বিশ্ব সংবাদ
চেচেন গেরিলা কমান্ডার শামিল বাসায়েভের প্রশ্নঃ চেচনিয়াকে স্বীকৃতি না দিয়ে মুসলিম শাসকগণ আল্লাহ্র কাছে কি জবাব দেবেন?
প্রখ্যাত চেচেন কমান্ডার শামিল বাসায়েভ বলেছেন, চেচেন মুজাহিদদের রাজধানী গ্রোজনী ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। এটি কোন আকস্মিক ঘটনা ছিল না। আমরা নিজেদের স্বার্থে বুঝে-শুনেই এমনটি করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে শামিল বাসায়েভ বলেন, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান চেচনিয়াকে স্বীকৃতি দিয়ে চেচেন জনগণ ও মুজাহিদদের প্রতি অনুপম ভালবাসা এবং বিশ্ব কুফরী শক্তির সামনে বীরত্বের প্রমাণ দিয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের শাসকগণ তালেবানের এই বিরোচিত সিদ্ধান্তের অনুসরণ করছে না বলে আমার দুঃখ হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে পাহাড়ে-জঙ্গলে মুজাহিদদের অবস্থান ও কার্যক্রম গ্রোজনী অপেক্ষা অনেক ভাল। এসব জায়গায় রাশিয়ার অস্ত্র ও বোমাবাজি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি মুজাহিদদের আশ্রয়স্থলও প্রচুর। তিনি বলেন, গ্রোজনী ত্যাগ করতে মুজাহিদদের তেমন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি।
৩৭ বছর বয়স্ক চেচেন কমান্ডার আরো বলেন, চেচেন মুজাহিদদের মাঝে পরস্পর কোন রকম অনৈক্য ও মতবিরোধ নেই। আমরা আফগান জিহাদের চিত্রকে সামনে রেখে সতর্কতার সাথে পা ফেলছি। আমাদের সকল কমান্ডার ও নেতৃবর্গ সব সময় সতর্ক থাকেন, যেন পরস্পর কোন ভুল বুঝাবুঝির সুযোগ না ঘটে।
তিনি বলেন, চেচেনদের বিদ্রোহ দমন করার জন্য রাশিয়া এই নারকীয় কান্ড দমাচ্ছে না। রাশিয়ার এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের কারণ, চেচেনরা মুসলমান। বস্তুতঃ মুসলমান হওয়া বর্তমানে এমনি এক অপরাধ, যার বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ব একজোট। তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বের উচিত, চেচনিয়াকে স্বীকৃতি দিয়ে নিজেদের ঈমানী ও নৈতিক কর্তব্য পালন করা। এ ব্যাপারে তালেবান মুসলিম শাসকমণ্ডলীর জন্য পথ সুগম করে দিয়েছে। তিনি বলেন, কাফিরদের চেচনিয়াকে স্বীকৃতি না দেয়ার যথেষ্ঠ কারণ আছে বটে; কিন্তু মুসলিম দেশগুলোর এমন কি কারণ থাকতে পারে যে, তারা চেচনিয়া স্বীকৃতি দিতে পারছে না? পরকালে মুসলিম শাসকগণ আল্লাহ্র কাছে এর কী জবাব দেবেন, ভেবে দেখা দরকার। সম্প্রতি ইন্টারনেটে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে চেচেন মুজাহিদদের এই প্রতিনিধি এ কথাগুলো বলেন।
গেরিলা যুদ্ধ কি ভয়ংকর হতে পারে মস্কো শিগগিরই তা দেখতে পাবে
- মুজাহিদ কমান্ডার
মুজাহিদদের ইন্টারনেট ওয়েবসাইটে একজন মুজাহিদ কমান্ডার বলেছেন, মুজাহিদদের গেরিলা যুদ্ধ কি 'ভয়ংকর' হতে পারে, তা রাশিয়া শিগগিরই দেখতে পাবে। মুজাহিদদের শীর্ষ কমান্ডাররা নিহত হয়েছেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা ওয়েবসাইট কাফকাজ সংস্থা অস্বীকার করেছে। এদিকে চেচনিয়ায় গত পাঁচ মাসের যুদ্ধ এখন এক রক্তক্ষয়ী পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। অথচ রাশিয়া ঘোষণা করে যে, তারা চেচনিয়ায় বলতে গেলে বিজয় অর্জন করে ফেলেছে। রাশিয়ার এই দাবী যে যথার্থ নয়, তা মস্কোর পরবর্তী স্বীকারোক্তি থেকে স্পষ্ট। সম্প্রতি মস্কো মাত্র এক সপ্তাহের লড়াইয়ে মুজাহিদদের হাতে তাদের ১৬৫ জন সৈন্য নিহত হবার কথা স্বীকার করেছে।
উলুস-কার্ত ও সেলসেনতাউসে এবং কমসোমোলস্কির কাছে রুশবাহিনী ও মুজাহিদদের মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত থাকে। এসব গ্রামের উপর প্রত্যুষে এনটিভি টেলিভিশনের একজন সাংবাদিক কামানের গোলা বর্ষণ করতে দেখেছেন। রাশিয়া স্বীকার করেছে যে, এক সপ্তাহের লড়াইয়ে তাদের ১৬৫ জন সৈন্য নিহত হয়েছে।
