JustPaste.it

কমাণ্ডার আমজাদ বেলাল

 

আল্লাহর সাহায্য আমি স্বচক্ষে দেখেছি

==================================================

 

আরশাদ আলীর প্রাণে বেঁচে যাওয়া

 

        হরকতের মুজাহিদ আরশাদ আলী ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর অস্ত্র নিয়ে ইসলামাবাদ শহরে পৌছে। সেখানে এক বন্ধুর কাছে অস্ত্র রেখে পায়ে হেটে নিজ গ্রাম পালাহ বটগাছের দিকে যাচ্ছিল। শোরিয়ারের বিরাট রাস্তা পার হওয়ার সময় হঠাৎ দু'টি ফৌজী জীপ এসে তার সামনে দাড়ায়! আরশাদ ভাবলো, দৌড়ে পালাতে চাইলে নির্ঘাত গুলি খেতে হবে। অতএব সে ভাল মানুষের মত রাস্তার এক পাশে দাড়িয়ে গেল। প্রথম জীপের সামনের সিটের এক অফিসার তাকে লক্ষ্য করে গর্জে উঠেঃ “এদিকে আয়, কি নাম তোর?”

 

        : আরশাদ আলী।

        : বাড়ি কোথায়?

        : পালাহ বটগ্রাম।

 

        অফিসার এক সিপাইকে তাকে তল্লাশী নিতে বলে। তল্লাসীতে আপত্তি কর কিছু না পাওয়া সত্ত্বেও অফিসার তাকে কানধরে মাথা নিচু করে দাড়াতে বলে। এবার আরশাদ বুকে সাহস নিয়ে বলেঃ “আমি কি অন্যায় করেছি স্যার, আমাকে কেন শাস্তি দিবেন?

 

        অফিসারঃ “আগে তোমার কার্ড দেখাও?”

 

        আরশাদঃ “আমি ট্রেনিং নিয়ে সবে মাত্র এসেছি কার্ড এখনও তৈরী হয়নি।”

 

        অফিসারঃ হারামজাদা, এক ঘুষিতে তোর মুখ ভেংছে দিব। গাধা কোথাকার। কার কাছে কি বলছিস! ভাগ এখান থেকে পিছনে তাকালেই গুলি করব।

 

        আরশাদ পরে জানায়, “আমি নিশ্চিত মনে করে ছিলাম, আমাকে সামনের দিকে দৌড়াতে বলে সে পিছন থেকে গুলি করবে। মৃত্যুর জন্য পুর্ণ প্রস্তুত হলাম। তবুও সামান্য আশা বুকে বেঁধে দ্রুত এলো মেলো দৌড়াতে লাগলাম। কিন্তু পিছন থেকে কোন গুলি এসে আমার শরীরে বিধল না। অথচ পিছনের জীপে একজন হিন্দু সি, আর, পি অফিসার বসা ছিল। [উল্লেখ্য যে, আরশাদ আলীকে তারা মুজাহিদ বলে সনাক্ত করার পরও কেন ছেড়ে দিল তার কারণ এবং সেই অফিসারের পরিচয় প্রকাশ করা বিশেষ কারণে সমীচিন নয় বিধায় গোপন রাখা হলো।]

 

        সোপুর থেকে এসে শ্রীনগরের লাল চকের নিকট ‘মাইছমা’ নামক এলাকার এক ঘরে অবস্থান নিলাম। এই মহল্লায় ইখওয়ানুল মুজাহিদের এক সাথী ট্রেনিং নিয়ে সবে মাত্র বাড়ি এসেছে। দশ বার দিন এদিক ওদিক কাটিয়ে প্রথমে যে দিন নিজ ঘরে আসে সেই দিনই গুপ্তচররা তার আগমনের খবর ইণ্ডিয়ান সৈন্যদের পৌছে দেয়।

 

        আমাদের অবস্থান থেকে পাঁচ ছ’টি ঘরের পর তার ঘর। গুপ্তচরের সংবাদ অনুযায়ী অতি ভোরে সৈন্যরা এসে তার বাড়ির গলীর মুখে অবস্থান নেয়। রাতের আধার কেটে পূর্ব আকাশ ফর্সা হওয়ার সাথে সাথে তারা মুজাহিদের ঘর ঘিরে ফেলে। সৈন্যরা ঘরের মধ্যে না ঢুকে বাইরে দাড়িয়ে মুজাহিদের নাম ধরে ডাকতে থাকে। সাধারণত ভারতীয় সৈন্যরা কাশ্মীরীদের কোন রকম অবগতি করা ছাড়াই তাদের ঘরে প্রবেশ করে। কিন্তু এখানে বিপদের আশংকা থাকায় বাইরে দাড়িয়ে তারা তাকে ডাকতে থাকে। অনাকাংখিত বিপদের মধ্যে পড়ে নবীন মুজাহিদ ঘাবড়ে যায়। পালাবার কোন পথ নেই! আর নিজ ঘরে বসে ওদের মোকাবেলা করার অর্থ ভাইবোন সবাইকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে নিক্ষেপ করা। কোন উপায় না দেখে সে ঘরের মধ্যে হা হুতাশ করতে থাকে। পাঁচ ছ’জন সৈন্য এক সুযোগে তাদের ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ঘরে প্রবেশ করে সৈন্যরা প্রথমে মুজাহিদ ও তার সাত বছর বয়সী ছোট ভাইকে শক্ত রশী দিয়ে বেঁধে ফেলে।

