"উসামা প্রকাশনী নিবেদিত"
কাশ্মীরী মুসলিমদের প্রতি বার্তা
শহীদ রাইহান খান রহিমাহুল্লাহ
অনুবাদঃ আবু আব্দুল্লাহ উসামা
*************************
মহান আল্লাহ তা‘আলা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লক্ষ্য করে পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেছেন-
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ اتَّقِ اللَّهَ وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا ﴿الأحزاب: ١﴾
وَاتَّبِعْ مَا يُوحَىٰ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا ﴿الأحزاب: ٢﴾
وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ وَكِيلًا ﴿الأحزاب: ٣﴾
“হে নবী! আল্লাহকে ভয় করুন এবং কাফের ও কপট বিশ্বাসীদের কথা মানবেন না। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়, আপনি তার অনুসরণ করুন। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন। আপনি আল্লাহর উপর ভরসা করুন। কার্যনির্বাহীরূপে আল্লাহই যথেষ্ট”। (সূরা আহযাব: ১-৩)
কাশ্মীরে অবস্থানরত আমার সম্মানিত মুজাহিদীন ও মুসলিম ভাই-বন্ধুগণ!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
সমস্ত প্রশংসা আসমান-যমিনের মালিক আল্লাহ তা'আলার জন্য। আমাদের সকল ইবাদত এবং জীবন-মৃত্যু আল্লাহ তা‘আলার জন্য। মহান আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে নিরাপদে রাখুন, তাঁর দ্বীনের আলোকরশ্মিকে আরো বৃদ্ধি করুন এবং আপনাদের হৃদয়ে তাঁর প্রেরিত সত্য দ্বীনকে সুদৃঢ় করুন। আজ আপনাদের সামনে এই কথা সুস্পষ্ট করা অনেক জরুরী যে, আমরা কেন জিহাদ করছি? এমনিভাবে এই কথাও সুস্পষ্টরূপে বুঝা উচিত যে, আমরা ‘হয়তো শরীয়ত নয়তো শাহাদাত’এর স্লোগান কেন দিচ্ছি?
প্রিয় মুজাহিদ সাথী ও বন্ধুগণ!
নামায, রোযা, হজ্ব ও যাকাত যেমনিভাবে প্রত্যেকটি একেকটি ইবাদত, ঠিক তেমনিভাবে জিহাদ করাও একটি ইবাদত। আল্লাহ তা‘আলার কাছে সবচেয়ে উত্তম আমল হচ্ছে: আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। অনুরূপভাবে নামায, রোযা, হজ্ব ও যাকাতের বিধানাবলী ও নিয়ম-নীতি যেরকম সুস্পষ্ট রয়েছে, তদ্রুপ আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় জিহাদ করার বিধানাবলী ও নিয়ম-নীতিও সুস্পষ্ট রয়েছে। আরো স্পষ্ট করে বললে বলতে হবে: যেমনভাবে নামাযের কিবলা স্পষ্ট, ঠিক তেমনিভাবে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের কিবলাও স্পষ্ট। আর তাই নামাযের কিবলা ও পদ্ধতি যদি সঠিক হয়, তাহলে এটা ইবাদত হয়। কিন্তু যদি নামাযের কিবলা বা পদ্ধতি পরিবর্তন করে ফেলা হয়, তাহলে এটা আর নামায থাকবে না, বরং তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার সাথে বিদ্রোহ করার নামান্তর হয়ে যাবে।
ইসলামী শরীয়াহ মানুষের বাতিল বিষয়গুলোকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তাদের সত্যিকার অর্থে ভাল বিষয়গুলোকে গ্রহন করে। আর একথা সন্দেহাতীতভাবে স্বীকৃত যে, আল্লাহ তা‘আলার সংবিধান তথা ইসলামী শরীয়াহ মানুষের জন্য ন্যায়-ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রব্যবস্থা উপহার দেয়। তাই এই সংবিধানই হচ্ছে মুসলমানদের জীবনাচারের জন্য আদর্শ পথ ও পন্থা। সুতরাং প্রিয় ভাইয়েরা, আমাদের নিকট শরীয়াহর আলোকে জিহাদের প্রত্যেকটা দিক সুস্পষ্ট হওয়া উচিত। এমনিভাবে এই জিহাদের কিবলা ও পদ্ধতিও সুস্পষ্ট হওয়া উচিত।
সম্মানিত মুজাহিদ সাথী ও বন্ধুগণ!
