মালিতে ক্রুসেডারদের মুসলিম নিধনের নীল নকশা
ও
মুমিনদের যথাযথ পদক্ষেপ
শাইখ আবু দুজানা আল-কাসিমি হাফিজাহুল্লাহ
অডিও বার্তা
*******************************************************************************************************************
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মালির অধিবাসী ও দখলদার ক্রুসেডারদের মধ্যকার চলমান এই যুদ্ধ মূলত হক ও বাতিলের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কুরআনের ধারকদের বিরুদ্ধে ক্রুশপূজারীদের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ পুণ্যবানদের সাথে তাগুত বাহিনীর যুদ্ধ। দিন যত যাচ্ছে এই যুদ্ধ ততই প্রকট আকার ধারণ করছে এবং নানা প্রতিকুলতা সত্ত্বেও আমাদের মুজাহিদিনরা সাহস ও দৃঢ়তার সাথে তাদেরকে মোকাবেলা করে যাচ্ছে। এই পথে তারা তাদের সকল প্রিয় ও মূল্যবান আসবাব একমাত্র আল্লাহর জন্য বিলিয়ে দিচ্ছে। আর এভাবেই (সব কিছু বিলিয়ে) পূর্বপুরুষদের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে গণ্য হচ্ছে। (এ হলো দুই চির প্রতিদ্বন্দী যারা একে অন্যের উপর তাদের কর্তৃত্ব স্থাপনে সচেষ্ট।) বিগত ৬ বছর ধরে চলে আসা এ যুদ্ধের প্রথম থেকেই শত্রু বাহিনীর একটি লক্ষ্য ছিল এ অঞ্চলে স্থলপথে একটি সামরিক বিজয় লাভ করা এবং সাথে সাথে রাজনৈতিক বিজয়ও। তাদের আরও একটি নোংরা লক্ষ্য ছিল এখানকার সাধারণ মুসলিমদের অন্তরে বিষাক্ত মতবাদগুলো প্রবেশ করানোর মাধ্যমে মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে তাদেরকে বিদ্বেষী করে গড়ে তোলা। এরপর তাদেরকেই আবার মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত করা। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ পাকের শুকরিয়া যে তিনি কুফফারদের সকল পরিকল্পনাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দিয়েছেন । আমরা এখন মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে নেওয়া এই তাগুতদের নোংরা পরিকল্পনা গুলো মুসলিম উম্মাহর সামনে তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ্।
প্রথমত, মালির রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থাকেন এমন প্রত্যেকেই জানেন, দখলদার ক্রুসেডার শত্রুসেনারা এখানে দখল করার প্রথম থেকেই এখানকার মানুষদের মধ্যে জাহিলিয়তের জামানার মত আসাবিয়াত (গোত্রপ্রীতি) ও নিজ গোত্রের স্বার্থে অন্য গোত্রের লোকদের অন্যায় ভাবে রক্তপাত করার বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করা শুরু করে। তারা খুব সাবধানে জাহিলিয়ার এই ধারণাগুলো এখানকার মানুষদের মধ্যে প্রবেশ করায়। তাদের লক্ষ্য ছিল গোত্রগুলোর মধ্যে এমনভাবে যুদ্ধ লাগিয়ে দেওয়া যেন তারা নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করতে করতে শেষ হয়ে যায় এবং দখলদার আগ্রাসী সৈন্যদের দিকে কোন মনোযোগ না দেয়। তারা গোত্রে-গোত্রে যুদ্ধকে বেগবান করার জন্য সকল ধরণের সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছিলো। এই যুদ্ধকে তারা এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল যেন যে হত্যা করছে সে জানবে না কেন হত্যা করেছে আর যে হত্যার স্বীকার হয়েছে সেও জানবে না কেন তাকে হত্যা করা হল। এই পরিকল্পনা সফল হলে মুসলিমরা এক অপরিমেয় দুর্ভোগে পতিত হতো। লা হাওলা ওয়া’লা কু’য়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
