JustPaste.it

দাওলা কী আল-কায়েদার অধীনে বাই’আতবদ্ধ ছিলো ?

 

►►►  শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরীর প্রতি আবু বকর আল-বাগদাদীর চিঠিঃ

 

শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিঃ এর কাছে কয়েকজন জিহাদপন্থী আলিমের দাওলা ও আল-কায়েদার মাঝে সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে চান। এরই প্রেক্ষিতে  ১৪৩৫ হিজরী ৩ রজব মোতাবেক ২০১৪ সালের ২ মে  শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিঃ উক্ত আলিমদের লক্ষ্য করে একটি বার্তা দেন। বার্তার চুম্বকাংশ......

 

- أما سؤالكم عن جماعة الدولة الإسلامية في العراق والشام قبل إعلان التمدد وبعده ومسألة البيعات، فقد بينت في كلمتي التي أخرجتها بعنوان (شهادة لحقن دماء المجاهدين بالشام) أن الدولةَ الإسلاميةَ في العراقِ فرع تابع لجماعة قاعدة الجهاد ..........................................وهو ما ورد في رسالة الشيخ أبي بكر البغدادي الحسيني -حفظه الله- لي المؤرخة في 7 ذي الحجة 1433، والتي بدأها بقوله بعد البسملة والحمد والصلاة والسلام على رسول الله:

অনুবাদঃ “ দাওলাতুল ইরাক ওয়াশ-শাম জামা’আত সম্পর্কে আপনাদের প্রশ্ন হচ্ছে, এটির (শামে) বিস্তৃতির পূর্বে ও পরের অবস্থা এবং এর বাই’আতের প্রশ্নে। ইতোপূর্বে আমি আমার বক্তব্যে তা বর্ণনা করেছি, যা “শামে মুজাহিদদের রক্তের সুরক্ষার উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য” শিরোনামে আমি প্রকাশ করেছি যে, দাওলাতুল ইরাক আল-ইসলামিয়্যা জামা’আতু কায়িদাতুল জিহাদ(আল-কায়েদা)র অনুগত একটি শাখা। আর নিশ্চয়ই দাওলার আমীর এবং এর সৈন্যদের ঘাড়ে জামা’আতু কায়িদাতুল জিহাদ(আল-কায়েদা) এবং তার আমীর শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর বাই’আত রয়েছে। অতঃপর আমি দূর্বল ব্যক্তির উপর তা বর্তায়। আর এটি তাদের পক্ষ থেকে বারবার এসেছে। এরুপ কিছু উদাহারণ আমি (পূর্বে) উল্লেখ করেছি। আমি অতিরিক্ত আরেকটি উদাহরণ পেশ করবো।

আর তা ১৪৩৩ হিজরীর ৭ জিলহজ্ব মোতাবেক ২০১২ সালের ২২ অক্টোবর তারিখে শাইখ আবু বকর আল-বাগদাদী আল-হুসাইনী হাফিঃ এর বার্তায় বর্ণিত হয়েছে। আর যা তিনি বিসমিল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ এবং রাসূল সাঃ এর উপর দুরুদ ও সালামের পর শুরু করেছেন.......

(শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিঃ উদ্দেশ্য করে শাইখ আবু বকর আল-বাগদাদীর বার্তা)

"إلى أميرنا الشيخ الدكتور أبي محمّد أيمن الظّواهري حفظه الله، السلام عليكم ورحمة الله وبركاته".

ثم قال في ضمنها:

"شيخنا المبارك؛ نودّ أن نبيّن لكم ونعلن لجنابكم أننا جزءٌ منكم، وأنّنا منكم ولكم، وندين الله بأنكم ولاةُ أمورنا ولكم علينا حقّ السّمع والطّاعة ما حيينا، وأنَّ نُصحكم وتذكيركم لنا هو حقٌّ لنا عليكم، وأمركُم مُلزم لنا، ولكن قد تحتاج المسائل أحياناً بعض التبيين لمعايشتنا واقع الأحداث في ساحتنا، فنرجو أن يتّسع صدركم لسماع وجهة نظرنا، ولكم الأمر بعد ذلك وما نحن إلا سهامٌ في كنانتكم".