আমরা সর্বদা আপনাদের জন্য দোয়া করি। আপনাদেরকে আমাদের দ্বীনি ভাই মনে করি। আমাদের অন্তরে আপনাদের প্রতি কোন হিংসা-বিদ্বেষ নেই। আমাদের অন্তরে সর্বদাই একটি চিন্তা-ফিকির কাজ করে, তা হচ্ছে: আমাদের ইবাদত যেন সহিহ-শুদ্ধ হয়, ঠিক তেমনিভাবে আমাদের জিহাদও যেন সঠিকভাবে ও সঠিক পথে পরিচালিত হয়। বিশেষকরে আমাদের জিহাদের কাজ যেন নিরাপদ হয়। মহান আল্লাহ তা‘আলা জিহাদের রাস্তায় চললে সাহায্যের ওয়াদা করেছেন, কিন্তু আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য তখনই আসবে, যখন আমরা জিহাদের পদ্ধতি সঠিক করব এবং জিহাদের শর্তাবলীকে পূর্ণ করব।
অন্যদিক বিবেচনায় বলি: যদি নামাযের কিছু অংশ গাইরুল্লাহর জন্য হয়, তাহলে সেই নামায আমাদের শাস্তির কারণ হয়ে যাবে, ঠিক তেমনিভাবে জিহাদের কোন অংশ যদি গাইরুল্লাহর জন্য হয়, তাহলে সেই জিহাদও আমাদের জন্য শাস্তির কারণ হয়ে যাবে। বর্তমানে এ ব্যাপারে অনেক লোক বিভিন্ন ধরনের যুক্তি পেশ করে, অবশ্য এ ধরনের যুক্তি আগেও পেশ করা হয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় বোকামি ও গুনাহের বিষয় হলো: এমন কোন রাষ্ট্রকে নিজেদের সাহায্যকারী মনে করা; যে রাষ্ট্র স্বয়ং আল্লাহ এবং তাঁর ওলীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, যে রাষ্ট্র কাফিরদের সহযোগী এবং যে রাষ্ট্রের সেনাদের ব্যাপারে উলামায়ে কেরাম বলেছেন: তারা মারা গেলে শহীদ নয়।
সুপ্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা আমার!
আমাদের অন্তরে শুধুমাত্র ইসলামের প্রতি ভালোবাসা থাকা চাই। এমনিভাবে সেই ইসলামের ভিত্তি কাফির-মুশরিক ও তাদের গোলামদের প্রতি শত্রুতার উপর প্রতিষ্ঠিত হওয়া চাই। আমাদের মুখে শুধুমাত্র ইসলামের স্লোগান থাকা চাই এবং আমাদের হাতে শুধুমাত্র ইসলামের ঝান্ডা থাকা চাই। কিন্তু যদি আমাদের মুখে অন্য কোন রাষ্ট্রের স্লোগান থাকে অথবা যদি আমাদের হাতে অন্য কোন রাষ্ট্রের ঝান্ডা থাকে, তাহলে এটা নিশ্চিত যে, আমরা (মুজাহিদীনরা) তাদের অপরাধের ক্ষেত্রে সমান অংশীদার হয়ে যাব। আর ভাইয়েরা, এটা কোন সাধারণ গুনাহ নয় বরং এটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার সাথে বিদ্রোহ করার গুনাহ, কাফিরদের সাথে মিলে মুজাহিদীনের উপর জুলুম করার গুনাহ, জামিয়া হাফসাতে দ্বীনের ধারক-বাহকদেরকে শহীদ করার গুনাহ, আলেম-উলামাদেরকে শহীদ করার গুনাহ, লাল মসজিদ শহীদ করার গুনাহ, মুজাহিদীনদেরকে শহীদ করার গুনাহ, মুজাহিদীনদেরকে গ্রেফতার করে আমেরিকার কাছে ডলারের বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়ার গুনাহ, আফিয়া সিদ্দিকীর মতো বোনদেরকে আমেরিকার হাতে হস্তান্তর করার গুনাহ....!
সম্মানিত মুজাহিদ ভাইয়েরা,
এই কথা বুঝা আমাদের জন্য অনেক জরুরী যে, আমরা যদি আল্লাহদ্রোহী ও আল্লাহর নাফরমান রাষ্ট্রকে জিহাদের প্রতি আন্তরিক ধারণা করি, তাহলে এটা কাশ্মীরের শহীদ মুজাহিদ ভাইদের সাথে গাদ্দারী করা হবে। যে শহীদরা কাফিরদের শক্তি দেখে ভয় পাওয়া তো দূরের কথা বরং জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আল্লাহর কালিমাকে, আল্লাহর দ্বীনকে জিন্দা রেখেছেন। আর এই চিন্তা-ফিকিরকে মুজাহিদীনদের ওয়ারিশদের (উত্তরাধিকারীদের) জন্য রেখে গেছেন।
মুজাহিদ সাথিরা আমার!
