বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের তৎপরতা
=================================================
ফিলিস্তিনী মুজাহিদরা দুই জন ইহুদী সৈন্যকে হত্যা করেছে :
ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ২৪ শে অক্টোবর এক বিবৃতিতে দাবী করেছে যে, গাজা এলাকায় তাদের মুজাহিদরা দু'জন ইসরাঈলী সৈন্যকে অপহরণ ও পরে হত্যা করেছে। সৈন্যদের এম ১৬ রাইফেল ও পরিচয়পত্রও তারা হস্তগত করেছে। ইসরাঈল অবশ্য হামাসের এই দাবী দতন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছে।
আইদিদের ডান্ডা খেয়ে মার্কিনীরা বেসামাল :
সোমালিয়ার অবিসংবাদিত নেতা। জেনারেল ফারাহ আইদিদের অনুগত গেরিলারা সেদেশে আগত মার্কিন সেনাদের নাজহাল করে ছেড়েছে। মার্কিনীরা এসব কালাে মানুষদের ডান্ডা খেয়ে এখন তলি তল্পা নিয়ে দেশের অভিমুখে ভেগে যাচ্ছে। জাতিসংঘের ব্যানারে যুক্তরাষ্ট্র সোমালিয়ায় বংশবদ শাসক কায়েমের জন্য সেখানে ২৫ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছিল। কিন্তু ফারাহ আইদিদ এ মার্কিনী চক্রান্ত বুঝতে পেরে তার বিরোধীতা করে। ফলে প্রায়ই তার সমর্থকদের সাথে মার্কিন সেনাদের সংঘর্ষ চলতে থাকে। পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র প্রথম প্রথম সুবিধা করলেও পরে কালাে মানিকদের হাতে মার খেতে থাকে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এমনি এক সংঘর্ষে মার্কিনীরা ২ টি গানশীপ হেলিকপ্টার ও একটি সাজোয়া যান হারায়, নিহত হয় ১৫ জন সৈন্য এবং আহত হয় ৭৮ জন। ৪ দিনের যুদ্ধ শেষে নিহতের সংখ্যা ১৯ শে দাড়ায়। বন্দী হয় আরও দুজন, নিখোঁজ হয় একজন। এ ঘটনায় মার্কিনীরা ভালােভাবেই বুঝতে পারে যে, এদেশে তাদের ঘাড়ের ভুত ঝেটিয়ে বিদেয় করার মত পাঁকা কবিরাজের উদ্ভব ঘটেছে। তাই ৩১ শে মার্চের মধ্যে পলায়নে তারিখ ঘোষণা এবং রাজনৈতিক ভাবে শান্তির জন্য চেষ্টা চালানোর ঘোষণা দিয়ে তারা কবিরাজের রোশানল থেকে রেহাই পাওয়ার পথ খুঁজছে।
কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর মসজিদ অবমাননা, বিক্ষোভ মিছিল, শহীদ ৫১, আহত শতাধিক :
কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনী এবার ঐতিহাসিক পবিত্র মাজার ও হযরতবাল মসজিদে হস্তক্ষেপ করে মুসলমানদের মনে আঘাত হেনেছে। উক্ত মসজিদে রাসূল ﷺ -এর পবিত্র কেশ মুবারক রক্ষিত থাকায় তা বিশ্ব মুসলমানের কাছে পবিত্র বলে বিবেচিত। সম্প্রতি মুজাহিদদের ধরার নামে দশ হাজার সৈন্য উক্ত মসজিদটিকে অবরোধ করে রাখে। তারা এলাকার লােকজনকে অন্যত্র সরিয়ে দেয় এবং মসজিদের সাথে টেলিফোন, পানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, মুজাহিদদের আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়। ভেতরে অবস্থানরত মুজাহিদরা সৈন্যদের এ আদেশ মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং নিশর্তভাবে সৈন্যদের অবরোধ তুলে নিতে আহবান জানায়। ভারতীয় সেনাদের এই ন্যাক্কারজনক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কাশ্মীরী জনগণ গত ২২ শে অক্টোবর শুক্রবার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং মসজিদ অভিমুখে অবরোধ ভাঙ্গার জন্য মিছিল নিয়ে অগ্রসর হয়। কিন্তু সৈন্যরা হায়েনার হিংস্রতা নিয়ে মিছিলকারীদের ওপর গুলী ছুড়ে। এতে ৫১ জন বিক্ষোভকারী শহীদ হয়। আহত হয় শত শত মুসলমান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সৈন্যদেরঅবরোধের দশমদিন চলছে।
তামিল মুসলমানদের দুর্দশার অবসান ঘটেনি :
তিন বছর পূর্বে শ্রীলংকার তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেসব মুসলমানকে সীমাহীন অত্যচার ও নিপীড়নের মাধ্যমে বাড়ী ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ছিল আজো সেসব ঘরহারা মুসলমানকে বাড়ি ঘরে ফিরে যেতে দিচ্ছে না। তারা এখনো বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিশ্ব আজ ওদের কথা সম্পূর্ণ রূপে ভুলে গেছে। ১৯৯০ সালে তামিল বিচ্ছিন্নবাদীরা ৭৫ হাজার মুসলমানকে দু’দিনের মধ্যে উত্তর শ্রীলংকা থেকে বহিষ্কার করে ছিল।
শ্রীলংকার পশ্চিমাঞ্চলের বড় বড় রাস্তার পাশে ওরা নারিকেল পাতার ঝুপড়ি বেঁধে দিনাতিপাত করছে। অগণিত কর্মক্ষম শিক্ষিত যুবক থাকলেও তাদেরকে কোন কাজ দেয়া হচ্ছে না। এমনকি কেউ যদি শিবির থেকে সামান্য সময়ের জন্য শহরে যায়, তাহলে তাঁর রেশন কার্ড বাতিল করে দেয়া হয়। সেদেশের সরকার এদের ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট ও অন্যান্য মানবিক সাহায্য সংস্তার যৎসামান্য খয়রাতের উপরই এরা এখন বেঁচে আছে। সরকারী সহযোগিতা ও তামিলদের দু’মুখী আক্রমণে পতিত শ্রীলংকার মুসলমানদের প্রতি সহনশীল কোন দায়িত্বশীল নেতা ও দেশকি বিশ্বে নেই?
যুদ্ধ বিরতি চুক্তি সত্বেও বসনিয়ায় যুদ্ধ চলছে :
বসনিয়া ও ক্রোশিয়ার প্রেসিডেন্টদ্বয় ও মিলিশিয়া কমাণ্ডারগণ যুদ্ধ বিরতিতে স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও বসনিয়ায় যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। ভিটেজ শহরে যুদ্ধ বিরতি ঘোষনার পর পরই শহরটির আশে পাশে লড়াই শুরু হয়। মধ্য বসনিয়ার শহর কিসেল বাজ থেকে জাতিসংঘের একজন তথ্য কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধ বিরতির আহবান জানান সত্ত্বেও উভয় পক্ষ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ যুদ্ধ অপরাধ কোর্টের ১১ জন বিচারপতির নির্বাচন গত শুক্রবার সম্পন্ন করেছেন। তারা সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করবেন। দু’জন মহিলা সহ ১১ জন বিচারককে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইতালী, মিসর, চীন, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও কোষ্টারিকা থেকে নেয়া হয়েছে। হেগ ভিত্তিক এ আদালতটি নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক চলতি বছর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯১ সাল থেকে যারা খুন ধর্ষণ, নির্যাতন, গোষ্ঠী নিমূল ও অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত এ আদালত তাদের বিচার করবে।
*****