অনুবাদঃ

“ আমাদের আমীর শাইখ আবু মুহাম্মাদ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর প্রতি!

আস-সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহঃ-

 

 সম্মানিত শাইখ ! আমরা আপনার উদ্দেশ্যে বলতে চাই এবং আপনার সৌজন্যে ঘোষণা করছি যে, আমরা আপনাদের অংশ। আমরা আপনাদের অন্তর্ভুক্ত এবং আপনাদের জন্য। আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি যে, আপনারা আমাদের নির্দেশ দানের অধিকারী অর্থাৎ উলুল আমর। আমাদের বেঁচে থাকা পর্যন্ত আমাদের উপর আপনাদের কথা শোনা ও মানার হক্ব থাকবে। আর নিশ্চয়ই আমাদের উদ্দেশ্যে আপনাদের উপদেশ এবং নির্দেশনা আপনাদের উপর আমাদের অধিকারস্বরুপ। আর আপনাদের নির্দেশ আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক কিন্তু কখনো কখনো আমাদের পরিক্রমায় বিভিন্ন ঘটনা সংগঠনে আমাদের অভিজ্ঞতার কিছু বিষয় বর্ণনার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আমরা আশা রাখি আপনারা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি শোনার ক্ষেত্রে আপনাদের বক্ষ প্রশস্ত রাখবেন। আর তারপর সিদ্ধান্ত আপনাদেরইআর আমরা আপনাদের ধনুকের একটি তীর মাত্র।” 

 

আবু বকর আল-বাগদাদীর চিঠি সম্বলিত শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরীর উপরোক্ত বার্তার ডাউনলোড লিংক.....  http://tinyurl.com/zc47sv9

►► শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরীর উপরোক্ত বার্তার জবাবে দাওলার মুখপাত্রের বার্তাঃ

আল-কায়েদার সাথে দাওলার সম্পর্ক নিয়ে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরীর উপরোক্ত বার্তার জবাবে ২০১৪ সালের ১১ মে প্রকাশিত বার্তায় দাওলার মুখপাত্র যা বলেন.........

 

ﺇﻥّ ﻛﻞ ﻣﺎ ﺫﻛﺮﺕَ ﻣﻦ ﺷﻬﺎﺩﺗﻚ ﺻﺤﻴﺢ، ﺑﻞ ﻭﺃﺯﻳﺪُﻙَ ﻋﻠﻴﻪ ﺃﻧﻨﺎ ﻛﻨّﺎ ﻭﻟﺤﻴﻦٍ ﻗﺮﻳﺐ ﻧُﺠﻴﺐُ ﻣَﻦ ﻳﺴﺄﻟﻨﺎ ﻋﻦ ﻋﻼﻗﺔ ﺍﻟﺪﻭﻟﺔ ﺑﺎﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺑﺄﻥّ ﻋﻼﻗﺘﻬﺎ ﻋﻼﻗﺔ ﺍﻟﺠﻨﺪﻱّ ﺑﺄﻣﻴﺮﻩ، ﻭﻟﻜﻦّ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﺠﻨﺪﻳّﺔ ﻳﺎ ﺩﻛﺘﻮﺭ ﻟﺠﻌﻞ ﻛﻠﻤﺔ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﺍﻟﻌﺎﻟﻤﻲّ ﻭﺍﺣﺪﺓ، ﻭﻟﻢ ﺗﻜُﻦ ﻧﺎﻓﺬﺓً ﺩﺍﺧﻞ ﺍﻟﺪﻭﻟﺔ، ﻛﻤﺎ ﺃﻧّﻬﺎ ﻏﻴﺮ ﻣُﻠﺰﻣﺔٍ ﻟﻬﺎ، ﻓﺈﻧّﻤﺎ ﻫﻲ ﺗﻨﺎﺯﻝٌ ﻭﺗﻮﺍﺿﻊٌ ﻭﺗﺸﺮﻳﻒٌ ﻭﺗﻜﺮﻳﻢٌ ﻟﻜُﻢ ﻣِﻨّﺎ

 

All that you have mentioned in your statement is correct, I will even add on it to you; until very recently, we would answer who asked us about the relationship of the State with Al-Qa’idah that its relationship is one of a soldier to its Amir. But this soldiery, O doctor, was to unite the word of the global  Jihad as one, it was not in power in the state, as if it was not binding upon it, neither was it obliged to it. This is but humility, humbleness and an honour to you from us.