 

        এরপর তার দুই যুবতী বোনের ওপর ওরা হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ে। মানব সভ্যতার কলংক হিংস্র ভারতীয় সৈন্যদের উপর্যুপরি বলৎকার সহ্য করতে না পেরে দু’বোনই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে। হিংস্র হায়েনাদের তাতেও তৃপ্তি হলো না। ওরা রশি দিয়ে বাঁধা ভাইদের সামনে মৃত বোন দু’জনার হাত পা কেটে রাস্তায় নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের এই বিভৎস অত্যাচার দেখে অসহায় দু’ভাই চীৎকার দিয়ে বলতে ভাইয়েরা আমার! আমাদের বাঁচাও! সৈন্যরা আমার বোনদের কেটে টুকরো টুকরো করছে, তোমরা কেন এগিযে আসছো না? কোথায় আমার ভাইয়েরা, আমাদের বাঁচাও!

 

        আমি অনেক্ষণ ধরে জানালার পাশে দাড়িয়ে তাদের সকরুণ চীৎকার শুনতে ছিলাম। তাদের প্রতিটি আহবানে আমারা শিউরে উঠছিলাম। সাধারণত শ্রীনগরের কোন ঘরে সৈন্যরা প্রবেশ করে অত্যাচার করলেও অন্য ঘর থেকে তাদের ওপর হামলা করা হয় না। কারণ, সৈন্যরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে আসে। অপ্রস্তুত মুজাহিদরা তাদের উপর গুলি ছুড়লে পাল্টা আক্রমনের মোকাবেলা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তার উপর যে ঘর থেকে হামলা করা হয় সে ঘর ধুলিস্মাত করে দেওয়া হয়। আমি অনেক্ষণ ধরে ভাবতে ছিলাম, কি করা যায়? একটি ব্যালকনিতে দাড়িয়ে সৈন্যদের গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকি। এবার ওরা শক্ত রশি দিয়ে হাত পা বাঁধা দু’ভাইকে রাস্তার ওপর দিয়ে টেনে হিছড়ে নিয়ে যেতে থাকে। এই অমানুসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তারা দু ভাই সেই অবস্থায় চিৎকার করে বলতে ছিলো, কোথায় লুকিয়ে আছে তোমরা! ওরা আমার দুই বোনকে শহীদ করেছে। আমাদেরও হত্যা করতে নিয়ে যাচ্ছে। খোদার দোহাই তোমরা এগিয়ে আসো! আমাদের বাঁচাও। আমার মাসুম ভাইকে বাঁচাও। বোনের কর্তিত ও ক্ষত বিক্ষত উলঙ্গ লাশের ও এক মুজাহিদ ভাইয়ের আকাশ ফাটানো চীৎকার আর সহ্য করতে পারলাম না। ভবিষ্যতের কথা মুহূর্তে ভুলে গিয়ে রাইফেল তাক করে এক ব্রাশে চারজন সৈন্যকে জাহান্নামে পাঠালাম। অবস্থা বেগতিক দেখে বাকী সৈন্যরা প্রাণের ভয়ে দৌড়ে পালালো। অবলা নারীদের ওপর অত্যাচারে সিদ্ধ স্বশস্ত্র কাপুরুষরা নিজেদের অস্ত্র তুলে নেওয়ারও হিম্মত করলো না।

 

