হিজবে ইসলামী তুরকিস্তানি এর কেন্দ্রীয় মিডিয়া পরিবেশনায় শায়েখ আবু যর আযযাম হাফিজাহুল্লাহর ভিডিও পয়গাম রিলিজ হয়েছে।
পাকিস্তানের মুজাহিদদের জন্য নসিহাহ শিরোনামের ৩১২ এম্বির উর্দু ভাষার এই ভিডিওতে শায়েখ আবু যর পাকিস্তানে জিহাদরত জিহাদিদের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ নসিহাহ প্রদান করেছেন।
২২:৪৫ সেকেন্টের এই ভিডিওতে প্রথমে পাকিস্তানের জিহাদের প্রশংসা করেছেন। আমেরিকার অনৈতিক হামলায় ইমারাতে ইসলামীর পতনের পর পাকিস্তানের মুসলমানদের বিশেষ করে উপজাতীয় গোত্রসমূহের মুসলমানদের মুজাহিদিনদেরকে উপমাহীন সাহায্যের ঋণ স্বীকার করে সৃতিচারণ করে বলেন-
আজ আফগানিস্তানে কত বছর যাবত জিহাদ চলছে। কিন্তু লাল মসজিদের শাহাদাতের মত ঘটনা আফগানের ইতিহাসে পাবেন না, শুধু আফগানিস্তান কেন অন্য ভুমিতেও পাওয়া যাবে না। কিন্তু পাকিস্তানের মুসলমানগণ সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। সেই কুরবানিও পেশ করেছেন। এই ধরণের ঘটনার উদাহরণ তো শুধুমাত্র আসহাবুল উখদুদে পাওয়া যায়।
অতঃপর শায়েখ পাকিস্তানের মুজাহিদদের গাযওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভবিষ্যতবাণীসমূহ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন- পাকিস্তানে জিহাদ অনেক বড় নেয়ামত। আপনারা এই জিহাদের কদর করুন।
শায়েখ পাকিস্তানের মুরতাদ শাসকবর্গের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে বলেন- এই পাকিস্তানের শাসকবর্গ ও নাপাক সেনাবাহিনী হচ্ছে আমেরিকার গোলাম ও এজেন্ট, যদি আমি এদেরকে জানোয়ারের সাথেও সাদৃশ্য দেই, তবুও আমার লজ্জাবোধ হয়।
বাংলাদেশের উপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অত্যাচারের ব্যাপারে তিনি বলেন- এই নাপাক ও মুরতাদ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুসলমানদের উপর প্রচণ্ড জুলুম করেছে। তারা বাংলাদেশের লক্ষাধিক মুসলমানদের শহীদ করে দিয়েছে। তারা তো মুসলমান ছিল, তারা তো হিন্দু ছিলনা, শিখ বা মুশরিক ছিলনা।
শায়েখ বয়ানের শেষের দিকে সারা বিশ্বের জিহাদিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়ে বলেন- আমরা জিহাদের তিনটি উদ্দেশ্য সর্বদা বয়ান করি-
১/ আল্লাহর হাকিমিয়্যাত তথা সার্বভৌমত্ত প্রতিষ্ঠা।
২/ মজলুমদের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ।
৩/ গণতান্ত্রিক ও অনৈসলামিক শাসনের মন্দ পরিণতি প্রদান।
এই তিন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আমরা শাহাদাত বরণ করবো, আমাদের সন্তানরা বাস্তবায়ন করবে, কিন্তু এই উদ্দেশ্য থাকবে।
না আমরা সরে যাবো আর না কাউকে এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন থেকে সরে যাওয়ার অনুমতি দিবো!
শায়েখ এই বয়ানে আইএসের ভ্রান্তি তুলে ধরে মুসলিম যুবক ও জিহাদিদের দূরে থাকতে বলেছেন।
শায়েখের এই গুরুত্বপূর্ণ বয়ানটি নিম্নের লিংক থেকে ডাউনলোড করুন-
Direct Links
সম্মানিত পাঠকদের নিকট আমরা শায়েখের পরিচয় তুলে ধরছি-
শায়েখ মুফতি আবু যর আযযাম হাফিজাহুল্লাহ। জামেয়া ফারুকিয়া করাচীতে লেখাপড়া করেছেন। ইফতা শেষ করেছিলেন, কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বেই পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হিজরত করেন ও ২০০৪ সালে মুজাহিদদের সাথে যোগদান করেন। তিনি সেখানে জিহাদ ও দাওয়াতের কাজে লিপ্ত থাকেন। এবং উজবেকিস্তানের জিহাদি জামাআত “হারাকাতুল ইসলামিয়্যাহ”র একজন প্রখ্যাত মুফতি হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। জিহাদের মিশন নিয়ে যিনি বিশ্বের নানা ভূমি চষে বেড়িয়েছেন। শায়েখ একই সাথে “মুফতি আবু যর বর্মী” নামেও পরিচিত। উপমহাদেশ ও খোরাসানীয় অঞ্চলে শায়েখের জিহাদি পদচারনা কেমন ছিল, তা আমরা দেখতে পাই যে, শায়েখের বিভিন্ন অডিও, ভিডিও বয়ান কখনো উজবেকিস্তানের মুজাহিদদের জুন্দুল্লাহ স্টুডিও থেকে রিলিজ হয়েছে, কখনো তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের উমার মিডিয়া থেকে রিলিজ হয়েছে, কখনো হিজবে ইসলামী তুরকিস্তানের ভয়েস অফ ইসলাম থেকে রিলিজ হয়েছে ও কখনো বার্মায় অবস্তানরত মুজাহিদদের মিডিয়া থেকে রিলিজ হয়েছে। সেই হিসেবে এটা নিশ্চিত যে, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, বার্মা, তুর্কিস্তান ও উজবেকিস্তানের মুজাহিদগণ শায়েখের সোহবত ও মেহমানদারিতে ধন্য হয়েছেন। বিভিন্ন ভূমিতে জিহাদ জারি করার ক্ষেত্রে শায়েখের অবদান রয়েছে।
- হিন্দুস্তান থেকে জেরুজালেম