কপ্টার, দু'টি রুশী জীপ ও একটি সেনা ট্রাক সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়।
     টাবীল ডোররায় সেনা পোষ্টে মুজাহিদদের অন্য এক হামলায় ৪০ সৈন্য নিহত হয়। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সিনিয়র কমাণ্ডার মজদুর আফগানির নেতৃত্বে এক গ্রুপ মুজাহিদ শত্রু নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ঢুকে দু'টি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা পোষ্টে হামলা চালান। মুজাহিদরা বাঘের মত শক্রর উপর ঝাপিয়ে পড়েন। অল্পক্ষণেই পোষ্ট তাদের দখলে চলে আসে । দুশমন পালিয়ে যায়। কিন্তু পরক্ষণেই শক্রর বোমারু বিমান মুজাহিদের উপর বোমা বর্ষণ শুরু করে দেয়। যার ফলে মুজাহিদরা ওখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হুন। ৬ জন মুজাহিদ বোমা বিস্ফোরণে শাহাদাত বরণ করেন। 

 

মাওলানা কাযী নেসার আহমদের শাহাদাত, কাশ্মীরের আযাদী আন্দোলনের বিরুদ্ধে গভীর ষঢ়যন্ত্রঃ
মাওঃ ফারুক কাশ্মীরী


      হরকাতুল আনসার জম্মু ও কাশ্মীরের আমীর মাওলানা ফারুক কাশ্মীরী অধিকৃত কাশ্মীরের বিখ্যাত আলেমে দ্বীন এবং কাশ্মীরের আযাদী আন্দোলনের মহান নেতা ডক্টর কাযী নেসার আহমদের শাহাদাতের ঘটনার প্রচণ্ড নিন্দা করে বলেন, কাশ্মীর জিহাদের শত্রুরা উলামায়ে কিরামের রক্ত নিয়ে হোলী খেলছে। তিনি বলেন,   কাযী নেসার আহমদ হরকাতুল আনসারের এক নিবেদিত প্রাণ কর্মী ছিলেন। কাশ্মীরকে ভারতের দাসত্বের নিগড় থেকে মুক্ত করতে গিয়ে তাকে একাধিকবার বন্দী হতে হয়েছে, কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্টে টর্চার সেলে অমানসিক অত্যাচারে হতে হয়েছে জর্জরিত। কিন্তু বারবার কারাগার থেকে মুক্তির পর তার জিহাদী তৎপরতা যেন শতগুণে বৃদ্ধি পায় কেবল।
        মাওলানা ফারুক কাশ্মীরী বলেন, কাযী নেসার আহমদের জানাযায় লাখো কাশ্বীরী মুসলমানের অংশ গ্রহণ একথা প্রমাণ করেছে যে, কাশ্মিরী মুসলমান উলামায়ে কিরামের হত্যাকারীকে কোন মূল্যেই ক্ষমা করবে না। তিনি আরও বলেন, শাহাদাতের মত মহা গৌরবময় আসন ভাগ্যবান মানুষরাই পেয়ে থাকেন। তবে কাযী নেসার আহমদের অনাকাংখিত বিরহ লাখো হৃদয়ে ব্যথার বন্যা বইয়ে দিয়েছে।

 

অধিকৃত কাশ্মীরে মুজাহিদ ও ভারত সেনাদের মধ্যে ৪৮ ঘন্টা বিরতীহীন লড়াইঃ কমাণ্ডার মুজাম্মেলসহ ৪জন মুজাহিদ শহীদ


 (জম্মু, সদায়ে মুজাহিদ প্রতিবেদক) অধিকৃত কাশ্মীরের চিরানী এলাকায় ভারত সেনা ও হরকাতুল আনসারের বীর মুজাহিদদের মাঝে 'বিরতিহীনভাবে ৪৮ ঘন্টা যুদ্ধ হয়। এতে ভারত, “সেনাদের জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ যুদ্ধে হরকাতুল আনসারের ১২০ জন বীর মুজাহিদ অংশ নেন। অপর পক্ষে ভারত সেনার হাজার খানিক সদস্য এ যুদ্ধে অংশ নেয়। একজন মেজর সহ কয়েক ডজন সৈন্য নিহত হয়। আর মুজাহিদদের পক্ষে শাহাদাত বরণ করেন, মুজাহিদ মুহাম্মাদ যাহেদ, মুহাম্মদ মুযযাম্মিল নয়ীম কাশ্মীরী ।