একথা ধারণা করা যে, আল্লাহদ্রোহী রাষ্ট্র আপনাদেরকে কুফফারদের হাত থেকে মুক্ত করবে, এটা একটা ধোঁকা বৈ আর কিছুই নয়। কেননা, রাষ্ট্রের তো কোন ঈমান থাকে না, রাষ্ট্রের শুধু স্বার্থ থাকে। তাই আজকে যদি তার কোন স্বার্থ সেখানে থাকে, তাহলে সে কিছু অস্ত্র আপনাকে দিবে। আবার আগামীকাল যদি তার স্বার্থ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে আপনাদেরকে কুফফারদের কাছে বিক্রি করে দিবে এবং কুফফারদের সাথে মিলে এক হয়ে যাবে। যেমনটা কাশ্মীরের মুজাহিদীনের সাথে হয়েছে। তা কি সেই রাষ্ট্র নয়; যাদের 90 হাজার সৈন্য কাপুরুষ হিন্দুদের সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল। তা কি সেই সেনাবাহিনী নয়; যারা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, আমরা শহীদ নই এবং আমরা গাজীও নই!!!
সুতরাং আমার সম্মানিত মুজাহিদ ভাইয়েরা!
আল্লাহ তা‘আলার কথার উপড় ভরসা রাখুন। আর ভাল করে এই কথা স্মরণ রাখুন যে, জিহাদের রাস্তা কোন সহজ রাস্তা নয় বা এটা ফুল বিছানো কুসুমাস্তীর্ণ রাস্তাও নয়। বরং তা হলো: কষ্ট ও বিপদাপদের রাস্তা। এই রাস্তায় সবচেয়ে বেশী কষ্ট ও বিপদাপদের সম্মুখীন নবী আলাইহিস সালামগণ হয়েছেন। ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য নবীরা এই পথে কঠিন থেকে কঠিন পথ মাড়িয়েছেন। তাই যেদিন আপনি জিহাদের রাস্তা গ্রহণ করেছেন, সেদিন থেকেই আপনার বিপদ শুরু হয়ে গেছে এবং শাহাদাত পর্যন্ত চলতে থাকবে। এটাই আল্লাহ তা‘আলার হিকমত। এর মাধ্যমেই আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে পবিত্র করে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
এই বিপদ সর্বদা থাকবেই। কখনো ভারতীয় পুলিশ আপনার পরিবারের উপর জুলুমের পাহাড় চাপিয়ে দিবে, কখনো আবার আপনাদের নিজেদের লোকেরাই জুলুম চাপিয়ে দিবে। কিন্তু আপনারা যখন ভারতীয় বাহিনীর জুলুমের কারণে জিহাদের রাস্তা ছেড়ে দেননি, তাহলে কিভাবে আপনাদের নিজেদের লোকদের জুলুম জিহাদের রাস্তা হতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে? তাই শুধুমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর ভরসা রাখুন এবং নিজেদের ঈমানকে তাজা করুন। আল্লাহ তা‘আলাই আপনাদের জন্য যথেষ্ট।
সম্মানিত মুজাহিদ সাথীগণ,
শরিয়তের স্লোগান দেয়া অনেকটা আযানের মত। যেমনভাবে নামাযের জন্য আযান দেওয়া জরুরী, তেমনভাবে জিহাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য স্পষ্ট হওয়াও জরুরি। আরো একটি বিষয় স্পষ্ট হওয়া জরুরী যে, সারা দুনিয়ায় অসংখ্য মুজাহিদীনরা জিহাদের কাজ আঞ্জাম দিচ্ছেন। অন্যদিকে আল্লাহদ্রোহী রাষ্ট্রগুলি এই জিহাদের ফলাফলকে লুন্ঠন করে তাদের অন্যায়-অনাচারের উপর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র কায়েম করছে।
প্রিয় সূধীবৃন্দ,
আমরা সবাই ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য বের হয়েছি। তজ্জন্য আবশ্যক হলো: আমাদের চাহিদা ও পছন্দনীয় বিষয়গুলোকে ইসলামের অনুগামী করে রাখা। নতুবা আমরা যদি বে-খেয়ালবশত: কখনো আমাদের চাহিদা ও পছন্দনীয় বিষয়গুলোকে ইসলামের উপড় প্রাধান্য দিয়ে ফেলি, তখন দেখা যাবে যে, আমরা আমাদের চাহিদা ও পছন্দনীয় বিষয়গুলোর স্বপক্ষে ইসলামী শরীয়াহর মধ্যে দলিল তালাশ করা আরম্ভ করে দিব।
শরীয়ত বা শাহাদাতের দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে: আমরা কাফির কাপুরুষ হিন্দু সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান রাখব। এই যুদ্ধ কারোর কথা দ্বারা বন্ধ হবে না। এই যুদ্ধ ততদিন পর্যন্ত জারি থাকবে, যতদিন না আমরা আমাদের ছোট বোন আসিফার প্রত্যেকটি চিৎকারের বদলা না নিব এবং হিন্দুস্তানের কাফির শাসকদেরকে শিকলে না বাঁধব। এই যুদ্ধ ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকবে, যতক্ষণ না প্রত্যেকটি ঘর নিরাপদ হবে। এই যুদ্ধ কোন কথাবার্তা দ্বারা শেষ হবে না, এই যুদ্ধ কোন রাষ্ট্রের ফায়সালা দ্বারা বন্ধ হবে না, ইনশা আল্লাহ।
প্রিয় সাথী ও বন্ধুগণ!