এরপর মালির মুজাহিদিনরা পারস্পরিক যুদ্ধে লিপ্ত এসকল গোত্রগুলোকে একত্রিত করার এক মহান পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। আল্লাহ্ তা’আলা তাদের এই প্রশংসিত পদক্ষেপে বারাকাহ দান করেন। এরফলে একদিকে দীর্ঘদিনের বিভেদ ভুলে গোত্রগুলো একত্রিত হয়ে একটি মাত্র জামায়াতে পরিণত হয়। অপরদিকে একই সময়ে মুজাহিদিনদের ছোট ছোট দলগুলো এক পতাকাতলে বাইয়াহ বদ্ধ হয়। মুজাহিদিনরা তাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফলে গোত্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয় এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর যুগের আওস ও খাজরাজ গোত্রের ন্যায় মালির বিভিন্ন গোত্রের মুসলিমরা একে অন্যের শত্রু থেকে ভাইতে পরিণত হয়। ফলশ্রুতিতে কুফফাররা যে পরিকল্পনা করেছিলো তার উল্টোটা ঘটতে দেখে। তারা দীর্ঘসময় ধরে অনেক পরিশ্রম ও অর্থের বিনিময়ে যে পরিকল্পনা দাড় করিয়েছিল তা তাদের চোখের সামনেই ভেস্তে যায়। যেমন নাকি জাদু স্বয়ং জাদুকরেরই বিরুদ্ধে চলে গেল। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন।
দ্বিতীয়ত, যে বিষয়টি আমরা উম্মাহর সামনে তুলে ধরতে চাই তা হচ্ছে এই দখলদার কুফফারদের “MOC Project” বা ‘যৌথ মহড়া’। এই প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল মালির সন্তানদের মধ্যে থেকে তুলনামূলক কম সচেতন বা ইসলামিক জ্ঞানের স্বল্পতা রয়েছে এমন যুবকদের সংগ্রহ করে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা। অতঃপর মালির এই সন্তানদের মালির অন্য মুজাহিদিন সন্তান যারা তাদের ভাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মুখোমুখি করা । যখন থেকে কুফফাররা এই পরিকল্পনা হাতে নেয় এবং তা প্রয়োগ করা শুরু করে তখন থেকেই মুজাহিদিনরা বারবার এই প্রোজেক্ট এর বিপরীতে জনগণের সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। তারা বার বার এই ঘৃণ্য প্রোজেক্ট-এ উম্মাহের যুবকদের যোগদান করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে। এটা একেবারেই পরিষ্কার যে এই বাহিনীতে যোগদান করা মানে এই কুফফাদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। আর তাই মুজাহিদিনরা এই ব্যাপারে গোত্রগুলোর প্রধান ও বিশিষ্ট জনদের নিকট নানান সময়ে উপদেশ, নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা- বিশ্লেষণ পৌঁছানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। মুজাহিদিনদের নিরলসভাবে কুফফারদের চক্রান্তের নানান প্রমাণ ও হুসিয়ারির ফলে একসময় তার ফলাফল আসতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের ভাই আবদুল হামিদ আল-আনসারি (আল্লাহ্ তাকে কবুল করুন) GAO তে অবস্থিত কুফফারদের প্রধান সৈন্য ব্যারাকে একটি বরকতময় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালান। এতে কুফফারদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৈন্য নিহত ও আহত হয়। এই হামলায় তারা এমন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় যে বাধ্য হয়ে তারা মালির খ্রিষ্টানদের সাথে ঐক্য গড়ে তুলে। এর ফলে তারা মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে সাধারণ মুসলিমদের মুখোমুখি করার যে চক্রান্ত করেছিলে তা বন্ধ হয় এবং কার্যত তাদের চক্রান্ত তাদের বিপরীতেই কাজ করে। তারা এখন তাদের ভাড়াটে বিদেশি সৈনিকদের আবার এই প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছে এবং এর মাধ্যমে তারা তিম্বুকতু ও কিদালে তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে চাচ্ছে।
