JustPaste.it

“কুফরি স্লোগানের স্বীকৃতি নয়!

মাওলানা আসেম উমর (হাফিযাহুল্লাহ)

[ভারতের মুসলমানদের কুফরি স্লোগানে বাধ্য করার প্রচারাভিযানের প্রতিবাদ]

  সমস্ত প্রশংসা এক আল্লাহর জন্য। সালাত ও সালাম বর্শিত হোক নবী (ﷺ) এর উপর যার পরে আর কোন নবী নেই।

আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি বিতাড়িত শয়তান থেকে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

كَيْفَ وَإِنْ يَظْهَرُوا عَلَيْكُمْ لَا يَرْقُبُوا فِيكُمْ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً يُرْضُونَكُمْ بِأَفْوَاهِهِمْ وَتَأْبَى قُلُوبُهُمْ وَأَكْثَرُهُمْ فَاسِقُون [التوبة: 8]

অর্থঃ কিভাবে? তাঁরা তোমাদের উপর বিজয়ী হলে তোমাদের আত্মীয়তার ও অঙ্গীকারের কোন মর্যাদা দেবে না। তারা মুখে তোমাদের সন্তুষ্ট করে, কিন্তু তাদের অন্তরসমূহ তা অস্বীকার করে, আর তাদের অধিকাংশই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী। (সূরা তাওবাঃ ৮)

ভারতের হিন্দুরা আরও একবার এই কথাকে ভিত্তি প্রদান করল যে, তারা ইসলামের শত্রু, মুসলমানদের আক্বীদার দুশমন, মুসলমানদের জীবন, সম্পদ, সম্মান ও পবিত্রতার শত্রু। ভারতের মুসলমানদের জোরপূর্বক হিন্দু বানানো, “বন্দে মা তারাম” বলানো, গরু জবাইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা – এসবের পরে এখন অবস্থা এই পর্যন্ত পৌঁছে গেছে যে, মুসলমানদের ‘কুফরে বাওয়াহ’ অর্থাৎ প্রকাশ্য কুফর বলায় বাধ্য করা হচ্ছে। হাফেযে কুরআনকে এই কথার উপর বাধ্য করা হচ্ছে, যেন তিনি মূর্তি ও মন্দিরের ভূমিকে দেবী হিসেবে মেনে নেন, তার মা’বূদ হওয়াকে স্বীকৃতি দিয়ে তার বড়ত্বের ঘোষণা দেন। কাফেরের কথার উক্তি দেওয়া কুফরি নয়, “জে মাতা”, “ভারত মাতা কি জে” - আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) এর অনুগতদের এসব স্লোগান দেওয়ায় বাধ্য করা হচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংযমের গান গাওয়া লোকেরা আজ কোথায়, যখন লাঠিসোঁটা আর রাষ্ট্রীয় শক্তির জোরে মুসলমানদেরকে কুফরি কথা বলায় বাধ্য করা হচ্ছে, বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদেরকে হিন্দু বানানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে?

