নারী জীবনের ফজিলত সম্পর্কে ইসলাম
মাওলানা সাঈদ আহমাদ পালনপুরী
========================================================================
১। এক জন নেককার আমলওয়ালা মহিলা ৭০ জন আউলিয়া থেকে উত্তম।
২। একজন বদকার মহিলা এক হাজার খারাপ পুরুষ থেকে নিকৃষ্ট।
৩। গর্ভবতি মহিলার দু' রাকাত নামাজ সাধারণ মহিলার ৮০ রাকাত নামাজ থেকে উত্তম।
৪। যে মহিলা বাচ্চাকে দুধ পান করায় সে প্রতি ফোটা দুধের পরিবর্তে নেকী লাভ করেন।
৫। স্বামী পেরেশান হয়ে ঘরে আসলে যে স্ত্রী স্বামীকে খােশ-আঁমদেদ বলে ও সান্তনা দেয় সে অর্ধেক জিহাদের নেকী লাভ করে।
৬। যে মহিলা বাচ্চার কান্নার জন্য ঘুমাতে পারে না সে ২০ জন গােলাম আজাদ করার নেকী পায়।
৭। যখন স্বামী স্ত্রী একে অন্যের প্রতি মহব্বতের দৃষ্টিতে তাকায় তখন আল্লাহ পাক ও তাদের প্রতি মহব্বতের দৃষ্টিতে তাকান।
৮। যে মহিলা স্বামীকে আল্লার রাস্তায় পাঠান ও নিজেকে হেফাজত করে ও ঘরে থাকে এই মহিলা পুরুষের ৫০০ বছর পূর্বে বেহেস্তে প্রবেশ করবে এবং ৭০ হাজার ফেরেস্তা তাকে স্বাগত জানাবে এবং সে হুরদের সরদার হবে। এই মহিলাকে বেহেস্তে গােসল দেয়া হবে, অতঃপর সে ইয়াকুতের ঘােড়ায় সওয়ার হয়ে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করবে।
৯। যে মহিলা নিজ সন্তানের অসুস্থতার কারণে ঘুমাতে পারে না, কষ্ট পায় ও সন্তানকে আরাম দানের ব্যবস্থা করে আল্লাহ পাক তাঁর গােনাহ মাফ করে দেন ও ১২ বছর কবুল এবাদতের নেকী দান করেন।
১০। যে মহিলা নিজের জানােয়ারের দুধ দোহন করার সময় ‘বিসমিল্লাহ' বলে,ওই জানােয়ার তার জন্য বরকত দান করে।
১১। যে মহিলা আটার খামির তৈরী করার সময় (বা হাড়িতে চাল তুলে দেয়ার সময়) বিসমিল্লাহ বলে আল্লাহ পাক তার রুজীর মধ্যে বরকত দান করেন।
১২। যে মহিলা অন্য পুরুষকে দেখতে যায়, আল্লাহ তার ওপর লা'নত (অভিশাপ) করেন। যে ভাবে পুরুষদের প্রতি মহিলাদের দেখা নিষিদ্ধ ঠিক তেমনি মহিলাদেরও পুরুষদের দেখা হারাম।
১৩। যে মহিলা নিজের ঘর ঝাড় দেয়ার সময় আল্লাহর জিকির করে আল্লাহ তাকে কাবা ঘর ঝাড় দেয়ার নেকী ও মর্যাদা দান করেন।
১৪। যে মহিলা নামাজ রােজার পাবন্দী করে, স্বামীর খেদমত করে, তার জন্য বেহেস্তের ৮টি দরজা খুলে দেয়া হয়।
১৫। যে স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য, তার নামাজ ও অন্যান্য এবাদত আসমানের ওপর উঠে না।
১৬। গর্ভবতি মহিলার প্রত্যেক রাতের এবাদত ও দিনগুলাে রােজা হিসাবে গণ্য করা হয়।
১৭। একটি সন্তান ভূমিষ্ট হলে ৭০ বছরের নামাজ রােজার নেকী তার আমল নামায় লেখা হয়।
১৮। যদি সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে মারা যায় তবে তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করা হয় ।
১৯। যদি বাচ্চা কাঁদে আর মা কোন প্রকার বদ দোয়া না দিয়ে তাকে দুধ পান করায় আল্লাহ পাক তাকে এক বছরের নামাজ ও এক বছরের রােজার নেকী দান করেন।
২০। যখন বাচ্চার দুধ পান করার সময় অতিক্রম করে তখন একজন ফেরেস্তা অবতীর্ণ হয়ে ঐ মাকে সুসংবাদ দান করে যে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিয়েছেন।
২১। স্বামী যখন সফর থেকে ঘরে ফিরে আসে তখন স্ত্রী যদি তাকে খানা খাওয়ায় ও স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন খেয়ানত না করে তবে আল্লাহ পাক ওই স্ত্রীকে ১২ বছরের নফল নামাজের সওয়াব দান করেন।
২২। যে স্ত্রী স্বামীর অনুরােধ ছাড়াই স্বামীর পা দাবায় আল্লাহ তাকে সাত তােলা স্বর্ণ দান করার নেকী দান করেন। আর যদি স্বামীর অনুরােধের পর পা দাবায় তবে সাত তােলা রৌপ্য দান করার নেকী দান করেন।
২৩। যে মহিলার স্বামী তার ওপর সন্তুষ্ট থাকা অবস্থায় মারা যায় তার জন্য বেহেস্ত ওয়াজিব হয়ে যায়।
২৪। পাতলা কাপড় ব্যবহারকারী মহিলা, পরপুরুষদের খায়েশ সৃষ্টিকারী মহিলা, অন্য পুরুষদের সাথে স্বাক্ষাতকারী মহিলা, এবং, রূপচর্চাকারী বেপর্দা মহিলা কখনাে জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমন কি জান্নাতের সুঘ্রানও পাবে না।
২৫। স্বামী স্ত্রীকে একটি মাসআলা শিখালে ৮০ বছরের এবাদতের সমান সওয়াব পাবে।
২৬। জান্নাতে মানুষেরা আল্লাহর দিদারে যাবে, আর যে মহিলা দুনিয়াতে পর্দায় থাকবে আল্লাহ তার দিদার করার জন্য আসবেন।
২৭। দুনিয়াতে প্রত্যেক কষ্ট সহ্যকারী মহিলা ফেরআউনের নেক বিবি আছিয়া (রাঃ)-এর মত সওয়াব পাবে।
২৮। একজন দোজখী মহিলা চার জন বেহেস্তি পুরুষকে নিয়ে দোজখে যাবে- (১) পিতা (২) ভাই (৩) স্বামী ও (৪) নিজের ছেলে। ঐ মহিলারা বলবে, তারা আমাকে দীন শিক্ষা দেয়নি।
*****