তাই আমরা কুফফারদের এই হীন কাজে যারা যোগদান করেছে বা যোগদানে সাহায্য করছে এমন ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আপনারা আল্লাহকে ভয় করুন। আল্লাহর কাছে আপনার কৃত ওয়াদার কথা স্মরণ করুন। আল্লাহর পাকরাও কে ভয় করুন। দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের ঈমান খুব অল্প মুল্যে বিক্রয় করার আগে একবার চিন্তা করুন। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের চাইতে চিরস্থায়ী আখিরাতের জীবনকে প্রাধান্য দিন। আপনাদের খুব ভাল ভাবে একটা বিষয় খেয়াল করতে হবে যে এই প্রোজেক্টে অংশ গ্রহণ করা মানে কুফফারদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ও দ্বীন ইসলাম থকে বের হয়ে যাওয়া। এই কাজ আপনাদেরকে মুরতাদে পরিণত করবে। এই বিষয়টি আমাদের জামায়াতের ডেপুটি আমির ইতিপুর্বে তার “ শীঘ্রই তোমরা আমার কথাগুলো অনুধাবন করতে পারবে” নামক বিবৃতিতে ব্যাখ্যা করেছেন।
তৃতীয়ত, এই অযোগ্য দখলদার বাহিনী যে কোন মুল্যে দ্রুত একটি বিজয় পাওয়ার জন্য হন্য হয়ে উঠেছে। এর ধারাবাহিকতায় তারা ‘চুক্তিনামা’ নামে আরেকটা প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছে। এই প্রোজেক্ট এর মূল লক্ষ্য হল মালির বিভিন্ন গ্রুপের সম্মুখ ভাগের সৈন্যদের ও বিভিন্ন গোত্রের অধিবাসীদের তারা তাদের নিকট অস্ত্র সমর্পণের আহবান জানাচ্ছে। অস্ত্র সমর্পণের পর তারা তাদেরকে তাদের নিয়ম- নীতি মেনে চলার অঙ্গিকার নেওয়ার পর তাদেরকে অফিসিয়ালি নিবন্ধিত করছে। এরপর তাদেরকে তাদের নিজস্ব সেনাবাহিনীতে তাদের অধীনে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এখানে দখলদার কুফফাররা বিভিন্ন গ্রুপের সম্মুখভাগের সৈন্য ও গোত্রগুলোকে দুইটি রাস্তার যে কোন একটিকে বেঁছে নিতে বাধ্য করছে। হয় দখলদারদের হয়ে নিজের ধর্ম ও ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা অথবা তাদের কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে তাদের জুলুমের স্বীকার হওয়া।
আমার মুসলিম ভাইয়েরা ও সম্মানিত গোত্রের সন্তানেরা, আল্লাহ্ মানবজাতিকে সৃষ্টি করার পর তাদেরকে দুই দলে ভাগ করে দিয়েছেন। একদল মুসলিম অপরদল কাফের।
“তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছে, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফের এবং কেউ মুমিন। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন।”- সূরা তাগাবুন-২
একজন মুসলিম যে সাক্ষ্য দান করে ‘আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল’ সে কখনোই কোন কাফেরের পদাংক অনুসরণ করবে না। যারাই আল্লাহর শত্রুদের পদাংক অনুসরণ করবে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ্ তার সিদ্ধান্ত কুরআনে জানিয়ে দিয়েছেন।
“হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।” - সূরা মায়িদাহ-৫১
যে কুফফারদের নিজের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে সে তাদের একজন বলেই গণ্য হবে। তাহলে কিভাবে একজন বিবেকবান মানুষ আল্লাহর সিদ্ধান্ত জানার পরও যারা তাদের বাবা ও ভাইদের হত্যা করেছে এবং তাদের সম্মান ও ভুমির সম্মান লুণ্ঠন করেছে তাদের কাছে অস্ত্র জমা দিতে পারে? হে ভাইয়েরা, আপনারা কিভাবে মালির আর্মি বাহিনীর অত্যাচারের কথা ভুলে গেলেন? আপনাদের মনে নেই কিভাবে তারা আমার নিরস্ত্র ভাইদের কুয়া ও আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করেছিলো? আপনাদের মনে নেই কিভাবে তারা আমাদের মুরুব্বিদের বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিয়েছিল ? তাদের সবচাইতে বড় অপরাধ হল তারা দখলদারদেরকে এই ভুমিতে প্রবেশ করে এখানকার মানুষদের উপর জুলুম চালানোর সুযোগ দিয়েছে। তাদের এই অন্যায়ের কথা কি আপনারা ভুলে গিয়েছেন? এই দখলদাররা আসার পর থেকে এই ভুমির মানুষদের কখনোই শান্তিতে থাকতে দেয়নি। মালির সরকার বা আর্মি বাহিনী এখানকার মুসলিমদের জন্য কি করেছে? তারা কি মুসলিমদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে? নাকি তারা মুসলিমদেরকে অন্ন, বস্ত্র, ঔষধ বা বিদ্যুৎ এর কোনটা দিয়েছে?