হিন্দুদের কি জানা নেই যে বুকে “আল্লাহু আকবর” এর অবস্থান, সে তোমাদের কথাকে কিভাবে বড় হিসেবে গ্রহণ করতে পারে? ... যে জিহ্বা শুধু আল্লাহকে বড় হিসেবে বলতে জানে, সে ‘লাত’ আর ‘মানাত’ এর মত প্রতিমাদেরকে কিভাবে বড় বলতে পারে? ... নিজের আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে কিভাবে মা’বূদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। ... শক্তির জোরে কি ইসলামের জন্য মাতালদের হিন্দু বানানো জেতে পারে? ... রাষ্ট্রীয় দুর্বৃত্তের মাধ্যমে কি মুহাম্মাদ (ﷺ) এর গোলামদের ইসলাম থেকে সরানো সম্ভব? ... হিন্দুরা কি মক্কার ইতিহাস পড়েনি? ... মক্কার মূর্তিপূজারীরাও ইসলাম প্রেমিকদের সাথে এমনই করত, তাঁদেরকে দ্বীন থেকে ফেরানোর জন্য তপ্ত বালুতে শুয়িয়ে বুকের উপর গরম ভারি পাথর রেখে দিত। ... শরীরের চামড়া জ্বলে যেত, চর্বি গলে যাওয়া শুরু হয়ে যেত, কিন্তু মুহাম্মাদ (ﷺ) এর দ্বীনের প্রতি প্রেম আরও বেড়ে যেত। মুহাম্মাদ (ﷺ) এর গোলামদের জিহ্বায় “আহাদ আহাদ” অর্থাৎ “মা’বূদ এক” এই স্লোগান গর্জন করত। বড় শুধু একসত্ত্বাই ... আমাদের আল্লাহ ... এটা ছাড়া আর অন্য কাউকে কিভাবে আমরা মা’বূদ মানতে পারি। আমরা তোমাদের কথা মেনে নিয়ে কিভাবে আল্লাহর সাথে কুফরি করব ... না না ... মুহাম্মাদ (ﷺ) এর রবের কসম ... তাওহীদের স্বীকারোক্তির পর কাউকে তাঁর সাথে শরীক করা যায়না ... তাঁর স্লোগান ছাড়া কারও স্লোগান দেওয়া যায়না ... মক্কার মূর্তির পূজারীরাও জুলম করতে করতে হেরে গিয়েছিল ... আর এমন একদিন এসেছিল যখন বদরের ময়দানে মূর্তিপূজারীদের নেতাদের মাথা তাদের দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর গোলামদের পদতলে লুটিয়ে পড়েছিল ... আল্লাহ তাঁর বাণীর উপর দৃঢ় থাকাদের এবং তাঁর জন্য জিহাদে দাঁড়িয়ে যাওয়াদের বিজয় দিয়েছিলেন। মোদীর মত আবু জেহেলদের শক্তির অহংকারীদের এভাবেই আল্লাহ মাটির সাথে মিশিয়ে দেন ... কখনও বদর ময়দানে কখনও পানিপথ ময়দানে ... ইতিহাস পুনরাবৃত্তি হচ্ছে এবং এখন আবার পুনরাবৃত্তি হবে ... আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ফাতহে মক্কার সময় হাতে বল্লম নিয়ে মক্কার মূর্তিগুলোকে নিজের হাতে গুড়িয়ে দেন এবং “সত্যের আগমন ও মিথ্যার অপনোদন” এর ঘোষণা দেন। আর তাঁর গোলাম সোমনাথের মূর্তিগুলোকে ভেঙে চুরমার করে তাঁদের প্রিয় রাসূল (ﷺ) এর সুন্নাতকে জীবিত করেন।

শুনে রাখ হে আল্লাহর শত্রুরা! তোমরা ভারতের প্রতিমা বানাও অথবা গরুর ... তোমরা কুফর ও শিরকের জমিনকে দেবীমা বল অথবা যাকে চাও সিজদা কর ... ভারতের মুসলমানের মাথা শুধু তাঁদের রবের সামনে ঝুঁকবে ... প্রতিমা যাই হোক না কেন ... তাকে অস্বীকার করা হবে ... আর এমন একদিন আসবে যেদিন সত্য বিজয়ীর বেশে আসবে আর মিথ্যাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে।

এবং তোমাদের সকল শক্তি ও অহংকারকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হবে এবং নতুন ইতিহাস স্থাপন করা হবে, কারন তোমরা অসহায় ও দূর্বলের উপর জুলুম করছো।তোমরা কার্ফিউ দিয়ে মুসরমানদের টেনে হিঁচড়ে হত্যা করছো। স্বরণ রেখ আল্লাহ তোমাদের মোকাবেলায় এমন মর্দে মুজাহিদ দাড় করিয়ে দিবেন যে, প্রতি ফোটা  রক্তের প্রতিশোধ গ্রহন করবে, প্রতিটি মসজিদের বদলা নিবে এবং হিসাব নিবে সকল জুলুমের ।