ভারত কারগিলে বাংকার নির্মাণ করবে ॥ ব্যয় হবে চার কোটি রুপী
ভারত সরকার চলতি অর্থ বছরেই কারগিলে কয়েকটি বাংকার নির্মাণ করবে। এতে খরচ করবে চার কোটি রুপী। ভারতীয় পত্রিকা এশিয়ান এজ-এর রিপোর্ট মোতাবেক এর জন্য ভারত সরকার অধিকৃত কাশ্মীরের পুতুল সরকারের হাতে ইতিমধ্যে চার কোটি রুপী হস্তান্তর করেছে এবং মুসলমানদের স্বাধীনতার লড়াই দমনের নিমিত্ত কারগিলে ৫১ জন পুলিশ অফিসার মোতায়েন করেছে। ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর রিপোর্ট মোতাবেক অধিকৃত কাশ্মীরে লড়াই করতে করতে ভারতীয় বাহিনী ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এখন তারা কাশ্মীরের রাজনৈতিক সমাধান কামনা করছে। পত্রিকা বলেছে, অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়োজিত সৈন্যরা কঠিন ও লাগাতার ডিউটির ফলে ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে পড়েছে। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এখন তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে শুরু করেছে।
ভানজানিয়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির মুক্তিলাভ
তানজানিয়া একজন মিসরীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে। ১৯৯৮ সালে তানজানিয়ায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে বোমা বিস্ফোরণের ব্যাপারে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। ঐ বোমা বিস্ফোরণে ১১ ব্যক্তি নিহত হয়। বিচার বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা একথা জানান।
মোস্তফা মাহমুদ, সাইদ আহমদসহ দু'ব্যক্তিকে বোমা হামলার জন্য দায়ী করা হয়।
ফিলিপাইনে মুজাহিদদের হামলায় ৭ জন সৈন্য নিহত ও ৮ জন জিম্মি
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ মিন্দানাওতে মুসলিম মুজাহিদরা সৈন্যদের একটি গ্রুপের উপর হামলা চালিয়ে ৭ জনকে হত্যা ও ৮ জনকে জিম্মি করতে সক্ষম হয়। ফিলিপাইনের সামরিক সূত্রে গতকাল একথা জানানো হয়েছে। ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ১৫ হাজার মুজাহিদ ১৯৭৮ সাল থেকে সেখানে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে যুদ্ধ করে আসছে।
তসলিমা নাসরিনের বোস্বাই সফরের প্রতিবাদ
বিতর্কিত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী বোম্বাই পৌঁছেছেন। স্থানীয় মুসলিম সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ উপেক্ষা করে তিনি সেখানে পৌঁছান।
তসলিমা নাসরিনের দ্বিতীয় গ্রন্থ 'শোধ'-এর মারাঠী ভাষায় অনুবাদ প্রকাশনা উপলক্ষে তিনি সেখানে রয়েছেন।
বোম্বাইয়ের 'রাজা একাডেমী' নামের একটি মুসলিম সমাজ কল্যাণ সংস্থা অন্যান্যের মধ্যে তসলিমা নাসরিনের এই সফরের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তারা বলছে, তসলিমা নাসরিনের লেখনী ও দৃষ্টিভঙ্গি ইসলাম বিরোধী এবং তা মুসলিম অনুভূতিতে আঘাত করে।
রাজা একাডেমীর সভাপতি সাঈদ নূরী বলেন, তসলিমা নাসরিন তার ইসলামবিরোধী ও মুসলিম মূল্যবোধবিরোধী লেখনীর জন্য নিজ দেশেই ধিকৃত ও ঘৃণিত। তিনি নিজ দেশের লোকজনের রোষ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্বদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।
বোম্বায়ের ৬টি মুসলিম সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। পুলিশ প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রতিহত করার জন্য বোম্বাইয়ে ৫ জনের বেশী সমাবেশকে নিষিদ্ধ করেছে।