        রশী বাঁধা সেই মুজাহিদ ওই দিনের লোহ্ মার্ষক অত্যাচারের পর পাগল হয়ে গেছে। এখন সে অলি গলীতে ঘুরে আর চীৎকার করে বলতে থাকে, ওরা আমার বোনদের হত্যা করেছে। আমার বোনদের অংগসমূহ কেটে টুকরো টুকরো করে রাস্তায় নিক্ষেপ করেছে। এখনও তোমরা বসে আছো, আমাকে বাঁচাও! আমার ভাইকে বাঁচাও ইত্যাদি বলে চীৎকার করে বেড়ায়। এর পর আর ‘মাইছামা’ থাকা নিরাপদ নয় ভেবে অন্য মহল্লায় চলে আসলাম। মাইছামার অধিবাসীরা সমগ্র কাশ্মীর অধিবাসীর আজাদীর রাহবার। কাশ্মীর আজাদীর জিহাদ শুরু হয়েছে এখান থেকেই। এই মহল্লার নও জোয়ানরা সাহস, কৌশল ও বাহাদুরীতে সবার সেরা। এখানে যারা বাস করে তারা আফগানীদের বংশধর। যুগযুগ ধরে নাতিশীতোষ্ণ কাশ্মিরে বসবাস করলেও তাদের তেজ স্বভাব ও সাহস-হিম্মত সামান্য হ্রাস পায়নি। এখানকার মহিলারা পর্দানশীন। তারা বোরকা পরিধান করে। কিন্তু এতই সাহসী যে, রান্না ঘরের দা বটি নিয়ে ভারতীয় সৈন্যদের মুকাবিলায় ঝাপিয়ে পড়ে। একবার এরা দা-বটি হাতে মাঠে নেমে আসলে এক মজার দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ভারতীয় সৈন্যরা তাদের দেখে পালাতে শুরু করে আর তাদের পিছনে পিছনে দা বটি নিয়ে ইসলামের বীরঙ্গনারা ধেয়ে পড়ে। জরুরী অবস্থার সময় এদের দেখা দেখি অন্যান্য মহল্লার মহিলারাও কারফিউ ভঙ্গ করে রাস্তায় নেমে আসে। এসব অবস্থায় দেখামাত্র গুলির নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কারফিউর সময় শ্রীনগর কোলাহল পূর্ণ জনপদে পরিণত হয়। কারফিউ চলছে কিনা তা মালুম করা যায় না। এই সাহসী মহিলাদের নজীর বর্তমান দুনিয়ায় নিতান্তই বিরল। কাশ্মিরীদের পরম বিশ্বাস, যত দিন মাইছামার সাহসী নারীরা নিস্তব্ধ না হবে ততদিন আজাদীর এ উত্তাল জোয়ার কেউ রুখতে পারবে না, কেউ টলাতে পারবে না তাদের ইস্পাত সমান কঠিন স্বাধীনতার শপথ।

 

ঝিলাযের পাড়ে ভারতীয় পোষ্টের উপর আক্রমণ

-----------------------------------------------------------------

        মধ্য শহরের ঝিলামের পাড়ে ভারতীয় সৈন্যদের পাহাড়ার পোষ্ট। এই পোষ্টে রাতে ত্রিশজন সৈন্য পাহাড়া দিত। এরা প্রায়ই বিনা কারণে সাধারণ লোকদের উপর নিপীড়ন চালাতো। সেখান থেকে যে সব বৃদ্ধ ও শিশুরা যাতায়াত করতো বিনা উস্কানিতে তারা তাদের কান মোচড়াতো। বাজার থেকে আনা তাদের সওদাপাতী ছিনিয়ে নিত। আর নওজোয়ানদের নদীর কিনারায় নিয়ে লাথি মেরে নীচে ফেলে দিত। তাদের এই অমানুষিক আচরণে বেশ কয়েকজন নিরিহ লোক পানিতে ডুবে মারা গেছে। এই পথে যাতায়াতকরী মহিলাদের তারা তালাশীর নামে বে-আবরু করে ছাড়তো। মোট কথা এই বেহায়া অমানুষরা স্থানীয় লোকদের লাঞ্ছনা-গঞ্জনার কোন সুযোগ হাত ছাড়া করতো না। এদের এহেন কার্যাকলাপে ধৈৰ্য্য হারা হয়ে আমরা ক'জন ঠিক করলাম, যেভাবে এরা লোকদের নির্দীয় ভাবে নদীতে ডুবিয়ে মারছে আমরাও পুরো পোষ্ট সেভাবেই উল্টিয়ে নদীতে ফিকে মারবো। সর্বমোট আঠারজন মুজাহিদ এই আক্রমণের প্রস্তুতি নিলাম। দু’ভাগে ভাগ করে প্রথম আটজনকে গলীর মুখে পাঠানো হল। যেন সাহায্যকারী সৈন্যরা এসে আমাদের ঘিরে ফেলতে না পারে।

 