আমার আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন মুসলমান ভাইয়েরা! আপনারা আপনাদের মন থেকে এই চিন্তা দূর করে দেন যে, ভারত হিন্দুদের, এরা যখনই চাবে আমাদেরকে ভারত থেকে বের করে দিবে ... আপনারা আল্লাহর শক্তির উপর ভরসা করুন, এই জমিন আপনাদের রব আল্লাহর, ব্রাহ্মণের প্রতিমাদের নয়, এই জমিনের উপর আপনারা নয়শ বছর শাসন করেছেন, কিন্তু আজ এই দুর্বলতা কেন, এই অসহায়ত্ব ও গোলামী কেন, এর কারণ আপনাদের প্রিয় রাসূল (ﷺ) বয়ান করেনঃ

" إِذَا تَبَايَعْتُمْ بِالْعِينَةِ وَأَخَذْتُمْ بِأَذْنَابِ الْبَقَرِ وَرَضِيتُمْ بِالزَّرْعِ وَتَرَكْتُمْ الْجِهَادَ، سَلَّطَ اللهُ عَلَيْكُمْ ذُلًّا لَا يَنْزِعُهُ حَتَّى تَرْجِعُوا إِلَى دِينِكُمْ "

আমি আল্লাহর রাসূলকে (ﷺ) বলতে শুনেছি: যখন তোমরা ইনাহতে (এক প্রকার সূদী ব্যবসা) লিপ্ত হবে, ষাঁড়ের লেজ আঁকড়ে ধরবে, কৃষিকাজে সন্তুষ্ট থাকবে, এবং জিহাদ ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তোমাদের উপর অবমাননাকে চাপিয়ে দেবেন এবং তোমাদের উপর থেকে এটা উঠিয়ে নিবেননা যতক্ষণ না তোমরা দ্বীনের দিকে ফিরে না আসবে

হে আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্যকারীরা! এই কাপুরুষদের কেন বলে দিচ্ছেননা যে, ভারতের মুসলমানরা ভারতেই থাকবে। এক আল্লাহ ও এক রাসূল (ﷺ) এর গোলাম হয়েই থাকবে। মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখা লোকেরা নিজেরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এসে নিজেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে; আমেরিকা আফগানিস্তানে ইসলামের সংরক্ষণকারীদের শেষ করার জন্য এসেছিল, আজ পরাজয়ের গ্লানি তাদের ভাগ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে; ইরাক ও সিরিয়ায়, সোমালিয়ায় ও ইয়েমেনে আপনাদের মুজাহিদ ভাইয়েরা দুনিয়ার সুপার পাওয়ারকে দিনরাত আঘাত করে যাছে ... আপনারা ভারতে ৩৫ কোটিরও বেশি, আপনাদের কাছে ভারতের সর্বোৎকৃষ্ট জায়গা, দেশের সবগুলো প্রদেশে আপনাদের বসবাস, যদি হাতে শুধু চাকু এবং তলোয়ার নিয়ে আপনারা দাঁড়িয়ে যান, তো ইতিহাস স্বাক্ষী যে, এই হিন্দুরা আপনাদের মোকাবেলায় দাঁড়াতেই পারবেনা ... এদের স্বভাব ও প্রকৃতিকে বোঝার চেষ্টা করুন ... এরা পিঠ দেখিয়ে পালিয়ে যাওয়া শত্রুকে আরও বেশি আঘাত করে। দুর্বল শত্রুর বিরুদ্ধে এরা সিংহ হয়ে যায়, এরপর এর উপর এত জুলম করে যাতে সে কখনও উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা না রাখে। এরা ভারতের পুরনো জাতি-গোষ্ঠীগুলোকে নিচু বর্ণে পরিবর্তন করে দিয়েছিল, তাদের সাথেও একই রকম আচরণ করেছিল। ... এরা ঐ পাষণ্ড শত্রু যারা ভদ্রতা ও শিষ্টাচার কি তাই বোঝেনা ... কিন্তু যখন কেউ তাদের মারা শুরু করে তখন তার পায়ের উপর পড়ে প্রাণ ভিক্ষা শুরু করে। আল্লাহ তাআলা এরকম শত্রুদের ব্যাপারে বলেনঃ

