JustPaste.it

02sompadokio

সম্পাদকীয়

নিরাশ হয়ো না বিজয় তোমাদেরই হবে

ইদানিং ঘরোয়া বা অন্য কোন আসরে রাজনৈতিক আলোচনার গন্ধ পেলেও যথাসম্ভব নির্লিপ্ত থাকার চেষ্টা করি। কারণ, লোপাটতন্ত্রের রাজনীতির প্রতি নূন্যতম আকর্ষণ বোধ করি না। কটা সমস্যার কথা শেয়ার করবো; পুরো সিস্টেমটাই যে পঁচেগলে বিভৎস হয়ে আছে। মানুষের মৌলিক অধিকার বলতে এ ব্যবস্থায় ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া আর কী আছে? শ্রমজীবি খেটে খাওয়া মানুষ হোক কিংবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত বিশিষ্টজন হোক- কার জীবনের নিরাপত্তা আছে? একদিকে তাজনীন গার্মেন্টস আর রানা প্লাজায় মানবতার চরম বিপর্জয় ঘটে, অন্যদিকে ক্ষমতার উৎসব পালনে শাসকদের ব্যস্ত সময় কাটে। একদিকে পেট্রোল বোমা আর আগুনসন্ত্রাস চলে অপরদিকে গুম-খুন, দমন-পীড়নের খড়গ নেমে আসে। কীসের জন্য? লোপাটতন্ত্র দখলে রাখার জন্যই তো! একদিকে কুলাঙ্গার নাস্তিকরা শত কোটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে জামাই আদরে বরিত হয়, অন্য দিকে নিরেট ঈমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমে তাওহীদী জনতা শতাব্দীর ন্যাক্কার জনক লাঞ্ছনার শিকার হয়। একদিকে শেয়ার বাজার থেকে হাজার কোটি টাকা লুট করে অপরাধীরা দম্ভভরে দাঁত কেলিয়ে হাসে, অন্য দিকে সর্বস্ব খুইয়ে টগবগে যুবক আত্মহত্যা কৱে। অসহায় গৃহকর্মীর বিশিষ্ট (!) নাগরিকদের দ্বারা নির্যাতন খুনের শিকার হয়, অন্য দিকে অপরাধীরা পুষ্পমাল্য অরিত হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে আমার মা-বোন লাঞ্ছিত হলেও লম্পট ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। কয়টার কথা বলবো! প্রতি মুহূর্তেই ঘটে চলছে নতুন নতুন ট্রাজেডি। এতো গেল স্বদেশের কথা। মুসলিম উম্মাহ কোথাও আজ শান্তিতে নেই। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের দুঃসহ জীবনের খোঁজ নেয়ার গরজ কারো নেই। অথচ অবৈধ দখলদার ইসরাইল চতুর্দিক থেকে মুসলিম রাষ্ট্র দ্বারা বেষ্টিত। সম্ভবত আলী তানতাভী ফিলিস্তিন সম্পর্কে তার কোন এক লেখায় বলেছিলেন- “মুসলমানরা যদি ইসরাইলকে অস্ত্র দিয়ে প্রতিরোধ করতে না পারে, তাহলে শুধু মরতে শিখুক; দেখবেন মুসলমানদের রক্তবন্যায় ইসরাইল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, চীন, মায়ানমার, ভারত, পাকিস্তান কোথাও মুসলিমরা স্বাধীন হতে পারেনি।  স্বাধীনতা বলতে কথিত স্বাধীনতা নয়; মুসলিমদের স্বাধীনতার অর্থ দীনের বিজয়। ইসলামের বিজয়। তবে, আশার কথা হল, পুরো পৃথিবীতেই একটা বিপরীত জোয়ার শুরু হয়ে গেছে। এ জোয়ার তাওহীদ পন্থী মুসলিমদের ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তনের। হারানো গৌরব ফিরে পাবার। শয়তানী রাজ চূর্ণ করে খোদায়ী রাজ কায়েমের। মুসলিম তরুণ-যুবারা বুঝতে শুরু করেছে এ বিপ্লবে তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভয়কে জয় করে পূর্বসুরীদের দেখানো পথেই দুর্বার ছুটে যেতে হবে। কুফরী শাসন ব্যবস্থা মুসলমানরা পরখ করে ফেলেছে। বোধহয় দাদারা সুবিধে করতে পারবে না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, এবার পাল্টা আঘাত হানার সময়। আল্লাহর গায়েবী নুসরত তারা স্বচক্ষে দেখছে পৃথিবীর প্রান্তে-প্রান্তে। আফগানিস্তানের তালেবান মুজাহিদরা এক কুন্দুজ অভিযানে ১০০ টি ট্যাংকসহ বিপুল পরিমান সমরাস্ত্র ও সম্পদ গনীমত লাভ করেছে মাত্র কয়েক ঘন্টার লড়াইয়ে। ফিলিস্তিনে শুরু হয়ে গেছে তৃতীয় ইন্তিফাদা। সিরিয়া ও ইয়েমেনে চলছে ইমাম মাহদীর ভবিতব্য সৈন্যদলের ফ্রন্ট তৈরীর অদম্য প্রচেষ্টা। হে যুবক। মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে সোনালী কাফেলায় যোগ দাও! সাকিব, তামীম তোমাদের আইডল নয়; তোমাদের আইডল শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বীর উসামা। হ্যাঁ, উসামা ও মোল্লা ওমর রহ.। বীর উসামার শপথ তো তোমারই পূর্ণ করবে। তিনি তো তোমাদের দিকে তাকিয়েই বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করেছিলেন

لن تحلم امریکا ولا من يعيش في أمريكا بالأمن قبل أن تعيشه واقعا في فلسطين ، وقبل أن تخرج جميع الجيوش الكافرة من أرض محمد صلی الله عليه وسلم

‘আল্লাহর শপথ! আমেরিকা শান্তি-স্থিতির কল্পনাও করতে পারবে না, যতক্ষণ না আমরা ফিলিস্তিনে তাদের দম্ভ চূর্ণ করছি এবং পুণ্যভূমি জাজিরাতুল আরব থেকে ক্রুসেডারদের সর্বশেষ সৈনিকটিও বিতাড়িত হচ্ছে।’

 

আল বালাগ

ম্যাগাজিন ইস্যু-১