গণতন্ত্র সেক্যুলারিজমের জারজ প্রোডাক্ট || গণতন্ত্র কুফফারদের খেজুরের তৈরি মূর্তি

Statement 1 : আধুনিক পার্লামেন্টারী গণতন্ত্র হচ্ছে সেক্যুলারিজমের জারজ প্রোডাক্ট।

Statement 2 : গণতন্ত্র হচ্ছে কুফফারদের ‘খেজুরের তৈরি মূর্তি’।

গণতন্ত্র সম্পর্কে উপরের দুটি Statement এর ১মটি Theoretical এবং ২য়টি Practical..

Justification: ১ নং Statement নিয়ে আগে বলি। Secularism শব্দের বঙ্গানুবাদ করা হয়েছে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা‘ যেটা একটা ডাহা মিথ্যা এবং সূক্ষ্ম প্রতারণা। প্রকৃতপক্ষে Secularism এর অর্থ হওয়া উচিত ‘ধর্মহীনতা’।

মূলত Secularism বলতে ২টি Concept কে বুঝায়- 1. Naturalism 2. Rationalism

অর্থাৎ Secularism = Naturalism + Rationalism

নাস্তিক্যবাদী চিন্তাধারার প্রসারের সাথে সাথে দুটো প্রশ্ন গাঢ় হতে লাগলো।

প্রথমত, বিশ্বজগত কিভাবে সৃষ্টি হল?? ধর্মতাত্ত্বিকরা ধর্মগ্রন্থের আলোকে ব্যাখ্যা দিলো। কিন্তু নাস্তিক সেক্যুলাররা তো আর তা মেনে নিতে পারে না। তাই তারা প্রস্তাব করলো Naturalism মতবাদের। এই মতবাদের সারকথা হল স্রষ্টা বলে কিছু নেই, Nature নিজে নিজেই পরিপূর্ণ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ।

২য় যে প্রশ্নটি আসলো তা হল সমাজ রাষ্ট্রের আইন কিভাবে তৈরি হবে?? ধার্মিকরা না হয় ধর্মগ্রন্থ ফলো করে। নাস্তিকরা কি করবে?? নাস্তিকরা মীমাংসা দিল যে তারা তাদের বুদ্ধিবৃত্তি ও যুক্তি কাজে লাগিয়ে আইন তৈরি করবে, কোন Holy Scripture এর ধার ধরবে না। এটাকে বলা হয় Rationalism. এই Rationalism প্রয়োগ করে সমাজের আইন তৈরির কারখানাই হল আধুনিক পার্লামেন্ট, যেখানে MP দের হ্যাঁ-না-সংখ্যাধিক্যই হল আইন তৈরির প্রক্রিয়া। কাজেই বুঝা গেল Secularism হল নাস্তিকতাবাদের জারজ প্রোডাক্ট, আর আধুনিক পার্লামেন্টারী গণতন্ত্র হল Secularism এর জারজ প্রোডাক্ট।

২নং Statement টি বেশ কৌতূহলীদ্দীপক।

জাহেলী যুগে উমার (রাঃ) একদিন কোথাও যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাঁর পূজা অর্চনা করার ইচ্ছে হল। কিন্তু আশেপাশে কোন মূর্তি পেলেন না। অগত্যা খেজুর দিয়ে মূর্তি তৈরি করলেন। তারপর অঢেল ভক্তি শ্রদ্ধা নিয়ে পূজা-অর্চনা করলেন। কিছুক্ষণ পর ক্ষুধা লাগলো। তখন তিনি সেই মূর্তিটিই (??) ভেঙে খেয়ে ফেললেন!! এটাই হচ্ছে কুফফারদের খেজুরের তৈরি মূর্তি, যখন ইচ্ছা তারা এটাকে ভক্তি করে, পূজা করে, নিজেকে নিবেদন করে আবার যখন ইচ্ছে হয়, যখন প্রবৃত্তি তাড়না দেয়, তখন এটাকে খেয়ে ফেলে!! এবার আসা যাক গণতন্ত্রের ব্যাপারে। এ যমানার কুফফাররা ও তাদের প্রভু আমেরিকা দেশে দেশে গণতন্ত্রের ফেরি করে বেড়ায়। এই গণতন্ত্রকে তারা পূজা করে, অর্চনা করে। এমনকি এই গণতন্ত্রের জন্য তারা যুদ্ধও করে।

আমরা যখন বলি ‘আল্লাহ যেটা দিয়েছেন, সেটাই আইন’, তখন ওরা বলে “না, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা যা দিয়েছে তাই আইন।”

[{ আল্লাহ বলেন, “আম লাহুম শুরাকায়ু শারায়ু লাহুম মিনাদ দ্বীন মা লাম ইয়াহযান বিহিল্লাহ” অর্থাৎ “তাদের কি এমন কতগুলো শরীক (উপাস্য/বিধানদাতা) আছে যারা তাদেরকে এমন কতগুলো বিধান দিয়েছে যার নির্দেশ আল্লাহ দেন নি???” (সূরা আশ শূরা : ২১) }]

*** আমাদের বিধানদাতা আল্লাহ আর ওদের বিধানদাতা পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠতা!!

কিন্তু যখন দেখা যায় ওদের ফর্মুলা মেনেই ইসলামপন্থীরা ক্ষমতায় আসে, যখন ওদের পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও ইসলামী শরীআকে সাপোর্ট করে, তখন ওরা তাদের পূজিত গণতন্ত্রকে খেজুরের মূর্তির মতো চিবিয়ে খেয়ে ফেলে!! তখন ওরা ওদের ব্যালটের উপাস্যকে মনে রাখে না, মনে রাখে না ওদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার উপাস্যকে!! ঠিক এ ঘটনাই ঘটেছে আলজেরিয়া ও মিশরে। এ কারনেই শাইখ আইমান আল জাওয়াহিরি হাফিঃ বলেছেন- “গণতন্ত্র হল কুফফারদের খেজুরের তৈরি মূর্তি, যখন খুশি তারা এটাকে পূজা করে আবার যখন খুশি তারা এটাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে!!

শাইখ আইমান আল জাওয়াহিরি হাফিঃ এর লেখা ‘শুকনো খেজুর দিয়ে তৈরী গণতন্ত্রের মূর্তি’ বইটি ডাউনলোড করুন-

http://www.pdf-archive.com/2014/02/2...tontrer-murti/