كَيْفَ وَإِنْ يَظْهَرُوا عَلَيْكُمْ لایَرْقُبُوا فِيكُمْ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً

অর্থঃ কিভাবে? তাঁরা তোমাদের উপর বিজয়ী হলে তোমাদের আত্মীয়তার ও অঙ্গীকারের কোন মর্যাদা দেবে না।

এদের সাথে আমাদের সন্ধি-চুক্তি কিভাবে হতে পারে, এরা যদি আপনাদের উপর বিজয়ী হয়ে যায় তাহলে আপনাদের ব্যাপারে কোন চুক্তির খেয়ালই করবেনা, কোন সম্পর্কেরও না। এরা ঐ শত্রু যারা আপনাদের উপর বিজয়ী হলে না প্রতিবেশীর প্রতি লক্ষ্য রাখে, আর না বন্ধুর প্রতি, বরং দাঙ্গার ইতিহাস সাক্ষী যে, মুসলমানদের তাদের প্রতিবেশী হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে এবং ধোঁকা দিয়েছে। আপনাদের কুরআন আপনাদেরকে তাদের চক্রান্ত থেকে সতর্ক করছে “يُرْضُونَكُمْ بِأَفْوَاهِهِمْ” অর্থাৎ এরা আপনাদের শুধু নিজেদের কথা দিয়ে খুশি করে ... ভাল ভাল বক্তৃতা দিয়ে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার দাওয়াত দিয়ে আইন ও সংবিধানের মাধ্যমে ধোঁকা দিয়ে ... এই দাঙ্গাহাঙ্গামাগুলোকে রাষ্ট্রীয় করার পরিবর্তে কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলোর ষড়যন্ত্র বলে ... অথবা সরকারী মৌলভীদের মিষ্টি মিষ্টি কথার মাধ্যমে ... বাস্তবে এরা সব একই ... ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যা কিছু হয়, এতে রাষ্ট্র এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলো সমানভাবে অংশগ্রহণ করে। আর নাহলে কার এমন সাহস হবে যে হাতে ছোরা নিয়ে মুসলমানদের মূলা গাজরের মত কাটবে ... আমরা বলি যে, যদি মুসলমানদের গণহত্যায় ভারতের রাষ্ট্রীয় অংশগ্রহণ না থাকে, তাহলে মুসলমান যুবকদেরকেও ফাসাদের সময় এরকম শৃঙ্খলা মুক্ত রাখা হোক যেরকম হিন্দু গুণ্ডা-ষণ্ডাদের রাখা হয় ... এরপর দুনিয়া দেখবে ভারতের মুসলমানরা কাপুরুষ নয় ... তারা তলোয়ার ও লাঠিসোঁটা দিয়েও নিজেদের সম্মানকে রক্ষা করতে জানে ... কিন্তু এখানেই তো আচরণ উল্টা, একদিকে হিন্দু গুণ্ডাদেরকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পৃষ্ঠপোষকতা করে, অন্যদিকে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ মহল্লার বাইরে পুলিশ কারফিউ জারি করে দাঁড়িয়ে যায় যাতে কোন মুসলমান ঘর থেকে বের হতে না পারে।

আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে তাদের প্রতারণা ও ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করছেন “یرْضُونَكُمْ بِأَفْوَاهِهِمْ” (অর্থঃ তারা মুখে তোমাদের সন্তুষ্ট করে) এসব মিষ্টি মিষ্টি কথা এবং মিথ্যা কমিশন বানানো আপনাদের ঠাণ্ডা রাখার প্রক্রিয়া। সুতরাং তাদের কথা বক্তৃতার দিকে যাবেননা। এগুলো ধোঁকা ছাড়া আর কিছু নয়। তাদের অন্তরের অবস্থা কুরআন বর্ণনা করে “وَتَأْبَى قُلُوبُهُمْ وَأَكْثَرُهُمْ فَاسِقُون” অর্থাৎ তাদের অন্তর তাদের মুখের কথার বিপরীত এবং তাদের অধিকাংশ পাষণ্ড প্রকৃতির শত্রু ... তাদের অন্তরে রয়েছে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ, তাদের অন্তর কুরআনের প্রতি বিদ্বেষে পরিপূর্ণ ... তাদের সামর্থ্যে নেই তাই প্রকাশ করেনা, নাহলে তাদের অন্তরের চাওয়া এরকমই ...

“وَدَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ” অর্থাৎ তারা চায় যে আপনারা আপনাদের অস্ত্র সম্পর্কে ভুলে থাকুন, অর্থাৎ এরা চায় যে, তাদের কাছে সব রকমের অস্ত্রশস্ত্র হোক, তারা আরএসএস (RSS) এর প্রতিষ্ঠানগুলোতে সামরিক প্রশিক্ষণও নিতে থাকে, লাইসেন্সভুক্ত অস্ত্রও শুধু তাদের কাছেই হোক ... মুসলমানদেরকে এটাও না দেওয়া হোক আর কারও কাছে যদি লাইসেন্সভুক্ত অস্ত্র হয়ও তাহলে দাঙ্গাহাঙ্গামার আগে পুলিশ ফেরত নিয়ে নেয় ... আপনাদের রব আয়াতের পরবর্তী অংশে বলছেন, “فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً” অর্থাৎ এরপরে তারা একবারে পূর্ণশক্তিতে হামলা করে। এটাই আপনাদের চিরন্তন শত্রুদের প্রকৃতি।

এদের প্রধানমন্ত্রী হল মোদী ... যার কতৃত্বই মিলেছে মুসলমানদের রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে ... যার আসন মুসলমানদের লাশের উপর সাজানো হয়েছে ... যে মুসলমানদের বাসভূমিগুলোকে বিরান করে দিল্লীর সিংহাসনে বসেছে। এরপরও তারা বলে ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ... এর সংবিধান সবাইকে সমানাধিকার দেয় ... সমানাধিকার এই যে, যদি কোন মুসলমানকে গরু জবাই করার জন্য আটক করা যায়, তাহলে তাকে সবার সামনে হত্যা করা হয় ... আর নরেন্দ্র মোদীকে মুসলমানদেরকে গণহত্যার পুরস্কারস্বরূপ দিল্লীর শাসনভার দেওয়া হয় ... এর আইনে মুসলমানের জীবন থেকে পশুর মূল্য বেশি ...

সুতরাং আমার মুসলমান ভাইয়েরা! সরকারী মৌলভী ও নেতাদের বক্তৃতা ও স্লোগানের ধোঁকায় পড়বেননা। ভারতের হিন্দু যুবকদের নিজেদের ফায়সালা নিজেদেরই করতে হবে। সম্মানের জীবন অথবা শহীদী মৃত্যু ... এরপর দেখবেন আল্লাহর সাহায্য আপনাদের সাথে হবে। সিরিয়ার মুসলমানদেরকে দেখুন তারা কিভাবে তাদের শত্রুদের মোকাবেলায় দাঁড়িয়ে গেছে। আল্লাহ কয়েক বছরের ভেতর তাঁদেরকে কতটা মজবুত করে দিয়েছেন। ইউরোপের ভেতর বাস করা মুসলমান যুবকদের দেখুন কিভাবে একা একাই সুদৃঢ় শত্রুর উপর হামলা করে পুরো ইউরোপকে তটস্থ করে দিয়েছে। আল্লাহ আপনাদেরকে যে শক্তি দিয়েছেন, সেই শক্তি দিয়ে জিহাদ শুরু করুন ... যে প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসন এসব দাঙ্গাহাঙ্গামা করায় তাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হত্যা করুন ... আইএসএ (ISA) ও আইপিএস (IPS) অফিসারদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানান ... তাদেরকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করুন ... আল্লাহ তাআলা আপনাদের সহায় হন ... আর আমাদের জন্য আপনাদেরকে সাহায্য করা সহজ করে দেন।

আর আমাদের সর্বশেষ বাণী হল – সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।