 

গভীর অরণ্যে আশ্রয় গ্রহন করেও জীবনের নিরাপত্তা মেলেনিঃ আসামের উদ্বাস্তু শিবিরে সশস্ত্র বোড়ো হামলা ৬০ জন মুসলমান নিহত


    আসামের অসহায় মুসলমানরা প্রাণভয়ে নিজেদের বাস্তুভিটা ছেড়ে গভীর অরণ্যে পালিয়ে গিয়েও রেহাই পায়নি। উপজাতীয় সশস্ত্র বোড়োরা গভীর রাতে পুলিশ প্রহরাধীন উদ্বাস্তু শিবিরে হামলা চালিয়ে ৬০ জন মুসলমানকে নির্মমভাবে  গুলী করে হত্যা করেছে। উল্লেখ্য, এ মুসলমানরা সবাই বাংলাভাষী । এএফপি, বিবিসি ও তাস জানায় সশস্ত্র বোড়ো উপজাতীয়দের সহিংস হামলা থেকে প্রাণ বাঁচানোর জন্য সংখ্যালঘু মুসলমানরা ঘর-বাড়ী ছেড়ে গত সপ্তাহে ভুটান সীমান্তবর্তী মানাস ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের কাছে উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়। ১০টি শিবিরে প্রায় ২১ হাজার উদ্বাস্তু আশ্রয় গ্রহণ করে।
       পুলিশ সূত্রে বলা হয়, শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে প্রায় ১৫ জন সশস্ত্র বোড়ো বরপেটা চেজরার বাশবাড়ি উদ্বাস্তু শিবিরে হামলা চালায়। তারা হালকা মেশিনগান ও একে-৪৭ রাইফেল থেকে ঘুমন্ত উদ্বাস্তুদের উপর নির্বিচারে গুলী চালাতে শুরু করে। হতচকিত মুসলমানরা প্রাণ ভয়ে এদিকে সেদিক দৌড়ে পালাতে থাকে। বোড়োরা পিছু ধাওয়া করে তাদের হত্যা করে। এ হামলায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ৬০ জন নিহত ও ১শ' জন আহত হয়। তবে পুলিশ জানায়, এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে ।
হামলার সময় উদ্বাস্তু শিবির প্রহরায় নিয়োজিত পুলিশরা প্রায় সবাই ভয়ে পালিয়ে যায়।

 

ভারতে মুসলমান সৈন্যদের জন্য জুম’আর নামাজ পড়া নিষিদ্ধ


 ভারতের সেনাবাহিনীতে মুসলিম সৈনিকদের জন্য শুক্রবারের জুম’আর নামাজ আদায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। “ভারত সরকারের অধীনে কর্মরত মুসলিম কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা দান” শীর্ষক সেনাবাহিনীর এক সার্কুলারে এতদসংক্রান্ত নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লক্ষেনৗ থেকে গত ২ জুন লেঃ কর্নেল দেশবন্দে এই নির্দেশ জারি করেন। ঐ নির্দেশে বলা হয়েছে, “ভারত সরকারের অধীনে কর্মরত মুসলমান কর্মচারীদের শুক্রবারে জুম’আর নামাজ পড়ার জন্য দিনের প্রথমভাগে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটি দেয়ার যে সরকারী ধিান ছিল, তা সংশোধন করা হলো এবং নামাজ আদায়ের যে সুযোগ দেয়া হতো, তা বাতিল করা হলো এবং সেনাবাহিনীর সদর দফতরের ৮৫৪৪৭ নং নির্দেশ মোতাবেক বিশেষ সুবিধা (নামাজ আদায়ের জন্য) রহিত করা হলো।” এ নির্দেশে আরো বলা হয়েছে, “এ বিষয়ে বর্তমানের নীতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এই নির্দেশের ফলে শুক্রবারে মুসলমান সৈনিকরা জুমআর নামাজ পড়ার জন্য যে ঘন্টাখানেক ছুটি পেতেন, তা বাতিল করা হয়েছে। এই নির্দেশ ভারতের সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়কে বিচলিত করেছে এবং এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত হয়েছে।