 

নিশ্চয়ই আপনি আপনার সাক্ষ্যে যা উল্লেখ করেছেন তা সঠিক; বরং  আমি আপনার কথার উপর কিছু কথা যোগ করছিঅতি নিকট সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত যে আমাদেরকে আল-কায়েদা সাথে দাওলার সম্পর্কের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে উত্তর দিতাম যে, এই সম্পর্ক হচ্ছে একজন সৈন্যের তার আমীরের সাথে সম্পর্ক। কিন্তু এই সৈনিকত্য হে ডঃ বিশ্ব-জিহাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্যতা দাওলার অভ্যন্তরে কার্যকর নয়। যেমন এটি দাওলার জন্য বাধ্যতামূলক ছিলো না। নিশ্চয়ই এটি ছিলো, আমাদের পক্ষ থেকে শিষ্টাচার,বিনয়,ভদ্রতা ও সম্মান হিসেবে।  

বার্তাটির লিংক.......  http://tinyurl.com/qfhvjnu

খেয়াল করুন !  ২০১২ সালের অক্টোবরে আবু বকর আল-বাগদাদী কর্তৃক শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরীর কাছে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছিলো,   আর আপনাদের নির্দেশ আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক   অথচ ২০১৪ সালের মে মাসে দাওলার মুখপাত্র কর্তৃক শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরীর প্রকাশ করা উক্ত চিঠিটি সঠিক বলে মেনে নেয়ার পর বলা হচ্ছে,  তা দাওলার অভ্যন্তরে কার্যকর নয়। যেমন এটি দাওলার জন্য বাধ্যতামূলক ছিলো না।

আবু বকর আল-বাগদাদীর চিঠি সম্বলিত শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরীর বার্তাটি দাওলার মুখপাত্রের সঠিক বলে স্বীকার করে নেওয়ার পর একজন সুস্থ মানুষের জন্য আর সন্দেহ থাকার কোনো অবকাশ নেই যে, দাওলা এবং তার আমীরের বাই’আত আল-কায়েদা ও তার আমীরের কাছে ছিলো। এটি অস্বীকার করার মাধ্যমে বরং আবু বকর আল-বাগদাদী ও দাওলার মুখপাত্রকেই মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা হবে

 

►►► দাওলার মুখপাত্রের মুবাহালার জবাবে আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামীর বক্তব্যঃ

৩০ জুন ২০১৪ তারিখে জাবহাতুন নুসরার শরী’আহ বোর্ডের সদস্য শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামী দাওলার মুখপাত্রের মুবাহালার জবাবে দাওলার মুখপাত্রকে উদ্দেশ্য করে কিছু বিষয়ে মুবাহালার আহবান করেন। তার মধ্যে একটি হচ্ছে............

Would you do a Mubahala with me that Sheikh al-Baghdadi said in your presence: “I pledged allegiance to Sheikh Usama and when he got killed - may Allah accept him - I wrote renewing my allegiance to Sheikh al-Zawahiri - may Allah protect him – and we listen and obey our emirs in Khorasan?”

 অর্থাৎ “আপনি কি আমার সাথে এই মর্মে মুবাহালা করবেন যে, শাইখ আল-বাগদাদী আপনার সামনে বলেছে যে, “আমি শাইখ উসামার কাছে বাই’আত নিয়েছি এবং যখন তিনি শহীদ হলেন, তখন শাইখ আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর প্রতি বাই’আত নবায়ন করে (চিঠি) লিখেছি এবং আমরা খোরাসানে আমাদের আমীরদের কথা শুনবো এবং মানবো।”

 