হে মুসলিমগণ! যে সকল নেতারা গতকালের শত্রুকে আজকের দিনের বন্ধুতে রূপান্তরিত করেছে তাদের ব্যাপারে সাবধান হোন। তাদেরকে অনুসরণের ব্যপারে আল্লাহকে ভয় করুন। তারা শরিয়তের মূলনীতি অনুসরণ না করে নিজেদেরকে জালেমদের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছে। অন্যায় বন্ধ হয়নি। এই নেতারা এখন জুলুমবাজদের সাথে যোগ দিয়েছেন। নির্বাচনে তাদেরকে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে জুলুমকারিদের নির্বাচিত করছেন। অতঃপর এই প্রেসিডেন্টদের তার নিজের ভূমি ও মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার পরও তাদের কাজে বাহবা দিচ্ছেন। তাদের অন্যায় কাজে বাহবা জানানোর মাধ্যমে তাদেরকে আরও অন্যায় কাজ করার উৎসাহ দিচ্ছেন। আর এভাবেই তারা খুব অল্প কিছুর বিনিময়ে নিজেদেরকে বিক্রয় করে দিয়েছেন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন-
“.............তারা বলেঃ আমরা আশঙ্কা করি, পাছে না আমরা কোন দুর্ঘটনায় পতিত হই। ..........” [সূরা মায়েদাহ- ৫২]
হে বিচক্ষন মুসলিম, বর্তমানে মালির মুসলিমরা কি পরিমাণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে একবার ভেবে দেখুন। এখানে উপস্থিত সকলেই মুখে মুখে বলে যে তারা মালিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় তবু আজ এতগুলো বছর পরেও ফ্রান্স, MINSUMA বা মালির আর্মির কেউই এখানে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে নি। আল্লাহ্ তা’আলা শান্তি প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি আমাদের বলে দিয়েছেন। তিনি কুরআনে বলেন-
“যারা ঈমান আনে এবং নিজের বিশ্বাসকে শিরকের সাথে মিশ্রিত করে না, তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই সুপথগামী।” [সূরা আন’আম-৮২]
একবার খেয়াল করে দেখুন এই বাহিনীগুলো এত বছর চেষ্টা করেও যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি সেখানে মুজাহিদিনরা কিভাবে মাত্র অল্প কয়েকদিনেই অল্প কিছু আসবাবের দ্বারা এখানে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন।
হে মুসলমান! শুধুমাত্র ঈমানের ভিত্তিতে যে সম্পর্ক গুলো প্রতিষ্ঠিত সেগুলোতে আস্থা রাখুন। এমন মানুষদের উপর বিশ্বাস রাখুন যারা দুনিয়ার নশ্বর জীবনের চাইতে আখিরাতের চিরস্থায়ী জীবনকে প্রাধান্য দেয়। তাদের উপর আস্থা রাখুন যারা কুরআনের অনুসারী। যারা মজলুমের পক্ষ নিয়ে লড়ায়ের পথে নিজেদের উৎসর্গ করেছে তাদের উপর বিশ্বাস রাখুন। যারা জীবনের সকল ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক চলার চেষ্টা করে তাদেরকে অনুসরণ করুন। যারা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাদের উপড় আস্থা রাখুন। কুফফার ও জুলুমকারিদের নোংরা প্রোজেক্ট ও চক্রান্তের ব্যপারে সজাগ থাকুন। কারণ তারাই শয়তানের পথের অনুসারী। আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন-
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে। যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ কখনও পবিত্র হতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন। আল্লাহ সবকিছু শোনেন, জানেন।” [সূরা আন-নুরঃ ২১]
পরিশেষে, যে বা যারাই আল্লাহ্ তা’আলার দেখানো পথে তার নির্দেশ অনুসারে ইখলাসের সাথে লেগে থাকবে আল্লাহ্ তাকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানে বিজয় ও সম্মান দান করবেন। আল্লাহ্ তার দ্বীনকে অবশ্যই সমুন্নত করবেন ও এই দ্বীনের অনুসারীদেরকে সাহায্য করবেন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন-
“আল্লাহর প্রতিশ্রুতি হয়ে গেছে। আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি খেলাফ করবেন না। কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না।” [সূরা আর-রুম-৬]
সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের মালিক আল্লাহর জন্য।
**********************************