 

কুয়েতের দেওয়ানী আইনসমূহ ইসলামীকরণ করা হচ্ছে


কুয়েতের দেওয়ানী আইনসমূহ ইসলামীকরণের বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার জনা মন্ত্রী পরিষদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবেন। স্থানীয় একটি ইংরেজী দৈনিক এ খবর দিয়েছে। কুয়েত সিটি থেকে সিনহুয়া। দৈনিক আরব টাইমস ক্যাবিনেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আবদুল আজীজ আল দাখিলের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, তিনি বলেছেন, কুয়েতের আমীর শেখ জাবের আল সাবাহ’র কাছে এই ইসলামীকরণের বিষয়টি পেশ করা হয়েছে এবং তিনি তা প্রয়োজনীয় সংশোধনীর জন্য মন্ত্রী পরিষদের কাছে পাঠিয়েছেন।
      আবদুল আজিজ আল দাখিল বলেছেন, দেওয়ানী আইনসমূহের ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বাস্তবায়ন বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এই বিষয়টি প্রস্তুত করেছে। ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে কুয়েতের আমীর কুয়েতে বিদ্যমান সকল আইন পর্যালোচনা করে দেখা এবং পরবর্তীতে এই আইনসমুহকে কিভাবে ইসলামীকরণ করা যায়, তার সুপারিশ তৈরীর লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করেন।
      দাখিল জানান, কমিটি দেওয়ানী আইন নিয়ে কাজ শুরু করে কারণ দেওয়ানী আইনই' অন্যান্য আইনের প্রধান সূত্র। প্রতিমন্ত্রী জানান, কমিটি দেওয়ানী আইনের পর্যালোচনা সম্পন্ন করেছে এবং কিভাবে এই আইনসমূহকে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী প্রবর্তন করা যেতে পারে, সেই সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েছেন।
      মন্ত্রী জানান, জাতীয় পরিষদের অনুমোদনের, জন্য পাঠানোর আগে মন্ত্রী পরিষদ সংশোধনীসমূহ পর্যালোচনা করে দেখবেন। তিনি জানিয়েছেন, আমীর কুয়েতে, যত শিগগির সম্ভব ইসলামী শরীয়ত বাস্তবায়ন করতে আগ্রহী ।

 

কোরিয়ায় ইসলামের বিকাশ


     সিউলের কেন্দ্রীয় মসজিদের অষ্টাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে উক্ত মসজিদে “কোরিয়া ও বিশ্বে ইসলাম” শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে ৫জন কোরিয় ইসলামী চিন্তাবিদ ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদ্বয় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
      পরলোকগত প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং হি-এর দানকৃত ভূমিতে ইসলামী দেশগুলোর আর্থিক সহায়তায় নির্মিত এই মসজিদটি ১৯৭৬ সালে উদ্বোধন করা হয় এবং এর পর থেকে মসজিদটি কোরিয়ায় ইসলাম প্রচারের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে আসছে।
   মিঃ লি বলেন, “ইসলাম প্রথমে আমাদের  কাছে আসে সংস্কৃতি হিসেবে: ধর্ম হিসেবে নয়।” ইসলামের বাণী আরব বণিকদের মাধ্যমে চীনের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক পথে আসে। অধ্যাপক লি বলেন, বিভিন্ন স্থাপত্যকর্ম সঙ্গীত, শিল্প ও হস্তশিল্পে ইসলামের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। কনফুসিয়াস ও বুদ্ধের মতবাদের ফলে পঞ্চদশ শতকে ইসলামের প্রভাব কমে যায় এবং এ অবস্থা বিংশ শতক পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। অধ্যাপক লি বলেন, আজকের কাজ হচ্ছে কোরিয়া ও মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের সঠিক চিত্র তুলে ধরা এবং ইউরোপীয় লেখকদের লেখার মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে কোরিয়ার মানুষের মনে যে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হয়েছে, তা সংশোধন করা । (কোরীয় দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 2 মিলি বলেন, ইসলাম থয জামানের)