বার্তাটির লিংক..... http://justpaste.it/g1ph

শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামী দাওলার মুখপাত্রের মুবাহালার জবাবে দেওয়া বার্তায় উপরোক্ত কথা বলার পর বিগত প্রায় ১ বছর ১০ মাসের মধ্যে দাওলার মুখপাত্রের পক্ষ থেকে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি এ ব্যাপারে কোনো কথাই বলা হয়নি। এ থেকে অত্যন্ত পরিষ্কার যে, দাওলা প্রথমতঃ শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর বাই’আতের অধীনে ছিলো। অতঃপর উনার শাহাদাতের পর শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বাই’আতের অধীনে ছিলো।

শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামীর সামনে আবু বকর আল-বাগদাদীর উপরোক্ত কথাগুলো দাওলার কেউ কখনোই অস্বীকার করেনি। এ ব্যাপারে যে কারো প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া হলো।কেউ পারলে শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামীর উপরোক্ত বক্তব্য সত্য নয়, এই মর্মে দাওলার মুখপাত্র কিংবা দাওলার প্রধানের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পেশ করুক !!! 

►►► শাইখ উসামা রাহিঃ এর শাহাদাতের পর দাওলার পক্ষ থেকে দেওয়া ভিডিও বার্তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টঃ

১। শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর শাহাদাতের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তৎকালীন ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাকের পক্ষ থেকে দেয়া “رثـاء الإمــام مــن ربـوع دولـة الإسـلام” অর্থাৎ “দাওলাতুল ইসলামের ঘর থেকে ইমামের জন্য শোকগাথা”  শিরোনামে দাওলার মুখপাত্র আবু মুহাম্মদ আল-আদনানীর মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রদান করা হয়।

শাইখ উসামা রাহিঃ যদি দাওলার নেতা নাই হোন,তাহলে তারা “দাওলাতুল ইসলামের ঘর থেকে ইমামের/নেতার জন্য শোকগাথা”

আল-কায়েদার আমীর শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ যদি দাওলার ইমাম বা নেতা নাই হয়ে থাকেন,তাহলেএই বার্তায় দাওলার মুখপাত্র শাইখ উসামা রাহিঃ কে নেতা বলে দাবী করবেন কেনো !!

 

২।শাইখ উসামা রাহিঃ এর শাহাদাতের পর দাওলার পক্ষ থেকে দেওয়া উপরোক্ত ভিডিও বার্তাটির ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডে দাওলার তৎকালীন এবং বর্তমান মুখপাত্র আবু মুহাম্মদ আল-আদনানী বলেন,

ولئن قتِل أسامة فإنّ مقتل قادتنا علامةٌ عن صدق دعوتنا, وقد قال ربنا جل في علاه: يقُاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللّوِ فَيَقْتُلُونَ وَيقُتَلُونَ

অর্থাৎ “যদি উসামা শহীদ হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের নেতৃত্বের শাহাদাত আমাদের দাওয়াতের সত্যতার ‘আলামত। আর আল্লাহ্‌ তার মহিমান্বিত গ্রন্থে বলেছেনঃ তারা(মুমিনরা) আল্লাহর পথে ক্বিতাল করে, অতঃপর(আল্লাহর শত্রুদের) হত্যা করে ও(নিজেরাও) শহীদ হয়। ”

শাইখ উসামা রাহিঃ এর অধীনে যদি দাওলা না থাকতো,তাহলে “আমাদের নেতৃত্বের শাহাদাত” কেনো বলবেন !! এখানে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিচ্ছেন আমাদের নেতৃত্ব বলে।

ভিডিওটির লিংক....... https://archive.org/details/Reth-Dawalah

ভিডিওর পিডিএফ(আরবী) ডাউনলোড লিংক.....  https://archive.grupa17.pl/details/nokbah990

 

              উপরোক্ত প্রমাণাদি যার মধ্যে দাওলা/আইএসের আমীর ও মুখপাত্রের বক্তব্য ও স্বীকৃতি রয়েছে, এসবের মাধ্যমে দ্ব্যার্থহীনভাবে প্রমাণিত হয় যে, দাওলা/আইএস আল-কায়েদার বাই’আতের অধীনে ছিলো,যা তারা ভঙ্গ করেছে। সুতরাং সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর প্রত্যেক মুসলিমের উচিৎ সত্যের অনুসরণ করা।

আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সর্বদা সত্যকে অনুসরণ করার তাউফীক্ব দান করুন। আমীন।