আমেরিকান বিমান হামলায় সোমালিয়ার জালমদুক প্রদেশের মিলিশিয়া বাহিনীর সৈন্য নিহত। স্বীকারোক্তি আমেরিকা সেনাবাহিনীর।

শাহাদাহ: গত বৃহস্পতিবারের রয়টার্সের এক খসরা বিবৃতিতে আমেরিকার সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে, আমেরিকার এক বিমান হামলায় সোমালিয়ার স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনী নিহত হয়েছে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে যে ধারণা করেছিল –হারাকাতুশ শাবাবের মুজাহিদ নিহত হয়েছে – বিষয়টি তেমন নয়।

খসরা বিবৃতিতে বলা হয়, ২৮ সেপ্টেম্বরে সোমালিয়ার জালকায়ূ অঞ্চলে যে হামলা হয় তাতে ১০ জন সৈন্য নিহত হয় এবং আরো ৩ জন আহত হয়। এ হামলায় শহরের দুর্গতদের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।

এদিকে সোমালিয়ার সরকার জাতিসংঘের কাছে এ বিমান হামলার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। হামালার বিষয়ে বলা হয়েছে যে, তা জালমদুক শহরের স্থানীয় যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পরিচালনা করা হয়েছে । অথচ...

হামলা পরেরদিন বেন্টালেন্ট সংস্থার কর্মী – যারা জাতিসংঘের ধোঁকাবাজিতে অগ্রে থাকে – তারা এ অভিযোগ তুলেছে যে, জালামদুক শহরের নিরাপত্তা বাহিনীরা মূলত ইসলামি বিদ্রোহী ছিল।

এদিকে হারাকাতুশ শাবাবের মুখপাত্র বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে যে, যখন বিমান হামলা হয় তখন হারাকাতের কোন মুজাহিদ ভাই সেখানে ছিল না।

আর বিবৃতিতে আমেরিকা সৈন্য বাহিনীর বরাত দিয়ে বলা হয়, বেন্টালন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমতি নিয়েই আমাদের নিরাপত্তার জন্যে বিমান হামলাটি চালানো হয়েছে।

আরো বলা হয়, “বেন্টালন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকি যোদ্ধাদের আক্রমণের শিকার হয়েছিল। আর নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য জাতিসংঘ কোন হুমকির দিকে খেয়াল না করে এটা প্রতিহত করা হয়েছে। এতে ১০ অস্ত্রধারী যোদ্ধা নিহত হয় এবং আরো তিনজন আহত হয়।“

বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান হামলার পর্যবেক্ষণ ৪ অক্টোবর শুরু হয়। প্রথমে তারা মনে করে অস্ত্রধারী যোদ্ধারা হারাকাতুশ শাবাবের মুজাহিদ ছিল। কিন্তু গভীর পর্যবেক্ষণের পর তারা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, তারা মূলত স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনী ছিল।

এতে পর্যবেক্ষণ কমিটি এ কথা বলেছে যে, আমেরিকান সৈন্যরা নিজেদের প্রতিরক্ষার নামে ইসলামী বাহিনীর পক্ষে কাজ করছে। যাতে তারা তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বাহিনী যে আক্রমণ চালিয়েছে তার বিপরীতে বেন্টালেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর সমর্থন পায়। আর এতে আমেরিকান সৈন্যদের মধ্যে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সূত্র: শাহাদাহ + রয়টার্স