JustPaste.it

ভুল সবই ভুল


অনেক লোক অতীত বা ভবিষ্যতের কোনো ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য ইসতেখারা করে থাকে। এটা ঠিক নয়। কারণ, ইসলামে যে ইসতেখারার নিয়ম আছে, তা এ উদ্দেশ্যে নয়। ইসতেখারার উদ্দেশ্য হলো, কোনো কাজ করা বা না করার ব্যাপারে মনের অস্থিরতা দূর করে সুনির্দিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া। ইসতেখারার উদ্দেশ্য ঘটনা জানা তো নয়-ই বরং ইসতেখারার ফলাফলের উপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করাও না জায়েয।
        মোট’ কথা ইসতেখারার তাৎপর্য হলো, ইসতেখারা একরকম দু’আ মাত্র। এর উদ্দেশ্য হলো শুভ কাজে আল্লাহর সাহায্য কামনা করা। অর্থাৎ ইসতেখারার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নিকট এই দু’আ করে যে, আমি যা কিছু করছি, তা যেন আমার জন্য কল্যাণকর হয়, আর যে কাজে কল্যাণ নেই, তা যেন আমাকে করতেই না দেন।
        ইসতেখারার ফলাফল দু’টি। প্রথমতঃ মনের আস্থিরতা দূর হয়ে সুনির্দিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া। দ্বিতীয়তঃ উদ্দেশ্য সাধনে আল্লাহর সহযোগিতা লাভ করা। এ ছাড়া ইসতেখারার আর কোন প্রভাব নেই।
        ইসতেখারায় আবশ্যকীয় বিষয় হলো দু’টিঃ দু’রাকাত নামায ও ইসতেখারার দু’আ। নিদ্রা যাওয়া ও ঘুমানো শর্ত নয়। তবে সপ্নের মাধ্যমেও ইসতেখারার ফলাফল প্রকাশ পেতে পারে। কাজ করার সংকল্প করে ইসতেখারা করার অর্থ হয় না। ইসতেখারা করতে হয় কাজের সংকল্প নেয়ার আগে। ইসতেখারার জন্য রাত হওয়া শর্ত নয়। রাত দিনের যে কোনো এক সময় ইসতেখারা করা যায়। যেমনঃ যাদি কেউ জোহর নামাজের পর দু’রাকাত নফল পড়ে একাগ্রচিত্তে ইসতেখারার দু’আ পড়ে নিল তো তার ইসতেখারা হয়ে গেল।
-হাকীমুল উন্মৎ মাওলানা আশরাফ আলী থানুবী (রাহঃ)