 

আলজিরিয়ায় ইসলাম পন্থীদের গোপন ঘাটিতে বিমান হামলা


      গত.বছরের বসন্তে কারাগার থেকে যে ৯ জন বন্দী পালিয়ে গিয়েছিল সম্প্রতি এক বিমান হামলায় তারা পর্বতে তাদের গোপন আস্তানায় নিহত হয়েছেন। আলজিরিয়ার কর্তৃপক্ষ একথা ঘোষণা করেছে।
 ২ জন প্রহরীকে কয়েক ডজন ইসলামী হুকুমতপন্থীর সহযোগী বলে মনে করা হচ্ছে। গত মার্চ মাসে যেসব ইসলামী হুকুমতপন্থী তাজলাতে কারাগার ভেঙ্গে পালিয়ে যায় তাদের সহযোগী দু'জন কারারক্ষীও এই বিমান হামলায় নিহত হয়। কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত সপ্তাহের অভিযানে যে ২১ জন ইসলামী ছুকুমতপন্থী নিহত হয় তাদের মধ্যে এসব লোক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে!
      কর্তৃপক্ষ এই অভিযানের সুনির্দিষ্ট তারিখ অথবা নিহতদের পরিচয়ের কথা বলেনি। বিমান হামলা এমন এক অঞ্চলে হয়েছিল যেখানে সেনাবাহিনী টহল দিতে দ্বিধা করে। কারাগার তাদের সংখ্যা ১শ' এ উন্নীত হয়েছে। বাকী ২শ' ৫০ জনকে পুনরায় আটক করা হয়েছে। কারাগার ভেঙ্গে কত জন পালিয়ে গিয়েছিল কর্তৃপক্ষ কখনও তা বলেনি। সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ইসলামী হুকুমতপন্থীরা যে সাহসী হামলা চালায় এটা হচ্ছে তার অন্যতম। এই হামলার পর ৪শ' থেকে ১ হাজারেরও বেশী বন্দী পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পবিত্র রমযান মাসে কারাগারের উপর এই হামলা চালানো হয়। এই হামলার সময় কারাগারের অধিকাংশ কর্মচারী সেখানে উপস্থিত ছিল না। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত প্রায় ১শ' বন্দীকে মুক্ত করা এই হামলার লক্ষ্য ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বিমান হামলায় ১ জন প্রহরী নিহত ও ৪ জন আহত হয়। ৭ জনকে আটক করা-হয় এবং তারা নিহত হয় বলে মনে করা হচ্ছে। এদের লাশ পাওয়া যায়নি। হামলাকারীদের সাহায্য করেছে বলে কর্তৃপক্ষ ২ জনকে চিহ্নিত করেছে। একটি সামরিক অভ্যুত্থান ১৯৯২ সালের জানুয়ারী মাসে আলজিরিয়ার প্রথম বহুদলীয় নির্বাচনে ইসলামী স্যালভেশন ফ্রন্টের বিজয়কে ছিনিয়ে নেয়ার পর থেকে ইসলামী হুকুমতপন্থীরা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সংগ্রাম করছে। এতে অন্ততপক্ষে ৪ হাজার লোক নিহত হয়। ইসলামী হুকুমতপন্থীদের নির্বাচনে বিজয়লাভ করতে দেয়া হলে আলজিরিয়ার অবস্থা ভাল হবে, ইটালীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনিও মার্টিনোর একথা বলার পর গত বুধবার কর্তৃপক্ষ আলজিরিয়ায় নিযুক্ত ইটালীর রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠান। মার্টিনোর মন্তব্যের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য রাষ্ট্রদূত প্যাটরিজিও ন্মিওলিনোর প্রতি আহবান জানানো হয়। ফরাসী পত্রিকা লা মান্ডের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মার্টিনো এ মস্তব্য করেন। 
       আলজিরিয়ার বন্দরে ৭ জন ইটালীয় নাবিককে হত্যা করায় প্রায় দুই সপ্তাহ পর মার্টিনোর একথা বলেন। গত ১০ মাসেরও বেশী সময় সেখানে ইসলামী হুকুমতপন্থীদের হাতে ৫১ জন বিদেশী নিহত হয়। মার্টিনো বলেন, আমি উপলব্ধি করেছি 'আলজিরীয়' সরকারের বৈধতার সংকট রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনে হেরেছে এবং নির্বাচনের ফলাফল ছিনিয়ে নিয়েছে। সামরিক সমর্থনপুষ্ট সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জনে অসমর্থ হয়েছে। সরকার অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার ও গণতান্ত্রিক সংস্কারকে এগিয়ে যেতে অথবা সংঘর্ষ বন্ধ করতে অসমর্থ।