আনসার গাজয়াতুল হিন্দ কোন দলের নাম নয় বরং এটি জিহাদকে ত্বাগুতদের অধীন থেকে মুক্ত করার নাম। এটি জিহাদের চিন্তাধারাকে জিন্দা রাখার নাম। এটি ভারতের মুসলমানদের জন্য কাশ্মীর, হিন্দুস্তান ও উপমহাদেশে জিহাদের দাওয়াত দেওয়ার নাম। আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের মধ্যে ছিলেন আবু দুজানা ভাই, আরিফ ভাই, হামাস ভাইসহ আরো অনেকেই। আল্লাহ তা‘আলা তাদের শাহাদাতকে কবুল করুন, আল্লাহ তা‘আলা কাশ্মীরের মুসলমানদের শাহাদাতকে কবুল করুন। (আমীন ইয়া রব্ব!)
কাশ্মীরের সম্মানিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলছি- আপনারা আমাদের অন্তরের অন্তস্থলে আছেন। আপনারা মুজাহিদীনদের পাহারায় দৃঢ় থাকা এবং তাদের হেফাজতের জন্য নিজেদের বুক সামনে বাড়িয়ে দেয়া; নিঃসন্দেহে বর্তমান সময়ের এক বিশাল জিহাদী কাজ। আল্লাহ তা‘আলা আপনাদেরকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুন। আল্লাহ তা‘আলা কাশ্মীরের সমস্ত মুজাহিদীনের শাহাদাতকে কবুল করুন। কারণ এরা সবাই আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সম্পর্ক থেকে মুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি আল্লাহ তা‘আলা মুজাহিদ ও শহীদদের পিতা-মাতাকে সবরে জামীল তথা উত্তমভাবে ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন; যা দ্বারা সাহাবাদের ঈমানের হালাত স্বরণ হয়।
আমার সম্মানিত ভাইয়েরা,
আপনারা একথা বিশ্বাস রাখবেন যে, আল্লাহ তা‘আলার ওয়াদা সত্য। আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য সত্য। যদি রাতের অন্ধকার আরো গভীর হয়, আমাদের হৃদয় গলা পর্যন্ত চলে আসে, যদি কাফির সেনারা আমাদের উপর থেকে, আমাদের নিচ থেকে আক্রমণ করে, তথাপিও এ বিশ্বাস রাখবেন যে, আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য অবতীর্ণ হবে। এ বিশ্বাস কোন রাজনীতিবিদ ও কবির কথা বা কবিতা নয়। বরং এটি সেই আল্লাহওয়ালাদের স্বপ্ন; যারা আল্লাহর সাহায্য অবতীর্ণ হতে এবং কাফির-মুশরিকদের সৈন্যদেরকে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখেছেন।
প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ!
আমরা কেউ পাগল নই, নির্বোধ নই এবং কোন রাষ্ট্রের গোলামও নই। তাই আমরা আপনাদেরকে ধ্বংসের রাস্তায় নিয়ে যাব না। বরং আমরা আপনাদেরকে বিজয়ের রাস্তা ও আজাদির রাস্তা দেখাচ্ছি। কারণ, কুফফারদের ধ্বংস ও শরীয়ত বাস্তবায়ন একমাত্র জিহাদের পথেই রয়েছে। আমাদের এই কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে: আমরা কাশ্মীরের সম্মানিত মুসলিমদের সামনে সত্যকে স্পষ্ট করব। আমরা জিহাদকে ত্বাগুতদের অধীন থেকে স্বাধীন করবো এবং আত্মমর্যাদাশীল ঈমানদারদের হৃদয় মাঝে জিহাদের জযবা টিকিয়ে রাখব। (ইনশা আল্লাহ)
মহান আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে হক বুঝার তৌফিক দান করুন এবং হকের পথে চলার দৃঢ়তা দান করুন। পাশাপাশি আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে সম্মানের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
--------------------