        কথা ছিল অতি ভোরে আমরা দুটি লাঞ্চার দিয়ে পোষ্টের উপর রকেট ছুড়বো। রকেটের আঘাত পেয়ে ওরা আমাদের মোকাবেলায় ব্যস্ত থাকবে। এই ফাঁকে অপর পাশ দিয়ে তিনজন সাহসী মুজাহিদ শক্তিশালী বোম নিয়ে পোষ্টে ঢুকে সাথে সাথে তার বিস্ফোরণ ঘটাবে। এ কাজ ছিলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যারা বোম বিস্ফোরিত করবে তাদের পক্ষে অক্ষত বেঁচে যাওয়া অসম্ভব হবে। কিন্তু এছাড়া পোষ্ট ধ্বংসের অন্য কোন সহজ পদ্ধতি আমাদের পরিকল্পনায় ছিল না। আমরা রকেট ফায়ার করার জন্য পূর্বের রাতে যে স্থান নির্বাচন করে ছিলাম সকালে গিয়ে দেখি সৈন্যরা সেদিক দিয়ে চাঁদরের মত লম্বা চেপ্টা লোহার পাত টানিয়ে পোষ্টটিকে আড়াল করে রেখেছে। স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম, সৈন্যরা আমাদের গতিবিধি টের পেয়েছে। অতএব উপস্থিতভাবে পূর্বের পরিকল্পনা পাল্টিয়ে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করলাম। এ পাশ থেকে লোহার পাতের ফাঁক গলিয়ে রকেট ছুড়লে তা তেমন কার্যকরী হবে না। একারণে অপর পাশ দিয়ে এক যোগে রকেট ও ক্লসিনকভ দ্বারা হামলা শুরু করলাম। সৈন্যরা পূর্বেই প্রস্তুত ছিল। গোলাগুলি শুরু হলে পোষ্টের সাহায্যের জন্য প্রধান ক্যাম্প থেকে চারটি সাজোয়া গাড়ী পোষ্টের দিকে অগ্রসর হতে থাকল। এক সাথে দুই দিকের মোকাবেলা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এদিকে রকেটের গোলাও ছিলো সীমিত। সর্বশেষ গোলাটি সাজোয়া গাড়ির ওপর ছুড়ে এল, এম, জির ফায়ার করতে করতে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে গেলাম। পরদিন সরকারী প্রেস নোটে সাতজন সৈন্য নিহত ও দশজন আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। নদীর কিনারের মরিচা থেকে যে সৈন্যরা আমাদের মোকাবেলা করতে ছিল তারা গুলী খেয়ে ছটফট করতে করতে নদীতে পড়ে ডুবে মারা যায়। এই ঝুকিপূর্ণ অপারেশনে কোন মুজাহিদ হতাহত হওয়া ছাড়া আল্লাহ আমাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করেন। নদীতে ফেলে ডুবিয়ে মারার কৌতুকের শাস্তি কত ভয়াবহ ও করুন তা এই পোষ্টের সৈন্যরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে।

 

এক মজার আলাপ

-----------------------------------------------------------------

        অক্টোবরের শেষের দিকে আমাদের দু'জন মুজাহিদ ঝিলাম নদীর কিনারা দিয়ে যাচ্ছিলো। তাদের একজন অন্যজনকে বল্লো, “চল গোছল করে নি।” তারা জামা কাপড় খুলে তার নীচে পিস্তল ঢেকে রেখে নদীতে গোসল করতে নামে। এর মধ্যেই দুজন ইণ্ডিয়ান সৈন্য পানি তুলে নেয়ার জন্য নদীর কিনারে আসে। তাদের একজনের কাছে একটি বালতি, আর দ্বিতীয়জন একটি রাইফেল হাতে তার পিছনে দাড়িয়ে আছে। মুজাহিদদ্বয় গোছলে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ কিনারায় তাকিয়ে দেখে, একজন সৈন্য দাড়িয়ে আছে। একজন মুজাহিদ বুদ্ধি খাটিয়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে বললো, “স্যার কেমন আছেন?” সামান্য সিপাইকে স্যার বলায় তারা খুশীতে বাগ বাগ। ওরা বললো, তোমরা কারা? কোথা থেকে এসেছো? তারা বল্লো, স্যার আমরা ঐ গ্রামের লোক, ক্ষেত খামারে কাজ করি। একটি সৈন্য বললো, তোমাদের গ্রামে তো কোন দুষ্কৃতকারী নেই? মুজাহিদ জওয়াবে বললো, “কি যে বলেন স্যার, আপনারা এখানে থাকতে কোন সাহসে ওরা এদিকে আসবে? এবার সৈন্যটি ভরসা পেয়ে এক মুজাহিদের সাথে আলাপ জুড়ে দেয়। অপর সিপাহী পানি তোলার জন্য, বালতি নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে। অন্য মুজাহিদটি নদী থেকে উঠে খুব সতর্কতার সাথে কাপড় পরার ভান করে পিস্তল তুলে সৈন্যটিকে লক্ষ করে এক গুলি ছুড়ে দেয়। গুলি খেয়ে সৈন্যটি ঘুরতে ঘুরতে নদীতে পরে যায়। তার রাইফেলটি কিনারায় পড়ে থাকে। মুজাহিদের হাতে বেশী সময় ছিলো না বলে রাইফেলটি তুলে এক গুলিতে অপর সৈন্যটিকে মেরে ঝিলামে ভাসিয়ে দ্রুত অন্যত্র চলে যায়। [চলবে]

অনুবাদঃ মনজুর হাসান

 

*****