JustPaste.it
User avatar
@anonymous · May 8, 2017
দৃঢ়পদ মুজাহিদের স্মরণে || মুফতি আব্দুল হান্নান রহ. এর শাহাদাৎ উপলক্ষ্যে মুফতি আব্দুল্লাহ আশরাফের বার্তা



ডাউনলোড

https://www.sendspace.com/file/w98bwh
http://www66.zippyshare.com/v/YHF3kUHT/file.html
http://www66.zippyshare.com/d/YHF3kUHT/2000/Eulogy1%20-%20Copy.pdf
https://www.pdf-archive.com/2017/05/08/eulogy1-copy/
https://www.pdf-archive.com/2017/05/08/eulogy1-copy/eulogy1-copy.pdf
https://document.li/30yE


অনলাইনে পড়ুন
http://justpaste.it/shokbarta


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সমস্ত জগতের প্রতিপালক। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক তার সম্মানিত রাসূলের উপর। অতঃপর,
আল্লাহ তা’আলা বলেন:
يريدون ليطفئوا نور الله بأفواههم والله متم نوره ولو كره الكافرون
“তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতা দানকারী। যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে।”
ইতিমধ্যে আমরা সকলে জানি যে, দাওয়াত ও জিহাদের ময়দানের অগ্রপুরুষ মুফতি আব্দুল হান্নান ও তাঁর দুই সাথী বাংলাদেশের তাগুত সরকারের হাতে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আফগানিস্তানে রুশ হানাদারদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে জিহাদি সফর শেষ করে দীর্ঘ সময় তিনি তাঁর সাথীদের নিয়ে এই ভূমিতে তাওহিদ ও জিহাদের দাওয়াতকে ছড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। নিকৃষ্ট শয়তানদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন।
যখন ইসলাম ও মুসলিমদের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছিলো আর সেকুলাররা ইসলামকে খ্রিস্টবাদের মতো শুধু মসজিদ-মাদ্রাসার গন্ডিতে আটকে দিতে চাচ্ছিলো, তখন তিনি পেছনে বসে থাকা ব্যক্তিদের সাথে বসে থাকতে রাজি হননি। আল্লাহ’র বিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাজি শরিয়ত উল্লাহর সুযোগ্য উত্তরসূরী এই মহান মুজাহিদ বাংলার জমীনে দীর্ঘ সময় পর জিহাদের পুনুরুত্থান ঘটান।
অতঃপর তাগুতের কারাগারে অকথ্য নির্যাতন ও নিঃসঙ্গতার মুখোমুখি হোন যা তিনি মোকাবেলা করেছেন নজিরবিহীন দৃঢ়তার সাথে।
দীর্ঘ এক যুগ সবর ও দৃঢ়তার সাথে অতিবাহিত করার পর আল্লাহ্ তা’আলার অনুগ্রহে তিনি কাঙ্খিত শাহাদাতের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে জান্নাতে পাড়ি জমিয়েছেন। আমরা এমনটাই ধারণা করি।
একথা অনস্বীকার্য, আমেরিকা ও ভারত বর্তমানে ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রুতায় একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। দুনিয়ার সর্বত্র এদের পোষ্য ও মিত্র সরকারগুলো বিশুদ্ধ তাওহিদের পতাকাবাহীদের হত্যা ও নির্যাতনের নিশানা বানিয়েছে, আর এ কাজে তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে।
এমনকি এদেশের মানুষের কাছেও আজ এটি অস্পষ্ট নয়, যে প্রশাসন নিজেই দুর্নীতি, গুম-খুন, হত্যার একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে তারাই হঠাৎ করে কেন সাধারণের নিরাপত্তার জন্য এত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলো?
একথাও আজ অস্পষ্ট নয়, কেন আল্লাহ’র রাসুল ﷺ এর দুশমনদের প্রতিরক্ষাকল্পে এদেশীয় তাগুত ঐসকল উত্তম ব্যক্তিদের হত্যা ও নির্যাতনের শিকার বানালো- যারা স্বীয় নবীর ﷺ সম্মান রক্ষার্থে ঘরে বসে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। আর তাদের সর্বাগ্রে আছেন মুজাহিদ ভাই মুকুল রানা। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর শাহাদাৎ কবুল করুন এবং স্বীয় নবীর ﷺ সাথে মিলিত করুন যে নবীর ﷺ সম্মান রক্ষার্থে তিনি নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছেন। আমিন।
এই ভুমির তাগুতদের এমন হীন আচরণের কারণ তো হচ্ছে- নতশিরে নিজ প্রভুদের নির্দেশ পালন- যে নির্দেশ এসে থাকে নয়াদিল্লী ও ওয়াশিংটন থেকে, এ বিষয়টি আজ সকলের কাছেই মধ্য দুপুরের সূর্যালোকের ন্যায় স্পষ্ট।
শরিয়ত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রগামী এসকল মহান ব্যক্তিদের নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ের কারণ তো এটাই যে, মিথ্যা প্রভুদের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াবার মত সাহস ও দৃঢ়তা কেবল মুজাহিদিনদেরই রয়েছে যারা আপোষকামিতা ও কাপুরুষতাকে উপেক্ষা করেন।
যার এক জাজ্বল্যমান প্রতিচ্ছবি ছিলেন মুফতি আব্দুল হান্নান (আল্লাহ্ তাঁর উপর রহম করুন) ও তাঁর সাথীরা, যারা ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী তাগুতদের ভীতসন্ত্রস্ত করেছেন ও তাদের ভিত নড়বড়ে করে দিয়েছিলেন।
হে তাওহীদের অনুসারী উম্মাহ! মুফতি আব্দুল হান্নানের পূর্বে আরও অনেক মুজাহিদিন উমারা-উলামা-সাথীগণ এই ভূমিতে জালিমদের হাতে শাহাদাৎ লাভ করেছেন। তাদের শাহাদাৎ তো আমাদের এই বার্তাই পৌঁছে দেয় যেন আমরা পশ্চিমা ও ভারতীয় কুফফারদের আজ্ঞাবহ দাসদের দাসত্বকে অস্বীকার করি এবং এপথে দৃঢ়তা অবলম্বন করি।
হে, তাওহীদের অনুসারী মুসলিম উম্মাহ, মুফতি আব্দুল হান্নান ও তাঁর সাথীদের মাঝে রয়েছে আপনাদের জন্য উত্তম আদর্শ, যারা শহিদ তিতুমির ও বালাকোটের শহিদগণের মত বাহ্যিক বিজয় হয়তো দেখে যেতে পারেন নি কিন্তু নিজ রবের সাথে এমন অবস্থায় মিলিত হয়েছেন যখন আপোষকামিতা তাঁদেরকে স্পর্শ করেনি।
তাই আপনারাও বিচ্ছিন্নতা ও পারস্পরিক মতভেদ উপেক্ষা করে ইসলামী আকিদা ও মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দান করুন যেন শহিদানের রক্তের হক্ব আমরা যথাযথভাবে আদায় করতে পারি এবং জালিমদের থেকে যথাযথ প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারি।
হে আমাদের রব! আমাদেরকে ধৈর্য্য দান করুন, আমাদের পা স্থির রাখুন এবং আমাদেরকে কাফের সম্প্রদায়ের উপর সাহায্য করুন।
ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফ
আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