 

পাক আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইসলাস অবমাননার অভিযোগ


     পাকিস্তানের ইসলামী হুকুমতন্থীরা প্রধানমন্ত্রী বে-নজীর ভুট্টোর আইনমন্ত্রীর মাথার বিনিময়ে ৪০ হাজার ডলার পুরষ্কার দেয়ার প্রস্তাব করেছে। ইসলামী হুকুমতপন্থীরা বলেছেন, এই আইন মন্ত্রী তাদের ধর্মের অবমাননা করেছেন! খবর এপি'র।
      পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী ইকবাল হায়দার এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এপিকে বলেছেন, তার  মাথার বিনিময়ে ইসলামী হুকুমতপন্থীরা অর্থ দেয়ার প্রস্তাব করেছে। পাকিস্তানের ব্লাসফেমী আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীর কারণে ইসলামের অবমাননা করার জন্য ইসলামী হুকুমতপন্থীরা হায়দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ব্লাসফেমী আইনে পাকিস্তানের কারাগারে শত শত লোককে  আটক রাখা হয়েছে। এদের অধিকাংশ হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সদস্য অথবা খৃস্টান। ইকবাল হায়দার বলেন, আমরা ব্যক্তিগত শক্রতার কারণে এই আইন প্রয়োগের ব্যাপারে লোকদের নিবৃত্ত করতে চাই। তিনি বলেন, অনেকের বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

কাশ্মীরে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে১শ' ৭৪ জন আর্মি অফিসারের শাস্তি


      ভারত সরকার কাশ্মীরে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে ১শ" ৭৪ জন সেনা ও আর্মি অফিসারকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে। তারা সেখানে মুসলিম-মুজাহিদের ওপর হামলা চালাতে গিয়ে মানবাধিকার লংঘন করে বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। খবর এপি'র।
     ভারত সরকার অবৈধ গ্রেফতার ও আটকাবস্থায় সন্দেহ্ভাজন হত্যা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে-এ মর্মে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত সরকার সেনা ও আর্মি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।
     পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ৩ জন কর্মকর্তা ও ৭০ জন সৈন্যকে ১০ বছরের জেল দেয়া হয়েছে এবং ২০ জনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদের সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য জেল, সাময়িকভাবে চাকরি থেকে অপসারণ ও পদোন্নতি বন্ধ রাখা হয়। এতে দেখা গেছে, সীমান্তরক্ষী বাহিনী সবচেয়ে বেশী অপরাধ করেছে।
      গত ৭ জুলাই প্রকাশিত এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সর্বোশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই কাশ্মীরে মুসলিম-মুজাহিদদের ওপর অত্যাচার ও অমানবিক নির্যাতন চালায়। গত চার বছরের সংঘর্ষে ৯ হাজার ৪শ'রও বেশী লোককে সেখানে হত্যা করা. . হয়।
     কিন্তু গত বছর ভারত সরকার কাশ্মীরে মানবাধিকার উন্নত করার চেষ্টা করে এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটিকে কাশ্মীর পরিদর্শনে অনুমতি দেয়।
গ্রন্থনায়ঃ ফারূক হোসাইন খাঁন ও আসাদুল্লাহ